আল বাইয়্যিনাত প্রতিবেদন: নবীদের নবী, রসূলদের রসূল, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শুধু আল্লাহ পাক নন, এছাড়া সমস্ত কিছুর অধিকারী। যত ইলম, মান-সম্মান, ইজ্জত, রিযিক-দৌলত সমস্ত কিছু উনার জন্যই সৃষ্টি এবং উনিই সমস্ত কিছুর বণ্টনকারী।
কাজেই যারা উনার প্রতি বিশুদ্ধ আক্বীদা ও হুসনে যন পোষণ করতে পারে তারাই চূড়ান্ত কামিয়াবী লাভ করে থাকে। আর যারা উনার প্রতি বিশুদ্ধ আক্বীদা ও হুসনে যন রাখে না বরং উনার প্রতি কুফরী আক্বীদা পোষণ করে তারাই সৃষ্টির নিকৃষ্ট জীব তথা উলামায়ে ‘ছূ’। এরা দো’জাহানেই লা’নতগ্রস্ত ও ধ্বংসপ্রাপ্ত।
যামানার লক্ষ্যস্থল ইমাম, ইমামে আ’যম, মুজাদিদ্দে আ’যম, ইমামুল আইম্মা, মুহ্ইস্ সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বিশেষ আলোচনা মজলিসে একথা বলেন।
মুজাদ্দিদে আ’যম, মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, হক্কানী ওলী আল্লাহগণের ছোহবত এবং অন্তরের বিশুদ্ধতা ব্যতীত নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর প্রতি পরিপূর্ণ বিশুদ্ধ আক্বীদা ও মুহব্বত পোষণ করা আদৌ সম্ভব নয়। আর উলামায়ে ‘ছূ’রা এসব নিয়ামত হতে বঞ্চিত। যে কারণে আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর বিলাদত শরীফ তথা ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং উনার ছানা-সিফত এদের ভাল না লাগলেও, বিদয়াত তুল্য হলেও কাফির-মুশরিকদের জন্মদিন পালন এদের কাছে নিয়ামততুল্য। (নাউযুবিল্লাহ)
উল্লেখ্য, এদের কুফরী ফতওয়ার কারণে এ বছর পবিত্র ঈদে মীলাদুন্ নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে অধিকাংশ পত্র-পত্রিকায় নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্পর্কে উল্লেখযোগ্য কোন সংবাদ বা উনার সম্পর্কে কোন আলোচনা, ছানা-ছীফত হয়নি। পক্ষান্তরে রবীন্দ্র নাথ, যীশু খ্রীস্ট আর বুদ্ধকে নিয়ে পেপার-পত্রিকায় এত বেশি লেখা-লেখি ও সংবাদ পরিবেশন হয়েছে- তা দেখে মনে হয় পত্রিকাগুলো বুঝি হিন্দু-বৌদ্ধ আর খ্রীস্টানদের। আশ্চর্য হলেও সত্য যে, এ প্রসঙ্গে উলামায়ে ছূ’দের কোন চু-চেরা, মন্তব্য বা টু-শব্দটি পর্যন্ত ছিল না!
মূলকথা হলো, উলামায়ে ‘ছূ’রা কখনোই আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর ছানা-ছিফত বর্ণনা ও উনার প্রতি মুহব্বত পোষণ করতে পারে না এবং কস্মিনকালেও পারবে না। কারণ এদের অন্তর আবু জাহিল, আবু লাহাব, ওতবা ও শায়বার মত গালিজে পরিপূর্ণ।
অতি সম্প্রতি বাইতুল মুকাররম মসজিদে পাঁচ হাজার মহিলার নামাযের স্থান নির্মাণ প্রসঙ্গে মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, নিঃসন্দেহে এটা অনৈসলামিক কাজ ও বেপর্দা ও লা’নতের কারণ হবে। এ ধরনের কুরআন-সুন্নাহ বিরোধী কার্যক্রম থেকে বিরত থাকা এ সরকারের জন্য ফরয-ওয়াজিব।
যুদ্ধাপরাধী, রাজাকার, জামাত-শিবির কর্তৃক মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের বৃত্তি প্রদান, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা প্রদান- এক কথায় মুক্তিযোদ্ধা সংশ্লিষ্ট কাজে যুক্ত থাকা সম্পর্কে মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, এসব মূলতঃ সুস্পষ্ট মুনাফিকী এবং প্রতারণার শামিল। এসবের মূলে রয়েছে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস বিকৃত করা এবং জনগণের ঘৃণার দৃষ্টি সরিয়ে তাদের সহানুভূতি লাভের চেষ্টা করা। যাদ্বারা অদূর ভবিষ্যতে মুক্তিযোদ্ধার চেতনা ও ইতিহাস মানুষের অন্তর থেকে মুছে, যুদ্ধাপরাধীদের প্রতি মানুষের সহানুভূতি জাগ্রত হবে। এমন কী অর্থের মোহে একটা সময় কঠিন মুক্তিযোদ্ধাও ঘোর জামাত শিবিরে পরিণত হবে। এ বিষয়ে এখনই সরকারের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরী।
আল বাইয়্যিনাত ও উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাতকে জঙ্গি ও কালো তালিকাভুক্তকরণ প্রসঙ্গে মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, যে দেশের জামাতী-যুদ্ধাপরাধী গোয়েন্দা প্রধানদের যোগসাজসে জঙ্গিদের কাছে পৌঁছানোর জন্য দশট্রাক অস্ত্র খালাস হতে পারে, যে দেশের জামাতী-যুদ্ধাপরাধী গোয়েন্দার যোগসাজসে পিলখানার হত্যা পরিকল্পনা জানার পরেও তা সরকারের অগোচরে থাকতে পারে- সেই দেশের জামাতী-যুদ্ধাপরাধী গোয়েন্দারা যে, জঙ্গিবাদ, মৌলবাদ, রাজাকার, আলবাদর, যুদ্ধাপরাধী, জামাতী, দেওবন্দী তথা না হক্ব বিরোধী আল বাইয়্যিনাত ও উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাতকে জঙ্গি ও কালো তালিকাভুক্ত করবে এটা নিতান্তই স্বাভাবিক ঘটনা। কিন্তু দূরদর্শী সরকারের উচিত হবে, জামাত-যুদ্ধাপরাধী নির্ভর গোয়েন্দা রিপোর্টের উপর বিশ্বাস না রেখে জামাতী-যুদ্ধাপরাধী বিরোধী একমাত্র ‘আল বাইয়্যিনাত’-এর লেখনীর উপর ভিত্তি করে আল বাইয়্যিনাতকে জঙ্গি ও কালো তালিকা থেকে বাদ দিয়ে সরকারের জামাতী, যুদ্ধাপরাধী গোয়েন্দা অনির্ভরতা প্রমাণ করা। এতে সরকারের গ্রহণযোগ্যতা ও সচ্ছতা প্রতিষ্ঠিত হবে। যাতে সরকারের প্রতি জনগণের আস্থারও বহিঃপ্রকাশ ঘটবে।
সউদী সরকারের চাঁদ দেখা নিয়ে বিভ্রান্তি সম্পর্কে মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লহুল আলী বলেন, দৈনিক আল ইহসানের বিশ্বব্যাপী ব্যাপক প্রচারণার কারণে সউদী সরকারের টনক নড়তে শুরু করেছে। অতি সম্প্রতি তারা চাঁদ দেখা বিষয়ে মনগড়া কার্যক্রম থেকে ফিরে ইসলামী আদর্শ অনুসরণে অভ্যস্ত হতে শুরু করেছে। এটা নিঃসন্দেহে ভাল লক্ষণ।
মধ্যপ্রাচ্যে নারীদের ক্ষমতায়ন ও গণতন্ত্রের চর্চা প্রসঙ্গে মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে নারীর ক্ষমতায়ন ও গণতন্ত্রের সম্প্রসারণ মূলতঃ তাদের চূড়ান্ত পতনের অশনি সংকেত। গণতন্ত্রের অবাধ নারী স্বাধীনতা ও নারীর ক্ষমতায়নের নামে শুরু হয়েছে বেপর্দা, রাস্তা ঘাটে বেহায়াপনার বিস্তার। সুন্দরী প্রতিযোগিতা ইত্যাদি হারাম কাজ। এসব মূলতঃ মধ্যপ্রাচ্যকে ধ্বংস করার ইহুদী-খ্রীস্ট চক্রের সুদূর প্রসারী নীল নকশারই অংশমাত্র।
উল্লেখ্য, গত ২রা মে রোজ শনিবার নরসিংদী জেলা ছাত্র ও সাধারণ আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত এবং ১৭ মে ২০০৯ ঈসায়ী রোজ শনিবার চট্টগ্রাম জেলা ছাত্র ও সাধারণ আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত-এর প্রথম সম্মীলনী মজলিশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে মুজাদ্দিদে আ’যম মুদ্দা জিল্লুহুল আলী ঐ সব আঞ্জুমানকে নছীহত ও দিক নির্দেশনা প্রদান করেন।
আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত ও মাহফিল সংবাদ
আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত ও মাহফিল সংবাদ