নারী অধিকার প্রসঙ্গে

সংখ্যা: ২০০তম সংখ্যা | বিভাগ:

“কর্মস্থলে নারীর প্রতি পুরুষ সহকর্মীর আচরণ কেমন হওয়া উচিত- এ প্রশ্নের জবাবে একজন কবি বলেছেন, নারীর প্রতি বন্ধুত্বপূর্ণ, সহমর্মিতা ও সহযোগিতা পূর্ণ আচরণ করা উচিত। আমাদের পাশের নারী সহকর্মীকে পুরুষ সহকর্মীর মতোই দেখা উচিত। একই সুরে সুর মিলিয়ে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের কো-অর্ডিনেটর বলেছেন, ধর্মীয় ও সামাজিক কারণে পুরুষ ও মহিলাদের মেলামেশা কম। যে বস্তুটি আমাদের জন্য নিষিদ্ধ আমরা সাধারণত সেটার প্রতিই বেশি আকৃষ্ট হই। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক সমঝোতা না থাকলে অনেক সময়ই দেখা যায়, অনেক পুরুষ অন্য কোথাও শান্তি খুঁজতে চান। একজন নারী সহকর্মীর সাথে একজন পুরুষ সহকর্মীর মতোই আচরণ করা উচিত। আমার দ্বারা সে যেন কোন রকম শারীরিক ও মানসিক লাঞ্ছনার শিকার না হন সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এক্ষেত্রে অফিসিয়াল ম্যানেজমেন্টকে শক্ত হতে হবে।” (সূত্র: দৈনিক সমকাল, ২৮ মার্চ ২০১০ ঈসায়ী সন)

উপরের রিপোর্টটি পড়ে আমরা সুখের চাইতে দুঃখটাই বেশি অনুভব করছি। তার প্রধান কারণটা হচ্ছে তথাকথিত সমাজের প্রগতিবাদীরা। তাদের কথায়, তাদের শান্তনায় নারী জাতির এত শোচনীয় অবস্থা দেখেও পর্দার মধ্যে রাখতে চাইছে না। তারা আরো তাদের কাছেই জমাকৃত টাকা পয়সার মত আষ্টে-পৃষ্টে বেঁধে রাখতে চাইছে! টাকা পয়সা হাতাতে যেমন পুরুষদের আনন্দের সীমা থাকে না তেমনি নারীকে যথেচ্ছ ভোগ করতেও তাদের আনন্দের সীমা থাকে না। তাই উক্ত তথাকথিত ব্যক্তিদের শান্তনার বাণীই হচ্ছে- পুরুষ সহকর্মীদের সাথে নারী সহকর্মীরাও তাদের মনোরঞ্জনের পাত্রী হয়ে থাকুক। নাঊযুবিল্লাহ!

এখন আমাদের জানার বিষয়- বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে পুরুষদের সান্নিধ্যেই যদি থাকতে হয় তাহলে ‘নারীদের স্বাধীনতা রইল কোথায়? তোমাদের ইচ্ছাই কি নারীদের পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ রাখা? না কি শুধু নারীত্বের অপমান’ করাই তোমাদের একমাত্র উদ্দেশ্য? তোমরা কি আল্লাহ পাক উনার বিধান ‘পর্দা প্রথা’কেই অস্বীকার করতে চাও? তাই যদি হয় তবে আমরা ‘নারী জাতি’ বলতে বাধ্য হচ্ছি-

প্রথমেই আমাদের পরিচয়

আমরা মুসলমান।

পুরুষও মুসলমান

নারীও মুসলমান।

তবে কেন শরীয়তের বিধান পুরুষদের এবং নারীদের মধ্যে স্বীকৃত হবে না? তোমরা কি অস্বীকার করতে পারো তোমরা আল্লাহ পাক উনার বান্দা নও? তাহলে তোমরা কি? তোমরা কি সেই জাহান্নামীদেরই সঙ্গী-সাথী? হয়তোবা তাই? তোমাদের বদ আমলই তোমাদের চিরন্তন শাস্তির ইন্ধন যোগাবে।

তোমরা তওবা কর।

নারী আর পুরুষকে একত্রে মিলিত হওয়ার মত কর্মক্ষেত্রে সুযোগ করে দিও না। নারীর জন্য তোমরা পর্দার সাথে আলাদা কর্মক্ষেত্রের ব্যবস্থা কর। যেখানে কোন পুরুষ কর্মচারী থাকবে না। নারীরাই শুধু নারীদের সহকর্মী হবে। পুরুষরা নজরের অর্থাৎ দৃষ্টির পর্দা করবে। এক. নিজেরাই নিজেদের হিফাযত করবে। নারীরা রাস্তায়, যানবাহনে বোরকা পরে যার যার স্ব স্ব কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করবে। একটা পুরুষ যেমন মহিলাদের দেখতে পাবে না তেমনি একজন নারীও পুরুষদের দেখতে পাবে না। আর সেটাই যদি হয় তবেই দেখা যাবে নারী স্বাধীনতার জয় জয়কার। পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে নারীরা মুক্তি পেয়েছে। পরিবারে, সমাজে, দেশে নারীদের পদচারণাই সাক্ষী দেবে পর্দানশীন মহিলাদের স্বার্থকতার। আর তোমাদের মত মেরুদ-হীন পুরুষদেরও মুখোশধারী, ধ্বজাধারী, নারীলোলুপ, সমাজের কীট হিসেবে পরিচিত হতে হবে না। তোমরা যদি নারীদের শরীয়তের গ-ির মধ্যে রেখে মূল্যায়ন করতে পারো, তবে তোমাদেরও আর অবমূল্যায়ন হবে না। নারী জাতির স্বার্থকতার সাথে পুরুষ জাতির স্বার্থকতা বজায় থাকবে স্ব স্ব গৌরবে। ইনশাআল্লাহ!

তাই সর্বস্তরের মানুষের প্রতি আমাদের আহবান! আপনারা যে কোন পেশার ব্যক্তিবর্গ হোন না কেন, নারী কিংবা পুরুষ প্রত্যেককে আল্লাহ পাক তিনি ও উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের আদেশ-নিষেধকে নিজেদের বাস্তব জীবনে গ্রহণ করে নিন।

আপনারা যে মুসলমান

আপনারা যে মুসলিমা

আপনারা যে আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উম্মত- সেই দাবিতে

তারই মর্যাদা বজায় রাখুন।

আমরা বিশ্বাস করি আমাদেরকে যেভাবে আল্লাহ পাক হিফাযত করেছেন, শান্তি দিয়েছেন। ঠিক তেমনি দ্বীন ইসলামের সুশীতল ছায়ায় যদি আপনারাও আসেন তবে মহান খালিক্ব, মালিক রব্বুল আলামীন আল্লাহ পাক আপনাদেরকেও হিফাযত করবেন, শান্তি দিবেন। ইনশাআল্লাহ!  (আমীন)

-আজিমা ফারহা, ঢাকা।

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৬৭

ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদ প্রচারের নেপথ্যে-১৬

চাঁদ দেখা ও নতুন চন্দ্রতারিখ নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা-৩৫

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-২৫ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস ওহাবী ফিরক্বাসহ সবগুলো বাতিল ফিরক্বা ইহুদী-নাছারাদের আবিষ্কার! তাদের এক নম্বর দালাল

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের ‘সংবিধানের প্রস্তাবনা’, ‘মৌলিক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা’ ‘জনস্বাস্থ্য ও নৈতিকতা’ এবং ‘জাতীয় সংস্কৃতি’ শীর্ষক অনুচ্ছেদের সাথে- থার্টি ফার্স্ট নাইট তথা ভ্যালেন্টাইন ডে পালন সরাসরি সাংঘর্ষিক ও সংঘাতপূর্ণ’। পাশাপাশি মোঘল সংস্কৃতির দান পহেলা বৈশাখ পালনও প্রশ্নবিদ্ধ।সংবিধানের বহু গুরুত্বপূর্ণ ও বিশেষ স্পর্শকাতর অনুচ্ছেদের প্রেক্ষিতে ৯৫ ভাগ মুসলমানের এদেশে কোনভাবেই থার্টি ফার্স্ট নাইট ও ভ্যালেন্টাইন ডে পালিত হতে পারে না।পারেনা গরিবের রক্ত চোষক ব্র্যাকের ফজলে আবেদও ‘নাইট’ খেতাব গ্রহণ করতে। পারেনা তার  নামের সাথে ‘স্যার’ যুক্ত হতে। পাশাপাশি মোঘল সংস্কৃতির দান পহেলা বৈশাখ পালনও প্রশ্নবিদ্ধ।