“৭১ এর রাজাকার আজকের গণতন্ত্রী জামাতীদের সংবিধান প্রীতি। নিজেরা কুরআন-সুন্নাহর পরিবর্তন করলেও সংবিধান পালনে অপরিবর্তনীয় থেকে তারা আজ হয়েছে সংবিধান দরদী। অথচ সংবিধানেই রয়েছে তাদের বিলুপ্তি

সংখ্যা: ১৬২তম সংখ্যা | বিভাগ:

সময়ের মালিক আল্লাহ পাক। তিনি কুদরতময়। মানব সমাজে সময়কে তিনি বিভিন্ন ঘটনা প্রবাহের দ্বারা আবর্তিত করেন। আর এ ঘটনা প্রবাহ তার উৎসমূলকে উজ্জ্বলভাবে প্রকাশিত করে।

সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর মোবারক জীবনে এমন অনেক ঘটনা প্রবাহ হয়েছে, যার দ্বারা কাফের ও মুনাফিকদের হাড়ীকৃত প্রকাশ পেয়েছে।

বাইতুল মুকাদ্দাস থেকে মক্কা শরীফের দিকে কাবা প্রত্যাবর্তন হওয়া, ওহুদের জিহাদে মদীনা শরীফের বাইরে গিয়ে অবস্থান নেয়া- এ রকম অনেক ঘটনায় সে বিষয়ে মুখালিফ ও বিরোধীদের বক্তব্য ও কর্মকাণ্ড, তাদের হাজ্বীত্বতকে স্পষ্টভাবে প্রকাশ করেছে। তবে এক্ষেত্রে উল্লেখ্য যে, ইবলিস যখন মালউন বা অভিশপ্ত হল তখন তার প্রসঙ্গে আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন যে, সে পূর্ব থেকেই কাফিরদের অন্তর্ভুক্ত ছিল। অর্থাৎ সে মূলেই ছিল কাফির। এতদিন পর্যন্ত ফেরেশতাদের মুয়াল্লিমের ছদ্মাবরণে থাকলেও হযরত আদম আলাইহিস্ সালামকে সিজদা না করার ঘটনায় আসলেই সে যে কাফির ছিল ‘তা প্রমাণিত হয়। এবং সে যে মূলেই কাফের ছিল আল্লাহ পাক তাও ব্যক্ত করেন।

প্রসঙ্গতঃ তথাকথিত জামাতে ইসলামী, এখনও ইসলামের যতটুকু লেবাস ধরে আছে তা অতি সম্প্রতি তাদের মুখপত্রের লেখনী দ্বারা প্রমাণিত হয়। গত ১২ই জানু/০৭ দৈনিক সংগ্রামে ৮নং পৃষ্ঠায় এক প্রশ্নের উত্তরে বলা হয়, “বর্তমানে আমাদের দেশে আল্লাহর আইন কায়েম নেই।”

আল্লাহর আইন বাদ দিয়ে মানব রচিত আইন মতেই দেশ চলছে। কুরআন-হাদীসের আলোকে আল্লাহর আইন বাদ দিয়ে মানব রচিত আইন মেনে চলা শিরক এর পর্যায়ে পড়ে। তাই বর্তমানে মানব রচিত আইন মেনে চলার জন্য গোটা জাতিই গুনায় লিপ্ত।” (দৈনিক সংগ্রাম ১২জুন/০৭)

বলাবাহুল্য এ লেখা তথাকথিত জামাতে ইসলামীর কোন বিচ্ছিন্ন রচনা নয়। বরং ধর্মপ্রাণ মুসলমানের কাছে সামগ্রিকভাবে এই তাদের মূল প্রচারণা। • যদিও সত্যিকার অর্থে এ যে তাদের লেবাস, ছদ্মাবরণ, কপট আচরণ তথা • ধর্মব্যবসার আবরণ তা এখন সাধারণেও বুঝে।

বিশেষ করে তাদের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে এবং অন্যান্য বক্তব্য-বিবৃতিতে এ কথা আরো সুস্পষ্ট এবং জোরদার প্রতিভাত হয়। এ ক্ষেত্রে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন প্রসঙ্গে সংবিধান নিয়ে তাদের সাম্প্রতিক বক্তব্য বিবৃতি বিশেষ প্রণিধানযোগ্য।

এ প্রসঙ্গে মুজাহিদ-নিজামী গং একটা কথা বারবারই উচ্চারণ করেছে, আগামী ২২শে জানুয়ারীর নির্বাচন গণতন্ত্র ও সংবিধান রক্ষার নির্বাচন। এই নির্বাচনকে যারা প্রতিহত করতে চায় তারা মূলতঃ গণতন্ত্র ও সংবিধান বিরোধী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। (দৈনিক সংগ্রাম ১২ জানু/০৭।

মুজাহিদ গং আরো বলে, “তিনি সরকারী কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা প্রজাতন্ত্রের চেয়ারে বসেছেন। আপনারা সংবিধান অনুযারী দায়িত্ব পালন করবেন এবং ভোট দিবেন।

কেউ যদি এসে বাধা দেয় সে বাধা হবে অসাংবিধানিক।

মুজাহিদ গং আরো বলেন, “পাশ্চাত্যের কিছু মহলকে সন্তুষ্ট করার জন্য বাংলাদেশ সরকার সংবিধান লঙ্ঘন করবে এমনটা আমরা ভাবতে পারিনা। (দৈনিক সংগ্রাম, ১২ জানুয়ারী/০৭)

“সব কিছুই একটা নিয়মের মধ্যে হয়ে থাকে। বাংলাদেশ পরিচালনার জন্য রয়েছে সংবিধান। এই সংবিধানের বাইরে যাওয়ার ক্ষমতা কারো নেই।

সংবিধান লংঘন হলে দেশে সত্যভাবে চলা যাবে না।” (দৈনিক সংগ্রাম ৮ জানু/০৭)

মুজাহিদ গং আরো বলেন, “সংবিধান অনুযায়ী সকলকেই চলতে হয়।

যারা সংবিধান মানে না তাদেরকে রাষ্ট্রদ্রোহিতার কারণে শান্তি পেতে

হয়। (দৈনিক সংগ্রাম ৯ জানুয়ারী/০৭) নিজামী-মুজাহিদ গং এর উপরোক্ত বক্তব্য বিবৃতিতে তারা যে এখন

কতটা সংবিধান প্রীতিজ্ঞ হয়ে উঠেছে তা প্রতিভাত হয়। কিন্তু এয় প্রেক্ষিতে তাদের প্রতি প্রযোজ্য হয় যে, তারা যতবেশি সংবিধান প্রেমী হয় তত বেশী অজ্ঞ ও ইসলাম বিরোধী এমনকি স্ববিরোধী এবং শক্ত

মুনাফিক তথা নিজেদের অস্তিত্ব নিজেরাই বিলীনদাবীকারী প্রমাণিত হয়।

উল্লেখ্য, এখনও বাংলার দেয়ালে দেয়ালে স্পষ্ট হয়ে আছে তাদের সে সব দেয়াল লেখনী “আল্লাহ পাক আমাদের রব, রসূল আমাদের নেতা, কুরআন আমাদের সংবিধান।” ইসলামের দৃষ্টিতে তাদের একথা একেবারেই অজ্ঞতামূলক। কিন্তু আকালকুম্বান্ড, কপট তথা মুনাফিক আমাতীরা এ কথাই বার বার বলে আসছে।

কারণ কুরআন শরীফ হলো আল্লাহ পাক-এর কালাম তথা সমগ্র মানব-জাতির জন্য হেদায়েত ও অপরিবর্তনীয় দ্বীনি বিধান। কিন্তু সংবিধান মানব-সৃষ্ট, একটা ভূ-খণ্ড তথা জনগোষ্ঠীর জন্য তাদের দ্বারা লিখিত ও তাদের পরিবর্তনীয় দেশ পরিচালনার জন্য বিধিবিধান। সেক্ষেত্রে কুরআন শরীফকে সংবিধানের সাথে তুলনা যেমন তাদের অজ্ঞতা তেমনি আজকে কুরআন শরীফ ছেড়ে প্রচলিত সংবিধান প্রেমী সাজা এবং তার উপর ইস্তেকামত থাকার ঘোষণা তাদের ততবেশী কপটতা তথা মুনাফিকী প্রবণতা।

৭১ এর রাজাকার জামাতীরা এখন গণতন্ত্রী সেজেছে। তারা কুরআন শরীফকে ছেড়ে প্রচলিত সংবিধান প্রেমে মজেছে। কিন্তু তাদের এ সংবিধান প্রেমও যে মেকী এবং তাদের অস্তিত্ব ও আদর্শ বিরোধী সে কথার ভাল প্রচার হলে তাদেরকে আন্দামানে নির্বাসিত করা যেত।

প্রথম কথা যে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কাছে তাদের রাজনীতির মূলভিত্তি প্রচারণা ‘কুরআনের আইন।’ কিন্তু আজ তাদের কর্মকাণ্ডে প্রতীয়মান হয় যে,

বর্তমান সংবিধানই তাদের রক্ষাকবচ। অথচ বর্তমান সংবিধানের প্রক্রিয়ামূল

তথা এর ভিত্তি বৃটিশ প্রণীত ১৯৩৫ সালের ভারত শাসন আইন।

যদিও তার পূর্বে ১৯১০ সালে মাল্টিমিন্টো সংস্কার আইন দ্বারা এ উপমহাদেশে প্রথম নির্বাচন পদ্ধতি প্রবর্তিত হয়। এরপর ১৯১৯ এ ভারত শাসন আইন দ্বারা প্রথম পার্লামেন্টারী দায়িত্বশীল স্বায়ত্তশাসন প্রবর্তন করা হয়। আর ১৯৩৫ এর ভারত শাসন আইনে গভর্নর জেনারেল ও ২ দফা বিশিষ্ট আইন পরিষদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রীয় আইনসভা তথা সর্বভারতে সংসদীয় নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হয়।

ব্রিটিশ পার্লামেন্ট ১৯৪৭ সালে ভারতের স্বাধীনতা আইন পাশ করলেও ১৯৩৫ সালের সাংবিধানিক আইনকে ভিত্তি করেই ১৯৫৫ সালে পাকিস্তান সংবিধান প্রণীত হয়। এটাকেই ভিত্তি করে মৌলিক গণতন্ত্রের নামে আইয়ুব খান সামরিক শাসনের সহায়ক হিসেবে ১৯৬২তে আরেকটি সংবিধান তৈরী করে।

এরপর স্বাধীনতা উত্তর ৭২ এ সংবিধান প্রণীত হলেও ৭৫ থেকে আরম্ভ করে আজ পর্যন্ত চতুর্দশ সংশোধনী নিয়ে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সংবিধান চলছে। অর্থাৎ একদিকে এ সংবিধান সৃষ্টির উৎস ইহুদী-নাছারা তথা পাশ্চাত্য অপরদিকে এ সংবিধান সুপরিবর্তনীয়ও বটে। কিন্তু তারপরেও জামাতীরা এ সংবিধানের আষ্টেপৃষ্ঠে আবর্তিত করতে চেয়েছে সবাইকে। দেখিয়েছে সংবিধানের ধারার প্রতি তাদের অপরিসীম শ্রদ্ধা। সংবিধানের বিধানের সামান্যতম চ্যুতি বা সংশোধনী যেন তাদের বরদাশতের বাইরে।

অথচ কুরআন সুন্নাহর আইন নিয়ে তাদের প্রচারণা। আর কুরআন-সুন্নাহ শতবার নিষেধ করেছে বেপর্দা হতে, ছবি তুলতে। সর্বোপরি সব সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক জনগণ এ তত্বের তন্ত্র গণতন্ত্র করতে। সেগুলোর ক্ষেত্রে তাদের প্রশ্ন করলে তারা জবাব দেয়, যামানার প্রেক্ষিতে কুরআন-সুন্নাহর সেসব আইনে তারা সংশোধনী এনে সেগুলোকে বর্তমান যুগে আরিখ করেছে। কিন্তু ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন প্রশ্নে তাদের বক্তব্য হলো, এ সংবিধানকেই মানতে হবে। (এ বিষয়ে তাদের দেয়া বক্তৃতা-বিবৃতির কিঞ্চিৎ প্রমাণ এ লেখার প্রথমে দেয়া হয়েছে।)

তাহলে যা প্রমাণ হচ্ছে যে মুখে, ‘আল্লাহর আইন চাই’ বা ‘কুরআন আমাদের সংবিধান’ বললেও আসলে তারা মোটেও আল্লাহর আইন চায় না। কুরআন শরীফকে তারা মোটেই প্রাধান্য দেয় না। বা মানে না। তার চেয়ে ঢের বেশী প্রাধান্য আজ তারা দিতে চাচ্ছে সংবিধানকে।

তারা একের পর এক কুরআন সুন্নাহর আইন ও আদর্শ পাল্টিয়ে তাদের তথাকথিত ইসলামী রাজনীতি চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু সংবিধান পরিবর্তনের ব্যাপারে তারা বড়ই অনড়।

সবচেয়ে মজার কথা হলো সংবিধান সংশোধন প্রক্রিয়া যদি ভারা সমর্থন না করে অথবা আক্ষরিক অর্থে বর্তমান সংবিধানই যদি তারা মানে তাহলে তাদের অস্তিত্ব আর রাজনীতিই বিপন্ন হয়ে পরে।

প্রসঙ্গতঃ উল্লেখ ৭২ এর গণপরিষধে অনুমোদিত সংবিধানের ৩৮নং অনুচ্ছেদে বর্ণিত ছিল- “তবে শর্ত থাকে যে, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সম্পন্ন বা লক্ষ্যানুযায়ী কোন সাম্প্রদায়িক সমিতি বা সঙ্গ কিংবা অনুরূপ উদ্দেশ্য সম্পন্ন বা লক্ষানুযায়ী ধর্মীয় নামযুক্ত বা ধর্মভিত্তিক বা অন্য কোন সমিতি বা সঙ্গ গঠন করিবার বা তাহার সদস্য হইবার বা অন্য কোন প্রকারে তাহার তৎপরতায় অংশ গ্রহণ করবার অধিকার কোন ব্যক্তির থাকিবেনা।”

উল্লেখ্য, সংবিধানের উপরোক্ত বিধান অনুযায়ী জামাতী ইসলামী নামীয় তথাকথিত ধর্মভিত্তিক দল সম্পূর্ণরূপে দণ্ডনীয় ও নিষিদ্ধ হয়ে যায়।

এর পরে যদিও ৭৮ সালের সংশোধনী দ্বারা ধর্মভিত্তিক দলগুলোকে রাজনীতি করার সুযোগ দেয়া হয় তাহলেও বলতে হয় যে এখানেও তো তারা ঠিকই সংবিধান সংশোধনী মানলেন। আর বর্তমান সংবিধান বাস্তবায়ন নিয়েও যদি কথা হয় তবে বলতে হয় বর্তমানে চালু, বিশেষ ক্ষমতা আইন, ১৯৭৪’-এর ২০/১) ধারায় বলা আছে, “কোন ব্যক্তিই রাজনৈতিক উদ্দেশ্য বা লক্ষ্য হাছিলের জন্য ধর্মভিত্তিক বা ধর্মের নামে গঠিত কোন সাম্প্রদায়িক বা অন্য সংঘ বা ইউনিয়ন গঠন করতে বা এর সদস্য হতে বা অন্যভাবে এর তৎপরতায় অংশগ্রহন করতে পারবে না।”

সংশ্লিষ্ট ধারার আগের অংশটি অর্থাৎ ১৯(৯) ধারায় বলা আছে “এ ধারায় বর্ণিত সংঘ (শব্দ) ইউনিয়ন বা রাজনৈতিক দলকে অন্তর্ভুক্ত করে।

আইন বিশেষজ্ঞরা বলেন, বেআইনি কাজ যাতে চলতে না পারে তার জন্য ব্যবস্থা নেয়ার ক্ষমতা ওই আইনেই সরকারকে দেওয়া আছে। কিভাবে ব্যবস্থা নিতে হবে এবং কি শাস্তি হবে সে কথাও আইনে আছে।ধর্মীয় রাজনৈতিক তৎপরতা বা ধর্মীয় জঙ্গি সংগঠন প্রতিহত করতে কোন নতুন আইন তৈরির প্রয়োজন নেই।

আইনের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ধর্মভিত্তিক বা ধর্মের নামে কোন রাজনৈতিক দল বা সংগঠন গঠন করা হলে সরকারের করণীয় সম্পর্কিত নির্দেশ বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২০ (২) ধারায় এভাবে রয়েছে, “যে ক্ষেত্রে সরকার সন্তুষ্ট হন যে, (১) উপ-ধারার বিধান লঙ্ঘন করে সংঘ বা ইউনিয়ন গঠন করা হয়েছে, বা সংঘ ইউনিয়ন কাজ চালাচ্ছে, সেক্ষেত্রে সরকার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা ব্যক্তিদের বক্তব্য শ্রবণের পর সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ঘোষণা করবেন যে, তেমন সংঘ বা ইউনিয়ন (১) উপ-ধারার বিধান লজ্জন করে গঠন করা হয়েছে, বা বিধান লঙ্ঘন করে চালানো হচ্ছে এবং এ এ সমস্ত

ঘোষণার পর সংশ্লিষ্ট সংঘ বা ইউনিয়ন ভেঙ্গে গেছে বলে গণ্য হবে; এবং সম্পত্তি ও তহবিল সরকারে বাজেয়াপ্ত হবে।” এরপরও যদি কেউ এ ধরনের কোন দল বা সংগঠনের কাজ অব্যাহত রাখে, আইনে তার শান্তির বিধানও রাখা হয়েছে। ২০(৩) ধারায় বলা হয়েছে, “উপ-ধারা (২) অনুসারে একটি সংঘ বা ইউনিয়ন ভেঙ্গে দেয়ার পর যদি কোন ব্যক্তি সে সংঘ বা ইউনিয়নের সদস্য বা কর্মকর্তা হিসেবে নিজেকে পরিচিত করেন, বা তেমন সংঘ বা ইউনিয়নের পক্ষে কাজ করেন, বা অন্য কোন ভাবে কারো অংশগ্রহণ করেন, তাহলে তিনি তিন বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডে

বা অর্থদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।”

বিশেষ ক্ষমতা আইনের কিছু অংশ বিভিন্ন সময়ে সংশোধন করা হলেও এই ধারা এখনো বলবৎ রয়েছে।

অতএব, এক্ষেত্রে বলতে হয়, সত্যিই যদি নিজামী মুজাহিদ গং এত সংবিধান প্রেমী হয়ে থাকেন তাহলে তারা প্রদত্ত আইন মানছেন না কেন? এটা যে তাদের চিরন্তন মুনাফিকী, কৌশলগত ধর্মব্যবসায় শঠতা, প্রতারণা, ধোকা তা আবারো প্রমাণিত হয়। আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, ‘তবে কি তোষরা কিভাবের কিছু অংশ মানবে, আর কিছু অস্বীকার করবে?’ (ইনশাআল্লাহ চলবে)

-মুহম্মদ ওয়ালীউল্লাহ, ঢাকা।

ব্রিটিশ গুপ্তচরের স্বীকারোক্তি এবং ওহাবী মতবাদের নেপথ্যে ব্রিটিশ ভূমিকা-৩২

কোকাকোলা ও অন্যান্য কোমল পানীয় সম্পর্কে উন্মোচিত সত্য-১৮

‘ক্লোজআপ ওয়ান তোমাকেই খুঁজছে বাংলাদেশ’- একটি সূক্ষ্ম ও গভীর ষড়যন্ত্রের প্রক্রিয়া অথচ নিশ্চুপ তথাকথিত খতীব, মহিউদ্দীন, আমিনী ও শাইখুল হাদীছ গং তথা তাবত ধর্মব্যবসায়ীরা- (১)

মওদুদীর নীতি থেকেও যারা পথভ্রষ্ট সেই জামাত- জামাতীদের জন্যও ভয়ঙ্কর মুনাফিক॥ আর সাধারণের জন্য তো বলারই অপেক্ষা রাখেনা

প্রসঙ্গঃ আমেরিকায় ইহুদী প্রভাব ও নিয়ন্ত্রণ- ২