দুনিয়া ও আখিরাত উভয় জাহানে লা’নতগ্রস্থ বা অভিশপ্ত ও কঠিন যন্ত্রণায়দায়ক আযাবযোগ্য ব্যক্তিদের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি

সংখ্যা: ২৪৮তম সংখ্যা | বিভাগ:

দুনিয়া ও আখিরাত উভয় জাহানে লা’নতগ্রস্থ বা অভিশপ্ত ও কঠিন যন্ত্রণায়দায়ক আযাবযোগ্য ব্যক্তিদের  সংক্ষিপ্ত পরিচিতি


 

খ্বালিক মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কালাম পাক উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন –

ان الذين يؤذون الله ورسوله لعنهم الله فى الدنيا والاخرة واعد لهم عذابا مهينا.

অর্থ : “যারা মহান আল্লাহ পাক উনাকে এবং উনার রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে কষ্ট দেয় দুনিয়া ও আখিরাত উভয় জাহানে তাদের উপর মহান আল্লাহ পাক উনার লা’নত বা অভিশম্পাত রয়েছে। উপরোন্ত মহান আল্লাহ পাক তাদের জন্য কঠিন অপমানজনক আযাবের ব্যবস্থা রেখেছেন। (পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৭)

মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মনোনীত মহান ব্যক্তিত্ব তথা হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম, হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের জীবনী মুবারক জানা, হাল-হাক্বীক্বত সম্পর্কে সম্মক জ্ঞান হাছিল করা জরুরী। কেননা উনাদের আলোচনা মুবারক করা রহমত, বরকত, সাকীনাহ হাছিলের কারণ।

মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন –

ان رحمت الله قريب من الـمحسنين

অর্থ : “নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক উনার রহমত মুহসিন তথা আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের নিকটবর্তী।” (পবিত্র সূরা আ’রাফ শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৬)

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

عند ذكر الصالحين تنزل الرحمة

অর্থ : “ছালিহীন তথা অলীআল্লাহগণ উনাদের মুবারক আলোচনায় রহমত নাযিল হয়।” (হিলইয়াতুল আউলিয়া)

সেই রহমতের কারণে জিন-ইনসান সকলে হিদায়েত লাভ করতে পারে। কাজেই, উনাদের জীবনী মুবারক আলোচনা করা বন্দা-উম্মতের রহমত, বরকত, সাকীনা লাভের কারণ। একইভাবে মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নৈকট্য তায়াল্লুক নিসবতের রাস্তা প্রসারিত হয়। কাজেই উনাদের জীবনী মুবারক জানা আবশ্যক। একইভাবে মহান আল্লাহ পাক উনাকে এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে যারা কষ্ট দেয় তাদের সম্পর্কেও জানা ও পরিচয় থাকা জরুরী।

কেননা যারা মহান আল্লাহ পাক উনাকে এবং উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে কথা, কাজ, আচার-আচরণে কষ্ট দেয় তারা পৃথিবীর যমীনে সর্বাপেক্ষা নিকৃষ্ট প্রাণী। কাট্টা কাফির চিরজাহান্নামী। আর তাদেরকে যারা সাহায্য-সহযোগিতা করবে, তা’যীম-তাকরীম করবে, মুহব্বত করবে, তারাও নিকৃষ্ট প্রাণীদের অন্তর্ভুক্ত হবে।

১। যারা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান-মানের ইহানত করতঃ বলে যে, তিনি আমাদের মত রক্ত গোস্তে গড়া, সাধারণ মানুষ। তিনি মাটির তৈরী। নূরের তৈরী নন। তারাও প্রকৃতপক্ষে মহান আল্লাহ উনাকে এবং উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে কষ্টদানকারী, লা’নতগ্রস্থ ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত।

২। যারা বলে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মুত্তালা আলাল গাইব নন। তিনি গইব জানেন না। তারাও প্রকৃতপক্ষে মহান আল্লাহ পাক উনাকে এবং উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদেরকে কষ্ট দেয়ার কঠিন গুনাহে লিপ্ত।

৩। যারা বলে, হাযির-নাযিরের বিষয়টি মহান আল্লাহ পাক উনার মুবারক শান। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক শান হতে পারে না। তিনি হাযির-নাযির হতে পারেন না। তারাও মহান আল্লাহ পাক উনাকে এবং উনার রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদেরকে কষ্ট দানকারী লা’নতগ্রস্ত দলের অন্তর্ভুক্ত।

৪। যারা বলে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক  ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মাটির সাথে মিশে গেছেন। উনার ইতায়াত আমাদের জন্য জরুরী নয়। তারাও প্রকৃতপক্ষে মহান আল্লাহ পাক উনাকে ও উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে কষ্টদানকারী লা’নতগ্রস্ত দলের সদস্য।

৫। যারা বলে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আব্বা-আম্মা জাহান্নামী তারাও উনাকে কষ্টদানকারী লা’নতগ্রস্ত দলের সদস্য।

৬। যারা বিশ্বাস করে যে, সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবার পালন করা বিদয়াত আর ১লা বৈশাখ পালন করা ছওয়াবের কাজ বা নিয়ামত তারাও উনাদেরকে কষ্টদানকারী লা’নতগ্রস্ত দলের অন্তর্ভুক্ত।

৭। যারা বিশ্বাস করে হযরত নবী ও রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা গুনাহ করেছেন, ভুল করেছেন তারাও কষ্টদানকারী লা’নতগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত।

৮। যারা বলে ও বিশ্বাস করে যে, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের মধ্যে অনেকেই মুর্খ ছিলেন তারাও বাতিল ৭২ ফিরক্বার অন্তর্ভুক্ত কষ্টদানকারী লা’নতগ্রস্ত দলের সদস্য।


 

 -আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ আব্দুল হালীম

আলআছদাকু, আলআত্বহারু, আলআত্বইয়াবু, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক শেষে সংক্ষেপে (সাঃ, দঃ) দুরূদ শরীফ লিখা প্রসঙ্গে

আওওয়ালু শাফিয়িন, আওওয়ালু মুশাফ্ফায়িন, আওওয়ালু মাঁইইয়ুর্হারিক হালক্বাল জান্নাতি হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ‘বিশ্বনেতা’, ‘মহামানব’, ‘মহাপুরুষ’, ইত্যাদি শব্দ দ্বারা সম্বোধন করা প্রসঙ্গে

ইমামুল মুরসালীনা, ইমামুন্ নাবিইয়ীনা, ইমামুল উম্মাতি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিতা আম্মা সাইয়্যিদাতুন্ নিসায়ি আলাল আলামীন হযরত আমিনা আলাইহাস্্ সালাম রচিত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ না’ত শরীফ প্রমাণ করে যে, তিনি ইলমে গইব-এর অধিকারিণী ছিলেন

আলবাশীরু, আলবালীগু, আলবাদরুল মুনীরু, হাবীবুল্লাহ্ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আহলিয়াগণ অর্থাৎ উম্মুল মু’মিনীন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুন্না উনাদের ফাযায়িল-ফযীলত ও পবিত্রতা

জালীলুল ক্বদরি, জামীলুয যিকরি, জাওয়ামিউল কালিমি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উর্ধ্বতন পূর্বপুরুষ উনারা ছিলেন পবিত্র থেকে পবিত্রতম