পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের আলোকে- ইসলামী আক্বীদা এবং উনার গুরুত্ব, প্রয়োজনীয়তা ও আহকাম-১০

সংখ্যা: ২২০তম সংখ্যা | বিভাগ:

“ইসলামী আক্বীদা এবং উনার গুরুত্ব, প্রয়োজনীয়তা ও আহকাম” সম্পর্কিত ওয়াজ শরীফ বিগত ১৪২তম সংখ্যা থেকে শুরু হয়ে ১৫০তম সংখ্যা পর্যন্ত প্রকাশ করে অসমাপ্ত রাখা হয়েছিল। এ সংখ্যা থেকে বাকি অংশ ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করা হবে ইনশাআল্লাহ।
একজন মুসলমান নর এবং নারী যদি খালিছ মুসলমান থাকতে চায়, ঈমানদার থাকতে চায়, মু’মিন হতে চায় তাহলে অবশ্যই তাকে আক্বীদা বিশুদ্ধ করতে হবে। আক্বীদা বিশুদ্ধ করা হচ্ছে ফরয। যার আক্বীদা শুদ্ধ নেই সে মু’মিন মুসলমান হিসেবে সাব্যস্ত হবে না। এজন্য মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
يايها الذين امنوا امنوا بالله ورسوله والكتاب الذى نزل على رسوله والكتاب الذى انزل من قبل ومن يكفر بالله وملئكته وكتبه ورسله واليوم الاخر فقد ضل ضللا بعيدا.
মহান আল্লাহ পাক তিনি এখানে ইরশাদ মুবারক করেন-
يايها الذين امنوا امنوا
মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন, হে ঈমানদারগণ! তোমরা ঈমান আনো
بالله ورسوله والكتاب الذى نزل على رسوله والكتب الذى انزل من قبل
মহান আল্লাহ পাক উনার প্রতি এবং উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি এবং উনার প্রতি যা নাযিল হয়েছে- অর্থাৎ পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ বা পবিত্র কুরআন শরীফ এবং পূর্ববর্তী হযরত রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের প্রতি এবং যেই পবিত্র কিতাব নাযিল হয়েছে উনাদের প্রতিও। এরপর মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজেই বলেন-
ومن يكفر بالله وملئكته وكتبه ورسله واليوم الاخر
যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনাকে অস্বীকার করলো, হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে অস্বীকার করলো, কিতাবসমূহ অস্বীকার করলো, হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে অস্বীকার করলো এবং পরকালকে অস্বীকার করলো, মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন-
فقد ضل ضللا بعيدا
সে সুদূর গোমরাহে গোমরাহ, বিভ্রান্তিতে সে বিভ্রান্ত।
এরপর মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
ان الذين امنوا ثم كفروا ثم امنوا ثم كفروا ثم ازدادوا كفرا لـم يكن الله ليغفرلهم ولا ليهديهم سبيلا. بشر الـمنفقين بان لهم عذابا اليما.
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
ان الذين امنوا ثـم كفروا
নিশ্চয়ই যারা ঈমান এনেছে এবং কুফরী করেছে
ثم امنوا ثـم كفروا
আবার ঈমান এনেছে অতঃপর আবার কুফরী করেছে
ثم ازدادوا كفرا
এরপর কুফরী বৃদ্ধি করলো, এরমধ্যে দৃঢ়চিত্ত হয়ে গেলো
لـم يكن الله ليغفرلهم ولا ليهديهم سبيلا
মহান আল্লাহ পাক তিনি এদেরকে ক্ষমা করবেন না এবং এদেরকে সৎপথও দেখাবেন না। অর্থাৎ এরা ক্ষমা ও সৎপথ পাওয়ার অযোগ্য হয়ে গেছে।
بشر الـمنفقين بان لـهم عذابا اليما
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! এরা হচ্ছে মুনাফিক। এদেরকে জাহান্নামের সংবাদ দান করুন। এদের জন্য কঠিন শাস্তি রয়েছে। মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজেই এ আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ঈমানের বিষয়টি, আক্বায়িদের বিষয়টি উল্লেখ করেছেন।
হে ঈমানদারগণ! তোমরা ঈমান আনো অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক তিনি যে সমস্ত বিষয়গুলোর প্রতি ঈমান আনতে বলেছেন এর থেকে ফিরে যেয়োনা। আর যারা ঈমান আনার পরে কুফরী করবে হয়তো তারা আবার ছূরতান ঈমান আনবে কিন্তু হাক্বীক্বতান তারা কুফরী করবে এবং পর্যায়ক্রমে তারা কুফরীর মধ্যে দৃঢ়চিত্ত হয়ে যাবে। এরা কস্মিনকালেও ক্ষমাও পাবে না, হিদায়াতও লাভ করবে না। এরা মুনাফিক হিসেবে সাব্যস্ত হবে। এদের জন্য কঠিন শাস্তি রয়েছে পরকালে। সেটাই পবিত্র হাদীছে জিবরীল উনার মধ্যে বলা হয়েছে, ‘মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের মাধ্যম দিয়ে পরবর্তী উম্মতদেরকে তা’লীম দেয়ার জন্য হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম উনাকে মাঝে মাঝে পাঠাতেন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছ থেকে মাসয়ালা জিজ্ঞাসা করে জানার জন্য অত্যন্ত আদব ও শরাফতের সাথে। তার মধ্যে একখানা পবিত্র হাদীছ শরীফ যা পবিত্র হাদীছে জিবরীল আলাইহিস সালাম নামে মশহূর। উক্ত পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে রয়েছে যে, হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম তিনি জানতে চাইলেন-
فاخبرنى عن الايـمان
হে মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমাকে ঈমান সম্পর্কে সংবাদ দান করুন
قال ان تؤمن بالله وملائكته وكتبه ورسله واليوم الاخر وتؤمن بالقدر خيره وشره
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, মহান আল্লাহ পাক উনার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা, হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের প্রতি, কিতাবসমূহের প্রতি এবং হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের প্রতি, পরকালের প্রতি এবং তাক্বদীরের ভালো-মন্দের প্রতি। তাক্বদীরের ভালো-মন্দ যে হয়ে থাকে সেটার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করতে হবে। ঈমানে মুফাছছালে যে বিষয়টা রয়েছে, যেটা আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনাদের আক্বীদা। কোন কোন বিষয়গুলোর প্রতি ঈমান আনতে হবে, ঈমানে মুফাছছালের মধ্যে সেটা স্পষ্ট করে বলে দেয়া হয়েছে। সাতটা বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে-
امنت بالله وملائكته وكتبه ورسله واليوم الاخر والقدر خيره وشره من الله تعالى والبعث بعد الـموت
মহান আল্লাহ পাক উনার প্রতি, হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদের প্রতি, কিতাবসমূহ উনাদের প্রতি এবং হযরত রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের প্রতি, পরকালের প্রতি, তাক্বদীরের ভালো-মন্দ এবং পুনরুত্থান এর প্রতি ঈমান আনতে হবে।
এখন এই ঈমান আনার যে বিষয়টা; এটা অত্যন্ত সূক্ষ্ম বিষয়। এখন আখিরী যামানা, কঠিন অবস্থা, কঠিন পরিস্থিতি। ঈমান যদি কারো এদিক সেদিক হয়ে যায় তাহলে সে তার অজান্তেই কাফির বা মুনাফিক হিসেবে সাব্যস্ত হয়ে যাবে। তার ইহকাল পরকাল বরবাদ হয়ে যাবে। এজন্য আক্বায়িদের বিষয়টা খুবই স্ক্ষ্মূ বিষয়। আক্বায়িদ- দু’প্রকার।
১. আক্বায়িদে যাহিরাহ, ২. আক্বায়িদে বাতিনাহ অর্থাৎ যাহিরী আক্বীদা যেটা যবানের সাথে সম্পর্কযুক্ত। আর বাতিনী আক্বীদা যেটা অন্তরের সাথে সম্পর্কযুক্ত। যবানের দ্বারা যে তার আক্বীদার বিশুদ্ধতা প্রকাশ করলো, কিন্তু সে অন্তরে সেটা মানলো না, সে মুনাফিক হয়ে যাবে। কাজেই, যবান এবং অন্তর উভয়ের মধ্যে তাকে আক্বীদা বিশুদ্ধ করতে হবে। আর ঈমানের বিষয়টা যে বলা হয়েছে, কিতাবে বর্ণিত রয়েছে, ঈমান কি?
الايـمان التصديق بالجنان بـما جاء به النبى صلى الله عليه وسلم من عند الله والاقرار باللسان والعمل بالاركان.
(অসমাপ্ত)

খলীফাতুল্লাহ্, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আওলিয়া, সুলত্বানুল ওয়ায়িজীন, গউছে আ’যম, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-উনার ওয়াজ শরীফ কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ-এর আলোকে ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা ফরয-৪৫

খলীফাতুল্লাহ্, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আওলিয়া, সুলত্বানুল ওয়ায়িজীন, গউছে আ’যম, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-উনার ওয়াজ শরীফ কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ-এর আলোকে ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা ফরয-৪৬

খলীফাতুল্লাহ্, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আওলিয়া, সুলত্বানুল ওয়ায়িজীন, গউছে আ’যম, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-উনার ওয়াজ শরীফ কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ-এর আলোকে ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা ফরয-৪৭

খলীফাতুল্লাহ্, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আওলিয়া, সুলত্বানুল ওয়ায়িজীন, গউছে আ’যম, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-উনার ওয়াজ শরীফ কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ-এর আলোকে ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা ফরয-৪৮

খলীফাতুল্লাহ্, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হুজ্জাতুল ইসলাম, সাইয়্যিদুল আওলিয়া, সুলত্বানুল ওয়ায়িজীন, গউছে আ’যম, ছাহিবু সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-উনার ওয়াজ শরীফ কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ-এর আলোকে সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, উম্মু আবীহা হযরত ফাতিমাতুয যাহরা আলাইহাস সালাম উনার ফাযায়িল-ফযীলত, বুযুর্গী-সম্মান, খুছূছিয়ত-বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে