তাফসীরুল কুরআন : সুমহান সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালনই সর্বশ্রেষ্ঠ আমল

সংখ্যা: ২৪১তম সংখ্যা | বিভাগ:

তাফসীরুল কুরআন

সুমহান সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালনই সর্বশ্রেষ্ঠ আমল


يايها الناس قد جاءتكم موعظة من ربكم وشفاء لـما فى الصدور وهدى ورحمة للمؤمنين. قل بفضل الله وبرحمته فبذالك فليفرحوا هو خير مـما يجمعون.

তরজমা: হে মানুষেরা! তোমাদের রব তায়ালা উনার তরফ থেকে তোমাদের নিকট এসেছেন নছীহতকারী, অন্তরের আরোগ্য দানকারী, হিদায়েত দানকারী এবং মু’মিনদের জন্য রহমত দানকারী। (অতএব হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আপনি (উম্মতদেরকে) বলে দিন, মহান আল্লাহ পাক উনার ফদ্বল ও রহমত স্বরূপ আপনাকে যে তারা পেয়েছে, সেজন্য তাদের উচিত খুশি প্রকাশ করা। এই খুশি প্রকাশের আমলটি হবে তাদের সমস্ত নেক আমল অপেক্ষা উত্তম বা শ্রেষ্ঠ। (পবিত্র সূরা ইউনুস শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৭-৫৮)

ধারাবাহিক

তাফসীর: উল্লেখ্য, উক্ত পবিত্র সূরা ইউনুস শরীফ উনার ৫৭ নং পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে موعظة – شفاء – هدى – رحمة প্রতিটি শব্দ মুবারকই হচ্ছে ইসমে মাছদার বা ক্রিয়ামূল। আর ইসমে মাছদার সাধারণত ইসমে ফায়িল (কর্তৃবাচ্য) ও ইসমে মাফউল (কর্মবাচ্য) উভয় অর্থের জন্য ব্যবহৃত হয়। তবে আলোচ্য পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে উক্ত প্রতিটি শব্দ মুবারক ইসমে ফায়িল হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে এবং প্রতিটি শব্দ মুবারক দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি।

কাজেই, উক্ত শব্দ মুবারকসমূহ কোনটিই মাফউল হিসেবে ব্যবহৃত হয়নি এবং উক্ত শব্দ মুবারকসমূহ দ্বারা পবিত্র কুরআন শরীফ বা পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাকে বুঝানো হয়নি। কেননা পবিত্র কুরআন শরীফ বা পবিত্র দ্বীন ইসলাম মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে সরাসরি উম্মত লাভ করেনি। বরং পবিত্র কুরআন শরীফ বা পবিত্র দ্বীন ইসলাম উম্মত লাভ করেছে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাধ্যমে।

ছহীহ আবূ দাউদ শরীফ, মিশকাত শরীফ ইত্যাদি কিতাবসমূহে বর্ণিত হয়েছে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

الا انى اتيت القران ومثله معه

অর্থ: সাবধান! জেনে রাখ, নিশ্চয়ই আমাকে পবিত্র কুরআন শরীফ দেয়া হয়েছে এবং উনার সাথে অনুরূপ বিষয় তথা পবিত্র হাদীছ শরীফ দেয়া হয়েছে।

জানা আবশ্যক, পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের সম্মিলিত ইলম মুবারকের নামই হচ্ছে পবিত্র দ্বীন ইসলাম।

অতএব, প্রমাণিত হলো যে, পবিত্র কুরআন শরীফ বা পবিত্র দ্বীন ইসলাম উম্মত পেয়েছে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকট থেকে। আর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে উম্মত পেয়েছে মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে। সুবহানাল্লাহ!

অতএব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পাওয়ার কারণেই উম্মতকে খুশি প্রকাশ করতে হবে। এ খুশি প্রকাশ করা উম্মতের জন্য ফরয।

বলার অপেক্ষা রাখে না, যিনি আমাদের জন্য মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে উপদেশ দানকারী, হিদায়েত দানকারী, রহমত দানকারী এবং অন্তরের আরোগ্য দানকারী হিসেবে আসলেন, উনার জন্যেই তো আমাদেরকে খুশি প্রকাশ করতে হবে। সুবহানাল্লাহ!

যার কারণে পরবর্তী ৫৮নং পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে খুশি প্রকাশ করার জন্য আদেশ মুবারক করা হয়েছে।

যেমন ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

قل بفضل الله وبرحمته فبذلك فليفرحوا

অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, হে আমার শ্রেষ্ঠতম রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি আপনার উম্মতদেরকে তথা কায়িনাতবাসী সকলকে বলুন, মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে যিনি বরকতময় ফদ্বল ও সম্মানিত রহমত (নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যিনি তাদের নিকট এসেছেন, উনার জন্য তারা যেনো খুশি প্রকাশ করে অর্থাৎ উনার সম্মানার্থে তাদের জন্য খুশি প্রকাশ করা ফরয।

তাফসীরুল কুরআন: হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নিজেদের মতো বাশার বলা কাট্টা কুফরী

তাফসীরুল কুরআন: হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নিজেদের মতো বাশার বলা কাট্টা কুফরী

তাফসীরুল কুরআন: হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নিজেদের মতো বাশার বলা কাট্টা কুফরী

তাফসীরুল কুরআন: হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নিজেদের মতো বাশার বলা কাট্টা কুফরী

তাফসীরুল কুরআন: হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে নিজেদের মতো বাশার বলা কাট্টা কুফরী