যামানার খাছ লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ্, মুহইস্ সুনড়বাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, আওলাদুর রসূল, হাবীবুল্লাহ, রাজারবাগ শরীফ—এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, “তথাকথিত ‘বিশ্ব মা দিবস’ পালন
করে ইসলামিক ফাউন্ডেশন ইসলাম সম্পর্কে তাদের চরম জিহালতি ও গাফলতি প্রমাণ করেছে। পাশাপাশি ইহুদী—খ্রিস্টানী রীতিনীতি গ্রহণ করে কুরআন—সুন্নাহ মুতাবিক তাদের অন্তভুর্ক্ত হয়েছে। তাদের উচিত প্রকাশ্য খালিছ তওবা করা।” তথাকথিত বিশ্ব মা দিবস উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে গত ১১ই মে বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ চত্বরে আয়োজিত ওয়াজ মাহফিলের প্রতিক্রিয়ায় রাজারবাগ শরীফ—এ তিনি এসব কথা বলেন। মুজাদ্দিদে আ’যম ইমাম রাজারবাগ শরীফ—এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, তথাকথিত মা দিবস পালন উপলক্ষে ওয়াজ শরীফ—এর আয়োজন করার অর্থই হলো তথাকথিত মা দিবসকে গ্রহণ করে নেয়া। অথচ এ মা দিবসের উৎপত্তি, আদর্শ ও সংস্কৃতি কোনটাই মুসলমান বা ইসলামের তরফ থেকে নয়। মা দিবস পালন মূলতঃ পাশ্চাত্য হতে আমদানিকৃত অন্যান্য ফ্যাশনের মতও একটি ফ্যাশন। থার্টি ফাস্টর্ নাইট, ভ্যালেন্টাইন ডে’র মত এটাও একটি পাশ্চাত্য সংস্কৃতি। মুসলিম দেশসমূহ কোন মতেই এ সংস্কৃতি লালন ও পালনের প্রেক্ষাপট নয়। তথাকথিত মা দিবসের প্রচারণা মূলতঃ এটা প্রমাণ করে যে, আসলে মা দিবস পালনকারীরা মাতৃভক্তি ও ভালবাসার চেতনায় উজ্জীবিত নয়। তারা মাতৃভালবাসার বন্ধনহীনতায় ভুগছে। অশান্তিতে ভুগছে। যন্ত্রণায় দগ্ধ হচ্ছে। তার থেকে উত্তরণ লাভের জন্য তারা তথাকথিত মা দিবসে মাতৃভক্তির চেতনায় উজ্জীবিত হবে। অথচ ইসলাম প্রতিটি দিনে প্রতিটি মুহূর্তেই মায়ের প্রতি অগাধ ভালবাসার প্রেরণা ও শক্ত নির্দেশ দেয়। কোন মুসলমানদের জন্যই কোন অবস্থাতেই বিজাতীয় ও বিধমীর্দের নিয়ম—নীতি ও তর্জ—তরীক্বা অনুসরণ—অনুকরণ করা জায়িয নেই। এদিকে তথাকথিত খিলাফত আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা হাফেজ্জীর নাম যুদ্ধাপরাধীদের তালিকায় উঠে আসায় তার প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলনে বায়তুল মুকাররম মসজিদের ভারপ্রাপ্ত খতীব নূরুদ্দীন হাফেজ্জীকে হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম—এর সাথে তুলনা করে বক্তব্য দেয়ার প্রতিক্রিয়ায় মুজাদ্দিদে আ’যম ইমাম রাজারবাগ শরীফ—এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী বলেন, তার এ বক্তব্য কুরআন—সুন্নাহর দৃষ্টিতে কুফরী হয়েছে। তিনি বলেন, হযরত জিবরীল আলাইহস সালামকে মুহব্বত করা ঈমান, উনার প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করা কুফরী; কিন্তু হাফেজ্জীকে মুহব্বত করতে হবে বা তার বিদ্বেষপোষণ করা যাবে না এমন কোন দলীল নেই। আর হাফেজ্জীর আমল প্রমান করে যে তার আমলের মধ্যে ফাসেকী আমলও অনেক রয়েছে। অর্থাৎ সে শরীয়তের খিলাফ অনেক আমলই করেছে। যেমন: সে ছবি তুলেছে, টিভি দেখা জায়েয বলেছে, গণতান্ত্রিক রাজনীতি করেছে, শিয়াদের ইমাম খোমেনীর পিছনে নামায পড়েছে ও তার থেকে সনদ গ্রহণ করেছে। তার এ সমস্ত আমলই প্রমাণ করে সে কোন শ্রেণীর আমলদার ছিল।
আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত ও মাহফিল সংবাদ
আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত ও মাহফিল সংবাদ