মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ, সম্মানিত ইজমা শরীফ এবং সম্মানিত ক্বিয়াস শরীফ উনাদের আলোকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক উনার ও উনার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে এবং বিশেষ করে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক যারা ভাঙবে, ভাঙ্গার কাজে সাহায্য-সহযোগিতা করবে বা সমর্থন করবে তাদের প্রত্যেকের একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদণ্ড ও তৎসংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া- (পর্ব-৮)

সংখ্যা: ২৭২তম সংখ্যা | বিভাগ:

৩৬তম ফতওয়া হিসেবে

“মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ, সম্মানিত ইজমা শরীফ এবং সম্মানিত ক্বিয়াস শরীফ উনাদের আলোকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক উনার ও উনার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে এবং বিশেষ করে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক যারা ভাঙবে, ভাঙ্গার কাজে সাহায্য-সহযোগিতা করবে বা সমর্থন করবে তাদের প্রত্যেকের একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদ- ও তৎসংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া” পেশ করতে পারায় মহান আল্লাহ পাক উনার, উনার মাহবূব হাবীব, নূরে মুজাসসাম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সম্মানিত খিদমত মুবারক-এ বেশুমার শুকরিয়া আদায় করছি। সুবহানাল্লাহ!

 

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক নির্মাণের ফাযায়িল-ফযীলত ও

বুযূর্গী-সম্মান মুবারক

 

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

(১৪৪-১৪৮)

عَنْ حَضْرَتْ اَنَسٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ  ۢبَنـٰى لِلّٰهِ مَسْجِدًا بَنَـى اللهُ لَهٗ قَصْرًا فِـى الْـجَنَّةِ.

অর্থ: “হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য একটি মহাসম্মানিত  ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক নির্মাণ করবেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি ঐ ব্যক্তি উনার জন্য সম্মানিত জান্নাত মুবারক-এ একটি বালাখানা নির্মাণ করবেন।” সুবহানাল্লাহ! (ইবনে নাজ্জার, জামি‘উল আহামদীছ ২০/১২৬, জামিউল জাওয়ামি’, ইহইয়াই উলূমিদ্দীন, কানযুল উম্মাল)

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

(১৪৯-১৫৭)

عَنْ حَضْرَتْ عُثْمَانَ ذِى النُّوْرَيْنِ عَلَيْهِ السَّلَامُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ  ۢبَـنـٰى مَسْجِدًا يَّبْتَغِىْ بِهٖ وَجْهَ اللهِ بَنَى اللهُ لَهٗ مِثْلَهٗ فِـى الْـجَنَّةِ.

অর্থ: “সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক হাছিল করার উদ্দেশ্যে একটি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক নির্মাণ করবেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি ঐ ব্যক্তি উনার জন্য সম্মানিত জান্নাত মুবারক-এ অনুরূপ একটি বালাখানা নির্মাণ করবেন।” সুবহানাল্লাহ! (বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ, আস সুনানুল কুবরা লিল বাইহাক্বী, মুস্তাখরজে আবূ আওয়ানাহ, আল জামি‘য়িছ ছগীর, আল ফাতহুল কাবীর, জামি‘উল আহাদীছ, কাশফুল খফা, কানযুল উম্মাল ইত্যাদি)

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

(১৫৮)

عَنْ حَضْرَتْ اَسْـمَاءَ بِنْتِ يَزِيدَ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهَا اَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ  ۢبَنـٰى لِلّٰهِ مَسْجِدًا فَاِنَّ اللهَ يَبْنِـىْ لَهٗ بَيْتًا اَوْسَعَ مِنْهُ فِـى الْـجَنَّةِ.

অর্থ: “হযরত আসমা বিনতে ইয়াযীদ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহা উনার থেকে বর্ণিত। নিশ্চয়ই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য একটি মহাসম্মানিত  ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক নির্মাণ করবেন, নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি ঐ ব্যক্তি উনার জন্য সম্মানিত জান্নাত মুবারক-এ এর চেয়ে বড় একটি বালাখানা নির্মাণ করবেন।” সুবহানাল্লাহ! (মুসনাদে আহমদ শরীফ)

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

(১৫৯-১৬০)

عَنْ حَضْرَتْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرٍو رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ ۢبَنـٰى لِلّٰهِ مَسْجِدًا  ۢبَنَـى اللهُ لَهٗ بَيْتًا اَوْسَعَ مِنْهُ فِـى الْـجَنَّةِ.

অর্থ: “হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ‘আমর রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য একটি মহাসম্মানিত  ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক নির্মাণ করবেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি ঐ ব্যক্তি উনার জন্য সম্মানিত জান্নাত মুবারক-এ এর চেয়ে বড় একটি বালাখানা নির্মাণ করবেন।” সুবহানাল্লাহ! (মাজমাউয যাওয়াইদ ২/৭, কানজুল উম্মাল ৭/৬৫৪)

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

(১৬১-১৬৪)

عَنْ حَضْرَتْ بِشْرِ بْنِ حَيَّانَ رَحْـمَةُ اللّٰهِ عَلَيْهِ قَالَ جَاءَ حَضْرَتْ وَاثِلَةُ بْنُ الْاَسْقَعِ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ وَنَـحْنُ نَبْنِـىْ مَسْجِدَنَا قَالَ فَوَقَفَ عَلَيْنَا فَسَلَّمَ ثُـمَّ قَالَ سَـمِعْتُ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُوْلُ مَنْ ۢبَنـٰى مَسْجِدًا يُّصَلِّـىْ فِيْهِ بَنَـى اللهُ لَهٗ بَيْتًا فِـى الْـجَنَّةِ اَفْضَلَ مِنْهُ.

অর্থ: “হযরত বিশর ইবনে হাইয়্যান রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা হযরত ওয়াছিলাহ ইবনে আসক্বা’ রদ্বিয়াল্লাহ তা‘য়ালা আনহু তিনি আসলেন, তখন আমরা আমাদের মহাসম্মানিত  ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক নির্মাণ করছিলাম। তিনি আমাদের এখানে দাঁড়ালেন এবং সালাম দিলেন। অতঃপর তিনি বললেন, আমি শুনেছি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বতামুন নাবিয়্যীন নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন, যে ব্যক্তি সম্মানিত ছলাত তথা নামায আদায়ের উদ্দেশ্যে একটি মহাসম্মানিত  ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক নির্মাণ করবেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি ঐ ব্যক্তি উনার জন্য সম্মানিত জান্নাত মুবারক-এ এর চেয়ে উত্তম একটি বালাখানা নির্মাণ করবেন।” সুবহানাল্লাহ! (মুসনাদে আহমদ শরীফ ২৫/৩৮৬, আল আহাদ ওয়াল মাছানী ২/১৭৭, আল মু’জামুল কাবীর লিত ত্ববারনী ২২/৮৮, হিলইয়াতুল আউলিয়া ৮/৩১৯ ইত্যাদি)

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

(১৬৫)

عَنْ حَضْرَتْ اَبِـىْ هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ  ۢبَنـٰى لِلّٰهِ بَيْتًا يُعْبَدُ اللهُ فِيْهِ مِنْ مَّالٍ حَلَالٍ بَنَـى اللهُ لَهٗ بَيْتًا فِـى الْـجَنَّةِ.

অর্থ: “হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে ব্যক্তি ইবাদাত করার উদ্দেশ্যে মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য হালাল সম্পদ বা অর্থ দ্বারা একটি মহাসম্মানিত  ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক নির্মাণ করবেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি ঐ ব্যক্তি উনার জন্য সম্মানিত জান্নাত মুবারক-এ একটি বালাখানা নির্মাণ করবেন।” সুবহানাল্লাহ! (মুসনাদে বাযযার ১৫/২২১)

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

(১৬৬-১৭২)

عَنْ حَضْرَتْ اَبِـىْ هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ ۢبَنـٰى لِلّٰهِ بَيْتًا يُعْبَدُ اللهُ فِيْهِ مِنْ مَّالٍ حَلالٍ بَنَـى اللهُ لَهٗ بَيْتًا فِـى الْـجَنَّةِ مِنْ دُرٍّ وَّيَاقُوْتٍ.

অর্থ: “হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে ব্যক্তি ইবাদাত করার উদ্দেশ্যে মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য হালাল সম্পদ বা অর্থ দ্বারা একটি মহাসম্মানিত  ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক নির্মাণ করবেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি ঐ ব্যক্তি উনার জন্য সম্মানিত জান্নাত মুবারক-এ মুক্তা ও ইয়াকূতের একটি বালাখানা নির্মাণ করবেন।” সুবহানাল্লাহ! (আল মু’জামুল কাবীর ২০/৩০, আল মু’জামুল আওসাত্ব ৫/১৯৫, শু‘য়াবুল ঈমান ৪/৩৭৪, মাজমাউয যাওয়াইদ ২/১৬, জামি‘উল আহাদীছ ২০/১২৩, তাফসীরে দুররে মানছূর ৭/২৬৫, তাফসীরে কবীর ৪/১৩ ইত্যাদি)

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

(১৭৩-১৮১)

عَنْ حَضْرَتْ اَنَسٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ عَنِ النَّبِـىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ ۢبَنـٰى لِلّٰهِ مَسْجِدًا صَغِيْـرًا كَانَ اَوْ كَبِيْـرًا بَنَـى اللهُ لَهٗ بَيْتًا فِـى الْـجَنَّةِ.

অর্থ: “হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার থেকে বর্ণনা করেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, কেউ যদি মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য একটি মহাসম্মানিত  ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক নির্মাণ করেন, তা ছোট হোক অথবা বড় হোক। মহান আল্লাহ পাক তিনি ঐ ব্যক্তি উনার জন্য সম্মানিত জান্নাত মুবারক-এ একটি বালাখানা নির্মাণ করবেন।” সুবহানাল্লাহ! (তিরমিযী শরীফ, মুস্তাদরকে হাকিম, আহকামুশ শরী‘য়্যাহ, আল ফাতহুল কাবীর, জামি‘উল আহাদীছ, জামি‘উল উছূল, কাশফুল খফা, আল মাত্বালিবুল ‘আলিয়্যাহ, কানযুল উম্মাল ইত্যাদি)

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

(১৮২-১৯১)

عَنْ حَضْرَتْ اِبْن عَبَّاسٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ عَنِ النَّبِـىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ ۢبَنـٰى لِلّٰهِ مَسْجِدًا وَلَوْ كَمَفْحَصِ قَطَاةٍ لِبَيْضِهَا بَنَـى اللهُ لَهٗ بَيْتًا فِـى الْـجَنَّةِ.

অর্থ: “হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার থেকে বর্ণনা করেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, কেউ যদি কবুতরের বাসার মতোও একটি মহাসম্মানিত  ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক নির্মাণ করেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি ঐ ব্যক্তি উনার জন্য সম্মানিত জান্নাত মুবারক-এ একটি বালাখানা নির্মাণ করবেন।” সুবহানাল্লাহ! (মুসনাদে আবূ দাঊদ ত্বয়ালসী ৪/৩৪৪, মুসনাদে আহমদ ৪/৫৪, মুসনাদে বাযযার ১১/২৮৫, গয়াতুল মাক্বছাদ ১/২০৩, মাজমাউয যাওয়াইদ ২/৭, আল মাত্বালিবুল আলিয়্যাহ ৩/৪৯২, আল ফাতহুল কাবীর ৩/১৬৬, মুছান্নাফে আবী শায়বাহ, তাফসীরে দুররে মানছূর ৪/১৪২, কানজুল উম্মাল ইত্যাদী)

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

(১৯২-১৯৩)

عَنْ حَضْرَتْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ اَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْۢ بَنٰى مَسْجِدًا لِّلّٰهِ كَمَفْحَصِ قَطَاةٍ اَوْ اَصْغَرَ بَنٰـى اللهُ لَهٗ بَيْتًا فِـى الْـجَنَّةِ.

অর্থ: “হযরত জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। নিশ্চয়ই নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, কেউ যদি মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য কবুতরের বাসার মতো অথবা তার চেয়েও ছোট একটি মহাসম্মানিত  ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক নির্মাণ করেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি ঐ ব্যক্তি উনার জন্য সম্মানিত জান্নাত মুবারক-এ একটি বালাখানা নির্মাণ করবেন।” সুবহানাল্লাহ! (সুনানে ইবনে মাজাহ শরীফ, কানযুল উম্মাল)

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

(১৯৪-১৯৮)

عَنْ اُمِّ الْمُؤْمِنِيْـنَ الثَّالِثَةِ سَيِّدَتِنَا حَضْرَتْ اَلصِّدِّيْقَةِ عَلَيْهَا السَّلَامُ (سَيِّدَتِنَا حَضْرَتْ عَائِشَةَ عَلَيْهَا السَّلَامُ) عَنِ النَّبِـىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْۢ بَنٰى مَسْجِدًا لَّا يُرِيْدُ بِهٖ رِيَاءً وَّلَا سُـمْعَةً ۢبَنَـى اللهُ لَهٗ بَيْتًا فِـى الْـجَنَّةِ.

অর্থ: “উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাস সালাম তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার থেকে বর্ণনা করেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, কেউ যদি মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য একটি মহাসম্মানিত  ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক নির্মাণ করেন, সেখানে লোকপ্রদর্শন বা সুখ্যাতি লাভের উদ্দেশ্য না থাকে, তাহলে মহান আল্লাহ পাক তিনি ঐ ব্যক্তি উনার জন্য সম্মানিত জান্নাত মুবারক-এ একটি বালাখানা নির্মাণ করবেন।” সুবহানাল্লাহ! (আল মু’জামুল আওসাত্ব লিত ত্ববারনী ৭/১১১, মাজমাউয যাওয়াইদ ২/৮, তাফসীরে দুররে মানছূর ৪/১৪৩, ইহইয়াই উলূমিদ্দীন, কানজুল উম্মাল ৭/৬৫৫ ইত্যাদী)

মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে-

(১৯৯-২০০)

عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عُمَرَ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ سَـمِعْتُ النَّبِـىَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُوْلُ مَنْ زَادَ بَيْتًا فِـى الْمَسْجِدِ فَلَهُ الْـجَنَّةُ.

অর্থ: “হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক উনার জায়গা বৃদ্ধি করবেন, উনার জন্য সম্মানিত জান্নাত মুবারক ওয়াজিব।” সুবহানাল্লাহ! (ফাদ্বাইলুছ ছাহাবা ৫/১১৮, কানযুল উম্মাল ৭/৬৫৩)

এই ধারাবাহিক লেখার বিগত কিস্তিগুলোতে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক নির্মাণের বেমেছাল ফযীলত সম্পর্কে অনেকগুলো মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উল্লেখ করা হয়েছে। সুবহানাল্লাহ! মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের মধ্যে বলা হয়েছে, কেউ যদি মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক লাভের উদ্দেশ্যে একটি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ নির্মাণ করেন, সেটা ছোট হোক বা বড় হোক, অথবা কবুতরের বাসার মতো কিংবা তার চেয়েও ছোট হোক, মহান আল্লাহ পাক তিনি ঐ ব্যক্তি উনার জন্য সম্মানিত জান্নাত মুবারক-এ মুক্তা, ইয়াকূত দ্বারা অতি উত্তম এবং অনেক প্রশস্ত একটি বালাখানা নির্মাণ করবেন। সুবহানাল্লাহ! এমনকি, কেউ যদি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক উনার জায়গা বৃদ্ধি করে, তার জন্য সম্মানিত জান্নাত মুবারক ওয়াজিব। সুবহানাল্লাহ!

এ সকল মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের ব্যাখ্যায় মুত্বহার, মুত্বহহির, আছ ছমাদ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিছ ছলাতু ওয়াস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “এটা আমভাবে বলা হয়েছে যে, একটি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ নির্মাণ করলে, সম্মানিত জান্নাত মুবারক-এ একটি সম্মানিত বালাখানা নির্মাণ করা হবে। সুবহানাল্লাহ! প্রকৃতপক্ষে কেউ যদি মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক লাভের উদ্দেশ্যে একটি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ নির্মাণ করেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি ঐ ব্যক্তি উনার জন্য সম্মানিত জান্নাত মুবারক-এ কোটি কোটি তথা অসংখ্য-অগণিত, বেহিসাব সম্মানিত বালাখানা নির্মাণ করবেন, যার কোন হিসবা নেই। সুবহানাল্লাহ! কারণ কিয়ামত পর্যন্ত যত লোক ঐ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ মুবারক-এ নামায মুবারক পড়বেন এবং অন্যান যত সম্মানিত ইবাদত বন্দেগী মুবারক করবেন, এই সমস্ত আমল মুবারক উনাদের সওয়াব মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মসজিদ নির্মাণকারী উনার আমলনামা মুবারক-এ যেয়ে পৌঁছবে।” সুবহানাল্লাহ!

অসমাপ্ত- পরবর্তী সংখ্যার অপেক্ষায় থাকুন

জুমুয়া ও ঈদাইনের খুৎবা আরবী ভাষায় দেয়া ওয়াজিব। আরবী ব্যতীত অন্য কোন ভাষায় খুৎবা দেয়া মাকরূহ তাহরীমী ও বিদয়াতে সাইয়্যিয়াহ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া

কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে প্রাণীর মূর্তি তৈরি করা ও ছবি আঁকা, তোলা, তোলানো, রাখা, রাখানো, দেখা, দেখানো হারাম নাজায়িয হওয়ার অকাট্য প্রমাণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া-২৬

জুমুয়া ও ঈদাইনের খুৎবা আরবী ভাষায় দেয়া ওয়াজিব। আরবী ব্যতীত অন্য কোন ভাষায় খুৎবা দেয়া মাকরূহ তাহরীমী ও বিদয়াতে সাইয়্যিয়াহ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া-২

কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে প্রাণীর মূর্তি তৈরি করা ও ছবি আঁকা, তোলা, তোলানো, রাখা, রাখানো, দেখা, দেখানো হারাম নাজায়িয হওয়ার অকাট্য প্রমাণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া-২৭

কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর দৃষ্টিতে প্রাণীর মূর্তি তৈরি করা ও ছবি আঁকা, তোলা, তোলানো, রাখা, রাখানো, দেখা, দেখানো হারাম-নাজায়িয হওয়ার অকাট্য প্রমাণ ও তার সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ফতওয়া-২৮