আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত ও মাহফিল সংবাদ

সংখ্যা: ১২৯তম সংখ্যা | বিভাগ:

অন্যান্য মাহফিলের তুলনায় ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর মাহফিলের মর্যাদা ততটুকু রয়েছে। সমস্ত কায়েনাতের তুলনায় হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর যতটুকু মর্যাদা রয়েছে।

ইমামুল আইম্মা, ইমামে আ’যম, কুতুবুল আলম, মুযাদ্দিদে আ’যম, হাবীবে আ’যম, আওলাদে রসূল, মামদুহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দাজিল্লূহুল আলী সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, ঈদে আকবর, পবিত্র ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে আয়োজিত মাহ্ফিলে প্রধান অতিথির বয়ানে একথা বলেন।

 তিনি বলেন, আল্লাহ্ পাক রব হিসেবে একক, আল্লাহ পাক-এর হাবীব, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রসূল হিসেবে একক। আল্লাহ পাক-এর সাথে শিরক করা যেমন কুফরী আল্লাহ পাক-এর হাবীব, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সাথে শিরক করাও কুফরী।

আল্লাহ্ পাক-এর হাবীব, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, রহমাতুল্লিল আলামীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর মর্যাদা-মর্তবা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আল্লাহ্ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে আল্লাহ পাক এতটা মর্যাদা দান করেছেন যে, তিনি শুধু আল্লাহ্ পাক নন। এছাড়া যত মর্যাদা, মর্তবা, যত মাকামাত, নিয়ামত রয়েছে, সবই আল্লাহ্পাক তাঁকে দান করেছেন। আল্লাহ্ পাক-এর পরেই তাঁর স্থান। তাঁর মর্যাদা সম্পর্কে সমস্ত উম্মতের ইজমা হয়েছে যে, রওজা শরীফের যে  মাটি মুবারক হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর পা মুবারক স্পর্শ করে আছে, তার মর্যাদা আরশে আজীম-এর চেয়েও লক্ষ-কোটি গুণ বেশী।

তিনি বলেন, আজকাল অনেকে বলে থাকে, আল্লাহ পাক-এর হাবীব, আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের মত মানুষ। (নাউযুবিল্লাহ) তাঁকে আমাদের মত ধারণা করা কাট্টা কুফরী। কেননা, কোন দিক থেকেই তিনি আমাদের মত নন। তাঁর প্রতি ওহী নাযিল হয়। তাঁর শরীর মুবারকের ভিতরে যা কিছু রয়েছে তা সবই পবিত্র থেকে পবিত্রতম। শুধু পবিত্রতমই নয় বরং কোন জাহান্নামী লোক যদি তাঁর এস্তেঞ্জা মুবারক ও রক্ত মুবারক পান করে ফেলে তবে তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যায়। অথচ অন্য মানুষের রক্ত পান করা হারাম। কেউ যদি হালাল জেনে পান করে সে কাফির হয়ে যাবে। তাহলে তিনি কি করে আমাদের মত হন?

তিনি বলেন, আজকাল দেখা যায় অনেকে ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করাকে বিদয়াত, শিরক ইত্যাদি বলে প্রচার করে থাকে। অথচ ঈদে-মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করা এবং তা পালন করা ফরয-ওয়াজিব। তা অস্বীকারকারী কাট্টা কাফির এবং চির জাহান্নামী।

তিনি বলেন, শরীয়তে দু’ঈদ ছাড়া তৃতীয় ঈদের কোন অস্তিত্ব নেই’ বলে যারা প্রচার করে তারা আসাদ্দুদ দরজার জাহিল। কারণ আদম আলাইহিস সালাম এর আগমন, দুনিয়ায় অবতরণ এবং দুনিয়া হতে বিদায়ের কারণে শুক্রবার দিন যদি দুই ঈদের চেয়েও বেশী মর্যাদাবান হয়, তাহলে সকল সৃষ্টির মূল, নবীদের নবী, রসূলদের রসূল, হাবীবে আ’যম হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর বিলাদত শরীফ তথা ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যে কত বড় ঈদ হবে সেটা বলার ভাষা কোন মানুষের জানা নেই।

তিনি আরো বলেন, বর্তমানে দেখা যায় কেউ কেউ ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে ঈদের দিন হিসেবে পালন না করে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালন করার দাবী জানাচ্ছে। এটাও কাট্টা কুফরী দাবী। কেননা সর্বশ্রেষ্ঠ ঈদের দিনকে তথা খুশির দিনকে শোকের ছদ্মাবরণে অবজ্ঞা করা কাট্টা কুফরী।

তিনি বলেন, প্রত্যেকের জন্যে ফরয আল্লাহ পাক-এর হাবীব, আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর প্রতি বিশুদ্ধ থেকে বিশুদ্ধতম আক্বীদা পোষণ করা।

তিনি বলেন, মাসিক আল বাইয়্যিনাত পাঠ করা ব্যতীত কারো পক্ষে বিশুদ্ধ আকীদা পোষণ করা অত্যন্ত কঠিন। কারণ বর্তমানে বাজারে যে সমস্ত কিতাবাদী, বই-পুস্তক, পত্র-প্রত্রিকা রয়েছে প্রত্যেকটাতেই কমবেশী ক্রটি রয়েছে। আল্লাহ পাক-এর রহমতে, আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর ইহসানের কারণে মাসিক আল বাইয়্যিনাতই একমাত্র পত্রিকা যার মধ্যে বিশুদ্ধ আক্বীদাসহ সমস্ত কিছু বর্ণনা করা হয়ে থাকে। কাজেই কেউ যদি মাসিক আল বাইয়্যিনাত রীতিমত পাঠ করে তাহলে তার পক্ষেই বিশুদ্ধ আক্বীদা পোষণ করা এবং এর মধ্যে ইস্তিকামত থাকা সম্ভব।

 উল্লেখ্য, সাইয়িদে ঈদে আকবর, ঈদে আ’যম, পবিত্র ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ১৪২৫ হিজরী উপলক্ষে রাজারবাগ দরবার শরীফে (সুন্নতী জামে মসজিদে) ৬ই রবিউল আউয়াল থেকে ১২ই রবিউল আউয়াল পর্যন্ত ৭ দিন ব্যাপী বিরাট ওয়াজ ও দোয়ার মাহফিলের কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন জেলা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত-এর পক্ষ থেকেও অনুরূপ কর্মসূচী গ্রহণের খবর পাওয়া যায়।

আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত ও মাহফিল সংবাদ

আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত  ও মাহফিল সংবাদ

আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত ও মাহফিল সংবাদ

আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত ও মাহফিল সংবাদ

আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত ও মাহফিল সংবাদ