-আল্লামা মুফতী মুহম্মদ কাওছার আহমদ
অপর একটি বর্ণনায় আছে, হযরত মুহাম্মদ ইবনে ইসমাঈল রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বর্ণনা করেন-
دَخَلْتُ عَلٰى حَضْرَتْ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ رَضِى اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ فَرَاَيْتُ فِـىْ بَيْتِهٖ قَدْحًا مِّنْ خَشَبٍ فَقَالَ كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَشْرَبُ فِيْهِ وَيَتَوَضَّأُ
অর্থ: “একদিন আমি সাইয়্যিদুনা হযরত আনাস বিন মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার কাছে গেলাম। উনার হুজরা শরীফে কাঠের তৈরী একটি পাত্র দেখতে পেলাম। তিনি আমাকে বললেন যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এই মহা পবিত্র বরকতময় পাত্র মুবারকে পানি মুবারক পান করতেন এবং এতে অযু মুবারক করতেন।” সুবহানাল্লাহ! (আখলাক্বুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-৩০৪)
খেজুর পাতার চাটাই কম্বল ও চটের উপর শোয়া সম্মানিত সুন্নত মুবারক
খেজুর পাতার চাটাই, কম্বল ও চটের উপর শোয়া, সম্মানিত সুন্নত মুবারকের অন্তর্ভুক্ত। হায়াতুন নবী, শাহিদুন নবী, মুত্তালা আলাল গইব, হাযির ও নাযির, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি খেজুর পাতার চাটাই মুবারকের উপর ঘুমাতেন। কখনও বা কম্বল মুবারকের উপর বিশ্রাম মুবারক নিতেন। এছাড়া চটের উপর শোয়ারও বর্ণনা মুবারক রয়েছে। কাঠের তৈরী ফ্রেম এবং চট দ্বারা বেষ্টিত চারপায়া বা চৌকি মুবারক উনার উপর বিশ্রাম মুবারক নিতেন। উলামায়ে ‘সূ’ দের স্বেচ্ছারিতা, সুন্নত বিমুখতা, মনগড়া আমলের প্রবণতা এবং মুসলিম শাসকদের সৌখিনতা ইত্যাদি কারণে এই মহাপবিত্র ও মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক পর্যায়ক্রমে আমল থেকে গায়েব হয়ে যান। নাউযুবিল্লাহ! পনের শতকের মহাসম্মানিত ও মহান মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, মাহিউল বিদয়াত, কুতুবুল আলম, আহলে বাইতে রসূলিল্লাহ, জাব্বারিউল আউওয়াল, ক্বউইয়্যুল আউওয়াল সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল উমাম আসসাফফাহ আলাইহিস সালাম তিনি সেই মহাসম্মানিত পবিত্র সুন্নত মুবারক যিন্দা বা পুনঃপ্রচলন করেন। সুবহানাল্লাহ!
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اُمِّ الْـمُؤْمِنِيْنَ الثَّالِثَةِ الصِّدِّيْقَةِ عَلَيْهَا السَّلَامُ قَالَتْ اِنَّـمَا كَانَ فِرَاشُ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَلَّذِىْ يَنَامُ عَلَيْهِ مِنْ اَدَمٍ حَشْوُه لِيْفٌ.
অর্থ: উম্মুল মু’মিনীন হযরত আছছালিছাহ আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, হায়াতুন নবী, শাহিদুন নবী, মুত্তালা আলাল গইব, হাযির ও নাযির নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যে বিছানা মুবারক উনার উপর ঘুমাতেন তা ছিল খেজুর গাছের পাতা, ছাল-ছোবড়া ভর্তি চামড়ার তৈরী। (বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ, শামায়িলে তিরমিযী-৩৩৬, আখলাক্বুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-২২৭)
অপর একটি বর্ণনায় রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اُمِّ الْـمُؤْمِنِيْنَ الثَّالِثَةِ الصِّدِّيْقَةِ عَلَيْهَا السَّلَامُ قَالَتْ كَانَ ضِجَّاعٌ النَّبِـىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَلَّذِىْ يَنَامُ عَلَيْهِ بِاللَّيْلِ مِنْ اَدَمٍ مَـحْشُوًا لِيْفًا
অর্থ: উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুন হযরত আছ ছালিছাহ ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম তিনি বর্ণনা মুবারক করেন, হায়াতুন নবী, শাহিদুন নবী, মুত্তালা’ আলা গইব, হাযির এবং নাযির, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি রাতে যে বিছানা মুবারকে ঘুমাতেন তা ছিল চামড়ার তৈরী। আর তার ভিতর খেজুর গাছের পাতা, ছাল-ছোবড়া ভর্তি ছিলো। (আখলাকুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-২২৭)