নূরে মদীনা, গুলে মুবিনা, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, ক্বায়িম-মাক্বামে উম্মে কুলসুম আলাইহাস সালাম, আওলাদে রসূল হযরত নিবরাসাতুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার কতিপয় কারামত মুবারক

সংখ্যা: ২৪৯তম সংখ্যা | বিভাগ:

নূরে মদীনা, গুলে মুবিনা, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, ক্বায়িম-মাক্বামে উম্মে কুলসুম আলাইহাস সালাম, আওলাদে রসূল হযরত নিবরাসাতুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার কতিপয় কারামত মুবারক


নূরে মদীনা, গুলে মুবিনা, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, ক্বায়িম-মাক্বামে উম্মে কুলসুম আলাইহাস সালাম, আওলাদে রসূল হযরত নিবরাসাতুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার মুবারক বংশ হচ্ছেন- ‘সাইয়্যিদ’। উনার মুবারক ধমনীতে প্রবাহিত হচ্ছেন নববী রক্ত মুবারক উনার ঝর্ণাধারা। মুবারক নছবনামা পরম্পরায় সম্মানিত পিতা-মাতা আলাইহিমাস সালাম উনাদের দিক থেকে তিনি ইমামুছ ছানী মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত ইমাম হাসান আলাইহিস সালাম এবং ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনাদের সাথে সম্পর্কযুক্ত। নববী নূরুন নাজাত (রক্ত) মুবারক উনার ধারাবাহিকতায় সঙ্গতকারণেই তিনি আল হাসানী ওয়াল হুসাইনী ওয়াল কুরাঈশী। অর্থাৎ তিনি ‘সাইয়্যিদা’। সুবহানাল্লাহ!
এক কথায় তিনি আওলাদে রসূল তথা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিতা নাতনী। পবিত্র মদীনা শরীফ থেকে মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল হযরত সাইয়্যিদ মুঈনুদ্দীন হাসান চিশতী আজমিরী সনজরী (খাজা ছাহিব) রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার একান্ত মাহবুব ছফরসঙ্গী হিসেবে ওলীয়ে মাদারজাদ আওলাদে রসূল সাইয়্যিদ মুহম্মদ আবূ বকর মুজাদ্দিদী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি আজমীর শরীফ আগমন করেন। দ্বীনি খিদমতের আনজাম দিয়ে তিনি সেখানেই শায়িত রয়েছেন। উনার অধস্তন সম্মানিত সন্তান আওলাদে রসূল হযরত সাইয়্যিদ মুহম্মদ আলাউদ্দিন আলাইহিস সালাম তিনি মানুষদেরকে হিদায়েতের নিমিত্তে বাংলাদেশে আসেন। উনার সম্মানিত ছাহেবযাদা আওলাদে রসূল হযরত সাইয়্যিদ মুহম্মদ মালাউদ্দিন আলাইহিস সালাম। উনার সম্মানিত ছাহেবযাদা আওলাদে রসূল হযরত সাইয়্যিদ মুহম্মদ ইলাহী বখ্শ আলাইহিস সালাম। উনার সম্মানিত ছাহেবযাদা ওলীয়ে মাদারযাদ আওলাদে রসূল হযরত সাইয়্যিদ মুহম্মদ ওয়ালী বখশ আলাইহিস সালাম। উনার সম্মানিত ছাহেবযাদা ওলীয়ে মাদারযাদ, কুতুবুল আলম, ছুফীয়ে বাতিন আওলাদে রসূল হযরতুল আল্লামা সাইয়্যিদ মুহম্মদ মুখলিছুর রহমান আলাইহিস সালাম। উনার নূরী আওলাদ ওলীয়ে মাদারযাদ, আওলাদে রসূল, মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম- যিনি হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পরিপূর্ণ ক্বায়িম-মক্বাম, বর্তমান পনের হিজরী শতকের মহান মুজাদ্দিদ ঢাকা রাজারবাগ শরীফ উনার সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি। আর উনারই পূত-পবিত্রা সম্মানিতা দ্বিতীয়া আওলাদ হচ্ছেন আওলাদে রসূল হযরত নিবরাসাতুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি। যিনি এই পবিত্র রবীউছ ছানী মাস উনার ১৯ তারিখ পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ!
নূরে মদীনা, গুলে মুবিনা, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, ক্বায়িম-মাক্বামে উম্মে কুলসুম আলাইহাস সালাম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদাতুনা হযরত নিবরাসাতুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি হচ্ছেন- খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনার নির্ধারিত মহাসম্মানিতা আল্লাহওয়ালীগণ উনাদের শ্রেষ্ঠতমা ও অনন্যা। তিনি আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পাক পবিত্র আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের উজ্জ্বল ধ্রুব তারা। উনার মাথার তালু মুবারক থেকে পায়ের তলা মুবারক পর্যন্ত সবকিছুই হিদায়েতের নূর, ফয়েজ-তাওয়াজ্জুহ এবং নাজ-নিয়ামত, কারামতে ভরপুর। বেমেছাল নববী নিসবতের প্রগাঢ়তা রয়েছে নূরে মদীনা, গুলে মুবিনা, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, ক্বায়িম-মাক্বামে উম্মে কুলসুম আলাইহাস সালাম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদাতুনা হযরত নিবরাসাতুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার মাঝে।
তিনি অনন্যা ও অসাধারণ একজন ওলীআল্লাহ। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার মতো ব্যক্তিত্বের শানে পবিত্র হাদীছ কুদসী শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, “নিশ্চয়ই হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা আমার কুদরতী জুব্বা মুবারক উনার দ্বারা আবৃত। উনাদেরকে আমি ছাড়া আর কেউ চিনে না।” সুবহানাল্লাহ!
আকাঈদ উনাদের কিতাবে আছে-
كرامات الاولياء حق
অর্থাৎ ওলীআল্লাহগণ উনাদের কারামত সত্য।
নূরে মদীনা, গুলে মুবিনা, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, ক্বায়িম-মক্বামে উম্মে কুলসুম আলাইহাস সালাম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদাতুনা হযরত নিবরাসাতুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি দায়েমীভাবে হাবীবী রঙে রঞ্জিত। মু’মিনাদেরকেও সেই রঙে রাঙান। উনার মুবারক ছোহবত যারাই ইখতিয়ার করেছে তারা প্রত্যেকেই তা উপলব্ধি করেছে। পেয়েছে নাজ-নিয়ামত, নববী নিসবতের পরিপূর্ণ হিসসা। উনার মুবারক বিলাদত শরীফ উপলক্ষে নূরে মদীনা, গুলে মুবিনা, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, ক্বায়িম-মক্বামে উম্মে কুলসুম আলাইহাস সালাম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদাতুনা হযরত নিবরাসাতুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার অসংখ্য-অগণিত কারামত মুবারক থেকে কয়েকটি কারামত মুবারক উল্লেখ করছি:

“উনার মুবারক শানে রচিত ক্বাছীদা শরীফ
শুনে মুসলমান হলো নাইজেরিয়ান খ্রিস্টান।”

খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, “প্রত্যেক ক্বওম বা সম্প্রদায়ের জন্য রয়েছেন একজন হাদী বা হিদায়েতকারী।”
মহান আল্লাহ পাক তিনি যাঁদেরকে খাছ লক্ষ্যস্থল হাদীরূপে প্রেরণ করেন, উনাদের প্রতি পদেই মানুষ হিদায়েত লাভ করে। উনাদের একটি নজরেই যে কেউ মহান আল্লাহ পাক উনার রহমত, হিদায়েত ও সন্তুষ্টির প্রাপ্তিতে উচ্চতম সোপানে আরোহণ করতে সক্ষম। এমনকি কেউ যদি যোজন যোজন দূর থেকে অন্তরের গহীনে একটি বারের তরেও উনাদের মুহব্বতের শিহরণে আলোড়িত হয়, তবে আপসে আপই সে হিদায়েত লাভ করে। যদিও সে বিধর্মী হোক না কেন। উনাদের আলোচনা যেখানে করা হয়, সেখানে অঝোর ধারায় বর্ষিত হয় রহমত ও হিদায়েতী নূর। কেননা মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক উনার রহমত ‘মুহসিন’ উনাদের নিকটে।”
আর নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “নিশ্চয়ই ‘ছালেহীন’ উনাদের আলোচনা, ছানা-ছিফত রহমত প্রাপ্তির মাধ্যম।”
বলাবাহুল্য, মহান আল্লাহ পাক উনার রহমত হলো হিদায়েত প্রাপ্তির পূর্বশর্ত। আর তাই মহান আল্লাহ পাক উনার খাছ বান্দা, হাদী, ছালিহীন ও মুহসিন বান্দা-বান্দি উনাদের শানে আলোচনা, ছানা-ছিফত, প্রশংসা, ক্বাছীদা এসব কিছুর মাধ্যমে স্বভাবতই মানুষ হিদায়েত লাভ করে।
বলার অপেক্ষা রাখে না, সাইয়্যিদাতুন নিসা, আফদ্বালুন নিসা, নূরে মুবিনা, গুলে মদীনা হযরত নিবরাসাতুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনিও মহান আল্লাহ পাক রব্বুল ইজ্জত উনার একজন খাছ লক্ষ্যস্থল হাদী।
উনার শানে আলোচনা, ছানা-ছিফতের মাধ্যমেও অগণিত মানুষ হিদায়েত লাভ করেছেন, করছেন করবেন। উনার শানে রচিত ক্বাছীদাহ শরীফ উনার যে কতোটুকু মর্যাদা-মর্তবা, ফাযায়িল-ফযীলত ফায়দা তা উপলব্ধির জন্য এই পরিসরে এ সংক্রান্ত একটি মাত্র মুবারক ঘটনা উল্লেখ করছি এবং এর দ্বারা তিনি স্বয়ং কতো মর্যাদাসম্পন্না হাদী সেটাও আমরা বুঝতে সক্ষম হবো।
বলাবাহুল্য, এ ঘটনাটি উনার বেমেছাল মুবারক কারামতের মহাসমুদ্র থেকে প্রকাশিত একটি কণা মাত্র। এর প্রেক্ষাপটটি ছিলো এ রকম, “পবিত্র মাহে ছফর শরীফ ১৪৩১ হিজরী (২০১০ ঈসায়ী) এর কোনো এক ¯িœগ্ধ মধ্যরাত (বাংলাদেশ-এর স্থানীয় সময়)।”
হযরত মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার খাছ তাজদীদী মাধ্যম, আন্তর্জাতিক ঠড়রপব জড়ড়স, ঘড়ড়ৎঁহ অষধধ ঘড়ড়ৎ-এর নৈশ অনুষ্ঠানে বিশ্বব্যাপী প্রচারিত হচ্ছিলো ক্বাছীদা শরীফ। যথারীতি ‘নূরুন আলা নূর’ ভয়েস রুমে ছিলো বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের অতিথি বা গেস্টদের আনাগোনা। রুমটির অ্যাডমিন বা প্রশাসকদের নিয়ম ছিলো যদি নতুন কেউ এ রূমে (ইন্টারনেট ভয়েস রুম) প্রবেশ করতো সে আগে কখনো এখানে আসেনি; তার সাথে ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ করে অ্যাডমিনরা তার পরিচয় নাম-ঠিকানা জেনে নিতেন।
সে রাতেও অ্যাডমিনদের সামনে কম্পিউটার স্ক্রীনে ভেসে উঠেছিলো একটি নতুন অতিথির নাম বা ঘরপশ ঘধসব.
যথারীতি উনারা যোগাযোগ করে জানতে পারলেন সেই ব্যক্তি সুদূর আফ্রিকা মহাদেশের নাইজেরিয়া থেকে শুনছেন। অর্থাৎ তিনি একজন নাইজেরিয়ান। নাম তার আইবাফ বহি। ধর্মে খ্রিস্টান। তারপরও জানালেন, তিনি প্রচারিত ক্বাছীদা শরীফসমূহ খুবই উপভোগ করছেন। (বলাবাহুল্য, তাঁর যোগাযোগের ভাষা ছিলো ইংরেজি। তিনি বাংলা ভাষা জানেন না।)
এদিকে সেই সময় ক্বছীদা শরীফ প্রচারের ধারাবাহিকতায় তখন প্রচারিত হচ্ছিলো শানে শাহযাদী ছানী ক্বিবলা আলাইহাস সালাম উনার ক্বাছীদা শরীফ। যার শিরোনাম- ‘কহি শাহযাদী ছানীর শান’ ক্বাছীদা শরীফখানা ওই নাইজেরিয়ান খ্রিস্টানের অন্তর প্রকম্পিত করলো। হযরত শাহযাদী ছানী আলাইহাস সালাম উনার অপূর্বাপর রূহানী ফয়েজ-তাওয়াজ্জুহর বদৌলতে উনার শানে লিখিত ক্বাছীদা শরীফ উনার তাজাল্লী আর হিদায়েতের নূরী বৃষ্টিতে ¯œাত অন্তরে তিনি এই ক্বছীদা শরীফখানা শ্রবণ করলেন। উনার হৃদয়ের গহীনে তখন সে কী ঝড় আলোড়ন আন্দোলন শিহরণ, উত্থান-পতন। যেনো গভীর সমুদ্রের মাঝে ভাসমান। মরণপণ সাধনা শুধু একটি ঠাঁইয়ের তরে। তিনি একজন খ্রিস্টান। তিনি একজন ত্রিত্ববাদ বিশ্বাসী। তিনি কায়িনাতের মূল যে নূরে মুজাসসাম, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম; যিনি আখিরী নবী এবং রসূল- উনাকে তখনও স্বীকার করেননি।
তিনি একজন নাইজেরিয়ান খ্রিস্টান। বাংলা ভাষা না জানাটাই স্বাভাবিক। অথচ এ পবিত্র ক্বাছীদা শরীফ শুনে কেনো তার হৃদয়ের সমুদ্র আজ উত্তাল? কেনো এভাবে উথাল-পাথাল করছে? ব্যাকুল হয়ে কী চাইছে? তিনি কিছুতেই শান্তি পাচ্ছেন না। অবশেষে সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলেন। তৎক্ষণাৎ অ্যাডমিনদের সাথে যোগাযোগ করে ক্বাছীদা শরীফখানা সম্পর্কে জানতে চাইলেন।
তাকে জানানো হলো, এটা নূরে মুবিনা, গুলে মদীনা, রুহামা-রাহনুমা, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, উম্মুল খয়ের, ক্বায়িম-মক্বামে উম্মে কুলসুম আলাইহাস সালাম, হাদীয়ে বাঙ্গাল, হাদীয়ে মাদানী, আওলাদে রসূল, বিনতু মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার শানে বাংলা একখানা ক্বাছীদা শরীফ। যার শিরোনাম ‘কহি শাহযাদী ছানীর শান’?
তিনি উচ্ছ্বসিত ভাষায় তার অনুভূতি ব্যক্ত করলেন। জানালেন তিনি পবিত্র দ্বীন ইসলাম কবুল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আবেদন করলেন, হযরত মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার সাথে কালিমা শরীফ পাঠ করে মুসলমান হবেন এবং উনার নিকট বাইয়াত গ্রহণ করবেন।
তখন মধ্যরাত অতিক্রান্ত প্রায়। সেটা হযরত মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার বাইয়াত করানোর নির্ধারিত সময় নয়। তাই অ্যাডমিনরা রেকর্ডকৃত বাইয়াত ও তওবা মুবারক তাৎক্ষণিকভাবে উনার উদ্দেশ্যে প্রচার করলেন। অতঃপর পরে তিনি সরাসরি হযরত মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার সাথে কালিমা শরীফ পাঠ করে পবিত্র দ্বীন ইসলাম গ্রহণ করেন এবং বাইয়াত হন। সুবহানাল্লাহ! এভাবে তিনি সুদূর নাইজেরিয়া থেকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে মুসলমান ও মুরীদ হওয়ার মর্যাদা ও সৌভাগ্য লাভ করেন। সুবহানাল্লাহ!
নারায়ে তাকবীর- আল্লাহু আকবার
নারায়ে রিসালত- রসূলুল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আকবর।
দ্বীন ইসলাম- জিন্দাবাদ
মুজাদ্দিদ আ’যম- জিন্দাবাদ
শাহযাদী ছানী- জিন্দাবাদ
ক্বাছীদা শরীফ- জিন্দা হোক আবাদুল আবাদ।
সেই নাইজেরিয়ান ব্যক্তি এভাবে পবিত্র দ্বীন ইসলাম ও বাইয়াত গ্রহণ করার দিনে বেমেছাল প্রশান্তি লাভ করলেন। কেবলমাত্র আওলাদে রসূল হযরত শাহযাদী ছানী আলাইহাস সালাম উনার শানে লিখিত একটি ক্বাছীদা শরীফই সেই খ্রিস্টান ব্যক্তিকে নিশ্চিত দোযখের বিশাল অগ্নিকু- চোখের পলকে পার করিয়ে জান্নাতের সদর দরজা পার করিয়ে আরো বহুদূর ভিতরে নিয়ে গেলো। তিনি মুসলমান হয়ে গেলেন। অথচ এটা বাংলা ভাষায় রচিত ক্বাছীদা শরীফ। আর তিনি স্বাভাবিকভাবেই বাংলা জানেন না। তাহলে এটা কীভাবে হলো?
মূলত, এমন হওয়াটাই স্বাভাবিক। কেননা ক্বাছীদা শরীফ উনার মূল প্রাণ হচ্ছেন তিনি যার শানে তা রচিত হয়েছে। উনার ফায়েজের বরকতেই মূলত ক্বাছীদা শরীফ শ্রবণকারীর মনে তাছীর করে থাকে। ভাষাশৈলী বা লেহানের ঝঙ্কারের দ্বারা নয়। এটাই গান-বাজনা থেকে ক্বছীদা শরীফ উনার স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য।
এ বিষয়টিই আরো একবার ছাবিত বা প্রমাণিত হয়েছে এই ঘটনায়। তবে এখানে ফিকিরের বিষয় হলো, যার শানে রচিত এই ক্বাছীদা শরীফ ‘কহি শাহযাদী ছানী উনার শান’ সেই হযরত শাহযাদী ছানী আলাইহাস সালাম তিনি কেমন গুণসম্পন্না হাদী? উনার মর্যাদা-কারামত, আফযালিয়াত কতোটুকু তা এই ঘটনা থেকে ফিকির করতে হবে।
পূর্বে বলা হয়েছে, এ ঘটনা কিঞ্চিৎ উদাহরণ মাত্র। আওলাদে রসূল হযরত শাহযাদী ছানী আলাইহাস সালাম তিনি হচ্ছেন ওয়ারাউল ওয়ারা, ওয়ারাউল ওয়ারা, ওয়ারাউল ওয়ারা। অর্থাৎ এর চেয়েও উপরে, এর চেয়েও উপরে এবং তার চেয়েও অনেক অনেক ঊর্ধ্বে উনার পবিত্র মাক্বাম। সুবহানাল্লাহ!
খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সবাইকে হযরত শাহযাদী ছানী বিনতু মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদে রসূল হযরত নিবরাসাতুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার মর্যাদা-মর্তবা তথা কারামত শরীফ বুঝার ও উপলব্ধি এবং হৃদয়াঙ্গম করার এবং মুহব্বত করার তাওফীক দান করুন। আমীন


-উম্মুল হায়া

আলআছদাকু, আলআত্বহারু, আলআত্বইয়াবু, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক শেষে সংক্ষেপে (সাঃ, দঃ) দুরূদ শরীফ লিখা প্রসঙ্গে

আওওয়ালু শাফিয়িন, আওওয়ালু মুশাফ্ফায়িন, আওওয়ালু মাঁইইয়ুর্হারিক হালক্বাল জান্নাতি হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ‘বিশ্বনেতা’, ‘মহামানব’, ‘মহাপুরুষ’, ইত্যাদি শব্দ দ্বারা সম্বোধন করা প্রসঙ্গে

ইমামুল মুরসালীনা, ইমামুন্ নাবিইয়ীনা, ইমামুল উম্মাতি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিতা আম্মা সাইয়্যিদাতুন্ নিসায়ি আলাল আলামীন হযরত আমিনা আলাইহাস্্ সালাম রচিত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ না’ত শরীফ প্রমাণ করে যে, তিনি ইলমে গইব-এর অধিকারিণী ছিলেন

আলবাশীরু, আলবালীগু, আলবাদরুল মুনীরু, হাবীবুল্লাহ্ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আহলিয়াগণ অর্থাৎ উম্মুল মু’মিনীন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুন্না উনাদের ফাযায়িল-ফযীলত ও পবিত্রতা

জালীলুল ক্বদরি, জামীলুয যিকরি, জাওয়ামিউল কালিমি, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উর্ধ্বতন পূর্বপুরুষ উনারা ছিলেন পবিত্র থেকে পবিত্রতম