হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর কার্টুন॥ ইহুদী-খ্রিস্টান কুচক্রীদের পাশাপাশি উলামায়ে ‘ছূ’দের দায়বদ্ধতাই বেশী

সংখ্যা: ১৫১তম সংখ্যা | বিভাগ:

ডেনিশ পত্রিকাটির নাম জিল্যান্ডস পোস্টেন। আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে উপলক্ষ করে গত ৩০শে সেপ্টেম্বর ডেনিশ কার্টুনিস্টদের আঁকা ১২টি ব্যঙ্গচিত্র ঐ পত্রিকা প্রকাশ করে। জিল্যান্ডস পোস্টেন পত্রিকার সংস্কৃতি সম্পাদক ফ্লেমিং রোজ কার্টুনগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়। প্রথমত: ৫৭টি মুসলিম দেশের সংস্থা ও.আই.সি এ কাজের তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করে। কিন্তু তখন পত্রিকাটি ব্যঙ্গ তথা মত প্রকাশের স্বাধীনতার দোহাই দিয়ে ক্ষমা চাইতে অস্বীকৃতি জানায়।

অক্টোবর মাসে ডেনিস প্রধানমন্ত্রী এ দাবির ব্যাপারে আলোচনার উদ্দেশ্যে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ ১০টি দেশের রাষ্ট্রদূতের সাথে সাক্ষাত করতেও অস্বীকার করেন।

অত:পর মিশর, ফিলিস্তিনি, তুরস্ক, পাকিস্তান, ইরান, বসনিয়া, হারজে গোভিনা, ইন্দোনেশিয়াসহ আরব ও মুসলিম বিশ্বের ১১টি দেশের রাষ্ট্রদূত এই অপকর্মের প্রতিবাদ করে এবং ঐ পত্রিকা কর্তৃপক্ষের নি:শর্ত ক্ষমা দাবী করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ডেনিস প্রধানমন্ত্রী আন্দ্রেস ফদা রাসমুসেলের কাছে পত্র লিখেন।

রাসমুসেন চিঠির উত্তরে জানান যে, যেহেতু বিষয়টি মত প্রকাশের স্বাধীনতার সাথে সম্পর্কিত, তাই তিনি এ বিষয়ে কোন ধরনের হস্তক্ষেপ করতে পারবেন না।

ডেনমার্কের প্রখ্যাত মুসলিম ব্যক্তিত্ব আব্দুর রহমান আবূ লাবান গত  ১৮ই নবেম্বর শুক্রবার ইসলাম অনলাইনকে বলেন, ডেনমার্কের মুসলমানরা এই ইস্যুটিকে একটি বিশ্বজনীন ইস্যুতে পরিণত করার চেষ্টা করছে। ডেনমার্কের মুসলমানদের সংখ্যা ১ লাখ ৮০ হাজার। যা দেশের মোট জনসংখ্যার ৫৪ লাখের মাত্র ৩ শতাংশ। লুথেরান প্রোটেস্ট্যান্টদের পরে ‘ইসলাম’ হলো ডেনমার্কের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্ম।

২০০৫-এর সেপ্টেম্বরে জিল্যান্ডস-পোস্টেন নামে ডেনমার্কের ওই দৈনিক হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর উপর আঁকা ছবি জমা নেয়ার জন্য কার্টুনিস্টদের আহ্বান জানায়।

প্রায় ১২টি কার্টুন পত্রিকাটি প্রকাশ করেছে এ বলে যে, ডেনমার্কের মত প্রকাশের স্বাধীনতা রুদ্ধ করতে ইসলামিক শাস্তির আতঙ্ক শুরুর ক্ষেত্রে এটি একটি পরীক্ষামূলক উপস্থাপন।

এর পরে ১০ই জানুয়ারিতে নরওয়ের একটি ম্যাগাজিনে এসব কার্টুন পুনঃমুদ্রিত হয়। এরপর ফেব্রুয়ারীতে ফ্রান্স, জার্মানী, ইতালী ও স্পেনসহ আরো কয়েকটি ইউরোপীয় দেশে একই কার্টুন প্রকাশিত হয়।

 এই ব্যঙ্গাত্মক চিত্র বা কার্টুনে বিশ্ব মানবতার মুক্তিদূত সর্বকালে সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সহিংসতার প্রতীক হিসেবে দেখানো হয়েছে।  “দৈনিক লিবায়ো” পত্রিকার প্রথম পৃষ্ঠায় ‘মুহম্মদ রুল্স হিরাব’ শিরোনামে কার্টুনগুলো প্রকাশ করে।

“দৈনিক লা পাদানিয়া” পত্রিকা প্রথম পাতায় তিনটি এবং ভেতরের পাতায় বাকি কার্টুনগুলো ছাপে। ওই ১২টি কার্টুনের মধ্যে একটি কার্টুন চিত্রে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর পাগড়ী মুবারককে বোমা সদৃশ দেখানো হয়। অন্য একটিতে রুক্ষ এলোমেলো দাড়িসহ তলোয়ার ঝোলানো অবস্থায় নারী বেষ্টিত দেখানো হয়।

এ  কার্টুন চিত্র ছাপার কিছুদিন পর নরওয়ের একটি ম্যাগাজিনে কিছু কটূক্তি যুক্ত করে সেটি পুর্নমুদ্রণ করে। তাতে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- এর মাথায় “টাইম বোমা” আকৃতির একটি পাগড়ি পরানো হয়। পার্শ্বদেশে একটি তরবারি অঙ্কিত করা হয়। আর কালো বোরকা পরা দু’ মহিলাকে দেখানো হয় তার পাশে। এ ঘটনায় ডেনমার্কের মুসলমানসহ সারা মুসলিম বিশ্ব বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। পবিত্র কোরআন শরীফ হাতে তারা রাস্তায় নেমে জোর প্রতিবাদ জানান।

আখিরী রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- কে নিয়ে বিদ্রƒপাত্মক কার্টুন প্রকাশের প্রতিবাদে সৌদিআরব, কুয়েত, ইরাকসহ মধ্যপ্রাচ্যের বেশীরভাগ দেশ ডেনমার্কের পণ্য সামগ্রী বর্জনের ডাক দেয়। এতে গভীর সঙ্কটে পড়ে ডেনমার্কের ব্যবসায়ীরা। কনফেডারেশন অব ডেনিস ইন্ডাস্ট্রিজ এজন্য হতাশা প্রকাশ করেছে।

 সংগঠনের প্রধান হ্যানস স্কোভ ক্রিশ্চেনসেন বলেছেন, “ওই কার্টুন প্রকাশের ঘটনায় মধ্যপ্রাচ্য ডেনমার্কের পণ্য সমগ্রীর সব অর্ডার বাতিল করেছে।” ডেনিস কোম্পনিগুলো প্রতি বছর মধ্যপ্রাচ্যে ৮১ কোটি ৬০ লাখ ডলারের পণ্য বিক্রি করে। চলমান ঘটনায় ডেনমার্ক অর্থনৈতিক দিক দিয়ে প্রচণ্ড হুমকির মুখে পড়ে। অন্য দিকে একই ঘটনায় ডেনমার্কের ওপর রাজনৈতিক চাপ অব্যাহত থাকে। ইতোমধ্যে সৌদি আরব এবং ইরাক ডেনমার্ক থেকে তাদের রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার করে নিয়েছে। কুয়েতে নিযুক্ত ডেনিস রাষ্ট্রদূতকে তলব করে এ ঘটনায় কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে কুয়েত সরকার। কুয়েত পার্লামেন্টের স্পিকার জসিম আল খোরাফি ডেনমার্কের পণ্য বর্জনের আহবান জানিয়েছেন।

অন্য দিকে কুয়েতের পার্লামেন্ট সদস্যরা কোপেনহেগেনের ওপর কূটনৈতিক এবং অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপের আহবান জানিয়েছেন। সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ আল মুতাইরি পার্লামেন্টে বলেছেন, কুয়েতের ৫০টি কোম্পানি ডেনিস পণ্য আমদানি করবে না।

এ চাপে পড়ে কনফেডারেশন অব ডেনিস ইন্ডাস্ট্রিজ জিল্যান্ড-পোস্টেন পত্রিকাকে ওই কার্টুনচিত্রের জন্য পত্রিকার মাধ্যমে লিখিতভাবে ক্ষমা চাওয়ার আবেদন জানিয়েছে।

এ সংগঠনের প্রধান ওই পত্রিকাকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন, মুহম্মদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- এর কার্টুন চিত্র অঙ্কন করে কি কারণে বৃহৎ জনগোষ্ঠীকে ক্ষেপিয়ে তোলা হচ্ছে তা ব্যাখ্যা দেয়ার সময় এসেছে। এ ঘটনায় ডেনিস সরকারের ওপর চাপ বাড়ছে।

সেখানকার বড় বড় মার্কেটে নোটিশ ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে- ‘এখানে ডেনিস পণ্য বিক্রি করা হয় না।’ এএফপি জানায়, ক্রেতারা তাতে সাড়া দিয়েছে। ডেনিস কোম্পানি অরলা ক্ষতি পুষিয়ে নিতে মধ্যপ্রাচ্যের মুসলমানদের কাছে মিনতি করে বিজ্ঞাপন দিয়েছে পত্রিকায় পত্রিকায়।

এ পর্যায়ে এক বিবৃতিতে পত্রিকাটি দাবি করেছে, “প্রকাশিত ওই কার্টুনটিতে ডেনিশ আইনের লঙ্ঘন হয়নি। তবে কিছু অসঙ্গতি মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়েছে বলে আমরা ক্ষমা চাইছি।” কিন্তু এরপরেও সৃষ্ট জনরোষ প্রশমনের লক্ষ্যে ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী আলদারস্ ফোগ রাসমুসেন আরব টেলিভিশনে হাজির হয়ে ফের ক্ষমা চেয়েছেন। তবে তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, পত্রিকার নিবন্ধের জন্য তার সরকার দায়ী নয়। খবর বিবিসি অন লাইন, এপি ও এএফপির।

কিন্তু তারপরেওডেনমার্কসহ বিভিন্ন ইউরোপীয় পত্রিকায় মহানবী হযরত মুহম্মদ মোস্তফা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- এর প্রতি অবমাননাকর কার্টুন প্রকাশের বিরুদ্ধে মুসলিম জাহানে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ ও নিন্দার ঝড় উঠতে থাকে। পাকিস্তানে স্কুলের ছেলে-মেয়েরা এই ঘৃণ্য কাজের প্রতিবাদে ফ্রান্স ও ডেনমার্কের জাতীয় পতাকা পুড়ে তাদের ক্ষোভ ও ক্রোধ প্রকাশ করে। অন্যদিকে বিভিন্ন মুসলিম দেশের প্রেসিডেন্ট ও নেতৃবৃন্দ এই ঘটনায় তাদের নিন্দা ও ধিক্কার প্রকাশ করেছেন।

ইন্দোনেশিয়ার মুসলমানরা রাজধানী জার্কাতায় ডেনমার্ক দূতাবাস ভবনের ওপরে উঠে ডেনমার্কের জাতীয় পতাকা পুড়িয়েছে। বৃহস্পতিবার গাজায় ফিলিস্তিনী গেরিলারা ইউরোপীয় সদর দফতর অবরোধ করে এবং ভবনের প্রধান ফটকে ‘পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে লেখাটি টাঙ্গিয়ে দেয়। গেরিলারা এক বিবৃতিতে বলেছে, আমরা ঘোষণা করছি যে, গাজা সিটিতে ইইউ অফিস বন্ধ থাকবে এবং ক্ষমা চাওয়ার আমরা ডেনমার্ক, নরওয়ে ও ফরাসী সরকারকে ৪৮ ঘণ্টা সময় দিচ্ছি।

 বিভিন্ন মুসলিম দেশে ইউরোপীয় পণ্য বর্জনের ডাক দেয়া হয়েছে। এদিকে অবস্থা বেগতিক দেখে ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী আন্দ্রে ফগ রাসমুসেন বিষয়টি নিষ্পত্তি করার জন্য মুসলিম দেশের রাষ্ট্রদূতদের নিয়ে এক বৈঠক ডেকেছেন। তিনি মুসমানদেরকে ক্ষোভ প্রশমিত করতে  ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন। তার এই বক্তব্য তিনি আরবী টেলিভিশন আল জারিয়ায় নিজের জবানিতে প্রচারেরও ব্যবস্থা করেন।

ডেনিশ প্রধানমন্ত্রী আন্দ্রেফগ রাসমুসেন যিনি জনগণের দোহাই দিয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন তিনি মধ্যপ্রাচ্যে ডেনিশ অর্থনৈতিক স্বার্থ বিপন্ন ও মুসলিম বিশ্বে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ক্রমশ দানা বাধায় পত্রিকার প্রধান সম্পাদকের ক্ষমা প্রার্থনাকে স্বাগত জানান।

ডিআর/১ টিভি চ্যানেলে দেয়া এক বক্তব্যে ডেনিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ ধরনের পরিস্থিতির উদ্ভব হোক সেটা আমরা কখনোই কামনা করিনা। এটা বহু লোকের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হেনেছে যা অত্যন্ত দুঃখজনক। ডেনিশ প্রধানমন্ত্রী ব্যক্তিগতভাবে সব ধর্মকে সম্মান জানিয়ে বলেন, আমি কখনোই মুহম্মদ, যিশু অথবা অন্যান্য ধর্মীয় ব্যক্তিত্বের অবজ্ঞাকে সমর্থন করিনা। তিনি বলেন, আমি খুশি হয়েছি জিল্যান্ডস-পোস্টেন পত্রিকা কর্তৃপক্ষ ক্ষমা প্রার্থনা করে সঠিক কাজটি করেছে।

উল্লেখ্য, এই ছিলে া পত্রিকায় হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর ব্যঙ্গচিত্র তথা চিত্র নিয়ে ঘটনাবলীর (এ লেখার সময় পর্যন্ত) সংক্ষিপ্ত বর্ণনা।

কিন্তু এরপর এখন আবার আমেরিকা, ইউরোপও ডেনমার্কের দ্বিমুখী আচরণের খবর আসছে। মূলত: এরা সময়ে ভদ্রবেশী মুখোশ পড়লেও আসলে নির্মম মুসলিম বিরোধী লোক। ইসলামের অবমাননা করার জন্য এরা বদ্ধপরিকর। মানবধিকার, সভ্যতা, ভব্যতা যেখানে ঠনুকো। (এ বিষয়ে ইনশাআল্লাহ আগামী সংখ্যাতে লেখা হবে।)

তবে উল্লিখিত ঘটনার মূল প্রতিপাদ্য যে বিষয় সেটা হল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর ব্যঙ্গ চিত্র তথা চিত্র।

এক্ষেত্রে গোটা মুসলিম বিশ্বের প্রতিবাদের একটাই বক্তব্য ছিল যে, “ইসলামের নবী তথা নবীদের সরদার, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর ছবি তোলা নিষেধ”- প্রতিবাদী কণ্ঠ জোরদারভাবে আওয়াজ তুলেছে মুসলমানদের এ বিশ্বাস কাফের গোষ্ঠীও জানে। তারপরেও তারা তা করেছে। অপরদিকে কাফির গোষ্ঠীও স্বীকার করেছে যে তারা এটা জেনে শুনেই পরীক্ষামূলকভাবে করেছে।

স্মর্তব্য এ পরীক্ষা তাদের প্রি-টেস্ট বা সাধারণ টেস্ট পরীক্ষা নয়। বলা চলে ফাইনাল পরীক্ষার মতই। তাহলে এই ফাইনাল পরীক্ষার আগের গুলোতে তারা ঠিকই উৎরিয়ে নেমেছে। নচেৎ এই ফাইনাল পরীক্ষায় বসার মত সাহস পেল তারা কোথা থেকে। কারণ ইসলামে আল্লাহ পাক নিরাকার আর আল্লাহ পাক-এর পর যার স্থান যার ছূরত বা আকার রয়েছে তিনিই হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। কাজেই তাঁর চিত্র বা ব্যঙ্গ চিত্র নিয়েই যখন কাফিররা আলোচনা করে তখন তারা টার্ম পরীক্ষার নয় বরং ফাইনাল পরীক্ষায়ই অবতীর্ণ হয়েছে, তাই বলতে হবে।

কিন্তু কথা হল এ দুঃসাহস তাদেরকে কে দিল। অন্য কথায় এর আগে তাদের পাতা ফাঁদ তথা ছল-কলা বা খেলা কি ছিল?

উল্লেখ্য, এদেশে পত্র-পত্রিকায়ও কার্টুন ছাপা হয়। ব্যঙ্গ কার্টুনও ছাপা হয়। কিন্তু কথা হলো কার্টুন  কাদেরকে নিয়ে ছাপা হয়?  কার্টুন যাদেরকে নিয়েই ছাপা হয়েছে কার্টুনের আগে তাদের ছবিই ছাপা হয়েছে। এবং যাদের ছবি ছাপা হয়েছে বা রয়েছে তাদেরকে নিয়েই ভিন্ন মতালম্বীরা কার্টুন বা ব্যঙ্গ কার্টুনও ছাপিয়েছে।

বলা আবশ্যক এক্ষেত্রে আমাদের নামধারী মাওলানা, খতীব, মুফতি, শাইখুল হাদীছ কেউ বাকী নেই। তাদের যেমন ছবি রয়েছে তেমনি তাদেরকে নিয়ে কার্টুনও রয়েছে, এমনকি ব্যঙ্গ কার্টুনও রয়েছে বিস্তর। বিপত্তিটা তাহলে এখানেই। কার্টুন এবং ব্যঙ্গ কার্টুন ছাপানোর পর আমাদের তথাকথিত শাইখুল হাদীছ মাওলানা মুফতিরা প্রতিবাদ করেননি; করতে পারেননি। কারণ কার্টুনের ভিত্তি ছবি তোলাতেই তারা আপত্তি করেনি। আর তাদের নিয়ে ব্যঙ্গ কার্টুন প্রকাশ করার মত দুর্নীতি বা অনৈসলামিক কর্মকাণ্ড তারা ঠিকই ঢের করেছেন। যা প্রচলিত কার্টুনিস্টদের খোড়াক হয়েছে।

এদিক থেকে তারা ইহুদী-খ্রিস্টানদের পাতা ফাঁদে বা ছল-কলায় সম্পূর্ণভাবে পরাভূত তথা নিমজ্জিত।

অর্থাৎ ইহুদী খ্রিস্টানরা প্রথমতঃ নবীদের ওয়ারিছ দাবীদার এইসব নামধারী আলিমদেরকে আগে ছবি তুলিয়ে মুসলমানদের ভেতর থেকে ছবি তোলার বিরুদ্ধভাবটা উঠিয়ে নিয়েছে। ছবি তোলাকে মুসলিম মানসে সহজ ও স্বাভাবিক বলে প্রতিপন্ন করেছে। অতঃপর ক্ষেত্রবিশেষে তাদেরকে নিয়ে কার্টুনও ছেপেছে।

এবং তারই ধারাবাহিকতায় শেষ পর্যন্ত তারা আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর কার্টুনও ছাপাতে সাহস পেয়েছে। এ জন্য হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, নামধারী আমলহীন আলিম আমার পিঠ বাঁকা করে দিয়েছে।

অতএব, বলা চলে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নিয়ে অবমাননার অপচেষ্টার মুলে রয়েছে উলামায়ে ‘ছূ’রা।

-মুহম্মদ ওয়ালীর্উ রহমান, ঢাকা।

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের  দাঁতভাঙ্গা জবাব- ১৫

 বিৃটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে বিৃটিশ ভূমিকা-১৫ 

কোকাকোলা ও অন্যান্য কোমল পানীয় সম্পর্কে উন্মোচিত সত্য-৩

চাঁদের তারিখ নিয়ে জাহিলী যুগের বদ প্রথার পুনঃপ্রচলন॥ নিশ্চুপ উলামায়ে ‘ছূ’ ঈদ, কুরবানীসহ জামিউল ইবাদত হজ্জও হচ্ছে বরবাদ

শুধু ছবি তোলা নিয়েই বড় ধোঁকা নয়, গণতান্ত্রিক শাসনতন্ত্র চর্চা করে “ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের” নামেও তিনি মহা ধোঁকা দিচ্ছেন