সুমহান সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ ও পবিত্র মীলাদ শরীফ, ক্বিয়াম শরীফ উনার ঘোর বিরোধী, অসংখ্য কুফরী আক্বীদায় বিশ্বাসী পিস টিভির ভাষ্যকার জাকির নায়েক ওরফে কাফির নায়েক এবং বৌদ্ধ ও হিন্দুদের আক্বীদা প্রচার-প্রসারকারী কোয়ান্টাম সম্পর্কে কিঞ্চিত আলোচনা

সংখ্যা: ২৪৮তম সংখ্যা | বিভাগ:

সুমহান সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ ও পবিত্র মীলাদ শরীফ, ক্বিয়াম শরীফ উনার ঘোর বিরোধী, অসংখ্য কুফরী আক্বীদায় বিশ্বাসী পিস টিভির ভাষ্যকার জাকির নায়েক ওরফে কাফির নায়েক এবং বৌদ্ধ ও হিন্দুদের আক্বীদা প্রচার-প্রসারকারী কোয়ান্টাম সম্পর্কে কিঞ্চিত আলোচনা


পিস টিভি

পিস টিভির মূল হচ্ছে ডা. জাকির নায়েক ওরফে কাফির নায়েক। যার মাথার তালু থেকে পায়ের তলা পর্যন্ত পবিত্র সুন্নত মুবারক উনার লেশমাত্রও নেই। নাউযুবিল্লাহ! উপরুন্ত সে চব্বিশ ঘন্টা ইহুদী-নাছারাদের লেবাস কোট-প্যান্ট, টাই পরিধান করে থাকে। নাউযুবিল্লাহ! সে পর্দার বিধান চরমভাবে লঙ্ঘন করে। স্কাট পরা বেপর্দা মহিলার সাথে দেখা করতেও দ্বিধাবোধ করে না। নাউযুবিল্লাহ! সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে টিভি দেখা, টিভিতে প্রোগ্রাম করা সম্পূর্ণরূপে হারাম ও কবীরাহ গুণাহ। কেননা, টিভির মূলই হচ্ছে ছবি। আর ছবি সম্পর্কে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “প্রত্যেক ছবি তুলনেওয়ালা ও তোলানেওয়ালাই জাহান্নামী। (মুসলিম শরীফ) তাই সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার ফায়ছালা হলো- ছবি তোলা, তোলানো, আঁকা, রাখা, দেখা সবই হারাম। হালাল বা জায়িয মনে করা কুফরী। অথচ সে হালাল বা জায়িয মনে করেই টিভিতে প্রোগ্রাম করছে। কাজেই সে যে শুধু হারাম কাজ করছে তা নয়, বরং সে সুস্পষ্ট কুফরী করছে। তার কারণে যারা টিভিকে জায়িয মনে করবে তারাও কুফরী করবে। অর্থাৎ কাফির হবে।

 শুধু তাই নয়, সে পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ অর্থাৎ পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও পবিত্র মীলাদ শরীফ-ক্বিয়াম শরীফ উনাদের ঘোর বিরোধী এবং অসংখ্য কুফরী আক্বীদায় বিশ্বাসী। আর সেই কুফরী আক্বীদাগুলোই সে পিস টিভির মাধ্যমে প্রচার-প্রসার করে অসংখ্য লোককে কাফির বানাচ্ছে। নাউযুবিল্লাহ! যেমন, তার আক্বীদা হলো-

১. ‘রাম ও কৃষ্ণ নবী হতে পারে।’ নাউযুল্লিাহ!

২. ‘পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ব্যাকরণগত ভুল আছে।’ নাউযুবিল্লাহ!

৩. ‘ওযু ছাড়া পবিত্র কুরআন শরীফ স্পর্শ করা ও পড়া যাবে।’ নাউযুবিল্লাহ! ৪. সে ‘ইয়াজিদের নামের সাথে ‘রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু [Peace Be Upon Him] এই পবিত্র বাক্য ব্যবহার করে থাকে।’ নাউযুবিল্লাহ!

৫. ‘হিন্দুদের বেদ মহান আল্লাহ পাক উনার বাণী হতে পারে।’ নাউযুবিল্লাহ! ৬. ‘ইসলামে ৪ জন মহিলা নবী ছিলো।’ নাউযুবিল্লাহ!

৭. ‘সম্মানিত মাযহাব উনার ৪ জন ইমামই ভুল করেছেন।’ নাউযুবিল্লাহ!

৮. মহান আল্লাহ পাক উনাকে বিষ্ণু ও ব্রাহ্ম নামে ডাকা যাবে।’ নাউযুবিল্লাহ!

৯. ‘নূরে মুজসাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হায়াতুন নবী নন। হায়াতুন নবী হলে দাফন করা হলো কেন?’ নাউযুবিল্লাহ!

১০. সে হিন্দুদের ভাই বলে সম্বোধন করে এবং বলে- আমরা হিন্দু ভাইদের ভালোবাসি।’ নাউযুবিল্লাহ!

১১. মহান আল্লাহ পাক উনার সবকিছুর উপর ক্ষমতা রয়েছে কিন্তু তিনি সবকিছু সৃষ্টি করতে অক্ষম। যেমন তিনি লম্বা বেটে মানুষ তৈরি করতে অক্ষম।’ নাউযুবিল্লাহ

১২. মুসলমান উনাদের জন্য দাড়ী রাখা ফরয নয়, সুন্নত। নাউযুবিল্লাহ!

১৩. ‘হুর’ শব্দ দ্বারা মহিলা ও পুরুষ উভয়কেই বুঝানো হয়েছে। জান্নাতী মহিলারা পুরুষ হুর পাবেন। নাউযুবিল্লাহ!

১৪. মহিলাদের মুখে নেকাব দেয়া ফরয নয় এবং চেহারা ঢেকে রাখা আবশ্যক নয়। নাউযুবিল্লাহ!

১৫. জুমুয়ার খুতবা আরবী হওয়া জরুরী নয়। নাউযুবিল্লাহ! ১৬. তারাবীহ নামায যত খুশি তত পড়তে পারবে। নাউযুবিল্লাহ!

১৭. যারা হিন্দুস্থানে বাস করে তারা সকলেই হিন্দু। কাজেই আমাকে হিন্দু বলতে পারেন। নাউযুবিল্লাহ!

১৮. মহিলাদের মসজিদে গিয়ে নামায পড়া জায়িয। নাউযুবিল্লাহ!

১৯. মাযহাব মানা জরুরী নয়। পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ মুতাবিক চললেই হয়। নাউযুবিল্লাহ!

২০. পুরুষ ও মহিলাদের নামাযে কোনো পার্থক্য নেই। নাউযুবিল্লাহ!

২১. কাফির নায়েক বলেছে যে, সে অন্ধভাবে পরকাল, জান্নাত, জাহান্নাম, রূহ, জ্বিন, ফেরেস্তা বিশ্বাস করে না। সে যুক্তি এবং সম্ভবনা তত্ত্ব (theory of probability) দ্বারা বিশ্বাস করে। (নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক)

২২. কাফির নায়েক সে ‘পবিত্র সুরা ত্ব-হা শরীফ’ উনার ২৫ নম্বর পবিত্র আয়াত শরীফ উনার  অর্থ বিকৃত করে বলেছে- “হে আল্লাহ পাক! আমার মস্তিস্ককে (কেন্দ্র) প্রশস্ত করে দিন।” সে আরবী ‘ছদর’ শব্দের অর্থ করেছে ‘মস্তিস্ক’ কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে যে, বর্তমান বিজ্ঞান প্রমাণ করেছে ক্বলব নয়; বরং মস্তিস্কই সকল চিন্তা শক্তির উৎস। (নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক)

২৩. কাফির নায়েক সে তার এক লেকচারে বলেছে যে, “নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং হযরত মুসা আলাইহিস সালাম উনারা মহান আল্লাহ পাক উনার মনোনীত রসূল ছিলেন এবং একই সাথে উনারা দুনিয়ার রাজা ছিলেন।” (নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক)

২৪. কাফির নায়েক সে পবত্রি কুরআন শরীফ উনার পবত্রি আয়াত শরীফ উনার সাথে কবির দাস (ভারতের তথাকথিত এক মুসলমান যে সম্মানিত ইসলাম ধর্ম এবং হিন্দু ধর্মকে এক করার অপচষ্টো চালিয়েছে)  এর শ্লোকের তুলনা করছে। (নাউযুবিল্লাহি মিন যালিক)

২৫. কাফির নায়েককে প্রশ্ন করা হয়েছিল সে কেন বিধর্মীদের ধর্মগ্রন্থ থেকে উদ্ধৃতি দিয়ে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার অনেক বিষয়ের ব্যাখা করার চষ্টো করে। এর জবাবে সে বলেছে, কারণ বিধর্মীরা পবিত্র কুরআন শরীফ বিশ্বাস করেনা। (নাউযুবিল্লাহি মিন যালিক)

২৬. কাফির নায়েক সে পবত্রি সূরা বাক্বারা শরীফ উনার ২৩ নম্বর পবিত্র আয়াত শরীফ উল্লেখ করে বলেছে যে, “মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ তৈরী করেছেন।” (নাউযুবিল্লাহি মিন যালিক)

২৭. কাফির নায়েক নাস্তকিদরেকে স্বাগত জানায় কারণ তারা কালিমা শরীফ এর প্রথম অংশ “লা ইলাহা” অর্থাৎ “কোন প্রভু নেই” স্বীকার করে। (নাউযুবিল্লাহি মিন যালিক)

২৮. কাফির নায়েক তার চরম মূর্খতা জাহির করে বলেছে যে, কোন ধর্মীয়গ্রন্থটি প্রকৃত পক্ষে সৃষ্টিকর্তা উনার কালাম? তার চুড়ান্ত পরীক্ষা বিজ্ঞান দ্বারা সম্ভব। (নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক)

২৯. কাফির জাকির নায়েক সে বলেছে যে, মুসলমান এবং হিন্দুদের মধ্যে মুল পার্থক্য হলো মুসলমান বিশ্বাস করে সবকিছু সৃষ্টিকর্তার অর্থাৎ everything is God’s অন্যদিকে হিন্দুরা বিশ্বাস করে সবকিছু সৃষ্টিকর্তা অর্থাৎ everything is God (নাউযুবিল্লাহি মিন যালিক)

৩০. কাফির নায়েক পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ উনার  ১৫৪ নম্বর পবিত্র আয়াত শরীফ উল্লেখ করে বলেছে যে, পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে উল্লিখিত …..বরং তারা জীবিত……” এর অর্থ হলো পরকালে তারা আবার জীবিত হবে (পুনরুত্থান) এবং তাদের পুরষ্কৃত করা হবে। (নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক)

৩১. নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র রওজা মুবারকে সশরীরে মৃত। নাউযুবিল্লাহ!

৩২. হায়েয-নেফাস ঋতুবর্তী মহিলারা অর্থাৎ স্বাভাবিক মাজুর ও সন্তান হওয়ার কারণে মাজুরতা মহিলারা পবিত্র কুরআন শরীফ পড়তে পারবে। নাউযুবিল্লাহ!

৩৩. পবিত্র ঈদ উনার দিন পবিত্র জুমুআর নামায পড়া লাগে না। নাউযুবিল্লাহ!

৩৪. পবিত্র তারাবীহ নামায ও পবিত্র তাহাজ্জুদ নামায এক-ই নামায। নাউযুবিল্লাহ!

৩৫. পবিত্র তারাবীহ নামায শুধু ৮ রাকায়াত আদায় করতে হবে। নাউযুবিল্লাহ!

৩৬. ফজরের আযানের পরও সাহরী খাওয়া যাবে।

৩৭. এক সাথে ৩ তালাক দিলে ১ তালাক হবে।

৩৮. খ্রিষ্টান শার্ট-প্যান্ট-টাই-কোর্ট এইগুলো নামায আদায়ের সবচাইতে উত্তম পোষাক। নাউযুবিল্লাহ!

৩৯. কাকড়া ও কচ্ছপ খাওয়া হালাল। নাউযুবিল্লাহ!

৪০. নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার একাধিক বিবাহ ছিলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য। নাউযুবিল্লাহ!

৪১. ক্বাযা নামায পডা লাগে না। নাউযুবিল্লাহ!

৪২. কাফির শিয়া ও সুন্নীদের মধ্যে পার্থক্যটা শুধু মাত্র ‘রাজনৈতিক’, আক্বীদা গত নয়। নাউযুবিল্লাহ!

৪৩. শিয়া এবং সুন্নিদের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। নাউযুবিল্লাহ!

৪৪. টিভিতে কার্টুন ছবি দেখা জায়িয। নাউযুবিল্লাহ! (তথ্যসূত্র: ডাঃ জাকির নায়েকের লেকচার সমগ্র)

খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, মুজাদ্দিদে আ’যম, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনিই সর্বপ্রথম বলেন যে, “জাকির নায়েক আসলে কাফির নায়েক।” যামানার তাজদীদী মুখপত্র ‘দৈনিক আল ইহসান শরীফ’ ও ‘মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ’ উনাদের মধ্যেও তাকে কাফির নায়েক আখ্যা দেয়া হয়। তখন কেউ কেউ বিষয়টি মেনে নিতে না পারলেও এখন সকলেই জাকির নায়েকের ‘কাফির’ হওয়ার ব্যাপারে একমত। আমাদেরকে অনুসরণ করে এখন অনেকেই তাকে কাফির ফতওয়া দিচ্ছে। বলা হয়, পৃথিবীর প্রায় ৫০০ ইসলামী প্রতিষ্ঠান থেকে তাকে কাফির ফতওয়া দেয়া হয়েছে। আর তা বাস্তব ও দলীলসম্মতও বটে। কারণ, তার লেকচার ও প্রকাশনার মাধ্যমে তার কাফির হওয়ার হাজারো প্রমাণ বের হয়ে এসেছে।

কোয়ান্টাম

কাফির নায়েকের ন্যায় আরেকটি নতুন কুফরী মতবাদ ও বাতিল ফিরক্বা হচ্ছে ‘কোয়ান্টাম’।

এর প্রধানকে তারা গুরুজি বলে ডাকে। যার সাড়ে তিন হাত শরীরে সম্মানিত সুন্নত উনার কোনো চিহ্নই  নেই। সে দাড়িবিহীন এবং বের্পদা মহিলাদের সাথে সে হরহামেশা সাক্ষাৎ করে। এই কোয়ান্টামের সাথে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার বিন্দুমাত্র সম্পর্ক নেই। এই কোয়ান্টাম পবিত্র যাকাত, পবিত ফিৎরা, পবিত্র কুরবানীর পশুর চামড়া ও তার মূল্য এসব মুসলমানদের কাছ থেকে নিয়ে পাহাড়ে সন্ত্রাসী উপজাতি বৌদ্ধদের পিছনে খরচ করে। মূলত কোয়ান্টামের কার্যক্রম, তাদের নীতি সব সম্মানিত ইসলাম উনার খিলাফ।

কোয়ান্টাম হিন্দু-বৌদ্ধ ইত্যাদি বাতিল ধর্মমতের কথা এনে মুসলমানদের মাঝে ছড়াচ্ছে; যা সম্পূর্ণ কুফরী। যেমন, কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন প্রচার করছে- “স্বপ্নের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ দেখে নেয়া বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি ব্যাপার, কারণ বুদ্ধের মা মায়াদেবী, কৃষ্ণ পরম হংসদেবের পিতা ক্ষুদিরাম, জুলিয়াস সিজার, প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকন, ইংরেজ কবি শেলী, কবি টেনিসন প্রমুখ স্বপ্নের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ দেখেছিলো। তাছাড়া বিজ্ঞানী ফ্রেডরিক ভন কাকুল, সেলাই মেশিন আবিষ্কারক ইলিয়াস হাওয়ে, বল বিয়ারিংয়ের আবিষ্কর্তা জেমস ওয়াটসহ অনেক বিজ্ঞানীরা তাদের সমস্যার সমাধান স্বপ্নেই পেয়ে গেছে।” নাঊযুবিল্লাহ! বলার অপেক্ষা রাখে না, এসব কথা বিশ্বাস করলে কোনো মুসলমানের ঈমান থাকতে পারে না। অথচ কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন মুসলমানদের মাঝে এসব কুফরী কথাই প্রচার করছে। নাউযুবিল্লাহ!

শুধু তাই নয়- কোয়ান্টাম কাফির-মুশরিকদের সাথে হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালামগণ উনাদের নাম মুবারক তথা পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাকে সম্পৃক্ত করে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার জঘন্য অবমাননা করেছে। হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালামগণ উনাদের সাথে চরম বেয়াদবি করেছে, করছে। নাঊযুবিল্লাহ! যেমন কোয়ান্টাম স্বপ্ন চর্চা ও ব্যাখ্যার বিষয়টি প্রমাণ করতে গিয়ে হযরত ইউসুফ আলাইহিস সালাম উনার কথা উল্লেখ করেছে। সেই সাথে এও বলেছে যে- “হিন্দুদের স্বপ্ন চর্চার গুরুত্বপূর্ণ দলিল অথর্ববেদ বা বৌদ্ধভিক্ষুদের স্বপ্নচর্চাকারী সম্প্রদায় স্বপ্নযোগীর মতো ইসলাম ধর্মের আলিমদের অনেকে যে ‘ইস্তেখারা’ করে ভালোমন্দ বলেন, তা-ও স্বপ্নচর্চা ও স্বপ্নের সৃজনশীল প্রয়োগেরই একটি বিশেষ মাত্রা।” নাঊযুবিল্লাহ! অর্থাৎ তারা হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম ও হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম উনাদের স্বপ্ন ও ইস্তেখারাকে হিন্দু-বৌদ্ধ, নাস্তিক, কাফির, মুশরিকদের স্বপ্ন ও যোগ ব্যায়েমের সাথে তুলনা করে থাকে। যা সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে কাট্টা কুফরীর অন্তর্ভুক্ত। এছাড়াও আরো বহু কুফরী আক্বীদা ও আমল তাদের রয়েছে। সেগুলো বিশ্বাস ও আমল করলে কেউ মুসলমান থাকতে পারে না।

অথচ অনেক নামধারী মুসলমান পিস টিভি ও কোয়ান্টামকে হক্ব মনে করে তাদেরকে অনুসরণ করছে। নাউযুবিল্লাহ! তাদের উল্লিখিত কুফরী আক্বীদাগুলো বিশ্বাস করছে। নাউযুবিল্লাহ! শুধু তাই নয় অনেকে আবার আর্থিকভাবেও তাদেরক সাহায্য সহযোগিতা করছে। নাউযুবিল্লাহ!  যেমন- পিস টিভি ও কোয়ান্টামে পবিত্র যাকাত-ফিৎরা ও পবিত্র কুরবানীর পশুর চামড়া ইত্যাদি দিচ্ছে। নাউযুবিল্লাহ! অথচ পিসটিভি ও কোয়ান্টামে পবিত্র কুরবানীর পশুর চামড়া বা তার মূল্য ও যাকাত-ফিৎরা দেয়ার অর্থ হচ্ছে- কুফরী আক্বীদা ও কুফরী আমল প্রচার-প্রসারে সাহায্য-সহযোগিতা করা। নাউযুবিল্লাহ! তাছাড়া পিসটিভি ও কোয়ান্টাম এরা পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত ৮ খাতের কোনো খাতের মধ্যেই পড়ে না। তাই এদেরকে পবিত্র কুরবানীর পশুর চামড়া ও যাকাত, ফিৎরা দিলে তা কস্মিনকালেও আদায় তো হবেই না; বরং কুফরীর গুনাহ হবে।

অতএব, পিস টিভি ও কেয়ান্টামের সাথে জড়িত সকলের জন্যই ফরয হচ্ছে খালিছ তওবা করে এদের থেকে সরে যাওয়া এবং এদেরকে পবিত্র কুরবানীর পশুর চামড়া বা তার মূল্য ও যাকাত-ফিৎরা দেয়া অর্থাৎ সর্বপ্রকার সাহায্য সহযোগিতা করা থেকে বিরত থাকা। নচেৎ জাহান্নামে যাওয়া ছাড়া কোন পথ থাকবে না।

মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মাধ্যমে নির্দেশ মুবারক করেন, “তোমরা নেক কাজে ও পরহেযগারীতে পরস্পর পরস্পরকে সাহায্য করো। বদকাজে অর্থাৎ পাপে ও শত্রুতায় পরস্পর পরস্পরকে সাহায্য করো না।”


-আল্লামা মুফতী মুহম্মদ ইবনে ইসহাক

খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক স্বয়ং নিজেই সর্বপ্রথম ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে ঈদ উদযাপন করেন

সাইয়্যিদুল মুরসালীন, সাইয়্যিদুল কাওনাইন, সাইয়্যিদুল ফারীক্বাইন হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম স্বয়ং নিজেই নিজের বিলাদত শরীফ পালন করে খুশি প্রকাশ করেন

হযরত খুলাফায়ে রাশিদীন আলাইহিমুস সালাম উনারা উনাদের খিলাফতকালে নাবিইয়ুর রহমাহ, নাজিইয়ুল্লাহ, নূরুম মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করেছেন এবং এ উপলক্ষে ব্যয় করার ফযীলতও বর্ণনা করেছেন

হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা উৎসাহ-উদ্দীপনার সাথে সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদুল ঈদিল আ’যম, সাইয়্যিদুল ঈদিল আকবার ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে ঈদ উদযাপন করেছেন

বান্দা-বান্দী ও উম্মতের জন্য সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদুল ঈদিল আ’যম, সাইয়্যিদুল ঈদিল আকবার ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা ফরয হওয়ার প্রমাণ