আল বাইয়্যিনাত শরীফ প্রতিবেদন: ছাহিবু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, ছাহিবে নেয়ামত, আল ওয়াসীলাতু ইলাল্লাহ, আল ওয়াসীলাতু ইলা রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, সুলত্বানুন নাছীর, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, হযরত জাবির ও হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমা উনারা বলেন- নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্রতম বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন ‘হস্তিবর্ষের পবিত্র ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ; ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)।” সুবহানাল্লাহ! অনুরূপ বর্ণনা ‘বুলুগুল আমানী শরহিল ফাতহির রব্বানী’, আছ ছিহহাহ ওয়াল মাশাহীর ইত্যাদি নির্ভরযোগ্য কিতাবসমূহেও উল্লেখ আছে।
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যেহেতু “মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই শরীফ” মহাপবিত্র ও মহাসম্মানিত বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ! সেহেতু এ মুবারক আ’দাদ শরীফ বা তারিখটি হচ্ছেন- সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনার অন্তর্ভুক্ত। সুবহানাল্লাহ!
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, “নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে ব্যক্তি আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র
বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস তথা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ উনাকে সম্মান করবেন, তিনি সম্মানিত জান্নাত মুবারক-এ আমার সাথে সম্মানিত অবস্থান মুবারক করবেন।” সুবহানাল্লাহ!
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, “নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অন্য পবিত্র হাদীছ শরীফে আরো ইরশাদ মুবারক করেন, যে ব্যক্তি খাদ্য খাওয়ানোর মাধ্যমে আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্রতম বরকতময় বিলাদত শরীফ অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই শরীফ রাত (ও দিবস) উনাকে যথাযথভাবে সম্মান করবেন, আমি ক্বিয়ামতের দিন তার জন্য পবিত্রতম শাফায়াতকারী হবো। সুবহানাল্লাহ!
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, “নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অন্য পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক করেন, যে ব্যক্তি আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্রতম বিলাদত শরীফ পালন উপলক্ষে এক দিরহাম খরচ করবেন, সে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় এক পাহাড় পরিমাণ লাল স্বর্ণ দান করার ফযীলত লাভ করবেন। সুবহানাল্লাহ!”
তাই আমরা প্রতি আরবী মাসের ১২ই শরীফ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আওকাত শরীফ পবিত্র ছুবহে সাদিকের সময় আমাদের দরবার শরীফে কোটি কোটি কন্ঠে পবিত্র মীলাদ শরীফ মাহফিল আয়োজন করে থাকি। বাদ ফজর রাজধানীসহ দেশ-বিদেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্পটে পবিত্র মীলাদ শরীফ মাহফিল আয়োজন করি এবং লাখ লাখ প্যাকেট বিশেষ তাবারুকের ব্যাবস্থা করে থাকি। সুবহানাল্লাহ!
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, অতএব, কুল-কায়িনাতের সকলের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- প্রতি আরবী মাসের সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই শরীফ, মহাপবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ হিসেবে উদযাপন করা। আর সরকারের জন্যও দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ বা ১২ই শরীফ উনার গুরুত্ব ও ফযীলত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করা ও প্রতি আরবী মাস উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই শরীফ ব্যাপকভাবে উদযাপনে সর্বপ্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ, কোটি কোটি কন্ঠে পবিত্র মীলাদ শরীফ মাহফিল এবং সকল আইয়্যামুল্লাহ শরীফ পালিত
খ্বলীফাতুল্লাহ, খ¦লীফাতু রসূলিল্লাহ, সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম, মুত্বহহার, মুত্বহহির, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, সুলত্বানুন নাছীর, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আলাইহিস সালাম উনার এবং মুতহ্হারাহ, মুতহহিরাহ সাইয়্যিদাতুন নিসা, ইমামাতুছ ছিদ্দীক্বা, কায়িম মাক্বামে উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনাদের মুবারক পৃষ্ঠপোষকতায় ও মুবারক তাশরীফে রাজারবাগ শরীফ সুন্নতি জামে মসজিদ এবং মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ বালিকা মাদরাসায় মহাসমারোহে ও ব্যাপক শান শওকতের সাথে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ তথা ১২ই শরীফ পালিত হয়েছেন। পাশাপাশি ঢাকা মহানগরের অধিকাংশ ওয়ার্ড, দেশের অধিকাংশ জেলা এবং বহিঃবিশ্বে জাজিরাতুল আরব, মালয়েশিয়া, দুবাই, সিঙ্গাপুর, ভারত, কাতার, ওমান, থাইল্যান্ড, কুয়েত, আমেরিকা, দক্ষিণ আফ্রিকা, লন্ডন, সুইডেন, স্পেনসহ আরো অনেক দেশে পালিত হয়েছেন।
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিস সালাম তিনি রাজারবাগ শরীফ সুন্নতি জামে মসজিদে আয়োজিত আজিমুশশ্বান মাহফিলে বিশেষ নছীহত মুবারক ও সারাবিশ্বের মুসলিম উম্মাহের জন্য দোয়া-মোনাজাত মুবারক করেন। সুবহানাল্লাহ!
একইভাবে মুতহ্হারাহ, মুতহহিরাহ সাইয়্যিদাতুন নিসা, আফযালুন নিসা, ফক্বীহাতুন নিসা, ইমামাতুছ ছিদ্দীক্বা, কায়িম মাক্বামে উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, বাহরুল উলূম, হাবীবাতুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ বালিকা মাদরাসায় আয়োজিত মাহফিলে বিশেষ নছীহত মুবারক ও সারাবিশ্বের মুসলিম উম্মাহের জন্য দোয়া-মোনাজাত মুবারক করেন। সুবহানাল্লাহ!
আজিমুশ্বান মাহফিলে নকশায়ে হায়দার, কুতুবুল আলম, বাহর”ল উলূম, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত শাফিউল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি এবং নকশায়ে যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম, কুতুবুল আলম, বাহরুল উলূম, আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত হাদিউল উমাম আলাইহিস সালাম উনারা মুবারক নছীহত করেন এবং সকল জেলা ও ঢাকাস্থ আনজুমানের মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২টি বিষয়ের অগ্রগতি প্রতিবেদন দেখেন।
আজিমুশ্বান মাহফিলের অংশ হিসেবে বাদ ফজর ঢাকা মহানগরের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে এবং জেলায় জেলায় পবিত্র কোটি কোটি কণ্ঠে পবিত্র মীলাদ শরীফ পাঠ করা হয়। মীলাদ শরীফ শেষে ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন এলাকায় লাখ লাখ প্যাকেট এবং সারাদেশের জেলা, থানা আনজুমান, সারাদেশের মসজিদ-মাদরাসার উদ্যোগে লাখ লাখ প্যাকেট বরকতময় তবারুক বিতরণ করা হয়।
বাদ যোহর নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আক্বীকা শরীফ উপলক্ষে ২টি গরু এবং ৪৮টি খাসী মুবারক কুরবানী করা হয়। দৈনিক আল ইহসান শরীফ উনার বিশেষ সংখ্যা, বিশেষ রেসালা শরীফ প্রকাশ করা হয়।
আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত ও মাহফিল সংবাদ
আনজুমানে আল বাইয়্যিনাত ও মাহফিল সংবাদ