সুলত্বানুল হিন্দ, কুতুবুল মাশায়িখ, মুজাদ্দিদ যামান, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, হাবীবুল্লাহ সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন হাসান চিশতী আজমিরী সাঞ্জারী রহমতুল্লাহি আলাইহি-১৫

সংখ্যা: ২৪৪তম সংখ্যা | বিভাগ:

সুলত্বানুল হিন্দ, কুতুবুল মাশায়িখ, মুজাদ্দিদ যামান, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, হাবীবুল্লাহ সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন হাসান চিশতী আজমিরী সাঞ্জারী রহমতুল্লাহি আলাইহি-১৫

(বিলাদত শরীফ ৫৩৬ হিজরী, বিছাল শরীফ ৬৩৩ হিজরী)


“চীশতী” নামকরণের তাৎপর্য:

 

সুলতানুল হিন্দ, কুতুবুল মাশায়িখ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত গরীবে নেওয়াজ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মুর্শিদ ক্বিবলা উনার সিলসিলা চীশতীয়া তরীক্বার আদি পীর ও মুর্শিদ হযরত খাজা ইসহাক শামী চীশতী রহমতুল্লাহি আলাইহি পর্যন্ত পৌছেছে।

সুলত্বানুল হিন্দ, কুতুবুল মাশায়িখ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত গরীবে নেওয়াজ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা উসমান হারুনী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মুরীদ। তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত হাজী শরীফ জিন্দানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মুরীদ। তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা কুতুবুদ্দীন মওদুদ চীশতী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মুরীদ। তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা নাসিরুদ্দীন আবু ইউসুফ চীশতী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মুরীদ। তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা আবু মুহম্মদ চীশতী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মুরীদ ছিলেন। তিনি সাইয়্যিদুনা খাজা আবু আহমদ আবদাল চীশতী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মুরীদ। তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা আবূ ইসহাক শামী চীশতী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মুরীদ হওয়ার সৌভাগ্য লাভ করেছিলেন। এই মহান ব্যক্তিত্ব হতেই সর্বপ্রথম “চীশতী” নাম মুবারক ধারণের সূচনা হয়।

খোরাসান প্রদেশের অন্তর্গত কোন একটি গ্রামের নাম চীশ্ত। কুতুবুল অলম, শায়খুল মাশায়িখ সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা আবূ ইসহাক শামী চীশতী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বিলাদত শরীফ লাভের স্থান হচ্ছে শাম দেশ। কিন্তু খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার বান্দাগণকে হিদায়েত দান, মা’রিফাত, মুহব্বত তালাশী বান্দাগণকে তা’লীম তালক্বীন দেয়ার জন্য তিনি সেই চীশ্তকে নিজের কেন্দ্রস্থল ও বাসস্থান করে নিয়েছিলেন। আর উনার সিলসিলাভুক্ত সকল বুযুর্গানে দ্বীনকে চীশতী বলা হয়।

কুতুবুল আলম, শায়খুল মাশায়িখ সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা আবূ ইসহাক শামী চীশতী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি চীশত এলাকাকে স্বীয় ফয়েজ-তাওয়াজ্জুহ এর ঝরণাধারা প্রবাহিত করে দিয়েছিলেন। তিনি সেখানে “মাদরাসাতুল ফয়েয” নামে একটি দ্বীনি ইলিম শিক্ষার বিরাট প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছিলেন। অসংখ্য-অগনিত বুযুর্গানে দ্বীন কুতুবুল আলম, শায়খুল মাশায়িখ, সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা আবূ ইসহাক শামী চীশতী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার নিকট থেকে মা’রিফাত, মুহব্বত তথা ত্বরীক্বত, হাক্বীক্বত উনাদের সবক হাছিল করেন। উনারা সবাই ইনসানে কামিল (পূর্ণমানব) হয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েন স্বীয় দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনের লক্ষে। ফলশ্রুতিতে (চীশতী) নামটি প্রসিদ্ধি লাভ করে। সর্বোপরি মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের নিকট উক্ত চীশ্ত নামটি মাকবূল বা কবূল হয়। একারণে সেই চীশ্তী সবার কাছে প্রিয় ও পছন্দনীয় এবং সম্মানিত হয়ে উঠে।

আজ কেউই জানে না যে, চীশ্ত কোথায় অবস্থিত। তার আয়তন বা পরিধি কতটুকু। কিন্তু বুযুর্গানে দ্বীন, আল্লাহওয়ালা লোকগণের বরকতে ওই নাম মুবারকটি চিরকালের জন্য অমর হয়ে আছে এবং থাকবে ইনশাআল্লাহ।

প্রকৃতপক্ষে ইহা অত্যন্ত বিস্ময়ের কথা যে, এই মুবারক সিলসিলার মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ ওলীআল্লাহ, গাউছ, কুতুব, আবদাল, নকীব, নুজাবাগণের আবির্ভাব ঘটেছে। উনারা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নায়িব বা প্রতিনিধি হিসেবে উনার রেখে যাওয়া সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার শিক্ষা সারা দুনিয়ায় ছড়িয়ে দেন।

বিশেষ করে প্রাচ্যের এমন কোন অঞ্চল নেই যেখানে এই সব তরীক্বার বুযুর্গানে দ্বীন চীশতীয়া তরীক্বার আলো পৌঁছাননি।

পূর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে যে, সুলত্বানুল হিন্দ, কুতুবুল মাশায়িখ, মুজাদ্দিদে যামান, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত গরীবে নেওয়াজ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার পীর মুর্শিদগণের সিলসিলার সপ্তম উর্ধ্বতন পীর-মুর্শিদ ছিলেন শায়খুল উলামা ওয়াল মাশায়িখ সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা আবূ ইসহাক শামী চীশতী রহমতুল্লাহি আলাইহি। যিনি সর্বপ্রথম এই পবিত্র ও মুবারক চীশতী উপাধি গ্রহন করেছিলেন। এই মহান ব্যক্তিত্বের পীর-মুর্শিদ ছিলেন কুতুবুল আকতাব, ফক্বীহুল মিল্লাত সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা আবূ ইবরাহীম ইসহাক মামশাদ উলু দিনারী রহমতুল্লাহি আলাইহি। উনার পীর-মুর্শিদ ছিলেন সুলতানুল আরিফীন, মাখজানুল মা’রিফাত, সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা আমীনুদ্দীন হুবায়রা বসরী রহমতুল্লাহি আলাইহি। আর উনার পীর-মুর্শিদ ছিলেন ইমামুল মুহাক্কিক্বীন, ফখরুল আরিফীন, সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা হুযাইফা মারয়াশী রহমতুল্লাহি আলাইহি। আর উনার পীর-মুর্শিদ ছিলেন ফখরুল আউলিয়া সাইয়্যিদুনা হযরত শায়েখ ইবরাহীম ইবনে আদহাম রহমতুল্লাহি আলাইহি। যিনি ইশকে ইলাহীর ডাকে পার্থিব বাদশাহীকে পদাঘাত করে ফকীরী অবলম্বন করেছিলেন। উনার পীর-মুর্শিদ ছিলেন সাইয়্যিদুল আউলিয়া, সায়িমুদ দাহর, সাইয়্যিদুনা হযরত ফুজাইল ইবনে আয়াজ রহমতুল্লাহি আলাইহি।

সুলত্বানুল হিন্দ, কুতুবুল মাশায়িখ, মুজাদ্দিদ যামান, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, হাবীবুল্লাহ সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন হাসান চিশতী আজমিরী সাঞ্জারী রহমতুল্লাহি আলাইহি-১৪

সুলত্বানুল হিন্দ, কুতুবুল মাশায়িখ, মুজাদ্দিদ যামান, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, হাবীবুল্লাহ সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন হাসান চিশতী আজমিরী সাঞ্জারী রহমতুল্লাহি আলাইহি-১৯

সুলত্বানুল হিন্দ, কুতুবুল মাশায়িখ, মুজাদ্দিদ যামান, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, হাবীবুল্লাহ সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন হাসান চিশতী আজমিরী সাঞ্জারী রহমতুল্লাহি আলাইহি-২০

সুলত্বানুল হিন্দ, কুতুবুল মাশায়িখ, মুজাদ্দিদ যামান, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, হাবীবুল্লাহ সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন হাসান চিশতী আজমিরী সাঞ্জারী রহমতুল্লাহি আলাইহি-১৩

সুলত্বানুল হিন্দ, কুতুবুল মাশায়িখ, মুজাদ্দিদ যামান, গরীবে নেওয়াজ, আওলাদে রসূল, হাবীবুল্লাহ সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন হাসান চিশতী আজমিরী সাঞ্জারী রহমতুল্লাহি আলাইহি-১২