মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ, সম্মানিত ইজমা শরীফ এবং সম্মানিত ক্বিয়াস শরীফ উনাদের আলোকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক উনার ও উনার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে এবং বিশেষ করে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক যারা ভাঙবে, ভাঙ্গার কাজে সাহায্য-সহযোগিতা করবে বা সমর্থন করবে তাদের প্রত্যেকের একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদণ্ড ও তৎসংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া- (পর্ব-২০)

সংখ্যা: ২৮৪তম সংখ্যা | বিভাগ:

(৩৬তম ফতওয়া হিসেবে)

“মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ, মহাসম্মানিত ইজমা শরীফ এবং মহাসম্মানিত ক্বিয়াস শরীফ উনাদের আলোকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক উনার ও উনার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে এবং বিশেষ করে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক যারা ভাঙবে, ভাঙ্গার কাজে সাহায্য-সহযোগিতা করবে বা সমর্থন করবে তাদের প্রত্যেকের একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদণ্ড ও তৎসংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া” পেশ করতে পারায় মহান আল্লাহ পাক উনার, উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্মানিত খেদমত মুবারক-এ বেশুমার শুকরিয়া আদায় করছি। সুবহানাল্লাহ!

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক উনার সম্মানিত আদব মুবারক

২০. নামায পড়ার উদ্দেশ্যে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক-এ চেয়ার-টেবিল প্রবেশ না করানো:

নামায পড়ার উদ্দেশ্যে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক-এ চেয়ার-টেবিল প্রবেশ করানো এবং তাতে নামায পড়া কোনটিই জায়িয নেই। সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত তথা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের খিলাফ বা বিরোধী হওয়ার কারণে তা সুস্পষ্ট বিদআতে সাইয়্যিআহ্-এর অন্তর্ভুক্ত। আর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,

(৮৮২-৮৮৯)

كُلُّ بِدْعَةٍ ضَلَالَةٌ وَكُلُّ ضَلَالَةٍ فِـى النَّارِ

 অর্থ: “প্রত্যেক বিদআত (বিদআতে সাইয়্যিআহ্) হচ্ছে গোমরাহী। আর প্রত্যেক গোমরাহ ব্যক্তি জাহান্নামী।” (নাসায়ী শরীফ, আল মু’জামুল কাবীর ৭/৪৯৩, আল আসমা ওয়াছ ছিফত লিল বায়হাক্বী ১/৪৮২, হিলইয়াতুল আউলিয়া ৩/১৮৯, আল ই’তিক্বাদ লিল বায়হাক্বী ১/২২৯, আল মাদখাল ইলাস সুনানিল কুবরা লিল বায়হাক্বী ১/১৮৪, ছহীহ ইবনে খুযাইমাহ্ ২/৮৬৫, আল ইবানাতুল কুবরা ৪/৮৫ ইত্যাদি)

বিশেষ করে নামাযের উদ্দেশ্যে মসজিদে চেয়ার প্রবেশ করালে, তা খ্রিষ্টানদের গির্জা এবং ইহুদীদের উপসনালয়ের সাদৃশ্য হয়ে যায়। তারা গির্জায় ও উপসনালয়ে চেয়ারে ও বেঞ্চে বসে পা নিচুতে রেখে উপাসনা করে।

কাজেই, ইহুদী-খ্রিষ্টানসহ তাবৎ বিধর্মীদের অনুসরণ করা মুসলমানদের জন্য জায়িয নেই। কেননা, যিনি খ¦লিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,

(৮৯০)

وَلَا تُطِعِ الْكفِٰرِيْنَ وَالْـمُنٰفِقِيْـنَ

অর্থ: “তোমরা কাফির এবং মুনাফিক্বদেরকে অনুসরণ করো না।” (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ৪৮)

আর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন,

(৮৯১-৮৯৮)

عَنْ حَضْرَتْ ابْنِ عُمَرَ رَضِـىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ تَشَبَّهَ بِقَوْمٍ فَهُوَ مِنْهُمْ

 অর্থ: “হযরত ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যিনি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে ব্যক্তি যেই সম্প্রদায়ের সাথে মিল রাখবে, অনুরসণ-অনুকরণ করবে, সে তাদেরই দলভুক্ত। অর্থাৎ তার হাশর-নশর তাদের সাথেই হবে।” না‘ঊযুবিল্লাহ! (আবূ দাঊদ শরীফ, মুসনাদে আহমদ ৯/১২৭,  মুসনাদে বাযযার ৭/৩৬৮, আল মু’জামুল আওসাত্ব ৮/১৭৯, মুছান্নাফে ইবনে আবী শায়বাহ ১২/৩৫১, মুছান্নাফে আব্দুর রায্যাক্ব ১১/৪৫৩, মুসনাদুশ শিহাব ১/২৪৪, মিশকাত শরীফ ইত্যাদি)

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছেন,

 (৮৯৯-৯০২)

عَنْ حَضْرَتْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ رَضِـىَ اللهُ تَـعَالـٰى عَنْهُ عَنْ اَبِيْهِ عَنْ جَدِّهٖ رَضِـىَ اللهُ تَـعَالـٰى عَنْهُ اَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَيْسَ مِنَّا مَنْ تَشَبَّهَ بِغَيْـرِنَا

অর্থ: “হযরত ‘আমর বিন শু‘য়াইব রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি উনার সম্মানিত পিতা উনার থেকে এবং তিনি উনার সম্মানিত দাদা উনার (হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ‘আমর রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার) থেকে বর্ণনা করেন যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ঐ ব্যক্তি আমার উম্মতের অন্তর্ভুক্ত নয়, যে বিজাতীয়দের সাথে সাদৃশ্য রাখে।” না‘ঊযুবিল্লাহ! (তিরমিযী শরীফ, আল মু’জামুল আওসাত ৭/২৩৮, মুসনাদুশ শিহাব ২/২০৫, মিশকাত শরীফ ইত্যাদি)

অতএব, কোন অবস্থাতেই নামায আদায়ের উদ্দেশ্যে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক-এ চেয়ার-টেবিল ইত্যাদি প্রবেশ করানো যাবে না। করালে সেটা বিধর্মীদের সাথে তাশাব্বুহ বা সাদৃশ্য হওয়ার কারণে কুফরী হবে।

তাছাড়া মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক ব্যতীত অন্য স্থানেও চেয়ার-টেবিল বা টুলে বসে নামায আদায় করা জায়িয নেই।

মূলতঃ মা’জূর বা অক্ষম ও অসুস্থ ব্যক্তি কিভাবে নামায আদায় করবে তার বর্ণনা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ এবং মহাসম্মানিত ইজমা শরীফ ও মহাসম্মানিত ক্বিয়াস শরীফ উনাদের  মধ্যে সুস্পষ্টভাবে বর্ণিত রয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! যেমন-

যিনি খ¦লিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,

(৯০৩)

الَّذِيْنَ يَذْكُرُوْنَ اللهَ قِيَامًا وَّقُـعُوْدًا وَّعَلٰـى جُنُـوْبِـهِمْ

অর্থ: “যারা দাঁড়ানো, বসা ও শোয়া অবস্থায় মহান আল্লাহ পাক উনার যিকির করেন।” সুবহানাল্লাহ! (সম্মানিত ও পবিত্র সূরা আলে ইমরান শরীফ : সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ ১৯১)

এই সম্মানিত ও পবিত্র আয়াত শরীফ উনার ব্যাখ্যায় বিশ্বখ্যাত তাফসীরগ্রন্থ ‘তাফসীরে বাগভী শরীফ’ উনার মধ্যে উল্লেখ রয়েছেন,

(৯০৪)

}الَّذِيْنَ يَذْكُرُوْنَ اللهَ قِيَامًا وَّقُـعُوْدًا وَّعَلٰـى جُنُـوْبِـهِمْ{قَالَ اِمَامُ الْاَوَّلِ سَيِّدُنَا حَضْرَتْ كَرَّمَ اللهُ وَجْهَهٗ عَلَيْهِ السَّلَامُ وَحَضْرَتِ ابْنُ عَبَّاسٍ رَضِـىَ اللهُ تَـعَالـٰى عَنْهُ وَالنَّخَعِــىُّ وَقَـتَادَةُ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِمَا هٰذَا فِـى الصَّلـٰوةِ يُصَلِّـىْ قَائِمًا فَاِنْ لَّـمْ يَسْتَطِعْ فَـقَاعِدًا فَاِنْ لَّـمْ يَسْتَطِعْ فَـعَلـٰى جَنْبٍ اَخْبَـرَنَا اَبُوْ عُثْمَانَ سَعِيْدُ بْنُ اِسْمَاعِيْلَ الضَّبِّـىُّ رَحْـمَةُ اللهِ عَلَيْهِ اَخْبَـرَنَا اَبُـوْ مُحَمَّدٍ عَبْدُ الْـجَبَّارِ بْنُ مُحَمَّدِ نِ الْـجَرَّاحِـىُّ رَحْـمَةُ اللهِ عَلَيْهِ اَنَا اَبُو الْعَبَّاسِ مُحَمَّدُ بْنُ اَحْـمَدَ الْـمَحْبُـوْبِــىُّ رَحْـمَةُ اللهِ عَلَيْهِ اَخْبَـرَنَا اَبُوْ عِيْسٰـى مُحَمَّدُ بْنُ عِيْسَـى التِّـرْمِذِىُّ رَحْـمَةُ اللهِ عَلَيْهِ اَنَا هَنَّادٌ رَحْـمَةُ اللهِ عَلَيْهِ اَنَا وَكِيْعٌ رَحْـمَةُ اللهِ عَلَيْهِ عَنْ اِبْـرَاهِيْمَ بْنِ طَهْمَانَ رَحْـمَةُ اللهِ عَلَيْهِ عَنْ حُسَيْـنِ نِ الْـمُعَلِّمِ رَحْـمَةُ اللهِ عَلَيْهِ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ بُـرَيْدَةَ رَحْـمَةُ اللهِ عَلَيْهِ عَنْ حَضْرَتْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْـنٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ سَاَلْتُ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ صَلـٰوةِ الْمَرِيْضِ فَـقَالَ صَلِّ قَائِمًا فَاِنْ لَّـمْ تَسْتَطِعْ فَـقَاعِدًا فَاِنْ لَّـمْ تَسْتَطِعْ فَـعَلـٰى جَنْبٍ

অর্থ: “{যারা দাঁড়ানো, বসা ও শোয় অবস্থায় মহান আল্লাহ পাক উনার যিকির করেন। সুবহানাল্লাহ!} ইমামুল আউওয়াল সাইয়্যিদুনা হযরত র্কারামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি, হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি, হযরত ইমাম নাখা‘ঈ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি এবং হযরত ইমাম কাতাদাহ্ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি অর্থাৎ উনারা বলেন, এটা সম্মানিত নামায উনার অবস্থা বর্ণনা করা হয়েছে। একজন ব্যক্তি স্বাভাবিকভাবে দাঁড়িয়ে নামায আদায় করবে। যদি দাঁড়িয়ে নামায আদায় করতে সক্ষম না হয়, তাহলে বসে নামায আদায় করবে। আর বসেও যদি নামায আদায় করতে না পারে, তাহলে শুয়ে নামায আদায় করবে।”

(তারপর ইমাম বাগভী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন,) আমাদের কাছে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ বর্ণনা করেছেন আবূ ‘উছমান সাঈদ ইবনে ইসমা‘ঈল দ্ববী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি, তিনি বলেন, আমাদের কাছে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ বর্ণনা করেছেন হযরত আবূ মুহম্মদ আব্দুল জাব্বার ইবনে মুহম্মদ র্জারাহী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি, তিনি বলেন, আমাদের কাছে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ বর্ণনা করেছেন হযরত আবূ ঈসা মুহম্মদ ইবনে ঈসা তিরমিযী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি, তিনি বলেন, আমাদের কাছে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ বর্ণনা করেছেন হযরত হান্নাদ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি, তিনি বলেন, আমাদের কাছে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ বর্ণনা করেছেন হযরত ওয়াকী’ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি, তিনি হযরত ইবরাহীম ইবনে ত্বহমান রমহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে, তিনি হযরত হুসাইন মুয়াল্লিম রমহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে, তিনি হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে বুরাইদাহ্ রমহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে, তিনি হযরত ইমরান ইবনে হুছাইন রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে। বিশিষ্ট ছাহাবী হযরত ইমরান ইবনে হুছাইন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, আমি একদা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে অসুস্থ ব্যক্তি কিভাবে নামায আদায় করবে সে বিষয়ে জিজ্ঞাসা করি। জবাবে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “আপনি দাঁড়িয়ে নামায আদায় করবেন, যদি দাঁড়িয়ে নামায আদায় করতে না পারেন, তাহলে বসে আদায় করবেন। যদি তাও না পারেন, তাহলে শুয়ে আদায় করবেন।” (তাফসীরে বাগভী শরীফ ২/১৫২)

বিশ্বখ্যাত তাফসীরগ্রন্থ ‘তাফসীরে খাযিন শরীফ’ উনার মধ্যে উল্লেখ রয়েছেন,

(৯০৫)

الَّذِيْنَ يَذْكُرُوْنَ اللهَ قِيَامًا وَّقُـعُوْدًا وَّعَلـٰى جُنُـوْبِـهِمْ قَالَ اِمَامُ الْاَوَّلِ سَيِّدُنَا حَضْرَتْ كَرَّمَ اللهُ وَجْهَهٗ عَلَيْهِ السَّلَامُ وَحَضْرَتْ اِبْنُ مَسْعُوْدٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ وَحَضْرَتْ اِبْنُ عَبَّاسٍ رَضِىَ اللهُ تَـعَالـٰى عَنْهُ وَحَضْرَتْ قَـتَادَةُ رَحْـمَةُ اللهِ عَلَيْهِ هٰذَا فِــى الصَّلـٰوةِ يَعْنِـىْ اَلَّذِيْنَ يُصَلُّوْنَ قِيَامًا فَاِنْ عَجَزُوْا فَقُعُوْدًا فَاِنْ عَجَزُوْا فَـعَلـٰى جُنُـوْبِـهِمْ وَالْـمَعْنـٰى اَنَّـهُمْ لَا يَتْـرُكُوْنَ الصَّلـٰوةَ فِـىْ حَالٍ مِّنَ الْاَحْوَالِ بَلْ يُصَلُّوْنَ فِـىْ كُلِّ حَالٍ عَنْ حَضْرَتْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْـنٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ كَانَتْ بِـىْ بَوَاسِيْـرُ فَسَاَلْتُ النَّبِـىَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ الصَّلـٰوةِ فَقَالَ صَلِّ قَائِمًا فَاِنْ لَّـمْ تَسْتَطِعْ فَقَاعِدًا فَاِنْ لَّـمْ تَسْتَطِعْ فَعَلـٰى جَنْبٍ

অর্থ: “{যারা দাঁড়ানো, বসা ও শোয়া অবস্থায় মহান আল্লাহ পাক উনার যিকির করেন। সুবহানাল্লাহ!} ইমামুল আউওয়াল সাইয়্যিদুনা হযরত র্কারামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি, হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি এবং হযরত কাতাদাহ্ রহমতুল্লাহি আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অর্থাৎ উনারা বলেন, এটা সম্মানিত নামায উনার অবস্থা বর্ণনা করা হয়েছে। অর্থাৎ যাঁরা দাঁড়িয়ে নামায আদায় করেন, যদি অক্ষম হন, তাহলে বসে আদায় করেন, যদি তাতেও অক্ষম হন, তাহলে শুয়ে আদায় করেন। মূল অর্থ হচ্ছেন- উনারা কোনো অবস্থাতেই সম্মানিত নামায তরক করেন না; বরং প্রত্যেক অবস্থাতেই উনারা নামায আদায় করেন। বিশিষ্ট ছাহাবী হযরত ইমরান ইবনে হুছাইন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত রয়েছেন। তিনি  বলেন, আমার অর্শ রোগ হয়েছিলো। তখন আমি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে জিজ্ঞাসা করি যে, কিভাবে নামায আদায় করবো। জবাবে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম  তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “আপনি দাঁড়িয়ে নামায আদায় করবেন, যদি দাঁড়িয়ে নামায আদায় করতে না পারেন, তাহলে বসে আদায় করবেন। যদি তাও না পারেন, তাহলে শুয়ে আদায় করবেন।” (তিরমিযী শরীফ, তাফসীরে খাযিন শরীফ ১/৩৩২)

(অসমাপ্ত- পরবর্তী সংখ্যার অপেক্ষায় থাকুন)

কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে প্রাণীর মূর্তি তৈরি করা ও ছবি আঁকা, তোলা, তোলানো, রাখা, রাখানো, দেখা, দেখানো হারাম-নাজায়িয হওয়ার অকাট্য প্রমাণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া-৩০

কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে লাইলাতুন নিছফি মিন শা’বান বা শবে বরাত-এর আহকাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া-৩

কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে প্রাণীর মূর্তি তৈরি করা ও ছবি আঁকা, তোলা, তোলানো, রাখা, রাখানো, দেখা, দেখানো হারাম-নাজায়িয হওয়ার অকাট্য প্রমাণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া-৩১

কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে লাইলাতুন নিছফি মিন শা’বান বা শবে বরাত-এর আহকাম ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া-৪

কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে প্রাণীর মূর্তি তৈরি করা ও ছবি আঁ, তোলা, তোলানো, রাখা, রাখানো, দেখা, দেখানো হারাম-নাজায়িয হওয়ার অকাট্য প্রমাণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া-৩২