যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কাযযাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ উনার হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-১০৫

সংখ্যা: ২৩৪তম সংখ্যা | বিভাগ:

মূলত যুগে যুগে মিথ্যাবাদী আর মুনাফিকরাই হক্বের বিরোধিতা করেছে, হক্বের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করেছে। তাই মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে মুনাফিকদেরকে ‘কাযযাব’ বা মিথ্যাবাদী বলে উল্লেখ করেছেন। যেমন- পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “মহান আল্লাহ পাক তিনি সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, নিশ্চয়ই মুনাফিকরাই মিথ্যাবাদী।” (পবিত্র সূরা মুনাফিকুন শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১)

উক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ দ্বারা এটাই প্রমাণিত হয় যে, যারা মুনাফিক তারা অবশ্যই মিথ্যাবাদী। আবার যারা মিথ্যাবাদী তারাই মুনাফিক। কেননা পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে মুনাফিকের যে আলামত বা লক্ষণ উল্লেখ করা হয়েছে তন্মধ্যে একটি হলো মিথ্যা কথা বলা।

মুজাদ্দিদে আ’যম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার যারা বিরোধিতাকারী; তারা উক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদেরই পূর্ণ মিছদাক। অর্থাৎ তারা একই সাথে মুনাফিক ও কাট্টা মিথ্যাবাদী। তাই তারা মানুষদেরকে বিভ্রান্ত করার জন্যে স্মরণিকা-বার্ষিকী, পত্র-পত্রিকা ও বক্তৃতার মাধ্যমে মিথ্যা ও প্রতারণার আশ্রয় নেয়। তাদের সেসকল মিথ্যাচারিতার দাঁত ভাঙ্গা জবাব নি¤েœ প্রদত্ত হলো-

বাতিল কর্তৃক হক্বের বিরোধিতা ও মিথ্যাচারিতা পূর্বেও ছিল কিনা? থেকে থাকলে কেন এবং কারা করেছে?

পূর্ব প্রকাশিতের পর

এ পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত “দাজ্জালে কাযযাব” তারাই, যারা মিথ্যা, মনগড়া, বিভ্রান্তিকর ও দলীলবিহীন বক্তব্য প্রদান করে সমাজে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে। তাদের কাজই হচ্ছে- পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের বিরোধী ও কুফরীমূলক বক্তব্য প্রচার করে জনসাধারণের পবিত্র ঈমান বিনষ্ট করা এবং মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে হক্কানী উলামায়ে কিরাম তথা হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের বিরোধিতা ও কুৎসা রটনা করা।

মূলত: হক্ব-নাহক্বের এ দ্বন্দ্ব, অর্থাৎ না-হক্ব কর্তৃক হক্বের বিরোধিতা ও মিথ্যাচারিতা নতুন কোনো বিষয় নয়, বরং হক্ব-নাহক্ব- উনার এ দ্বন্দ্ব প্রথম নবী ও রসূল হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনার সময় থেকেই চলে আসছে। দাজ্জালে কাযযাবদের অগ্রণী মালউন, গুমরাহ ও চির জাহান্নামী ইবলিসই এ বিরোধিতার প্রবর্তক।

আমরা দেখতে পাই হযরত আদম আলাইহিস সালাম থেকে শুরু করে আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিসহ প্রায় এক লক্ষ মতান্তরে দুই লক্ষ চব্বিশ হাজার হযরত নবী ও রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের প্রত্যেকেরই বিরোধিতা করেছে ঐ ইবলিস শয়তানের অনুসারী ও গোলাম দাজ্জালে কাযযাবরা। শুধু তাই নয় তারা প্রায় সত্তর হাজার হযরত নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকেও শহীদ করেছে। নাঊযুবিল্লাহ!

আর আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি বিরোধিতা ও মিথ্যাচারিতার মাত্রা যে কোন পর্যায়ের ছিল তা ভাষায় বর্ণনা করার মতো নয়। বস্তুত: সেই বিরোধিতার নজীর ইতিহাসে দ্বিতীয় খুঁজে পাওয়া দুস্কর। উনাকে বলা হয়েছে যাদুকর, জিনে ধরা, পাগল, ধর্মত্যাগী ইত্যাদি। নাউযুবিল্লাহ!

-আল্লামা মুফতী মুহম্মদ ইবনে ইসহাক, ঢাকা।

সরকারের জন্য বিশ্লেষণ ‘জনকন্ঠের’ ‘বোরকাওয়ালী (তথা কথিত) হতে সাবধান’ হতে হলে বায়তুল মোকাররমে পাঁচ হাজার নারীর নামাযের ব্যবস্থা করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দ্বারা তা উদ্বোধনের পরিকল্পনা পরিত্যাগ করতে হবে। বায়তুল মোকাররমকে জামাতী ও জঙ্গি বোরকাওয়ালীদের অভয়ারণ্য হতে দেয়া যাবে না। দিলে তা সরকারের জন্য বুমেরাং হবে। প্রধানমন্ত্রীর নেক নজর কাড়ার সস্তা রাস্তা অবলম্বনের খাহেশ পরিহার করতে হবে সব মহলকেই।

        ইসলামের লেবাছে জামাতীরা প্রকাশ্যে ইতিহাসের জঘন্যতম মিথ্যাচার করে        রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের অবমাননা করে যাচ্ছে। ওদের সবকিছুই মেকী।         টিপাইমুখী বাঁধের নামে জামাতী সমাবেশ পুরোটাই ছিল ভাড়া করা গু-া-       বদমায়েশ, শিবির ক্যাডারদের শোডাউন।         ‘স্বাধীনতা এনেছি’- জামাতীদের এ প্রকাশ্য ঘোষণা আল্লাহ পাক-এর        আরশ কাঁপাচ্ছে।         মহান মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের অস্বীকার ও অবমাননা করা হচ্ছে।         দেশের পনের কোটি লোকের উপর তথ্যসন্ত্রাস চালানো হচ্ছে।         কাজেই মহান মুক্তিযোদ্ধাদের অবমাননা সর্বোপরি পনের কোটি জনগণের       উপর তথ্যসন্ত্রাস চালানোর দায়ে জামাতীদের অবিলম্বে শক্ত ও দৃষ্টান্তমূলক        শাস্তির ব্যবস্থা করা এবং আগামীতে জামাতীদের কোন ধরনের সমাবেশ করার অনুমতি না দেয়া সরকারের জন্য ফরয-ওয়াজিব

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৬১

ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদ প্রচারের নেপথ্যে-১০

চাঁদ দেখা ও নতুন চন্দ্রতারিখ নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা-২৯