হারাম থেকে হারামেরই জন্ম। গন্ধযুক্ত বস্তু যতই সুন্দর প্যাকেটে আচ্ছাদিত করা হোক একটু ফুটো হলে সেখান থেকে গন্ধ ছড়াবেই। ইহুদী পরিকল্পনায় আমেরিকা চাপ সৃষ্টি করে মুসলিম দেশগুলোতে মহিলা ক্রীড়া অনুষ্ঠিত করিয়ে যাচ্ছে। ঈমানী জজবা ও কুওওয়ত বিহীন মুসলিম সরকারগুলোই যে সে চাপের কাছে নতি স্বীকার করেছে। শুধু তাই নয়, এক শ্রেণীর তথাকথিত আলেমও এটাকে জায়িয করেছে।
তথাকথিত ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের নামধারী আমীর চর্মনাই পীর খ্যাত আলিমসহ মাহিউদ্দিন গংও যদি পুরুষ দর্শক না থাকে তাহলে মহিলাদের ফুটবল, হকি, ক্রিকেট খেলায়ও কোন অসুবিধা নেই বলে মন্তব্য করেছেন। অথচ শরীয়তের একটা উছুল হলো হারামকে হালাল করার চেষ্টা করাও কুফরী। বাতেনীভাবে ঈমান নষ্ট হবে আর জাহেরীভাবে এতে যে আসলে কত অসুবিধা হয় তার সাক্ষাত প্রমাণ মিলেছে পাকিস্তানে। অতি সম্প্রতি পাকিস্তানে আয়োজন করা হয়েছিল প্রথম মহিলাদের ফুটবল চ্যাম্পিয়নশীপ। এতে যে অবস্থা তৈরি হয়েছে এ, এফ, পি পরিবেশিত খবরে তা জানা যায়। পাকিস্তানে মহিলা ফুটবলে ঝগড়া বিষয়টি গড়িয়েছিল ফাইনাল পর্যন্তও। কিন্তু মধুরেণ সমাপয়েতের বদলে বৃহস্পতিবার পাঞ্জাব প্রদেশ আর ওয়াপদার (ওয়াটার অ্যান্ড পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট) খেলোয়াড়রা নিজেরাই কুৎসিত ঝগড়া করে ব্যাপারটাকে অন্যরকমভাবে স্মরণীয় করে রাখলেন। ওয়াপদার গোলরক্ষক আজরা মতলুব পেনাল্টি কিক আটকে দেয়ার পর ট্রফি জেতা পাঞ্জাবের শেকা নাজির আবার সেটাকে জালে পাঠান। কিন্তু আজরা আহত হওয়ায় ওয়াপদার খেলোয়াড়রা ক্ষেপে যান। ইসলাম সম্মত পোশাক পায়জামা আর লম্বা হাতার শার্ট পরে দু’দলের খেলোয়াড়দের খামচাখামচির ছবি ছাপা হয় স্থানীয় সংবাদপত্রগুলোয়। অন্তিম অভিনন্দনবাণী হিসেবে পুরস্কার বিতরণীতেও কিছু বাক্যবিনিময় হলে আরেক দফা ঘুষোঘুষি আদান-প্রদান করেন দু’দলের খেলোয়াড়রা। গত ৩০শে সেপ্টেম্বর এ. এফ. পি পরিবেশিত খবরে এসব তথ্য জানা যায়। উল্লেখ্য হাদীছ শরীফে ইরশাদ হয়েছে, সুতা কাটা এবং স্বামীর সাথে হাসিখুশি করা ছাড়া মহিলাদের জন্য অন্য সব খেলা হারাম। আর পুরুষের জন্য ঘৌড় দৌড়, কুস্তি , সাঁতার কাটা ছাড়া অন্য সব খেলা হারাম। মূলত খেলাধুলার প্রবণতাই ইসলামে জায়িয নয়। আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, তবে কি তোমরা মনে কর যে খেলাচ্ছলে তোমাদের সৃষ্টি করা হয়েছে। অন্যত্র ইরশাদ করেন, আমি জ্বীন ও ইনসানকে সৃষ্টি করেছি কেবলমাত্র আমার ইবাদতের জন্য। কুরআন- সুন্নাহর এরূপ স্পষ্ট নির্দেশ থাকার পরও যেসব কথিত মুফতী মাওলানা, শাইখুল হাদীছ, খতীব ও নামধারী পীর সাহেব মহিলাদের জন্য আলাদা ব্যবস্থার নামে মহিলা খেলা জায়িয বলেন তারা যে নিকৃষ্ট ধর্মব্যবসায়ী তা বলার অপেক্ষা রাখে না। উল্লেখ্য যদিও তারা বলেন যে, মহিলা খেলা পুরুষশূন্য থাকবে আসলে তা আদৌ সম্ভব হয় না। হয়তো কিছুক্ষণ পুরুষ দর্শক কম থাকতে পারে কিন্তু ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষসহ সাংবাদিক আয়োজকসহ আরো অনেক পুরুষকেই থাকতে হয়। পাকিস্তানে যা হয়েছে, সাংবাদিকরা মহিলা ফুটবল খেলোয়ারদের চুলোচুলির ছবি পত্রিকায় ছাপিয়ে দিয়েছে। পুরুষ দর্শক অবারিতভাবে সেখানে যেতে না পারলেও পত্রিকার পাতায় ঠিকই দেখেছে। কাজেই পুরুষশূন্য দর্শকের নামে তথাকথিত পর্দার যে প্রচারণা চালানো হয়েছিল তা আর থাকলো কই। বরং মহিলা খেলার উপরি মহিলা ঘুষোঘুষি, মহিলা খামছা-খামছি, চুলোচুলিও সবাই দেখতে পেল। এজন্যই কুরআন শরীফে ইরশাদ হয়েছে, “হারাম থেকে হারামেরই জন্ম হয়।” আর হারামকে হালালকারী ধর্মব্যবসায়ী নামধারী উলামায়ে ‘ছূ’দের জন্য তাই কেবলি আফসুস করতে হয়। -মুহম্মদ আলম মৃধা, ঢাকা।
বিৃটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে বিৃটিশ ভূমিকা-১৫