হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালক, মাসিক মুঈনুল ইসলামের সম্পাদক ও কওমী মাদ্রাসা বোর্ডের চেয়ারম্যান আহমদ শফীর ফতওয়া মতে- ‘বায়তুল মোকাররমের খতীব ওবায়দুল হক ফাসিক ও বিদায়াতী এবং গোমরাহ’

সংখ্যা: ১৪৫তম সংখ্যা | বিভাগ:

মাসিক মুঈনুল ইসলামের সম্পাদক আহমদ শফী। পত্রিকায় একটি বিভাগ রয়েছে জিজ্ঞাসা-সমাধান। এতে মাসয়ালার জবাব তথা ফতওয়া দেয়া হয়। আহমদ শফীর মুফতীর দাবীর পাশাপাশি সম্পাদক হওয়ার প্রেক্ষিতে এ বিভাগের ফতওয়া পেশ-এর দায়বদ্ধতা তার উপরই পূর্ণভাবে বর্তায়। গত জুন-২০০৫ ঈসায়ী সংখ্যায় নিম্নোক্ত জিজ্ঞাসা-সমাধানটি ছাপা হয়: (৪৬৬৯) মুহম্মদ জসিম উদ্দিন, গুয়াচিত্র, ঝালকাঠি জিজ্ঞাসাঃ (ক) আমি জানতে চাই মহিলাদের জামাআতে নামায পড়া জায়েয আছে কি-না। আমাদের গ্রাম থেকে বাসে দুই টাকা ভাড়া দিয়ে এক মসজিদে গিয়ে এক মহিলা জামাআতে নামায পড়ে। সে মসজিদে পুরুষদেরও নামাযের জামাআত হয়। উক্ত মসজিদের এক রুমে থাকে মহিলারা অন্য রুমে থাকে পুরুষ। কিন্তু ইমামতি করায় এক মাওলানা। আর নারী-পুরুষ আলাদা আলাদা রুমে একই ইমামের পিছনে নামায আদায় করে। এই নামায জায়েয আছে  কি-না, বিস্তারিত জানতে চাই (খ) মহিলাদের জুমার নামায জায়েয আছে কি-না? সামাধানঃ (ক) ফিক্বাহ ও হাদীস শাস্ত্রের কিতাবাদী অধ্যয়নে একথাই প্রতীয়মান হয় যে, মহিলাগণের জন্য নামাযের জামাআতে উপস্থিত হওয়া মাকরুহে তাহরীমী। চাই সেটা জুমার নামাযের জামাআত হোক অথবা পাঁচ ওয়াক্তিয়া নামাযের জামাআত হোক বা নফল নামাযের জমাআত হোক। (খ) মহিলাগণের জন্য জুমার নামায মাকরুহে তাহরীমী। কেননা জুমার নামায পড়ার জন্য জামাআত শর্ত। আর উপরে উল্লেখ করা হয়েছে যে, মহিলাগণ নামাযের জামাআতে উপস্থিত হওয়া মাকরুহে তাহরীমী। তা ছাড়া মহিলাগণ যদি জুমার নামায পড়ার জন্য ঘর থকে বের হয়, তবে তার ফরয পর্দার ক্ষতি হবে এবং পর পুরুষের সাথে কথা-বার্তা দেখা সাক্ষাৎ হবে। এই ক্ষেত্রে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, মহিলাগণ অন্য জায়গায় নামায পড়া থেকে তাদের জন্য ঘরে নামায পড়াই উত্তম। সুতরাং বলা যায় যে, বর্তমান যামানায় ফিত্না-ফাসাদ বেড়ে যাওয়ার কারণে, মহিলাগণের জন্য জুমার নামাযে উপস্থিত হওয়া মাকরূহে তাহরীমী। (মাসিক মুঈনুল ইসলাম- বর্ষ-১৫ সংখ্যা, জুন/০৫) এর পাশাপাশি গত ৫ই জুলাই-২০০৫ ঈসায়ী তারিখে দৈনিক ইনকিলাবে ‘ইসলামী জীবন’ শীর্ষক পাতায় ‘মসজিদ ও আমাদের নারী সমাজ’ শীর্ষক ফিচারে খতীব উবায়দুল হক বলেন,  “মহিলাদের মসজিদে যাতায়াতে শরীয়তে কোন বাঁধা নেই।” “তবে আশার বিষয় বর্তমানকালে মহিলাদের মসজিদে আগমনের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।” অতএব, হাটহাজারীর আহমদ শফী ও খতীব উবায়দুল হকের বক্তব্য তুলনামূলক বিচারে যা সাবেত হয়: (১) খতীব উবায়দুল হক বলেছেন, ‘মসজিদে মহিলাদের যাতায়াত শরীয়তে বাঁধা নেই।’ হাটহাজারীওয়ালা স্বীকার করছে যে, ‘ফিক্বাহ ও হাদীছ শাস্ত্রের কিতাবাদী অধায়নে একথাই প্রতীয়মান হয় যে, মহিলাদের জন্য নামাযের জামাতে উপস্থিত হওয়া মাকরূহ তাহরীমী।’ হাটহাজারীর বক্তব্যে প্রতিভাত হলো, ‘খতীব উবায়দুল হক ফিক্বাহ ও হাদীছ শাস্ত্রের কিতাবাদী ভালভাবে অধ্যায়ন করেননি। বরং তাদের দৃষ্টিতে তিনি আনপড়াহ, জাহিল।’ (২) শরীয়তের দৃষ্টিতে একটি মাকরূহ তাহরীমি কাজ সম্পর্কে তিনি বলেছেন, ‘শরীয়তে নিষেধ নেই।’ বেপর্দা, ছবি, নারী নেতৃত্ব ইত্যাদি নাজায়িয কাজ যে তিনি অভ্যাসবশত: করছেন তা এর দ্বারা প্রমাণিত হয়। নাজায়িয মহিলা জামায়াতকে জায়িয করা তার একটি জ্বলন্ত উদাহরণ। খতীব দাবী করলেও তিনি এখন প্রকাশ্য এই আয়াত শরীফের মিছদাক হয়েছেন। আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, “তোমরা অল্পমূল্যে আমার আয়াত শরীফকে বিক্রি করিওনা।” আহমদ শফীর ভাষ্যমতে এও প্রমাণিত হয় যে, ‘খতীব চরম ফাসিক ও প্রকাশ্য গোমরাহ।’ আহমদ শফীর হাটহাজারী বলেছে, ‘তাছাড়া মহিলাগণ যদি জুমুয়ার নামায পড়ার জন্য ঘর থেকে বের হয় তবে তার ফরয পর্দার ক্ষতি হবে এবং পর-পুরুষের সাথে কথাবার্তা, দেখা-সাক্ষাত হবে।” আর এ কাজটিকে শুধু জায়িয ঘোষণা নয়, তার পক্ষে ওকালিতি নয় বরং তাতে আনন্দ প্রকাশ করেছেন তথাকথিত খতীব। বলেছেন, “আশার কথা দিন দিন মসজিদে মহিলাদের আগমনের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।’ অথচ সব ফিক্বাহের কিতাবে বর্ণিত আছে, ‘হারাম কাজে আনন্দ প্রকাশ করা কুফরী।’ একটি নাজায়িয কাজের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে আর খতীব তাতে আশান্বিত হচ্ছেন। (নাঊযুবিল্লাহ মিন জালিক) এর চেয়ে বড় পতন ও পদস্খলন আর কি হতে পারে? এবং এটি এত বড় অধ:পতন যে, তার স্বগোত্রীয় মুঈনুল ইসলামেও তা উন্মোচিত হয়ে পড়েছে। প্রমাণিত হচ্ছে যে, খতীব শুধু নাজায়িয মহিলা জামায়াতকে জায়িযকারী নয় বরং সে ফরজ পর্দা তরক্বকারীদেরও নেতা। আহমদ শফীর হাটহাজারী বলেছে, ‘তাছাড়া মহিলাগণ যদি ঘর থেকে বের হয় তবে ফরয পর্দার ক্ষতি হবে।’ আর খতীব সে ফরয পর্দা তরক্ব করার জন্য উৎসাহদাতা, কুমন্ত্রণা দাতা, ওয়াস্ওয়াসা দাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ। প্রসঙ্গত: মাকতুবাত শরীফে একটি ঘটনার বর্ণনা রয়েছে। যখন আজকের খতীব গং এর ন্যায় উলামায়ে ‘ছূ’দের তা-ব ছিলো। সে জামানার মুজাদ্দিদ, আফজালুল আউলিয়া, হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি-এর এক মুরীদ স্বপ্নে দেখলেন ইবলিস বিশ্রাম করছে। অলস অবস্থায় পড়ে আছে। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, ‘কিরে ইবলিস! তুই যে ঘুমিয়ে আসিছ। তুই না সব সময় মানুষকে ওয়াস্ওয়াসা দিতে ব্যস্ত থাকিস।’ ইবলিস বললো, হুযূর! বেয়াদবি মাফ করবেন। এই জামানার নামধারী উলামারাই আমার কাজ স্বত:স্ফূর্ত ও সক্রিয় স্বেচ্ছাসেবকের ভূমিকায় পালন করে যাচ্ছে। তারা সব হারামকে এমনভাবে হালাল করে দিচ্ছে যে, আমার আর কিছু করতে হচ্ছে না।’ মূলত: সে জামানায়ই যদি ইবলিস বিশ্রামে রত থাকে তবে বলতে হয় বর্তমান জামানায় সে ঘুমে বিভোর রয়েছে। কারণ, জাতীয় খতীব নামধারী লোকটিই যদি নাজায়িয মহিলা জামায়াতকে জায়িয করে ফরয পর্দা তরক্ব করার জন্য উৎসাহিত করে, হারাম ছবি, নারী নেতৃত্ব জায়িয করে তবে আর ইবলিসের করার থাকে কি? প্রসঙ্গত: উল্লেখ্য, খতীবকে এসব হারাম ও নাজায়িয কাজের হোতা প্রতীয়মানকারী আহমদ শফীও একইভাবে দায়যুক্ত। তার পত্রিকায় পর্দা ফরয বলা হলেও এই সেদিনও তিনি প্রকাশ্যে ফরয তরক্ব করলেন। গত ৪ঠা জুলাই-২০০৫ ঈসায়ী তারিখের দৈনিক ইনকিলাবসহ আরো জাতীয় দৈনিকে যার সচিত্র ছবি প্রকাশ হয়েছে।  অথচ আবার মুঈনুল ইসলামেই আহমদ শফীর প্রশংসা করা হয় ছবি না তোলার জন্য। সবকিছু মিলিয়ে যা প্রতিভাত হয় তাহলো, দ্বিমুখী নীতি। মুখে এক কাজে ভিন্ন। যা স্পষ্ট মুনাফিকী। খতীব, মুফতী, শাইখুল হাদীছ, মাওলানা পরিচয়ে তারা যা করছেন সবই জ্বলন্ত, প্রকাশ্য মুনাফিকী। আলিম নামধারী এসব মুনাফিককেই হাদীছ শরীফে উলামায়ে ‘ছূ’ বা নিকৃষ্ট বলা হয়েছে। পবিত্র কুরআন শরীফে “তাদের স্থান জাহান্নামের সবচেয়ে তলদেশে” বলে বর্ণনা করা হয়েছে। (নাউযুবিল্লাহ)

-মুহম্মদ তারীফুর রহমান, ঢাকা।

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের  দাঁতভাঙ্গা জবাব- ১৫

 বিৃটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে বিৃটিশ ভূমিকা-১৫ 

কোকাকোলা ও অন্যান্য কোমল পানীয় সম্পর্কে উন্মোচিত সত্য-৩

চাঁদের তারিখ নিয়ে জাহিলী যুগের বদ প্রথার পুনঃপ্রচলন॥ নিশ্চুপ উলামায়ে ‘ছূ’ ঈদ, কুরবানীসহ জামিউল ইবাদত হজ্জও হচ্ছে বরবাদ

শুধু ছবি তোলা নিয়েই বড় ধোঁকা নয়, গণতান্ত্রিক শাসনতন্ত্র চর্চা করে “ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের” নামেও তিনি মহা ধোঁকা দিচ্ছেন