“হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নিয়ে সিনেমা”  নিশ্চুপ উলামায়ে ‘ছূ’রা ॥ সর্বাঙ্গে দায়ী তারা 

সংখ্যা: ১৩৫তম সংখ্যা | বিভাগ:

তছবীহ। তছবীহ্র দানা এক এক করে গাঁথা। একশ, পাঁচশ বা হাজার যাই হোক না কেন, গাঁথার শেষে দু’মাথা এক করে গিঁড়ো দেয়া হয়। এ গিঁড়ো দেয়ায় রশির ভিতর দানাগুলো স্বচ্ছন্দভাবে, সুশৃঙ্খলভাবে থাকে। ফলতঃ নিয়ম মাফিক হিসেব করা যায়। কিন্তু কখনো যদি তছবীহ্র রশি ছিড়ে যায় তবে দানা শুধু একটিই পড়েনা বরং ঝুর ঝুর করে নিমিষে প্রায় সব দানাই রশি বিচ্যুত হয়। মূলতঃ এ এক উদাহরণ। এর মূল্যবান দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করেছিলেন খলীফাতু রসূলিল্লাহ, আফযালুন নাছ বা’দাল আম্বিয়া হযরত আবু বকর ছিদ্দীক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু। আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর বেছাল মুবারকের অব্যবহিত পরেই শুরু হলো নানা বিপর্যয়।  একদিকে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর ওসীয়ত মোতাবেক হযরত ওসামা বিন যায়েদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুকে জিহাদে প্রেরণের কথা। ওদিকে জিজিয়া কর অস্বীকারকারীদের বিদ্রোহ। এছাড়া ভন্ড নবী মুসালয়ামুল কায্যাবের আস্ফালন। এরপর আরো এক নতুন ফিৎনার উদয়। একটা মহল তৈরী হলো তারা যাকাত দিতে অস্বীকার করলো। ফলতঃ ইসলামের বিধান অনুসারে তাদের বিরুদ্ধে জিহাদ করার হুকুম বর্তালো। কিন্তু চারপাশের অবস্থা এমনই সঙ্গীন যে, জিহাদ করা নিয়ে তখন দ্বিধাদ্বন্দ্ব উঠেছে। এমনকি ফারুকে আ’যম, হযরত উমর বিন খত্তাব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু-এর মত বীরও সবিনয়ে আফজালুন নাছ বা’দাল আম্বিয়া হযরত আবু বকর ছিদ্দীক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু-এর কাছে আরজু পেশ করলেন। সে মুহূর্তে যাকাত অস্বীকারকারীদের বিরুদ্ধে জিহাদ স্থগিত করার অনুরোধ জানালেন। জবাবে আফজালুন নাছ, হযরত আবু বকর ছিদ্দীক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু স্বভাবসূলভ দীপ্ত কণ্ঠে ব্যক্ত করলেন, “সাবধান! যাকাতের একটা রশিও দিতে যে অস্বীকার করবে আমি তার বিরুদ্ধেও জিহাদ স্থগিত করবো না।” (সুবহানাল্লাহ) তিনি রশিচ্যুত তছবীহ্ দানার উদাহরণ দিলেন। বললেন, আজকে যারা যাকাত অস্বীকার করেছে, কালকে তারা হজ্ব অস্বীকার করবে। এরপর একদিন নামায অস্বীকার করবে। তারপরে তারা খোদ ইসলামকেই অস্বীকার করবে। মূলতঃ এই নছীহত বড়ই জীবন্ত। গত কয়েক দশক আগেও হক্কানী-রব্বানী ওলীআল্লাহ্গণের পাশাপাশি নামধারী মাওলানারাও ছবি তুলতো না।  এরপর যখন তারা ইসলামের নামে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে ব্রতী হলো তখন অন্যান্য রাজনীতিকদের মতই ছবি তোলা আরম্ভ করলো। শত শত বছরের ঐতিহ্য ত্যাগ করে তারা তখন যুগের দোহাই দিলো। বললো, ‘এ যুগে ছবি তুললে ইসলামের ভাল হবে।’ মূলতঃ ইসলামের জন্য অবশ্যই ভাল না হলেও সেটি তাদের প্রচার-প্রসার তথা রাজনৈতিক ভিত তৈরির জন্য ভাল হয়েছে বটে। তখনো পর্যন্ত তারাও ফতওয়া দিত যে, ‘টেলিভিশন-সিনেমা হারাম।’ কিন্তু কেবলমাত্র রাজনৈতিক ভিত তৈরির জন্য এখন তারা ফতওয়া দিচ্ছে, ‘এ যুগে টেলিভিশন প্রয়োজন রয়েছে। এর মধ্যে শিক্ষণীয় জিনিস রয়েছে।’ নেক ও পাপ দু’টোই বাড়ন্ত। দু’টোর সূচনাই বীজ স্বরূপ। দু’টোর বীজ থেকেই কা-, শাখা, প্রশাখা, ফুল, ফলের বিস্তার ঘটে।  ঠিক নামধারী মাওলানারা নফসের তাড়নায়, রাজনৈতিক ফায়দা হাছিলের তাগিদে, ছবি ও টেলিভিশনকে জায়িয করে পাপের যে বীজ বুনেছিলো তা আজ পল্লবিত হয়ে প্রকা- আকার ধারণ করেছে। শুধু স্বদেশে নয় বিদেশের মাটিতেও তার পরাগায়ন ঘটে অনেকটা জাহান্নামের জক্কুম বৃক্ষের মতই ভয়াবহ ফল ধরেছে। পত্রিকান্তরে প্রকাশিত হয়েছে,  “১৪ নভেম্বর থেকে আমেরিকায় হযরত মুহম্মদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর জীবনভিত্তিক চলচ্চিত্র প্রদর্শনী” নিউইয়র্ক থেকে এনাঃ ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক হযরত মুহম্মদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর বাল্যকাল, জীবনপ্রবাহ এবং ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান ও শিক্ষার বিশদ বিবরণ সম্বলিত ফিচার এন্ড প্রাণচঞ্চল চলচ্চিত্র সমগ্র যুক্তরাষ্ট্রের প্রেক্ষাগৃহগুলোতে প্রদর্শনের জন্য মুক্তির ঘোষণা দেবে ফাইন মিডিয়া গ্রুপ ১২ অক্টোবর এক সংবাদ সম্মেলনে। ছবিটির নাম ‘মুহম্মদঃ দ্যা লাস্ট প্রফেট।’ পবিত্র রমজানের শেষে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে শেষ নবী মুহম্মদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিষয়ক ছবিটি মুক্তির দিন-ক্ষণ নির্ধারণ করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ও যুগান্তকারী ৯০ মিনিট স্থায়ী চলচ্চিত্রটি ১৪ নভেম্বর থেকে শুরু করে ১ সপ্তাহ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডার ৩৭টি সিটিতে প্রদর্শিত হবে।    চলচ্চিত্র সম্পর্কে কেয়ার-এর নির্বাহী পরিচালক নিহাদ আওয়াদ বলেন, বিশ্বকে বর্তমানের স্তরে উপনীত করতে নবী মুহম্মদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর মতো ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্ব এবং ঘটনাবলী সম্পর্কে ধারণা অর্জনে এ ব্যতিক্রমধর্মী চলচ্চিত্রটি সকল ধর্মে বিশ্বাসী পিতা-মাতা ও সন্তানের জন্য দুর্লভ সুযোগ এনে দেবে। তিনি আরো বলেন, এই যুগান্তকারী চলচ্চিত্রের মুক্তির ফলে আমেরিকার মুসলমানগণ শিক্ষণীয় পরিবেশের সাথে ভাবের আদান-প্রদানে পর্যাপ্ত সুযোগ পাবে।” (দৈনিক ইনকিলাব, ৭ অক্টোবর, ২০০৪ ঈসায়ী শেষ পৃষ্ঠা) উল্লেখযুক্ত প্রতিবেদনের দ্বিতীয় অনুচ্ছেদে বিশ্বকে বর্তমানের স্তরে উপনীত করতে নবী মুহম্মদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর মতো ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্ব ও ঘটনাবলী সম্পর্কে ধারণা অর্জনে এ ব্যতিক্রমধর্মী চলচ্চিত্রটি সব ধর্মেই বিশ্বাসী পিতা-মাতা ও সন্তানের জন্য দুর্লভ সুযোগ তৈরি করবে বলে বলা হয়েছে। আরো বলা হয়েছে, এতে আমেরিকার মুসলমানগণ শিক্ষণীয় পরিবেশের সাথে ভাবের আদান-প্রদানে পর্যাপ্ত সুযোগ পাবে।” এতে দেখা যাচ্ছে যে, আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সম্পর্কে মুসলমানের ভাল করে জানার-বুঝার ও শিক্ষার সুযোগ করার জন্যই এ চলচ্চিত্রের সৃষ্টি বলে দাবী করা হয়েছে।  মূলতঃ এর দ্বারা মুসলমানের ঈমানী চেতনা বৃদ্ধি ও ইসলামী শিক্ষা সমৃদ্ধ করার কথাই প্রচার করা হচ্ছে। অর্থাৎ ছবি তোলা, টিভি দেখা ইত্যাদি জায়িযকারীদের প্রচারণার রেশ ধরে আরো অগ্রসর হয়ে তারা স্বয়ং সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন্ নাবিয়্যীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নিয়ে সিনেমা তৈরি করেছে।  সিনেমাটি যারা তৈরি করেছেন তারা একথা বলার সুযোগ পাচ্ছেন যে, অনেক মাওলানারাই এখন ছবি তুলছেন, টিভিতে ইসলামের নামে প্রোগ্রাম করছেন। এমনকি ইসলামী সিনেমাও তৈরি করছেন। তাহলে ইসলামের প্রবর্তক সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর ছবি তুলতে দোষ কোথায়? তারা বরং একে আরো ‘ভালো, দুর্লভ সৃষ্টি শিক্ষণীয় পরিবেশের সাথে ভাবের আদান-প্রদানের’ কথা বলার মওকাও পাচ্ছে। কিন্তু এ যে খোদ ইসলাম বিরুদ্ধ কথা, এ যে স্বয়ং আল্লাহ পাক তথা তাঁর রসূল, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লৗাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সরাসরি দ্রোহীতা সে কথা তাদেরকে কে বুঝাবে?           উল্লেখ্য, স্বয়ং আল্লাহ পাক তাঁর হাবীব, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে অনন্য মর্যাদা দিয়েছেন। মহিমান্বিত কুরআন শরীফে তিনি ঘোষণা দেন, “নিশ্চয়ই আমি আপনার যিকিরকে (সম্মানকে) বুলন্দ করেছি।”  ইসলাম ধর্ম মতে আল্লাহ পাক-এর পরেই আখিরী রসূল, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর অবস্থান। তাঁর উপর ওহী নাযিল হত। তিনি এমন বৈশিষ্ট্যের অধিকারী ছিলেন যা অন্য কারো পক্ষে সম্ভব নয়। যে কারণে তার প্রায় তেরজন সহধর্মিনী ছিলেন। সাধারণ মানুষের মত তাঁর ঘুম হতো না। তাঁর ছায়া মুবারক ছিলো না এবং তাঁর ছবিও হতো না। যে কারণে ইতিহাসে  হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর কোন ছবি নেই। বরং ‘বুখারী শরীফের’ হাদীছ শরীফে তিনি বলেন যে, ‘ক্বিয়ামতের ময়দানে ঐ ব্যক্তির সবচেয়ে বেশি শাস্তি হবে, যে ছবি তুলে বা আঁকে।’ হাদীছ শরীফে আরো ইরশাদ হয়েছে, ‘ঐ ঘরে রহমতের ফেরেশ্তা প্রবেশ করেনা, যে ঘরে ছবি ও কুকুর থাকে।’

উল্লেখ্য, যিনি নিজেই হাদীছ শরীফে ছবির বিরুদ্ধে বলেছেন তাঁরই ছবি তৈরী করা তাঁর প্রতি চরম ধৃষ্টতার শামিল। মুসলমানের এ বিশ্বাস এতটাই সর্বজন বিদিত যে, মুসলমান তো দূরের কথা কাফিররাও গত পনেরশ’ বছরে আজ পর্যন্ত আখিরী রসূল, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর ছবি ছাপেনি, প্রকাশ করেনি। আরো উল্লেখ্য যে, মুসলমানদের ধর্মীয় বিশ্বাস মুতাবিক হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হায়াতুন্ নবী। তিনি এখনও নবী। সুতরাং বর্তমানে তাঁর ভূমিকায় কারো ডামি অবস্থান কখনই বরদাশ্ত যোগ্য নয়।  উল্লেখ্য, ‘মুহম্মদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দ্যা লাস্ট প্রফেট’ সিনেমার খবর সারাবিশ্বের দেড়শ’ কোটিরও বেশী মুসলমানগণের ধর্মীয় অনুভূতিতে বেমেছাল আলোড়ন তৈরী করার মত।  যেহেতু এটা তাদের প্রাণপ্রিয় রসূল, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর প্রতি বিশ্বাস ও শ্রদ্ধাবোধের প্রতি চরম অবমাননাকর। কিন্তু সে কুখ্যাত কাজটিই ন্যাক্কারজনকভাবে করা হচ্ছে, ঘটা করে প্রচারণা চালিয়ে। কথা ছিলো এ খবর প্রকাশ হবার পর সাথে সাথে বিস্ফোরণ ঘটবে। অভাবনীয় তীব্র প্রতিবাদ হবে। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী উঠবে। ‘রঙ্গীলা রসূল’-এর লেখকের মত সংশ্লিষ্টদের হত্যা করা হবে। স্যাটানিক ভার্সেসের চেয়েও মারাত্মক প্রতিক্রিয়া হবে। বিশ্বের সব মুসলিম দেশ, জেলা, শহর, মহল্লা মহল্লা, মসজিদ মসজিদ থেকে এর ভীষণ প্রতিবাদ হবে।  লাখ-লাখ চিঠি, ফ্যাক্স, ই-মেইলে প্রতিবাদের তুফান উঠবে। সংবাদপত্রগুলো ফলাও করে প্রতিবাদ ছাপাবে। ইসলামের লেবাছধারী দৈনিকগুলোতে প্রতিদিন ব্যানারহেডিং হবে। ইসলামের নাম ব্যবহারকারী রাজনীতিকরা বজ্রনিনদে গর্জে উঠবে। পিলে চমকানো হুঙ্কার ছাড়বে।  কিন্তু  না, মন্ত্রীত্ব বদল করলে তারা রাজপথে যেভাবে হুংকার ছাড়েন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নিয়ে সিনেমা বানানোর ক্ষেত্রে তারা  মেনি বিড়ালের মত ফুসফাসও করছেন না। মূলতঃ এটা এমনি বিষয় যেখানে এরূপ তীব্র প্রতিবাদই অপেক্ষাকৃত অনেক কম ঈমানের ও আমলের পরিচয়। কারণ উচিৎ এই ছিলো যে, মুসলমানগণের ভিতরে ছবি না তোলার, টিভি-সিনেমা না দেখার চেতনা এতটাই তীব্র থাকবে যে তার প্রাবল্যে কাফির-মুশরিকরাও এতটা ধারণা প্রবণ হবে, এতটা  সচেতন থাকবে যে, এই ধরনের কাজ করার কোন চিন্তাও তাদের মাথায় থাকবে না। আর মুসলমানগণের ক্ষেত্রে তা আরও অচিন্তনীয় হবে।  কিন্তু তারপরেও যদি তা হয়, তবে প্রথমে এটাই প্রতিভাত হয় যে, আলিম নামধারী ধর্মব্যবসায়ীদের বেদ্বীনি আক্বীদা ও বদ আমলের তাছির এতটাই বেশি হয়েছে যে, তার স্রোতে, তার তাছিরে মানুষের একান্ত প্রাথমিক ও মৌলিক ঈমানী বোধটুকুও খোয়া গেছে। আর এরপরও যা হলো বা যে সিনেমা তৈরি হলো তার প্রেক্ষিতে প্রতিবাদটি তাহলে কিরূপ আকাশ-বাতাস কাপানো হওয়া উচিৎ ছিলো তাও বলাই বাহুল্য।  কারণ, আজকে শুধু সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ্, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নিয়ে সিনেমা তৈরি হয়েছে। (নাউযুবিল্লাহ) অদূর ভবিষ্যতে এই ধারাবাহিকতায় হযরত উম্মুল মু’মিনীন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুন্নাগণকে নিয়ে সিনেমা হবে।  (নাউযুবিল্লাহ) এমনকি এরপর সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর মূর্তিও তৈরি হতে পারে।   (নাউযুবিল্লাহ) তারপরে আল্লাহ পাক-এর আকৃতির নমুনা দেখে ইবাদত করলে অন্তরে সায় ভক্তি জন্মাবে এ প্রচারণাও উঠবে। আর সেপ্রেক্ষিতে তখন আল্লাহ পাক-এর নামেও মূর্তি তৈরি হতে পারে। (নাউযুবিল্লাহ)  উল্লেখ্য, মূর্তি পূজার শুরুতে ইবলিসের এ ধারার যৌক্তিকতাই কাজ করেছিলো। (নাউযুবিল্লাহ) মূলতঃ ছবি, সিমেনা এবং মূর্তি একে অপরের পরিপূরক। হাদীছ শরীফে আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ্, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “আমি এসেছি মূর্তি পূজা এবং গান-বাদ্য ধ্বংস করার জন্য।” পাশাপাশি শুধু একটি হাদীছ শরীফ নয়, অসংখ্য হাদীছ শরীফে আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ্ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ছবি তোলার বিরুদ্ধে বলেছেন। নিজের হাতে ছবি ছিড়ে ফেলেছেন। শক্ত ও সর্বোচ্চ শাস্তির কথা বলেছেন।  আর আজ তাকে নিয়েই ছবি হচ্ছে, সিনেমা হচ্ছে। আর উলামায়ে ‘ছূ’রা তার কোন প্রতিবাদ না জানিয়ে বরং আরো সমর্থন জানাচ্ছে। স্বাগতম জানাচ্ছে, বাহবা দিচ্ছে।  (নাউযুবিল্লাহ) এদের প্রসঙ্গে হাদীছ শরীফে ইরশাদ হয়েছে, “আখিরী যামানায় এমন কিছু মিথ্যাবাদী দাজ্জাল বের হবে, তারা এমন সব কথা বলবে যা তোমরা শোননি, তোমাদের বাপ-দাদা চৌদ্দ পুরুষ শোনেনি। তোমরা তাদের কাছে যেওনা। তাদেরকে তোমাদের কাছে আসতে দিওনা। তবে তারা তোমাদের গোমরাহ করতে পারবে না।”

 -মুহম্মদ  ওয়ালীউল্লাহ, বাসাবো, ঢাকা।

রাজারবাগ শরীফের হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর হাক্বীক্বী নায়িব ও ওয়ারিছ। তাঁর বিরোধিতাকারীরা মুনাফিক, কাফির ও শয়তানের অনুসারী- ৬

‘ইসলামের দৃষ্টিতে প্রাণীর ছবি তোলা, রাখা, আঁকা, দেখা হারাম’ মুজাদ্দিদে আ’যমের অনবদ্য তাজদীদ

ইমাম সম্মেলনে অর্ধনগ্ন খ্রীষ্টান মহিলা মেরীর পর এবার খোলামেলা হিন্দু মহিলা সুনিতা মুখার্জী তথাকথিত ইমামদের প্রতি নিস্প্রোয়জন ছিল প্রধানমন্ত্রীর নছীহত

ইতিহাসের নিরীখে, বর্তমান সংবিধান প্রণেতা গণপরিষদেরই কোন আইনী ভিত্তি বা বৈধতা ছিল না। গত ৫৪ বৎসর দেশবাসীকে যে অবৈধ সংবিধানের অধীনে বাধ্যগত করে রাখা হয়েছিলো এর প্রতিকার দিবে কে? ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানের দ্বীন ইসলামের প্রতিফলন ব্যাতীত কোন সংবিধানই বৈধ হতে পারে না কারণ দেশের মালিক ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমান

প্রসঙ্গঃ ‘ইসলাম ও মুসলমানের স্বার্থ রক্ষায় প্রতিবাদ’ প্রতিবাদের ভাষা ও ধরণ; বৃহত্তর স্বার্থের জন্য ক্ষুদ্রতর স্বার্থ ত্যাগ এবং সহীহ সমঝ