সরকার, দেশব্যাপী বিদ্যুৎ বিপর্যয় থেকে ভারতের থাবা সম্পর্কে সতর্ক সংকেত গ্রহণ করবে কী? সরকার অনুধাবনে ব্যর্থ হলেও ৯৭ ভাগ মুসলিম জনগোষ্ঠীকেই বিশেষ সচেতন ও সক্রিয় হতে হবে। বাংলাদেশে বিদ্যুৎ বিপর্যয় হলেও অপরাধ বিপর্যয় হয়নি যে ইসলামী মূল্যবোধের কারণে; তার উজ্জীবন ঘটাতে হবে।

সংখ্যা: ২৩৯তম সংখ্যা | বিভাগ:

সমস্ত প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য; যিনি সকল সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত পবিত্র দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক।

গত ১লা নভেম্বর ২০১৪ ঈসায়ী সাবত অর্থাৎ শনিবার সকাল ১১টা নাগাদ রাজধানী ঢাকার প্রায় সব এলাকার বিদ্যুৎ চলে যায়। জরুরী প্রয়োজনের যেসব ক্ষেত্র লোডশেডিংয়ের আওতার বাইরে থাকে, সেগুলিও বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এর পরে আধ ঘণ্টার মধ্যেই দেশের অন্যান্য অংশ বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে।

এ বিপর্যয় নিয়ে জ্বালানী উপদেষ্টা কিংবা বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নির্দিষ্টভাবে কিছু বলেনি।

বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে একাধিক রিপোর্টে বলা হয়, ভেড়ামারায় জাতীয় গ্রিডে বাংলাদেশ ও ভারতের বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের সংযোগস্থলে ওই ত্রুটি থেকেই বিভ্রাটের শুরু।

বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে খবর প্রকাশ করেছে। এদের মধ্যে বিবিসি, ডন, এপি, এএফপি, নিউজ এবিসি উল্লেখযোগ্য। বিবিসি তাদের খবরের শিরোনাম করে, বাংলাদেশ ইলেক্ট্রিসিটি ব্লাক আউট আফটার পাওয়ার লাইন ফেইল। এতে বলা হয়, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের যুক্ত জাতীয় বিদ্যুৎ গ্রিড বিকল হয়ে যাওয়ায় দেশটির বেশিরভাগ এলাকা অন্ধকারে নিমজ্জিত রয়েছে।

ভারতে বিদ্যুৎ লাইন ফেইল করায় বাংলাদেশ অন্ধকারে শিরোনামে খবর প্রকাশ করেছে এপি। এর কারণ হিসেবে সংবাদ মাধ্যমটি যান্ত্রিক ত্রুটির কথা উল্লেখ করে। এএফপি বাংলাদেশ সরকারের বরাত দিয়ে জানায়, ট্রান্সমিশন লাইন ফেইলের কারণে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটেছে।

বাংলাদেশ সরকারের তরফ থেকে ভারতের কথা স্বীকার করা না হলেও আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় এমন তথ্যই এসেছে।

ভারতের বিদ্যুৎ লাইন ফেইল করেছে কি-না এটা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়। ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকা স্বভাবসূলভ কায়দায় তাদের পক্ষে সাফাই দাবি করে। কেউ কেউ অবশ্য ভারতের যান্ত্রিক ত্রুটির দোহাই দিয়েছে। কিন্তু এসব বিতর্কের বাইরে যে বিষয়টি বিশেষ প্রনিধানযোগ্য তা হলো- ভারত চাইলেই এক বিদ্যুতের মাধ্যমেই বাংলাদেশের কত ক্ষতি করতে পারে? অথবা বাংলাদেশকে কলাপ্স করে দিতে পারে? নাঊযুবিল্লাহ!

গত ১লা নভেম্বর ২০১৪ ঈসায়ী শনিবারের ভয়াবহ বিদ্যুৎ বিপর্যয়ে হাজার হাজার কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ী ও অর্থনীতি বিশ্লেষকরা। কিন্তু আমরা মনে করি, দৃশ্যতঃ এই ক্ষতিই সব নয়। বাংলাদেশবিদ্বেষী ভারত সরকার চাইলেই বিদ্যুৎ বন্ধের দ্বারা যে কোনো মুহূর্তে এদেশে চরম নাশকতা চালাতে পারে। অথবা অতর্কিতে যুদ্ধাক্রমণ চালিয়ে দিতে পারে। অথবা চরম অনেক ক্ষতি করতে পারে। মূলতঃ এ সুযোগটি বাংলাদেশ নিজ থেকে ভারতের কাছে দিয়ে রেখেছে। যা বাংলাদেশের জন্য চরম আত্মঘাতী।

উল্লেখ্য, দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিমাণ ১১ হাজার মেগাওয়াট অতিক্রম করেছে বলে সরকারিভাবে জানানো হচ্ছে। সঙ্গতকারণে প্রশ্ন উঠে, তাহলে সেদিনের চাহিদা প্রায় সাড়ে ৬ হাজার মেগাওয়াটের বিপরীতে জাতীয় গ্রিড বিপর্যয়ে সারাদেশ অন্ধকারে ডুবে থাকবে কেন? সারাদেশে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের যে বিকল্প ব্যবস্থা নেই, এই বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে সে চিত্রই স্পষ্ট হলো। পাশাপাশি এও প্রতিভাত হলো যে- বাংলাদেশের সবকিছুর নিয়ন্ত্রণ ভারত তার হাতের মুঠোয় রেখেছে।

সমালোচক মহল বলে থাকেন, কার্যতঃ এখন ভারতের কাছে জিম্মি অবস্থায় রয়েছে বাংলাদেশ। মূলত এর কারণটিও অনালোচিত বা অনুদঘাটিত নয়। পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, ‘যখন মুসলমানরা মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে তাদের কৃত ওয়াদা ঠিকমতো পালন না করবে, তখন তাদের উপর বিদেশী শত্রু চাপিয়ে দেয়া হবে।’ আজকে বাংলাদেশের উপর ভারতের আগ্রাসন মূলত মুসলমানদের পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার সৌন্দর্য ও শক্তিমত্তা উপলব্ধিরই অপারগতা। অথচ গত ১লা নভেম্বর ২০১৪ ঈসায়ী শনিবার বাংলাদেশের ব্লাক আউটের মধ্যেও রয়েছে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার মাহাত্ম্য অনুধাবনের অনন্ত অবকাশ। উল্লেখ করা যেতে পারে- ১৯৭৭ সালের জুলাই মাসে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরে একবার বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটে। সাথে সাথে তৈরি হয় অবর্ণনীয় অরাজক পরিস্থিতি। শুরু হয় অবাধ লুটতরাজ, নির্বিচারে হাজার হাজার নারীর সম্ভ্রমহরণ। অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে হাজারটি। সে ব্লাক আউটের মধ্যেও পুলিশ মোট সাড়ে তিন হাজার অপরাধীকে গ্রেফতার করতে পেরেছিল। সে সময়ে নিউইয়র্ক শহরে জনগণের ক্ষতির পরিমাণ ছিল ৩০ কোটি ডলার। তখন নিউইয়র্কের লোক সংখ্যা ছিল ১ কোটিরও কম।

অথচ তার চেয়ে ষোলগুণ বেশি অর্থাৎ ষোলো কোটি জনসংখ্যার গোটা বাংলাদেশে ব্লাক আউটের ঘটনায় কোনো নারী সম্ভ্রম হারায়নি। কোনো দোকানে লুটতরাজ হয়নি। কোনো অপরাধী গ্রেফতার হয়নি। এটা কেন সম্ভব হয়েছে? এটা এজন্যই সম্ভব হয়েছে যে, বাংলাদেশের ৯৭ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমান। তাদের আমলের অবনতি হলেও এখনও কিছুটা অবশিষ্ট আছে। বিশেষ করে পবিত্র ঈমান রয়েছে। কাজেই মুসলমান যদি শুধু আমলটা শুরু করে দেন তাহলেই একদিকে যেমন বিদ্যুৎসহ কোন কিছুর জন্যই কারো মুখাপেক্ষী হতে হবেনা তেমনি কারো অধীনতা বা হুমকিতে থাকার পরিবর্তে বীরদর্পে মাথা উঁচু করে থাকা যাবে। সুবহানাল্লাহ!

মূলতঃ এসব অনুভূতি ও উপলব্ধি আসে পবিত্র ঈমান ও পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাদের অনুভূতি ও প্রজ্ঞা থেকে। আর তার জন্য চাই নেক ছোহবত তথা মুবারক ফয়েজ, তাওয়াজ্জুহ।

যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, যামানার মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবতেই সে মহান ও অমূল্য নিয়ামত হাছিল সম্ভব। মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। (আমীন)

-মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান, ঢাকা

“কুরআন সুন্নাহ’র বিরুদ্ধে কোন আইন পাশ হবে না” -এটি শুধু নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অথবা নির্বাচনী ইশতেহারের ঘোষণাই নয় বরং এটা অত্যন্ত সংবেদনশীল ও সাক্ষাত ওয়াদা ইসলামের দৃষ্টিতে যার গুরুত্ব ও গভীরতা চরম-পরম ও ভীষণ স্পর্শকাতর

আল্লাহ পাক, আল্লাহ পাক-এর আইন, আল্লাহ পাক-এর মালিকানা ও সার্বভৌমত্ব, আল্লাহ পাক-এর দ্বীন, ইসলামের শ্রেষ্ঠত্ব ইত্যাদি ঈমানী বিষয় নির্বাচনের জন্য কমমূল্যে বিক্রি করে ধর্মব্যবসায়ী জামাতীরা ইতিহাসের নিকৃষ্ট ও কলঙ্কিত অধ্যায় রচনা করেছে  ইসলামের নামে ধর্মব্যবসা করে তারা দ্বীন ও দুনিয়া দুটোই হারিয়েছে

আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর ইসলাম নয় জামাতে ইসলামী চায়- মওদুদীর ইসলাম

৩৭ বছরে বিচার হয়নি বলে এখনো বিচার করা যাবে না- এ কথা ভুয়া। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করলে মুক্তিযোদ্ধাই নয় গোটা দেশের প্রতিই সম্মান প্রদর্শন করা হবে॥ এর  জন্য ৭২-এর সংবিধান পুনঃজীবিত করার প্রয়োজন নেই। প্রচলিত আইনে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্ভব। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হক্কুল ইবাদের অন্তর্ভুক্ত।

যুগের আবূ জাহিল, মুনাফিক ও দাজ্জালে কায্যাবদের বিরোধিতাই প্রমাণ করে যে, রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী হক্ব। খারিজীপন্থী ওহাবীদের মিথ্যা অপপ্রচারের দাঁতভাঙ্গা জবাব-৫৮