খাছ সুন্নতী বাল্যবিবাহ নিয়ে ব্লগ বা ফেইসবুকে লিখিত নাস্তিক মুরতাদদের জিহালতী ও কুফরীমূলক বক্তব্যের দাঁতভাঙ্গা জাওয়াব

সংখ্যা: ২৪৮তম সংখ্যা | বিভাগ:

খাছ সুন্নতী বাল্যবিবাহ নিয়ে ব্লগ বা ফেইসবুকে লিখিত নাস্তিক মুরতাদদের জিহালতী ও কুফরীমূলক বক্তব্যের দাঁতভাঙ্গা জাওয়াব


ইদানিং ব্লগ বা ফেসবুকে কিছু নাস্তিক বাল্যবিবাহের বিরোধিতা করে উম্মুল মু’মিনীন হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার ৬ বছর বয়স মুবারকে শাদী মুবারক হওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে থাকে। নাউযুবিল্লাহ!

উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আয়িশা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার ৬ বছর বয়স মুবারকে আক্বদ বা শাদী মুবারক হওয়ার বিষয়টি অর্থাৎ বাল্য বিবাহ সুন্নত হওয়ার বিষয়টি যারা অস্বীকার করে, তারা অসংখ্য ছহীহ পবিত্র হাদীছ শরীফ অস্বীকার করার কারণে কাফির!

কেননা বিশুদ্ধ ও গ্রহণযোগ্য মত হচ্ছে, উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার বয়স মুবারক যখন ৬ বছর তখন উনার সাথে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র আক্বদ বা শাদী মুবারক সম্পন্ন হয় এবং ৯ বছর বয়স মুবারক-এ তিনি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্রতম হুজরা শরীফ-এ তাশরীফ মুবারক গ্রহণ করেন। সুবহানাল্লাহ! এ বিষয়টি একটি নয় দুটি নয় বরং অসংখ্য পবিত্র ছহীহ হাদীছ শরীফ দ্বারাই অকাট্যভাবে প্রমাণিত। সুবহানাল্লাহ!

কাজেই, এ বিষয়টি অস্বীকার করার অর্থ হচ্ছে একাধিক পবিত্র ছহীহ হাদীছ শরীফ উনাদেরকে অস্বীকার করা। আর এ ব্যাপারে সকলেই একমত যে, পবিত্র হাদীছ শরীফ অস্বীকার করা কাট্টা কুফরী। আর যে কুফরী করে সেই কাফির হয়। নাউযুবিল্লাহ!

নিম্নে নির্ভরযোগ্য পবিত্র ছহীহ হাদীছ শরীফ উনার কিতাব মুবারক থেকে এ সম্পর্কিত কতিপয় দলীল-আদিল্লাহসমূহ উল্লেখ করা হলো-

عَنْ حضرت ام الـمؤمنين عائشة عليها السلام أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم تَزَوَّجَهَا وَهْيَ بِنْتُ سِتِّ سِنِينَ وَأُدْخِلَتْ عَلَيْهِ وَهْيَ بِنْتُ تِسْعٍ وَمَكَثَتْ عِنْدَهُ تِسْعًا.

অর্থ: উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। নিশ্চয়ই নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে (হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম) উনার আক্বদ বা শাদী মুবারক সম্পন্ন হয় যখন উনার বয়স মুবারক ছিল ৬ বছর। আর তিনি ৯ বছর বয়স মুবারকে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র হুজরা শরীফে তাশরীফ মুবারক গ্রহণ করেন এবং ৯ বছর বয়স মুবারকেই উনার সাথে অবস্থান মুবারক করেন।” সুবহানাল্লাহ! (ছহীহুল বুখারী কিতাবু বাদইল ওয়াহই বাবু ইনকাহির রজুলি ওয়ালাদাহুছ ছিগার)

عَنْ حضرت ام الـمؤمنين عائشة عليها السلام قَالَتْ تَزَوَّجَنِى رَسُولُ اللّهِ صلى الله عليه وسلم لِسِتّ سِنِينَ وَبَنَى بِى وَانَا بِنْتُ تِسْعِ سِنِينَ.

অর্থ: উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নিশ্চয়ই নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে আমার আক্বদ বা শাদী মুবারক সম্পন্ন হয় যখন আমার বয়স মুবারক ছিল ৬ বছর। আর ৯ বছর বয়স মুবারকে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র হুজরা শরীফে আমি তাশরীফ মুবারক গ্রহণ করি।” সুবহানাল্লাহ! (ছহীহুল মুসলিম কিতাবুন নিকাহ বাবু তাযবীজিল আবীল বিকরাছ ছগীরাহ।)

عَنْ حضرت ام الـمؤمنين عائشة عليها السلام قَالَتْ : تَزَوَّجَنِي رَسُولُ اللهِ صَلَّى الله عَليْهِ وسَلَّمَ وَأَنَا بِنْتُ سِتِّ سِنِينَ ، …. فَأَسْلَمَتْنِي إِلَيْهِ , وَأَنَا يَوْمَئِذٍ بِنْتُ تِسْعِ سِنِينَ.

অর্থ: “উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নিশ্চয়ই নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে আমার আক্বদ বা শাদী মুবারক সম্পন্ন হয় যখন আমার বয়স মুবারক ছিল ৬ বছর। ……. আর ৯ বছর বয়স মুবারকে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র হুজরা শরীফে আমি তাশরীফ মুবারক গ্রহণ করি।” সুবহানাল্লাহ! (সূনানু ইবনে মাজাহ কিতাবুন নিকাহ বাবু নিকাহিছ ছিগার ইউযাউয়্যিজু হুন্নাল আবাউ।)

عن حضرت أبو سلمة ويحيى رحمة الله عليهما قالا : … فزوجها إياه وحضرت ام الـمؤمنين عائشة عليها السلام يومئذ بنت ست سنين …. وبنى بي رسول الله صلى الله عليه و سلم وأنا يومئذ بنت تسع سنين…. إسناده حسن.

অর্থ: “হযরত আবূ সালমা ও হযরত ইয়াহইয়া রহমতুল্লাহি আলাইহিমা উনারা বলেন, উম্মুল মু’মিনীন হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার বয়স মুবারক যখন ৬ বছর তখন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার সাথে আক্বদ মুবারক সম্পন্ন করেন। হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম তিনি বলেন: আর আমার বয়স মুবারক যখন ৯ বছর তখন আমি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র হুজরা শরীফ-এ তাশরীফ মুবারক গ্রহণ করি।” এ পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার সনদ হাসান পর্যায়ের। (ছহীহ মুসনাদে আহমদ ইবনে হাম্বল, হাদীছু আস সাইয়্যিদাহ ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাস সালাম ৬ খন্ড, ২১০ পৃষ্ঠা।)

عَنْ حضرت ام الـمؤمنين عائشة عليها السلام قالت: تزوجني رسول الله صلى الله عليه وسلم لِست سنين وبنى بي وانا بنت تسع سنين.

  অর্থ: “উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নিশ্চয়ই নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে আমার আক্বদ বা শাদী মুবারক সম্পন্ন হয় যখন আমার বয়স মুবারক ছিল ৬ বছর। আর ৯ বছর বয়স মুবারকে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র হুজরা শরীফে আমি তাশরীফ মুবারক গ্রহণ করি।” সুবহানাল্লাহ! (ছহীহ ইবনু হিব্বান বি তারতীবে ইবনে বিলবান যিকরু আয়িশাতা উম্মুল মু’মিনীন আলাইহাস সালাম ও আন আবীহা।)

عَنْ حضرت ام الـمؤمنين عائشة عليها السلام قالت : تزوجني رسول الله صلى الله عليه و سلم وأنا بنت ست سنين وبنى بي وأنا بنت تسع سنين …. إسناده صحيح.

অর্থ: “উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নিশ্চয়ই নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে আমার আক্বদ বা শাদী মুবারক সম্পন্ন হয় যখন আমার বয়স মুবারক ছিল ৬ বছর। আর ৯ বছর বয়স মুবারকে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র হুজরা শরীফে আমি তাশরীফ মুবারক গ্রহণ করি।” এর সনদ ছহীহ। সুবহানাল্লাহ! (মুসনাদু আবী ইয়া’লা তাবে’ মুসনাদে আয়িশা আলাইহাস সালাম, ৮ম খন্ড, ৩০১ পৃষ্ঠা)

عَنِ حضرت الزُّهْرِىِّ رحمة الله عليه قَالَ …. ثُمَّ تَزَوَّجَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حضرت ام الـمؤمنين عائشة عليها السلام بَعْدَ ام الـمؤمنين حضرت خَدِيجَةَ الكبرى عليها السلام وَكَانَ قَدْ أُرِىَ فِى النَّوْمِ مَرَّتَيْنَ يُقَالُ هِىَ امْرَأَتُكَ وَحضرت ام الـمؤمنين عائشة عليها السلام يَوْمَئِذٍ بِنْتُ سِتِّ سِنِينَ … بِمَكَّةَ

 ثُمَّ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم بَنِى بِحضرت ام الـمؤمنين عائشة عليها السلام بَعْدَ مَا قَدِمَ الْمَدِينَةَ وَحضرت ام الـمؤمنين عائشة عليها السلام يَوْمَ بَنَى بِهَا بِنْتُ تِسْعِ سِنِينَ

অর্থ:- “হযরত যুহরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন- নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উম্মুল মু’মিনীন হযরত কুবরা আলাইহিস সালাম উনার পর (তৃতীয় আহলিয়া) হিসেবে হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনাকে গ্রহণ করেন তখন হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার বয়স মুবারক ছিলো ৬ বছর। উনাকে স্বপ্ন মুবারকে দুবার দেখানো হয় এবং বলা হয়- ইনি আপনার সম্মানিত আহলিয়া। আর তা সংঘটিত হয় পবিত্র মক্কা শরীফে। … আর উনার বয়স মুবারক যখন ৯ বছর তখন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র মদীনা শরীফে তাশরীফ মুবারক নেয়ার পর উনাকে নিজ হুজরা শরীফে নিয়ে আসেন।” (সুনানুল কুবরা লিল বাইহাক্বী, কিতাবুন নিকাহ বাবু তাসমিয়াতু আযওয়াযিন নাবিয়্যি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।)

عن حضرت هشام بن عروة رحمة الله عليه : و نكح و رسول الله صلى الله عليه و سلم عند متوفى حضرت ام الـمؤمنين خديجة الكبرى عليها السلام  حضرت ام الـمؤمنين عائشة عليها السلام وكان رسول الله صلى الله عليه و سلم أريها في المنام ثلاث مرار يقال : هذه امرأتك حضرت ام الـمؤمنين عائشة عليها السلام و كانت حضرت ام الـمؤمنين عائشة عليها السلام يوم نكحها رسول الله صلى الله عليه و سلم بنت ست سنين ثم بنى بها و قدم الـمدينة و هي بنت تسع سنين

অর্থ:- “হযরত হিশাম ইবনে উরওয়াহ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন- নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত কুবরা আলাইহাস সালাম উনার পর (তৃতীয় আহলিয়া) হিসেবে হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনাকে গ্রহণ করেন তখন হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার বয়স মুবারক ছিলো ৬ বছর। উনাকে স্বপ্ন মুবারকে তিনবার দেখানো হয় এবং বলা হয়- ইনি আপনার সম্মানিত আহলিয়া। আর উনার বয়স মুবারক যখন ৯ বছর তখন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র মদীনা শরীফে তাশরীফ মুবারক নেয়ার পর উনাকে নিজ হুজরা শরীফে নিয়ে আসেন।” (আল মুস্তাদরিক আলাছ ছহীহাইন তাসমিয়াতু আযওয়াযি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম: ৪র্থ খন্ড, ৫ পৃষ্ঠা।)

عَنْ حضرت عَبْدِ اللَّهِ رضى الله تعالى عنه، قَالَ: تَزَوَّجَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حضرت ام الـمؤمنين عائشة عليها السلام وَهِيَ بنتُ سِتِّ سِنِينَ، وَدَخَلَ بِهَا وَهِيَ بنتُ تِسْعٍ،

অর্থ: “হযরত আব্দুল্লাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। নিশ্চয়ই নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে (হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম) উনার আক্বদ বা শাদী মুবারক সম্পন্ন হয় যখন উনার বয়স মুবারক ছিল ৬ বছর। আর তিনি ৯ বছর বয়স মুবারকে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র হুজরা শরীফে তাশরীফ মুবারক গ্রহণ করেন।” সুবহানাল্লাহ! (আল মুজামুল কাবীর লিত তাবারানী, ৮ম জি:, ৪৯০ পৃষ্ঠা)

عَنْ حضرت ام الـمؤمنين عائشة عليها السلام قَالَتْ : تَزَوَّجَنِى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَنَا بِنْتُ سِتِّ سِنِينَ ، فَأَسْلَمَتْنِى إِلَيْهِ وَأَنَا يَوْمَئِذٍ بِنْتُ تِسْعِ سِنِينَ.

অর্থ: “উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নিশ্চয়ই নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে আমার আক্বদ বা শাদী মুবারক সম্পন্ন হয় যখন আমার বয়স মুবারক ছিল ৬ বছর।… আর ৯ বছর বয়স মুবারকে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র হুজরা শরীফে আমি তাশরীফ মুবারক গ্রহণ করি।” সুবহানাল্লাহ! (সুনানুদ দারিমী শরীফ, কিতাবুন নিকাহ বাবু ¬ফী তাযবীজিছ ছিগার ইযা যাওওয়াযা হুন্না আবাউহুন্না)

অনুরূপভাবে সুনানু আবী দাউদ শরীফ, মুসনাদে আবী দাউদ তাইয়ালাসী, মুছান্নাফ ইবনে আবী শাইবা শরীফ, মুসনাদে ইবনে রাহওয়াইহি শরীফ, মুসনাদে হযরত উম্মুল মু’মিনীন আয়িশা আলাইহাস সালাম, আদু দুয়াফাউল কাবীর শরীফ, আল মুনতাক্বা লিইবনিল জারুদ শরীফ, ফাতহুল বারী শরহে বুখারী শরীফ, উমদাতুল ক্বারী শরহে বুখারী শরীফ, আল মুফহিম শরহে মুসলিম শরীফ, আল মিনহাজ শরহে মুসলিম শরীফসহ আরো অনেক কিতাবসমূহেও উল্লেখ আছে যে, উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার বয়স মুবারক যখন ৬ বছর তখন উনার সাথে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র আক্বদ বা শাদী মুবারক সম্পন্ন হয় এবং ৯ বছর বয়স মুবারক-এ তিনি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্রতম হুজরা শরীফ-এ তাশরীফ মুবারক গ্রহণ করেন। সুবহানাল্লাহ! তাই পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের ফতওয়া মুতাবিক বাল্যবিবাহ খাছ সুন্নত মুবারক। সুবহানাল্লাহ!

উল্লেখ্য, ৯৮ ভাগ মুসলমান উনাদের দেশ বাংলাদেশ। আর বাংলাদেশ সরকার একাধিকবার ওয়াদা করেছে যে, ‘মহাপবিত্র কুরআন শরীফ ও মহাপবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের খিলাফ কোনো আইন করবে না” এবং “মহা সম্মানিত ও পবিত্র মদীনা শরীফ উনার সনদ ও পবিত্র বিদায় হজ্জ উনার খুৎবা মুবারক মুতাবিক বাংলাদেশ পরিচালিত হবে।” তাহলে খাছ সুন্নত বাল্যবিবাহতে সম্মতি দিলে কি করে ২ বছর কারাদ- হতে পারে এবং কি করে মুসলমান উনাদের দেশে ব্রিটিশ খ্রিস্টানদের দ্বারা প্রণীত বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন জারী থাকতে পারে? নাউযুবিল্লাহ যা খ্রিস্টান দেশেও জারী নেই।

মূলত: মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহা পবিত্র শান মুবারক উনার বিরোধিতা করেই ব্রিটিশরা ১৯২৯ সালে বাল্যবিবাহ বিরোধী আইন প্রবর্তন করেছিল। তাতে ইসলামবিদ্বেষী যালিম ব্রিটিশ বেনিয়াদের প্রণীত আইনে শাস্তির মেয়াদ ১ মাসের কারাদ- এবং ১ হাজার টাকা জরিমানার বিধান ছিলো। নাউযুবিল্লাহ! আর বর্তমান বাংলাদেশ সরকার আরো জঘন্যভাবে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার বিরোধী অর্থাৎ পবিত্র কুরআন শরীফ এবং পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের বিরোধী কথিত বাল্যবিবাহ বিরোধী আইন তৈরি করেছে। নাউযুবিল্লাহ! নাউযুবিল্লাহ! নাউযুবিল্লাহ! যা মূলত মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারই বিরুদ্ধে বলা; যা কাট্টা কুফরী। নাউযুবিল্লাহ অতএব, বাংলাদেশ সরকারের জন্য ফরয হচ্ছে- অতিসত্ত্বর বাল্যবিবাহ বিরোধী আইন প্রত্যাহার করা এবং বাল্যবিবাহকে খাছ সুন্নত হিসেবে মেনে নেয়া। আর যারা ব্লগ বা ফেসবুকে খাছ সুন্নত বাল্য বিবাহের ব্যাপারে চুচেরা ক্বীল-ক্বাল করে থাকে তাদের জন্যও ফরয হচ্ছে এর থেকে খালিছ তওবা করা। নচেৎ কঠিন খোদায়ী গযবে পড়ে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়া ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না।


– আল্লামা আবুল খায়ের মুহম্মদ আযীযুল্লাহ

আলআছদাকু, আলআত্বহারু, আলআত্বইয়াবু, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক শেষে সংক্ষেপে (সাঃ, দঃ) দুরূদ শরীফ লিখা প্রসঙ্গে

আওওয়ালু শাফিয়িন, আওওয়ালু মুশাফ্ফায়িন, আওওয়ালু মাঁইইয়ুর্হারিক হালক্বাল জান্নাতি হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ‘বিশ্বনেতা’, ‘মহামানব’, ‘মহাপুরুষ’, ইত্যাদি শব্দ দ্বারা সম্বোধন করা প্রসঙ্গে

ইমামুল মুরসালীনা, ইমামুন্ নাবিইয়ীনা, ইমামুল উম্মাতি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিতা আম্মা সাইয়্যিদাতুন্ নিসায়ি আলাল আলামীন হযরত আমিনা আলাইহাস্্ সালাম রচিত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ না’ত শরীফ প্রমাণ করে যে, তিনি ইলমে গইব-এর অধিকারিণী ছিলেন

আলবাশীরু, আলবালীগু, আলবাদরুল মুনীরু, হাবীবুল্লাহ্ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আহলিয়াগণ অর্থাৎ উম্মুল মু’মিনীন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুন্না উনাদের ফাযায়িল-ফযীলত ও পবিত্রতা

জালীলুল ক্বদরি, জামীলুয যিকরি, জাওয়ামিউল কালিমি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উর্ধ্বতন পূর্বপুরুষ উনারা ছিলেন পবিত্র থেকে পবিত্রতম