তাফসীরুল কুরআন : সুমহান সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালনই সর্বশ্রেষ্ঠ আমল

সংখ্যা: ২৪৯তম সংখ্যা | বিভাগ:

তাফসীরুল কুরআন

সুমহান সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালনই সর্বশ্রেষ্ঠ আমল


يايها الناس قد جاءتكم موعظة من ربكم وشفاء لـما فى الصدور وهدى ورحمة للمؤمنين. قل بفضل الله وبرحمته فبذالك فليفرحوا هو خير مـما يجمعون.

তরজমা: হে মানুষেরা! তোমাদের রব তায়ালা উনার তরফ থেকে তোমাদের নিকট এসেছেন নছীহতকারী, অন্তরের আরোগ্য দানকারী, হিদায়েত দানকারী এবং মু’মিনদের জন্য রহমত দানকারী। (অতএব হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আপনি (উম্মতদেরকে) বলে দিন, মহান আল্লাহ পাক উনার ফদ্বল ও রহমত স্বরূপ আপনাকে যে তারা পেয়েছে, সেজন্য তাদের কর্তব্য তথা ফরয হচ্ছে খুশি প্রকাশ করা। এই খুশি প্রকাশের ইবাদত মুবারক হবে তাদের সমস্ত ইবাদত বা আমল অপেক্ষা উত্তম বা শ্রেষ্ঠ। (পবিত্র সূরা ইউনুস শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৭-৫৮)

তাফসীর: উক্ত ‘ফালইয়াফরহূ’ অর্থাৎ খুশি প্রকাশ করার শ্রেষ্ঠতম ইবাদত সুমহান সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করার গুরুত্ব এতবেশি যে, স্বয়ং যিনি খ¦ালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহূ ওয়া তায়ালা তিনি নিজেই উহা পালন করেন। সুবহানাল্লাহ!

পূর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে যে, সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ হচ্ছেন কুল মাখলূক্বাতের যিনি নবী ও রসূল, সাইয্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, ইমামুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরুম মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ওজূদ পাক, যাত পাক ও শান পাক উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করা। সুবহানাল্লাহ!

এখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান পাক উপলক্ষে কিভাবে খুশি প্রকাশ করতে হবে সে পদ্ধতিও মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজেই জানিয়ে দিয়েছেন।

এ সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক তিনি সূরা ফাতহ্ শরীফ উনার ৯নং পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-

وتعزروه وتوقروه وتسبحوه بكرة واصيلا

অর্থ: নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খিদমত মুবারক করো এবং উনাকে তা’যীম-তাকরীম বা সম্মান করো এবং উনার ছানা-ছিফত বা প্রশংসা বর্ণনা করো সকাল-সন্ধ্যা অর্থাৎ দায়িমীভাবে।

বলার অপেক্ষা রাখেনা, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান পাক বা শান মুবারকে ছলাত শরীফ পাঠ করা ও সালাম শরীফ পেশ করার অর্থ হচ্ছে উনাকে তা’যীম-তাকরীম করা এবং উনার ছানা-ছিফত করা। আর উক্ত সম্মানিত আমল মুবারকখানি স্বয়ং যিনি খ¦ালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজেই করছেন এবং উনার পরিপূর্ণ আজ্ঞাবহ হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারাও করছেন। সুবহানাল্লাহ! শুধু তাই নয়, উক্ত সম্মানিত আমল মুবারক করার জন্য মহান আল্লাহ পাক তিনি সকল ঈমানদার বান্দা-বান্দী উনাদেরকেও আদেশ মুবারক করেছেন। যেমন এ প্রসঙ্গে পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

ان الله وملائكته يصلون على النبى يايها الذين امنوا صلوا عليه وسلموا تسليما

অর্থ: নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার সকল হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পাক শানে বা শান মুবারকে ছলাত শরীফ পাঠ করেন অর্থাৎ ছানা-ছিফত মুবারক বর্ণনা করেন। হে ঈমানদারগণ! নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পাক শানে আপনারাও ছলাত শরীফ পাঠ করুন অর্থাৎ ছানা-ছিফত মুবারক করুন এবং উনাকে যথাযথ সম্মানে তথা দাঁড়িয়ে সালাম শরীফ পেশ করুন।

উল্লেখ্য, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হচ্ছেন সাইয়্যিদুল মাখদূম অর্থাৎ উনার খিদমত মুবারকের মুহতাজ সকল মাখলূক্বাত। কাজেই, মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার শ্রেষ্ঠতম ও প্রিয়তম রসূল নুরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পাক শানে সমস্ত নিয়ামত হাদিয়া মুবারক করেছেন এবং উনার ছানা-ছিফত মুবারক বর্ণনা করেছেন। আর সমস্ত মাখলূক্ব তথা সৃষ্টিরাজী- হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম, হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম এবং হযরত ইমাম-মুজতাহিদ, আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারাসহ ঈমানদার পুরুষ-মহিলা, জিন-ইনসান সকলকে আদেশ মুবারক করা হয়েছে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খিদমত মুবারক করার জন্য, ইজ্জত-সম্মান মুবারক করার জন্য এবং ছানা-ছিফত মুবারক করার জন্য। এটাই হচ্ছে “ফাল্ইয়াফ্রহূ সুমহান সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার অন্তর্ভুক্ত। সুবহানাল্লাহ!

তাফসীরুল কুরআন: হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নিজেদের মতো বাশার বলা কাট্টা কুফরী

তাফসীরুল কুরআন: হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নিজেদের মতো বাশার বলা কাট্টা কুফরী

তাফসীরুল কুরআন: হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নিজেদের মতো বাশার বলা কাট্টা কুফরী

তাফসীরুল কুরআন: হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নিজেদের মতো বাশার বলা কাট্টা কুফরী

তাফসীরুল কুরআন: হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নিজেদের মতো বাশার বলা কাট্টা কুফরী