তাফসীরুল কুরআন: মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালনই সর্বশ্রেষ্ঠ আমল

সংখ্যা: ২৯১তম সংখ্যা | বিভাগ:

يَاۤ اَيُّهَا النَّاسُ قَدْ جَآءَتْكُمْ مَّوْعِظَةٌ مِّنْ رَّبِّكُمْ وَشِفَآءٌ لِّمَا فِىْ الصُّدُوْرِ وَهُدًى وَّرَحْمَةٌ لِّلْمُؤْمِنِيْنَ. قُلْ بِفَضْلِ اللهِ وَبِرَحْـمَتِهٖ فَبِذٰلِكَ فَـلْيَـفْرَحُوْا هُوَ خَيْـرٌ مِّـمَّا يَـجْمَعُوْنَ

তাফসীর: উক্ত পবিত্র সূরা ইউনুস শরীফ উনার পবিত্র আয়াত শরীফ উনাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য বিষয়সমূহ হচ্ছে- (১) সাইয়্যিদুল মুরসালীন ইমামুল মুরসালীন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি খলিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট থেকে যমীনে উম্মত মাঝে তাশরীফ মুবারক নিয়েছেন। (২) সাইয়্যিদুল মুরসালীন ইমামুল মুরসালীন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কায়িনাতবাসীর প্রতি মহান আল্লাহ পাক উনার সর্বশ্রেষ্ঠ ছহিবে নিয়ামত মুবারক ও ছহিবে রহমত মুবারক। (৩) সাইয়্যিদুল মুরসালীন ইমামুল মুরসালীন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে লাভ করার কারণে উম্মতকে খুশি মুবারক প্রকাশ করার জন্য আদেশ মুবারক করা হয়েছে। অথার্ৎ এই খুশি মুবারক প্রকাশ করা উম্মতের প্রতি ফরযে আইন করে দেয়া হয়েছে। (৪) সাইয়্যিদুল মুরসালীন ইমামুল মুরসালীন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জন্য খুশি মুবারক প্রকাশ করার বিষয়টি উম্মতের সমস্ত ইবাদত অপেক্ষা সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বোত্তম ইবাদত উনার অন্তর্ভুক্ত।

স্মরণীয় যে, যিনি খলিক্ব যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে উনার যিনি হাবীব ও মাহবূব, সাইয়্যিদুল মুরসালীন ইমামুল মুরসালীন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কায়িনাতবাসীর প্রতি সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বমহান ছহিবে নিয়ামত মুবারক স্বরূপ প্রেরিত হয়েছেন। উনাকে যদি কায়িনাত মাঝে প্রেরণ করা না হতো তাহলে কায়িনাতবাসী, জিন-ইনসান, পুরুষ-মহিলা, ছেলে-মেয়ে, ছোট-বড়, ফেরেশতা, জামাদাত, শাজারাত, হাজারাত ইত্যাদি কেউই বা কোনকিছুই সৃষ্টি হতো না। এবং কেউই ঈমান ও হিদায়েত লাভ করতে পারতো না। আরা ঈমান ও হিদায়েত লাভের মূল মাধ্যম ও মালিকই হচ্ছেন সাইয়্যিদুল মুরসালীন ইমামুল মুরসালীন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!

যেমন এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

اٰمِنُـوْا بِاللهِ وَرَسُوْلِهٖ

অর্থ: তোমরা ঈমান আনো মহান আল্লাহ পাক উনার প্রতি এবং উনার মহাসম্মানিত রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি। (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা হাদীদ শরীফ: সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৭)

মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন-

إِنَّاۤ أَرْسَلْنَاكَ شَاهِدًا وَّمُبَشِّرًا وَّنَذِيْـرًا لِتُـؤْمِنُـوْا بِاللهِ وَرَسُوْلِهٖ وَتُـعَزِّرُوْهُ وَتُـوَقِّرُوْهُ وَتُسَبِّحُوْهُ بُكْرَةً وَّأَصِيْلًا

অর্থ: নিশ্চয়ই আমি (আমার হাবীব ও মাহবূব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আপনাকে প্রেরণ করেছি সাক্ষ্যদাতা বা প্রত্যক্ষদশীর সুসংবাদ দানকারী, ও সতর্ককারী হিসেবে যাতে তোমরা ঈমান আনো মহান আল্লাহ পাক উনার প্রতি এবং উনার মহাসম্মানিত রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি। আর সেইসাথে তোমরা খিদমত মুবারক করো, উনাকে সম্মান মুবারক করো এবং উনার ছানা-ছিফত মুবারক করো সকাল-সন্ধ্যা অথার্ৎ দায়িমীভাবে বা অনন্তকাল ব্যাপী। (সম্মানিত  ও পবিত্র সূরা ফাতহ্ শরীফ: সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৮,৯)

উল্লেখ্য, পবিত্র ঈমান লাভ করার বিষয়টি মহাসম্মানিত রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। পবিত্র ঈমান উনার সুফল বা প্রতিদান হচ্ছে সম্মানিত জান্নাত। অথার্ৎ যে ঈমানদার হবে সে সম্মানিত জান্নাত লাভ করবে। পক্ষান্তরে কেউ ঈমানহারা হয়ে বা কুফরের গ্লানি নিয়ে মৃত্যুবরণ করলে সে যদি তার কুফরের ফিদিয়া বা কাফফারা হিসেবে যমীন পরিপূর্ণ করে স্বর্ণ দেয় (যদিও তা সম্ভব নয়) তবুও তার থেকে সেটা গ্রহণ করা হবে না। তার জন্য রয়েছে কঠিন শাস্তি এবং তার জন্য কোন সাহায্যকারী থাকবে না। এ থেকে পবিত্র ঈমান উনার মূল্য যে কত বড় তা প্রতীয়মান হয়। আর সেই পবিত্র ঈমান ও হিদায়েত হাছিল হয়ে থাকে মহাসম্মানিত রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানার্থে। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।

 

তাফসীরুল কুরআন: হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নিজেদের মতো বাশার বলা কাট্টা কুফরী

তাফসীরুল কুরআন: হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নিজেদের মতো বাশার বলা কাট্টা কুফরী

তাফসীরুল কুরআন: হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নিজেদের মতো বাশার বলা কাট্টা কুফরী

তাফসীরুল কুরআন: হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নিজেদের মতো বাশার বলা কাট্টা কুফরী

তাফসীরুল কুরআন: হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নিজেদের মতো বাশার বলা কাট্টা কুফরী