রাষ্ট্রযন্ত্রের নিরাপত্তা চরম হুমকিতে। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের দলীল অসংখ্য। প্রকৃত ও সার্বিক এবং টেকসই নিরাপত্তার জন্য সুন্নতী চেতনার বিকল্প নেই।

সংখ্যা: ২৪৯তম সংখ্যা | বিভাগ:

রাষ্ট্রযন্ত্রের নিরাপত্তা চরম হুমকিতে।

সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের দলীল অসংখ্য।

প্রকৃত ও সার্বিক এবং টেকসই নিরাপত্তার জন্য সুন্নতী চেতনার বিকল্প নেই।

 

দেশকে নিয়ে বাইরে ও ভেতরে চক্রান্ত চলছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ বিষয়ে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের সতর্ক থাকতে বলেছেন। মন্ত্রিসভা বৈঠকে অনির্ধারিত আলোচনায় এ পরামর্শ দেন তিনি।

এদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ইহুদীরা বাংলাদেশকে তাদের লক্ষ্যস্থল বানিয়েছে। তারা এদেশে আইএস তৈরিতে মরিয়া হয়েছে। এদিকে সম্প্রতি অনেক মন্ত্রী খোলাখুলিভাবেই স্বীকার করেছেন যে, আমেরিকা আইএসের কথা বলে বাংলাদেশকে কাফির ও ব্যর্থ প্রমাণ করে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের পাঁয়তারা চালাচ্ছে।

বলাবাহুল্য, এসবই তারা করতে চাইছে দেশীয়-বিদেশী সন্ত্রাসী ভাড়া করে এবং সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালিয়ে। সাম্প্রতিককালে বিবিধ সন্ত্রাসী ঘটনা মানুষকে আরো আতঙ্কিত করে তুলেছে।

প্রসঙ্গত, সংবিধানে বর্ণিত রাষ্ট্রদ্বীন হলো সম্মানিত ইসলাম। আর পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে নিরাপত্তার বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই নিরাপত্তার বিষয়টি শুধু বৈদেশিক আক্রমণের দিক থেকেই গুরুত্বপূর্ণ নয়, বরং অভ্যন্তরীণ দিক থেকেও হুকুমাত বা দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ। মুসলমানদের মান-ইজ্জত, ধন-সম্পদ এবং রক্ত যাতে নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে নিপতিত না হয়, সেজন্য নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “এক মুসলমান অপর মুসলমানের ভাই। প্রত্যেক মুসলমানের মান, ইজ্জত, ধন-সম্পদ ও রক্ত অন্য মুসলমানের উপর হারাম।” (মুসলিম শরীফ)

অর্থাৎ মানুষের সামাজিক বা হুকুমাতের নিরাপত্তা বিঘিœত হতে পারে এমন কাজকে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কঠোরভাবে হারাম ঘোষণা করেছেন।

প্রকৃত মুসলমানের পরিচয় তুলে ধরে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “মুসলমান সেই ব্যক্তি, যার হাত ও মুখ থেকে অপর মুসলমান নিরাপদ।” (বুখারী শরীফ ও মুসলিম শরীফ)

তাই জনসাধারণের জানমালের নিরাপত্তা বজায় রাখা পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার দৃষ্টিতে অপরিহার্য কর্তব্য এবং ঈমানী দায়িত্ব। কোনো রকম অশান্তি সৃষ্টি, নৈরাজ্য, বিশৃঙ্খলা, সংঘাত, হানাহানি, উগ্রতা, বর্বরতা, প্রতিহিংসাপরায়ণতা ও সহিংসতা পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “আর তোমরা পৃথিবীতে শান্তি স্থাপনের পর এতে বিপর্যয় সৃষ্টি কোরো না।” (পবিত্র সূরা আরাফ শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৬)

কিন্তু শান্তির জন্য প্রচেষ্টা সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে সর্বদাই অশান্তিকামী বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী স্বার্থপর লোকেরা খড়গহস্ত থাকে। এ সম্পর্কে পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “এবং তারা (পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার শত্রুরা) দুনিয়ায় ধ্বংসাত্মক কাজ করে বেড়ায়, আর মহান আল্লাহ পাক তিনি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের পছন্দ করেন না।” (পবিত্র সূরা মায়িদা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৬৪)

পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মধ্যে অন্যায়ভাবে মানুষকে হত্যা করা কঠোর ভাষায় নিষিদ্ধ করেছে। নিরপরাধ ব্যক্তিদের গুলি করে, বোমা মেরে বা অগ্নিসংযোগে হত্যা করা পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার সঙ্গে কখনো সঙ্গতিপূর্ণ নয়। অন্যায়ভাবে মানুষ হত্যা, জানমালের ক্ষতিসাধন ও দেশের সম্পদ বিনষ্ট করাকে কবিরা গুনাহ আখ্যায়িত করে এর ভয়াবহ পরিণাম সম্পর্কে পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন, “মানুষ হত্যা বা পৃথিবীতে ধ্বংসাত্মক কর্মকা-ের অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তি ছাড়া কেউ কাউকে হত্যা করলে সে যেন দুনিয়ার সমগ্র মানবগোষ্ঠীকে হত্যা করলো; আর কেউ কারও প্রাণ রক্ষা করলে সে যেন পৃথিবীর সমগ্র মানবগোষ্ঠীকে প্রাণে রক্ষা করলো।” (পবিত্র সূরা মায়িদা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৩২)

মানুষের জীবনের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পবিত্র পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “মহান আল্লাহ পাক তিনি যার হত্যা নিষিদ্ধ করেছেন, যথার্থ কারণ ব্যতিরেকে তোমরা তাকে হত্যা কোরো না।” (পবিত্র সূরা বনি ইসরাইল শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৩৩)

পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “দুনিয়া ধ্বংস করে দেয়ার চেয়েও মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে ঘৃণিত কাজ হলো মানুষ হত্যা করা।” (তিরমিযী শরীফ)

সঙ্গতকারণেই তাই বলতে হয়, পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার দৃষ্টিতে হারাম নির্বাচনভিত্তিক বর্তমান গণতান্ত্রিক রাজনীতির ধারাবাহিকতায় সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার দৃষ্টিতে হত্যা, বোমা মারা, দগ্ধ করার মতো ভয়াবহ ফিতনা তথা চরম অনিরাপত্তার বলয় বা বর্ণনাতীত আতঙ্কজনিত অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে হলে আমাদেরকে অনন্তকালব্যাপী পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ তথা পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করতে হবে। এ লক্ষ্যে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহিমান্বিত জীবনী মুবারক আলোচনা ও অনুসরণ করতে হবে। হিংসা, বেইনসাফ, যুলুম, ফিতনা-ফাসাদ, মারামারি, কাটাকাটি তথা হত্যা, নাশকতা ও সহিংসতা থেকে মুক্তি পেতে সম্মানিত কুরআন শরীফ ও সম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার শিক্ষা সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে হবে।


-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউল্লাহ

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৬৭

ভ্রান্ত ওহাবী মতবাদ প্রচারের নেপথ্যে-১৬

চাঁদ দেখা ও নতুন চন্দ্রতারিখ নিয়ে প্রাসঙ্গিক আলোচনা-৩৫

বাতিল ফিরক্বা ওহাবীদের অখ্যাত মুখপত্র আল কাওসারের মিথ্যাচারিতার জবাব-২৫ হাদীছ জালিয়াতী, ইবারত কারচুপি ও কিতাব নকল করা ওহাবীদেরই জন্মগত বদ অভ্যাস ওহাবী ফিরক্বাসহ সবগুলো বাতিল ফিরক্বা ইহুদী-নাছারাদের আবিষ্কার! তাদের এক নম্বর দালাল

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের ‘সংবিধানের প্রস্তাবনা’, ‘মৌলিক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা’ ‘জনস্বাস্থ্য ও নৈতিকতা’ এবং ‘জাতীয় সংস্কৃতি’ শীর্ষক অনুচ্ছেদের সাথে- থার্টি ফার্স্ট নাইট তথা ভ্যালেন্টাইন ডে পালন সরাসরি সাংঘর্ষিক ও সংঘাতপূর্ণ’। পাশাপাশি মোঘল সংস্কৃতির দান পহেলা বৈশাখ পালনও প্রশ্নবিদ্ধ।সংবিধানের বহু গুরুত্বপূর্ণ ও বিশেষ স্পর্শকাতর অনুচ্ছেদের প্রেক্ষিতে ৯৫ ভাগ মুসলমানের এদেশে কোনভাবেই থার্টি ফার্স্ট নাইট ও ভ্যালেন্টাইন ডে পালিত হতে পারে না।পারেনা গরিবের রক্ত চোষক ব্র্যাকের ফজলে আবেদও ‘নাইট’ খেতাব গ্রহণ করতে। পারেনা তার  নামের সাথে ‘স্যার’ যুক্ত হতে। পাশাপাশি মোঘল সংস্কৃতির দান পহেলা বৈশাখ পালনও প্রশ্নবিদ্ধ।