পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ অর্থাৎ সম্মানিত শরীয়ত উনার আলোকে খাছ সুন্নতী বাল্যবিবাহ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া (পর্ব-৬)

সংখ্যা: ২৬৯তম সংখ্যা | বিভাগ: ,

৩৫তম ফতওয়া হিসেবে

“পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ অর্থাৎ সম্মানিত শরীয়ত উনার আলোকে খাছ সুন্নতী বাল্যবিবাহ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া” পেশ করতে পারায় মহান আল্লাহ পাক উনার পবিত্র দরবার শরীফ-এ শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি। আলহামদুলিল্লাহ।

 

খাছ সুন্নতী বাল্যবিবাহ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া দেয়ার কারণ

 

সুন্নতের পথিকৃত, হক্বের অতন্দ্র প্রহরী, দ্বীন ইসলাম উনার নির্ভীক সৈনিক, সারা জাহান থেকে কুফরী, শিরকী ও বিদ্য়াতের মূলোৎপাটনকারী, বাতিলের আতঙ্ক এবং আহ্লে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনাদের আক্বীদায় বিশ্বাসী একমাত্র দলীলভিত্তিক তাজদীদী মুখপত্র- “মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ” পত্রিকায় এ যাবৎ যত লেখা বা ফতওয়াই প্রকাশ বা পত্রস্থ হয়েছে এবং ইনশাআল্লাহ হবে তার প্রতিটিরই উদ্দেশ্য বা মাকছূদ এক ও অভিন্ন। অর্থাৎ “মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ” উনার মধ্যে এমনসব লেখাই পত্রস্থ হয়, যা মানুষের আক্বীদা ও আমলসমূহ পরিশুদ্ধ ও হিফাযতকরণে বিশেষ সহায়ক।

বর্তমানে ইহুদীদের এজেন্ট হিসেবে মুসলমানদের ঈমান আমলের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করছে যারা, তারা হলো “উলামায়ে সূ”। ইহুদীদের এজেন্ট উলামায়ে ‘সূ’রা হারাম টিভি চ্যানেল, পত্র-পত্রিকা, কিতাবাদি ও বক্তব্য বা বিবৃতির মাধ্যমে খাছ সুন্নতী বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে বলছে। অর্থাৎ তাদের বক্তব্য হচ্ছে সম্মানিত শরীয়ত উনার মধ্য বাল্য বিবাহকে স্বীকৃতি দেয়া হয়নি। তাই বাল্য বিবাহ করা বা দেয়া যাবে না। নাউযুবিল্লাহ!

অথচ তাদের উপরোক্ত বক্তব্য সম্পূর্ণ মিথ্যা, চরম বিভ্রান্তিকর ও কুফরীমূলক। তাদের এসব বক্তব্যের কারণে তারা নিজেরা যেরূপ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তদ্রুপ তাদের উক্ত কুফরীমূলক বক্তব্য ও বদ্ আমলের কারণে সাধারণ মুসলমানগণ ই’তিক্বাদী বা আক্বীদাগত ও আ’মালী বা আমলগত উভয় দিক থেকেই বিরাট ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে এবং হবে। নাউযুবিল্লাহ!

কারণ, তাদের উক্ত বক্তব্যের কারণে যারা এ আক্বীদা পোষণ করবে যে, সম্মানিত শরীয়ত উনার মধ্যে বাল্যবিবাহকে স্বীকৃতি দেয়া হয়নি। তাই বাল্যবিবাহ করা বা দেয়া যাবে না। নাউযুবিল্লাহ! নাউযুবিল্লাহ! নাউযুবিল্লাহ! তারা ঈমানহারা হয়ে কাট্টা কাফির ও চির জাহান্নামী হবে। কারণ বাল্য বিবাহ শুধু জায়িযই নয় বরং খাছ সুন্নত উনার অন্তর্ভুক্ত। আর সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে হালাল বা জায়িয বিষয়কে হারাম বা নাজায়িয বলা এবং হারাম বা নাজায়িযকে হালাল বা জায়িয বলা কুফরী। কেননা কিতাবে স্পষ্টই উল্লেখ আছে যে-

اِسْتِحْلَالُ الْـمَعْصِيَةِ كُفْرٌ.

অর্থাৎ “গুনাহের কাজ বা হারামকে হালাল মনে করা কুফরী।” (শরহে আক্বাইদে নাসাফী শরীফ)

অতএব, বলার আর অপেক্ষাই রাখেনা যে, উলামায়ে “সূ”দের উক্ত বক্তব্য সাধারণ মুসলমান উনাদের আক্বীদা বা ঈমানের জন্য বিশেষভাবে হুমকিস্বরূপ।

উল্লেখ্য, বাল্যবিবাহ করতে বা দিতে হবে এরূপ বাধ্যবাধকতা সম্মানিত শরীয়ত উনার মধ্যে নেই। কারণ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শরীয়ত বিবাহের বয়স নির্দিষ্ট করে দেয়নি। তবে বাল্যবিবাহ যেহেতু সম্মানিত শরীয়ত উনার মধ্যে জায়িয ও সুন্নত তাই বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে বলা যাবে না। বললে কুফরী হবে, ঈমান নষ্ট হবে। নাউযুবিল্লাহ!

অনুরূপ উলামায়ে “সূ”দের এ কুফরীমূলক বক্তব্য মুসলমানদের আমলের ক্ষেত্রেও বিশেষ ক্ষতির কারণ। কেননা যারা তাদের উক্ত বক্তব্যের কারণে প্রয়োজন থাকা স্বত্বেও বাল্যবিবাহ থেকে বিরত থাকবে তারা একটি খাছ সুন্নত পালন করা থেকে বঞ্চিত হওয়ার পাশাপাশি অশ্লীল, অশালীন, অসামাজিক কাজে মশগুল হতে পারে। নাউযুবিল্লাহ!

কাজেই, যারা এ ধরনের কুফরী আক্বীদায় বিশ্বাসী ও কুফরী বক্তব্য প্রদানকারী তারা ও হক্ব সমঝদার মুসলমানগণ তারা তাদের ঈমান ও আমলকে যেন হিফাযত করতে পারে অর্থাৎ সকল বিষয়ে সম্মানিত আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনাদের আক্বীদা অনুযায়ী আক্বীদা পোষণ করতে পারে এবং পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ মোতাবেক আমল করে মহান আল্লাহ পাক উনার রিযামন্দি হাছিল করতে পারে সে জন্যেই “পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ অর্থাৎ সম্মানিত শরীয়ত উনার আলোকে খাছ সুন্নতী বাল্যবিবাহ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কিত ফতওয়াটি” প্রকাশ করা হলো।

 

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি স্বয়ং নিজেই বাল্যবিবাহ করেছেন যা অসংখ্য পবিত্র ছহীহ হাদীছ শরীফ উনাদের দ্বারাই অকাট্যভাবে প্রমাণিত

 

 

সম্মানিত শরীয়ত উনার দ্বিতীয় দলীল পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার অনেক ছহীহ বা বিশুদ্ধ বর্ণনা দ্বারাও বাল্যবিবাহ শুধু জায়িয বা বৈধই প্রমাণিত হয় না বরং খাছ সুন্নত বলেও প্রমাণিত হয়। সুবহানাল্লাহ!

কেননা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি স্বয়ং নিজেই পবিত্র বাল্যবিবাহ মুবারক করেছেন। সুবহানাল্লাহ! যা ছিহাহ সিত্তাহসহ প্রায় সকল পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার কিতাবসমূহে উল্লেখ রয়েছে। যেমন-

বিখ্যাত ও মশহূর কিতাব “আতত্ববাক্বাতুল কুবরা লি ইবনে সা’দ” উনার ৮ম জিলদ ৫৮ ও ৫৯ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে-

(৮৫)

عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عَبَّاسٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ خَطَبَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِلٰى اَبِىْ بَكْرٍ الصِّدِّيْقِ عَلَيْهِ السَّلَامُ حَضْرَتِ الصِّدِّيْقَةَ عَلَيْهَا السَّلَامُ فَقَالَ حَضْرَتْ اَبُوْ بَكْرٍ الصِّدِّيْقِ عَلَيْهِ السَّلَامُ يَا رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ كُنْتُ وَعَدْتُّ بِـهَا أَوْ ذَكَرْتُـهَا لِمُطْعِمِ بْنِ عَدِىِّ بْنِ نَوْفِلِ بْنِ عَبْدِ مَنَافٍ لِاِبْنِهٖ جُبَيْرٍ فَدَعٰنِىْ حَتّٰى اَسَلَّهَا مِنْهُمْ فَفَعَلَ ثُـمَّ تَزَوَّجَهَا رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَكَانَتْ بِكْرًا.

অর্থ: হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার ব্যাপারে হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার নিকট প্রস্তাব পেশ করেন। তখন হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার ব্যাপারে মুতয়িম ইবনে আদ্দী ইবনে নাওফেল ইবনে আবদে মানাফ উনার ছেলে যোবায়েরের সাথে ওয়াদাবদ্ধ। অতঃপর আমাকে ডেকে তাদের পক্ষ থেকেই তারা বিবাহের প্রস্তাব ফিরিয়ে নেয়। এর পর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনাকে আক্বদ মুবারক করেন। আর তখন হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম তিনি ছিলেন ছোট অর্থাৎ বালিকা।

(৮৬)

عَنْ عُمْرَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمٰنِ بْنِ سَعْدِ بْنِ زُرَارَةَ قَالَتْ سَـمِعْتُ حَضْرَتِ الصِّدِّيْقَةَ عَلَيْهَا السَّلَامُ تَقُوْلُ تَزَوَّجَنِىْ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِىْ شَوَّالٍ سَنَةَ عَشَرَ مِنَ النُّبُوَّةِ قَبْلَ الْـهِجْرَةِ لِثَلَاثِ سِنِيْنَ وَأَنَا ابْنَةُ سِتِّ سِنِيْنَ وَهَاجَرَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَدِيـْمَ الْـمَدِيْنَةِ يَوْمَ الْاِثْنَيْنِ اَعْرَسَ بِىْ فِىْ شَوَّالٍ عَلٰى رَأْسِ ثَـمَانِيَةَ اَشْهُرٍ مِّنَ الْـمُهَاجِرِ كُنْتُ يَوْمَ دَخَلَ بِـىْ اِبْنَةَ تِسْعِ سِنِيْنَ.

অর্থ: হযরত উমরাতা বিনতে আব্দুর রহমান উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনাকে বলতে শুনেছি তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাকে আক্বদ মুবারক করেন, আনুষ্ঠানিক নুবুওওয়াত প্রকাশ উনার দশম বছরে সম্মানিত হিজরত উনার তিন বছর পূর্বে। তখন আমার দুনিয়াবী বয়স মুবারক ছিলেন ৬ বছর। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হিজরত মুবারক করে পবিত্র মদীনা শরীফ তাশরীফ মুবারক আনেন পবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার ১২ তারিখ ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ। সম্মানিত হিজরত উনার ৮ মাসের মাথায় পবিত্র শাওওয়াল শরীফ মাসে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাকে নিসবাতুল আযীম মুবারক করেন। অর্থাৎ আমি পবিত্র হুজরা শরীফ উনার মাঝে তাশরীফ মুবারক রাখি। আর তখন আমার দুনিয়াবী বয়স মুবারক ছিলেন ৯ বছর।

(৮৭)

عن حَضْرَتْ اُمِّ الْـمُؤْمِنِيْنَ الصِّدِّيْقَةِ عَلَيْهَا السَّلَامُ قَالَتْ تَزَوَّجَنِىْ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَاِنِّـىْ لَاَلْعَبُ مَعَ الْـجِوَارِىْ فَمَا دَرَيْتُ اَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَزَوَّجَنِىْ حَتّٰى اَخَذَتْنِىْ اُمِّىْ فَجَسَّتْنِىْ فِى الْبَيْتِ عَنِ الْـخُرُوْجِ فَوَقَعَ فِىْ نَفْسِىْ اَنِّـىْ تَزَوَّجْتُ فَمَا سَأَلْتُهَا حَتّٰى كَانَتْ أُمِّىْ هِىَ الَّتِىْ أَخْبَـرَتْنِىْ.

অর্থ: উম্মুল মু’মিনীন হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, “নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক  ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে আমার যখন পবিত্র আক্বদ মুবারক সম্পন্ন হয় তখন আমি আমার বান্ধবীদের সাথে খুশিতে মশগুল ছিলাম। অর্থাৎ খুব ছোট ছিলাম। তখন আমার আক্বদ মুবারক উনার বিষয়ে কোনো ধারণাই ছিল না। যখন আমার সম্মানিতা মাতা তিনি আমাকে বাইরে যাওয়ার ব্যাপারে বাধা প্রদান করলেন, তখন আমি বুঝতে পারলাম যে, আমার পবিত্র আক্বদ মুবারক হয়েছে। তাছাড়া আমার সম্মানিতা মাতা তিনি আমাকে এ বিষয়ে খুব ভালভাবে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন।

বিশেষ দ্রষ্টব্য: কেউ কেউ উল্লিখিত পবিত্র হাদীছ শরীফ ও অন্যান্য পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের মধ্যে اَلْعَبُ শব্দের অর্থ করে থাকে “আমি খেলাধুলা  করছিলাম।” নাউযুবিল্লাহ!

মূলতঃ তাদের এ অর্থ সম্পূর্ণই ভুল। কারণ সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে খেলাধুলা সম্পূর্ণরূপে হারাম। কেননা হাদীছ শরীফ উনার ছহীহ কিতাব ‘মুস্তাদরিক লিল হাকিম” সহ অনেক কিতাবেই পবিত্র হাদীছ শরীফ বর্ণিত হয়েছে যে-

كُلُّ لَعِبٍ حَرَامٌ

অর্থাৎ: সর্বপ্রকার খেলাধুলাই হারাম।

যদি তাই হয়ে থাকে, তবে উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছা ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার শান মুবারকে খেলাধুলা অর্থ গ্রহণ করা কিভাবে জায়িয হতে পারে? তবে কি তিনি হারাম কাজ করেছেন? নাউযুবিল্লাহ!

তাই اَلْعَبُ শব্দের সঠিক অর্থ হচ্ছে “আমি খুশি প্রকাশ করছিলাম।” সুবহানাল্লাহ!

তাছাড়া পবিত্র হাদীছ শরীফে اَلْعَبُ শব্দ ব্যবহার করার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে এটা বুঝানো যে, উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাস সালাম তিনি তখন খুব ছোট বা অল্প বয়স্কা ছিলেন।

(৮৮)

عَنْ حَضْرَتْ اُمِّ الْـمُؤْمِنِيْنَ الثَّالِثَةِ الصِّدِّيْقَةِ عَلَيْهَا السَّلَامُ قَالَتْ تَزَوَّجَنِىْ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَاَنَا بِنْتُ سِتِّ سِنِيْنَ وَدَخَلَ عَلَىَّ وَاَنَا بِنْتُ تِسْعِ سِنِيْنَ

অর্থ: হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছছালিছাহ ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে আমার আক্বদ মুবারক সম্পন্ন হয় ৬ বছর বয়স মুবারকে। আর আমি উনার পবিত্র হুজরা শরীফে তাশরীফ মুবারক নেই ৯ বছর বয়স মুবারকে।

(৮৯)

عَنْ حَضْرَتْ عَطِيَّةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهَا قَالَتْ خَطَبَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اُمَّ الْـمُؤْمِنِيْنَ الصِّدِّيْقَةَ عَلَيْهَا السَّلَامُ بِنْتَ اَبِـىْ بَكْرٍ عَلَيْهِ السَّلَامُ وَهِىَ صَبِيَّةٌ.

অর্থ: হযরত আতিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পক্ষ থেকে হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার নিকট উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার ব্যাপারে প্রস্তাব দেয়া হয়, তখন হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম তিনি বালিকা ছিলেন।  (পরবর্তী সংখ্যার অপেক্ষায় থাকুন)