বিশ্বব্যাংক-আইএমএফের কালো থাবা বাংলাদেশের অর্থনীতির উপর। ঋণের শর্ত আরো কঠিন করলো বিশ্বব্যাংক। অর্থনীতির গতি কমানোই ওদের উদ্দেশ্য! ওদেরকে বাদ দিয়েই চলতে হবে এবং নিশ্চিত করতে হবে অর্থনৈতিক স্বাধীনতা

সংখ্যা: ২৪১তম সংখ্যা | বিভাগ:

বিশ্বব্যাংক-আইএমএফের কালো থাবা বাংলাদেশের অর্থনীতির উপর।

ঋণের শর্ত আরো কঠিন করলো বিশ্বব্যাংক। অর্থনীতির গতি কমানোই ওদের উদ্দেশ্য!

ওদেরকে বাদ দিয়েই চলতে হবে এবং নিশ্চিত করতে হবে অর্থনৈতিক স্বাধীনতা


বাংলাদেশের জন্য ঋণের শর্ত আরো কঠিন করেছে বিশ্বব্যাংক। জানা গেছে, গ্রেস পিরিয়ড-পরবর্তী ১০ বছরে বার্ষিক ২ শতাংশের পরিবর্তে ৩ দশমিক ১২৫ শতাংশ হারে ঋণ পরিশোধ করতে হবে। গ্রেস পিরিয়ডও ১০ বছর থেকে ছয় বছরে নামিয়ে আনা হয়েছে। সন্দেহ নেই, এতে আগামী অর্থবছর থেকে বাজেটে বৈদেশিক অর্থ পরিশোধের চাপ বাড়বে।

বর্তমানে বিশ্বব্যাংকের তথাকথিত সহযোগিতায় ৫০০ কোটি ডলারের ৩১টি প্রকল্প বাংলাদেশে বাস্তবায়নাধীন। এর আগে আরেক ঋণদাতা সংস্থা এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) বাংলাদেশকে দুই ধরনের ঋণের অন্তর্ভুক্ত করেছে। আইএমএফও ঋণের শর্ত পরিবর্তন করেছে।

প্রসঙ্গত আরো উল্লেখ্য, দুটি আলাদা প্রতিষ্ঠান হলেও আইএমএফের অর্থনৈতিক নীতিই অনুসরণ করে বিশ্বব্যাংক। যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনে এ দুটি সংস্থার প্রধান কার্যালয় রাস্তার এপার-ওপার। দুই সংস্থার বোর্ড একত্রে বসে সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ব অর্থনীতিতে তাদের ভূমিকা কী হবে। ইংরেজিতে একটি কথা আছে: ‘ওয়ান-সাইজ-ফিটস-অল’ অর্থাৎ একই জামা সবার গায়ে চড়ানো। এটিই আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (ইন্টারন্যাশনাল মনিটারি ফান্ড বা আইএমএফ) নীতি। ঋণগ্রহীতা দেশটি ইউরোপের ধনী (এককালের!) দেশ হোক, দক্ষিণ আমেরিকার সন্ধিক্ষণের উন্নয়নশীল কোনো অর্থনীতি হোক, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার উদীয়মান বাঘ হোক অথবা বাংলাদেশের মতো সোনালি সম্ভাবনার দেশ হোক- আইএমএফের নীতি একই। আর সেটা হলো, সংশ্লিষ্ট দেশটির অর্থনীতিকে সঙ্কুচিত করা বা এর গতি কমানো। মূল্যস্ফীতির জুজু সংস্থাটির প্রধান অস্ত্র। এটি কমানোর কথা বলে সংস্থাটি এমন এমন শর্ত চাপিয়ে দেয়, যা মানতে গিয়ে জনজীবনে নেমে আসে দুর্ভোগ, জনপ্রিয়তা হারায় ক্ষমতাসীন সরকার।

আরো জানা যায়, অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে আইএমএফের যেটুকু ঋণ পাওয়া যায় তা চলে যায় বিদেশী দায় মেটাতেই। যা থাকে তা হলো নতুন ঋণ, যা পুরনো ঋণের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ‘বোঝার উপর শাকের আঁটির মতো’ অর্থনীতিতে চেপে থাকে। বাংলাদেশের মতো দেশগুলোতে যেখানে সরকারি ব্যয় এমনিতেই কম, যেখানে কর্মসংস্থান ও উচ্চ প্রবৃদ্ধির জন্য অবকাঠামো নির্মাণে দরকার সরকারি-বেসরকারি বিপুল বিনিয়োগ, সেখানে আইএমএফের ক্রমাগত চাপ থাকে ব্যয়ের লাগাম টেনে ধরা, যা অর্থনীতির গতিও কমিয়ে দেয়।

১৯৮২ সালে দায়ে পড়ে আইএমএফের ঋণ নিয়েছিল মেক্সিকো। সেই ঋণ তিনগুণ হয়ে ১৯৯৪ সালে দাঁড়ায় ৫০ বিলিয়ন ডলার, যার জন্য সঙ্কট উত্তরণ (নধরষড়ঁঃ) সহায়তা নিতে হয়েছিল এ দেশটিকে। একই পরিণতি ভোগ করতে হয়েছে আর্জেন্টিনা, ব্রাজিলকেও। ঋণমুক্ত হওয়ার জন্য আইএমএফের অর্থ নিয়েছিল, পরে ঋণে আকণ্ঠ নিমজ্জিত হয়ে সেই জাল ছিন্ন করলো দেশগুলোর বলিষ্ঠ নেতৃত্ব।

২০০৬ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত আইএমএফের নতুন ঋণ প্রকল্প ছাড়াই চলেছিল বাংলাদেশের অর্থনীতি। তখন মূল্যস্ফীতি, বাজেট ঘাটতিও কম ছিল, জিডিপি প্রবৃদ্ধিও অব্যাহত ছিল। ১৯৯৯ থেকে ২০০৩ সালের মধ্যে পোভার্টি রিডাকশন অ্যান্ড গ্রোথ ফ্যাসিলিটি (পিআরজিএফ) কর্মসূচির আওতায় ৬২ কোটি ডলার ঋণের প্রতিশ্রুতি দেয় আইএমএফ। এর শর্ত হিসেবে ভাসমান মুদ্রা বিনিময় হার, বৈদেশিক মুদ্রা বাজার নিয়ন্ত্রণমুক্ত করা, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের ১২৫টি শাখা কমানো, রূপালী ব্যাংক বিক্রি করা, সোনালী, জনতা, অগ্রণীকে কম্পানি করে ব্যক্তি খাতে ছেড়ে দেয়ার পথ তৈরি করার মতো কাজগুলো করিয়ে নেয়। এরপরও ৪৯ কোটি ডলারের বেশি হাতে পায়নি বাংলাদেশ।

ঋণদাতা সংস্থার শর্ত মানতে গিয়ে বাংলাদেশকে নতুন করে শর্তের যাঁতাকলে নিষ্পেষিত হতে হয়। সংস্কারসহ প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য নানামুখী শর্ত মেনে নিতে হয়। এই শর্তের চাপ গিয়ে পড়ে ভোক্তা পর্যায়ে, সাধারণ মানুষের উপর। এখন যেমন ভর্তুকি প্রত্যাহারের চাপ সইতে হচ্ছে ভোক্তাদের।

আইএমএফ কিংবা বিশ্বব্যাংককে যতই আন্তর্জাতিক ঋণদাতা সংস্থা বলা হোক না কেন, আসলে দুটি সংস্থাই নিজেদের তহবিল বৃদ্ধির জন্য সুদের ব্যবসা করে। এই সুদী ব্যবসা করতে গিয়ে দরিদ্রতর দেশগুলোকে উন্নয়নের ফাঁদে ফেলা হয়। শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা বিশ্বেই আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের এই ফাঁদ পাতা আছে। তাদের ‘ইকোনমিক হিটম্যান’ ছড়ানো আছে বিশ্বজুড়ে। যেকোনো দেশে কেমন করে ঋণ দেয়া হবে বা সেই দেশকে কেমন করে ঋণের ফাঁদে ফেলা হবে, তার ছক আগে থেকেই তৈরি করা থাকে। দেশভেদে ছক বদলে দেয়া হয়। এক গবেষণা প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে বিশ্বব্যাংকেরই সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ নোবেলপ্রাপ্ত জোসেফ ই স্টিগলিজের উদ্ধৃতি। সে বলেছে, আইএমএফের অর্থনীতিবিদদের সব কিছুই গোপন। তারা চায় না বহিরাগতরা তাদের কাজ নিয়ে কিছু বলুক। বাইরে তারা খোলামেলা নীতির কথা বললেও নিজেরা দরকষাকষি করে গোপনে। কোনো একটি দেশে গিয়ে পাঁচতারা হোটেলে থেকে কয়েক দিন বা সপ্তাহের মধ্যেই সে দেশের জন্য তারা একটি কর্মসূচি তৈরি করে ফেলে, যা ওই দেশের মৌলিক চাহিদা বা আর্থসামাজিক বাস্তবতার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। কোনো দেশভিত্তিক আইএমএফ টিম আগে থেকেই কর্মসূচির খসড়া তৈরি করে রেখেছে কিংবা এক দেশের প্রোগ্রাম হুবহু অন্য দেশের জন্য চালিয়ে দিয়েছে- এমন নজিরও আছে।

বিশ্বব্যাংক বা আইএমএফের ঋণের জালে জড়িয়ে দেশের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা বিপন্ন হওয়ার উদাহরণ যেমন আছে, তেমনি এ দুই সংস্থার জাল ছিঁড়ে বেরিয়ে আসার উদাহরণও আছে।

মূলত, ইহুদী লবিং নিয়ন্ত্রিত বিশ্বব্যাংক মুসলমানদের জন্য কল্যাণকামী নয়। পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “মুসলমানদের জন্য সবচেয়ে বড় শত্রু ইহুদী।” ইহুদীদের প্রটোকলে রয়েছে, “তারা অর্থ এবং প্রচারমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করে মুসলিম দেশগুলোকে হাতের মুঠোয় রাখবে।”

সমস্যার বেড়াজালের মূলেও তারা। আবার পরামর্শক রূপেও তারা। সাপ হয়ে কামড়ানো আর ওঝা হয়ে ঝাড়ার কায়দায় মুসলিম দেশগুলোকে শোষণ ও নিয়ন্ত্রণ করার প্রক্রিয়ায় তারা খুব পারদর্শী।

উল্লেখ্য, ইহুদী ষড়যন্ত্র সম্পর্কে আজকের নামধারী আলিম সমাজ এ জাতিকে কোনোই সচেতনতা ও সমঝ দিতে পারেনি।

কেবলমাত্র যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনিই এ উম্মাহকে ইহুদীদের ষড়যন্ত্র সম্পর্কে ওয়াকিফহাল করছেন। তাদের মাঝে চেতনা জাগ্রত করছেন। উম্মাহকে ঈমানী জজবায় কামিল হওয়ার জন্য ফয়েজ-তাওয়াজ্জুহ মুবারক দিচ্ছেন। কাজেই সবার জন্যই ফরয-ওয়াজিব উনার নেক ছোহবতে আসা। মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে সবাইকে কবুল করুন। (আমীন)


-আল্লামা মুহম্মদ আরিফুল্লাহ

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৬৫

ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদ প্রচারের নেপথ্যে-১৪ -আল্লামা আবুল বাশার মুহম্মদ রুহুল হাসান

চাঁদ দেখা ও নতুন চন্দ্রতারিখ নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা-৩৩ -আল্লামা আবুল বাশার মুহম্মদ রুহুল হাসান

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-২৩ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস ওহাবী ফিরক্বাসহ সবগুলো বাতিল ফিরক্বা ইহুদী-নাছারাদের আবিষ্কার! তাদের এক নম্বর দালাল

সমাজতন্ত্রের ঝাণ্ডা পরিত্যাগ করে ‘প্রথম আলো’ সম্পাদক মতিউর এখন পুঁজিবাদের বেনিফেসিয়ারী নিজেকে বদলে ফেলার কারণে এখন অন্যকেও বদলানোর নছীহত খয়রাত করেছেন কিন্তু সমাজতন্ত্র আর পুঁজিবাদ যেমন একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ; তেমনি ‘প্রথম আলো’র বদলানোর আহ্বানও এক অনাচার থেকে আর এক অনাদর্শের দিকে। চরিত্রহীন, আদর্শহীন, ধর্মহীন- মতি মিয়ার যোগ্যতা কোথায়? ‘বদলানোর রূপকার’ তথা ‘সংস্কারক’ সাজার।বরং এ আহ্বান ফেরি করে মতি মিয়া যে নতুন পুরস্কার বাণিজ্যের ধান্ধায় রয়েছেন তা বলতে গেলেই সবাই বুঝতে পারছেন