হারাম মাদক তথা হারাম উপার্জনের সাথে জড়িত বলেই তারা ইসলামের নামে মৌলবাদ, জঙ্গীপানা ও বোমাবাজিতে সম্পৃক্ত

সংখ্যা: ১৫০তম সংখ্যা | বিভাগ:

“তাযকেরাতুল আউলিয়া” কিতাবে কাহিনীটি বর্ণিত রয়েছে।

এক নতুন মুরীদ তার মুর্শিদের কাছে অভিজ্ঞতা বর্ণনা করছেন। বিষয় হলো: উক্ত মুরীদ নগরীর প্রবেশদ্বারে এক অন্ধ ভিক্ষুককে গত পরশু দিন সন্ধ্যায় খেয়ালীহেতু পাঁচ টাকার জায়গায় পাঁচ’শ টাকা দিয়ে ছিলো। আর গত দিনও ঠিক সন্ধ্যার সময় ঐ অন্ধ ভিক্ষুকের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় শুনতে পেলো, সে অপর এক খোড়া ভিক্ষুককে বলছে, ‘জানিস! গতকাল এ সময় এক লোক আমাকে পাঁচ’শ টাকা দিয়েছিলো। সেটা দিয়ে আমি রাতে শরাব খানায় গিয়ে সারা রাত কাটিয়েছি।’ এ কথা শুনে উক্ত নতুন মুরীদ ‘থ’ হয়ে গেলো।

আশ্চর্য্য হয়ে সে তার মুর্শিদ ক্বিবলা’র কাছে এর কারণ জিজ্ঞাসা করলো। জবাবে মুর্শিদ ক্বিবলা আর কিছু না বলে নিজের পকেট থেকে পাঁচ’শ টাকার একটা নোট বের করে বললেন, আজকে সন্ধায় তুমি বাজারে গিয়ে গলির মুখে যাকে দেখতে পাবে তাকে এ টাকাটা দিবে। এবং কি হয় সেটা এসে আমাকে জানাবে।

যথারীতি মুরীদ সন্ধ্যায় বাজারের গলির মুখে গিয়ে দেখতে পেলো এক পর্দানশীল মহিলা বোরকার ভিতরে তার হাতে কি একটা জিনিস ধরে লুকিয়ে রাখার মত করে যাচ্ছে। মুর্শিদের কথা মত মুরীদ যখন টাকাটা তার হাতে দিলেন তখন সাথে সাথে উক্ত মহিলা সে জিনিসটা ফেলে দ্রুত বাজারের ভেতরে চলে গেলো।

এ বৃত্তান্ত বলার পর মুর্শিদ ক্বিবলা জানালেন, দেখ! উক্ত মহিলাটি ছিলেন একজন অভাবগ্রস্থ মহিলা। তিনদিন যাবত সন্তানদের সহ না খেয়েছিলো। তিনদিন না খেয়ে থাকলে হারামটাও মুবাহ এই মাসয়ালার কারণে সে বাজারে ফেলে দেয়া মরা মুরগী তার সন্তানদের জন্য নিয়ে যাচ্ছিলো। কিন্তু তুমি যখন তাকে টাকাটা দিলে তখন তার জন্য মরা মুরগী হারাম হয়ে গেলো। তাই তাড়াতাড়ি সেটা ফেলে সে হালাল খাদ্য সংগ্রহের জন্য বাজারের মধ্যে ঢুকলো।

দু’টো ঘটনার রহস্য সম্পর্কে মুর্শিদ ক্বিবলা তার নতুন মুরীদকে জানালেন, আমার টাকা ছিলো সম্পূর্ণ হালাল। কাজেই আমার হালাল টাকার তাছিরে উক্ত মহিলা হারাম থেকে ফিরে হালালের দিকে ধাবিত হলো। আর তোমার টাকা যেহেতু হালাল ছিলো না বরং হারাম ছিলো সেহেতু সেই হারামের তাছিরে উক্ত অন্ধ লোক শরাব খানায় হারাম কাজে রাত কাটিয়েছে।” কুরআন শরীফে ইরশাদ হয়েছে, “হালাল থেকে হালাল-ই তৈরী হয়। আর হারাম থেকে হারামই তৈরী হয়।”

“তাযকেরাতুল আউলিয়া” কিতাবে বর্ণিত উপরের কাহিনী ছাড়াও এর নজীর সব সময়ই জ্বলন্ত। এমনকি ইদানিংকালের হারাম জঙ্গীবাদ, তালেবানদের ক্ষেত্রেও একই বিষয় অত্যন্ত সুস্পষ্টভাবে উদঘাটিত।

জঙ্গীদের হারাম অর্থের উৎস

সম্প্রতি “ইউএস নিউজ” ও “ওয়ার্ল্ড” রিপোর্টে বিশ্বের বিভিন্ন শহরে অপরাধী চক্র ও জঙ্গীদের মধ্যকার আর্থিক সম্পর্কের কথা প্রকাশ করেছে। বিশ্বের ৬টি দেশের অপরাধী চক্রের কর্মকাণ্ড বিশ্লেষণ করে মার্কিন পত্রিকাটির দাবি, তথাকথিত অপরাধী চক্রের সঙ্গে জঙ্গীদের যোগসাজশ রয়েছে। এ ব্যাপারে মার্কিন পররাষ্ট্র অধিদফতরের সাবেক কর্মকর্তা রবার্ট চার্লসও একমত।

প্রতিবেশী ভারতের আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিমের চোরাকারবারির অর্থ পাকিস্তানের জঙ্গী সংগঠন এবং আল কায়েদাকে সাহায্য করত বলে প্রতিবেদনটিতে বলা হয়।

ভারতের প্রভাবশালী ব্যবসায়ীদের অপহরণ করে প্রাপ্ত অর্থ এখনো কাশ্মীরি জঙ্গীদের অর্থের প্রধান উৎস। ১০ বছর আগেও যেখানে রাষ্ট্রের ও বিভিন্ন আরব সংস্থার অর্থে পরিচালিত হতো জঙ্গী কর্মকাণ্ড। এখণ সে ব্যবস্থা অনেকটাই বন্ধ। ইউরোপ ও লাতিন আমেরিকারমাফিয়া গ্রুপগুলোর সঙ্গে জঙ্গীদের সম্পর্ক রয়েছে। কেননা, উভয়ের প্রয়োজন অস্ত্র, অবৈধ অর্থ ও নিরাপদ আশ্রয়।

২০০৪ সালে মাদ্রিদে রেল বোমা বিস্ফোরণে জড়িত জঙ্গীরা মাদক ব্যবসার মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করেছিলো বলে প্রমাণিত হয়েছে।

এছাড়া দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আল কায়দা সমর্থিত জামায়া ইসলামিয়াও ব্যাংক ডাকাতির সঙ্গে জড়িত।

২০০২ সালে বালি বোমা বিস্ফোরণের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ তারা স্বর্ণের দোকান লুট করে ঘটিয়েছিলো।

এক্ষেত্রে জামায়া ইসলামিয়ার নেতা আবু বকর বশিরের যুক্তি তুমি যখন তাদের রক্ত নিতে পার, তবে কেন তাদের সম্পদ নিতে পারবেনা? ১১ সেপ্টেম্বরের পর ১২৮টি জঙ্গী হামলার ঘটনা গবেষণা করে স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্ত, জঙ্গীদের অর্থের উৎস চোরাকারবারির মতো অবৈধ পথ থেকেই আসে। গবেষকদের দাবি ১১ সেপ্টেম্বরের পর রাষ্ট্রের মদদে ইসলামী দাতব্য সংস্থার দেয়া অর্থের উৎস বন্ধ হয়ে গেছে।

‘আল কায়দা ইন ইউরোপ’ বইয়ের লেখক লরেঞ্জো ভিদিনো মনে করেন, পূর্ব ইউরোপে ইসলামী জঙ্গীরা এখন নিজেদের প্রয়োজনীয় অর্থ নিজেরাই জোগাড় করছে। মরক্কো হয়ে মাদ্রিদ, বেলজিয়াম ও নেদারল্যান্ডসের মাদক চোরাচালানকারী জামাল আহমিদান মাদ্রিদ বোমা বিস্ফোরণের অর্থ সহায়তা করেছিলো। মাদ্রিদে বোমা বিস্ফোরণের জন্য ৫০ হাজার ডলার খরচ হয়েছিলো বলে গোয়েন্দারা জানান।

স্পেনের মতো ইতালি ও ফ্রান্সের চোরাকারবারিরা তথাকথিত জিহাদিদের অর্থ সহায়তা করে থাকে। ইতালির এসপ্রেসো ম্যাগাজিনের মতে, মিলানের হেরোইন ব্যবসার ৮০ শতাংশ মুনাফা জিহাদি কর্মকাণ্ডে ব্যয় হয়ে থাকে।

মরক্কোর জঙ্গি সংগঠনগুলো শুধু মাদ্রিদ বোমা বিস্ফোরণেরই নয়, ২০০৩ সালে কাসাব্লাঙ্কা বিস্ফোরণের সঙ্গেও জড়িত ছিলো।  শুধু মাদক চোরাচালান নয়, ক্রেডিট কার্ড থেকে অর্থ চুরি করার মতো পন্থাও বেছে নিয়েছে জঙ্গীরা। ফ্রান্সে গত বছর হাসান বাউচি নামে এক মরক্কান নাগরিক ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতি করে ১ দশমিক ৩ মিলিয়ন ডলার আত্মসাৎ করে। গ্রেফতারের পর গোয়েন্দারা জানতে পারেন হাসান জিহাদি গ্রুপের সদস্য।

এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে মানুষ পাচার করেও নিজেদের অর্থ সংগ্রহ করেছে জঙ্গীরা। তথাকথিত আল কায়দা সমর্থিত আলজেরিয়ান জঙ্গী সংগঠন এসব কর্মকাণ্ডে জড়িত রয়েছে বলে ইতালীয় কর্তৃপক্ষ মনে করে। ইরাকের জঙ্গী সংগঠন আনসার আল ইসলামের মানুষ পাচারের এ রকম একটি চক্র জার্মান কর্তৃপক্ষ ভেস্তে দিয়েছে বলে জানা যায়।

নজর দেয়া যাক আল কায়দার জন্মস্থান আফগানিস্তানে। আফিম ও নিষিদ্ধ পপির সবই চাষ হয় সেখানে। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’র তথ্য অনুযায়ী বিশ্বে ৮৭ শতাংশ হেরোইনের উৎসস্থল আফগানিস্তান। তালেবান ও যুদ্ধবাজ হেকমতিয়ার হিজবির ইসলামী আর্মি, সেখানে প্রত্যক্ষভাবে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। আল কায়েদা এসব ব্যবসার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ না থাকলেও মাদক ব্যবসার অর্জিত অর্থের বিরাট অংশ আল কায়দা পেয়ে থাকে।

মাদক ব্যবসার সঙ্গে আফগানিস্তানের প্রতিবেশী সাবেক সোভিয়েত রাষ্ট্রগুলো জঙ্গী সংগঠন ওতপ্রোতভাবে জড়িত। কিরাগিজস্তান, তাজাখস্তান, উজবেকিস্তান ও কাজাখস্তানের ইসলামী জঙ্গী সংগঠনগুলো তাদের সংগঠনের কাজ চালায় মাদক ব্যবসার অর্থ দিয়েই।

অন্যদিকে সন্ত্রাসের আরেক পীঠস্থান পাকিস্তানেও রয়েছে মাদকের রমরমা ব্যবসা। পাকিস্তানের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা জাভেদ চিমা এ ব্যাপারে অদ্ভুত তথ্য দিয়েছেন।

আগে মসজিদ উন্নয়নের নামে বিন লাদেন জঙ্গীদের অর্থ সাহায্য দিলেও সরকারের কড়া নজরে সে পথ বন্ধ হয়ে গেছে। এখন সেখানে ব্যবসায়ী অপহরণসহ মহাসড়কে ডাকাতি করে জঙ্গীরা অর্থ সংগ্রহ করছে বলে কর্মকর্তা জানান। (দৈনিক সমকাল, ৬ জানুয়ারী/২০০৬ ঈসায়ী)

উল্লেখ্য, এদেশের তাবত দেওবন্দী, খারিজী, ওহাবীরা তথা তাদের আকাবির তথাকথিত শাইখুল হাদীছ, মুফতী, মাওলানারা “লাদেন-লাদেন” বলে মুখে ফেনা তুলেছিলো। উচ্চ রবে আওয়াজ তুলেছিলো, “আমরা সবাই তালেবান, বাংলা হবে আফগান।” তারা এদেশকে তালেবানী রাষ্ট্র বানাতে চেয়েছিলো।

তথাকথিত ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন নামধারীরা মোল্লা উমরকে দ্বিতীয় খলীফা হযরত উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু-এর মত বলে উল্লেখ করেছিলো।

এবং তাজদীদী মুখপত্র আল বাইয়্যিনাতে লাদেন, মোল্লা উমরকে সি.আই.এ’র এজেন্ট প্রমাণ করায় তারা ফুঁসে উঠেছিলো। বাইয়্যিনাতের মাহফিলে বাঁধা দিয়েছিলো।

কিন্তু বাইয়্যিনাতের সত্যতা অকাট্ট। কুরআন শরীফে ইরশাদ হয়েছে, “সত্য এসেছে, মিথ্যা দূরীভূত হয়েছে। নিশ্চয়ই নিশ্চয়ই মিথ্যা দূরীভূত হওয়ার যোগ্য।” ঠিক আজকে উলামায়ে ‘ছূ’দের সব জারিজুরি ভেসে গেছে। লাদেন ও মোল্লা উমর যে সি.আই.এ’র এজেন্ট তা আল বাইয়্যিনাতের দলীলভিত্তিক লেখার কারণে এখন সাধারণ মানুষও জেনে গেছে।

আল বাইয়্যিনাতে আগেও এক সমীক্ষায় তথ্য প্রকাশিত হয়েছিলো যে, তালেবান সরকার বার্ষিক দশ হাজার থেকে বিশ হাজার কোটি মার্কিন ডলার আয় করে হারাম মাদক ব্যবসা থেকে। তা দিয়ে চলতো তাদের তথাকথিত ইসলামী সরকার। মূলতঃ তালেবানই নয় তালেবানের পাশাপাশি সব জঙ্গীরাই যে হারামের সাথে সম্পৃক্ত বা তাদেরও অর্থের উৎস হারাম তাই এ নিবন্ধে প্রকাশ পেয়েছে। কুরআন শরীফে ইরশাদ হয়েছে, “হারাম থেকে হারামই পয়দা হয়।”

প্রসঙ্গতঃ জঙ্গীদের ধোঁকা উল্লেখ্যঃ “আমরা যদি তাদের জীবন নিতে পারি তাহলে তাদের অর্থ নিতে অসুবিধা কোথায়?”

অথচ কুরআন-সুন্নাহ্য় এমনিতে হত্যা করা, কারো মাল-সম্পদ হরণ করা সম্পূর্ণ হারামের উপর হারাম বলা হয়েছে, তারপরেও আজকের তথাকথিত ইসলামী জঙ্গীরা সে হারাম কাজটিই ইসলামের নামে করে যাচ্ছে। হাদীছ শরীফে বলা হয়েছে, এক পয়সা হারাম খেলে চল্লিশ দিন ইবাদত কবুল হয়না।” আর অন্য হাদীছ শরীফে বলা হয়েছে, “শুধু শরাব খানেওয়ালাই নয় বরং এর সংশ্লিষ্ট সবাই জাহান্নামী।”

তাহলে যারা খোদ শরাব বা মাদক উৎপন্ন করে ও বিক্রি করে তাদের পরিণতি কি? অথচ তারাই আবার ইসলামী বিপ্লবী দাবী করে। আর এদেশের নামধারী উলামারা তাদেরই জয়গান গায়।

মূলতঃ শেষ কথাটা দু’ভাবে বলা যেতে পারে।

এক. হারাম মাদকের সাথে জড়িত বলেই তারা ইসলামের নামে এরূপ হারাম জঙ্গীপানায় সম্পৃক্ত।

দুই. হারাম জঙ্গীপানা, মৌলবাদ ও মুনাফিকীতে মত্ত বলেই তাদের জীবিকার মূল তথা অর্থ উৎসই হারাম। যে প্রসঙ্গে হাদীছ শরীফে বলা হয়েছে, “শরীরের যে অংশটুকু হারাম টাকা দিয়ে তৈরী হয়েছে তার জন্য জাহান্নামই অনিবার্য।”

কাজেই শুধু পরের সম্পদ লুক্তন, হত্যা ইত্যাদির জন্যই নয় হারাম মাল ভক্ষণের তথা নেশাজাত দ্রব্য তৈরী ও বিক্রির জন্যও তারাও নিশ্চিত জাহান্নামী।

-মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান, ঢাকা।

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের  দাঁতভাঙ্গা জবাব- ১৫

 বিৃটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে বিৃটিশ ভূমিকা-১৫ 

কোকাকোলা ও অন্যান্য কোমল পানীয় সম্পর্কে উন্মোচিত সত্য-৩

চাঁদের তারিখ নিয়ে জাহিলী যুগের বদ প্রথার পুনঃপ্রচলন॥ নিশ্চুপ উলামায়ে ‘ছূ’ ঈদ, কুরবানীসহ জামিউল ইবাদত হজ্জও হচ্ছে বরবাদ

শুধু ছবি তোলা নিয়েই বড় ধোঁকা নয়, গণতান্ত্রিক শাসনতন্ত্র চর্চা করে “ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের” নামেও তিনি মহা ধোঁকা দিচ্ছেন