আ’লামু বিত্ ত্বিব, আ’লামু বিল ফারায়িদ্ব, আ’লামু বিসুনানি রসূলিল্লাহ, হুল্লাতুল ইসলাম, আশাদ্দু হিজাবান, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম- রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার নাম মুবারক উনার পূর্বে ব্যবহৃত “মুহইউস সুন্নাহ” লক্বব মুবারক বা উপাধির তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ-১৬৩ -আল্লামা মুফতী মুহম্মদ কাওছার আহমদ

সংখ্যা: ২৬৯তম সংখ্যা | বিভাগ:

সুন্নতবিরোধী ও বিদয়াত প্রচলনকারীদের বক্তব্য খণ্ডন (৭)

পূর্বে উল্লেখিত পবিত্র হাদীছে কুদসী শরীফ থেকে প্রমাণিত যে, হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা যা বলেন, করেন তা মহান আল্লাহ পাক উনার প্রতিনিধিরূপে মহান আল্লাহ পাক উনারই কুদরতী যবান মুবারকে বলেন ও করেন। অর্থাৎ উনার পরোক্ষ নির্দেশ  মুবারকে করে থাকেন। কাজেই, সেগুলো গুরুত্বহীন নয়। বরং গুরুত্বপূর্ণ, হিদায়েতপূর্ণ এবং ফযীলত ও মর্যাদা লাভের কারণ।

কাজেই, সুলতানুল হিন্দ, কুতুবুল মাশায়িখ, সাইয়্যিদুনা হযরত গরীবে নেওয়াজ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি দস্তরখানার ফযীলত সম্পর্কে যা  বলেছেন তাকে বানোয়াট, আজগুবি ও উদ্ভট বলা কুফরীর শামিল। কেননা তাতে রয়েছে হঠকারিতা, ইহানত বা অবজ্ঞা। আর ইমাম-মুজতাহিদ ও আউলিয়ায়ে কিরাম তথা হাক্বীক্বী উলামায়ে কিরাম উনাদের ইহানত বা অবজ্ঞা করা কুফরী। কিতাবে এসেছে-

اِهَانَةُ الْعُلَمَاءِ كُفْرٌ

 অর্থ: হক্কানী উলামায়ে কিরাম উনাদের ইহানত বা অবজ্ঞা করা কুফরী। (ফাতওয়ায়ে আযীযী, ইমদাদুল ফতওয়া( কুতুবুল মাশায়িখ, সাইয়্যিদুনা হযরত গরীবে নেওয়াজ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি যা বলেছেন, তা অবশ্যই সঠিক-ছহীহ ও আমলযোগ্য। রহমত, বরকত, সাকীনা লাভের কারণ। মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের তায়াল্লুক, নিছবত, নৈকট্য ও কুরবত লাভের উসীলা। সুবহানাল্লাহ!

উল্লেখ্য যে, ইমাম, মুজতাহিদ ও আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণ উনারা অনেক সময় এমন হাদীছ শরীফ বর্ণনা করেন যা হাদীছ শরীফরূপে বর্ণনা না দিয়ে, নিজেদের ভাষায় সংক্ষিপ্তভাবে বলে থাকেন। তার অসংখ্য-অগণিত কারণও রয়েছে। তার মধ্যে একটি হচ্ছে, সেগুলোর ছহীহ বর্ণনাকারী বা ছিকাহ রাবী পাওয়া না যাওয়া। তাই পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার সারসংক্ষেপ বর্ণনা করেন। তা হুবহু পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মত নয়। তবে তা পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার ভাষ্য। এরূপ ক্ষেত্রে উনারা অধিক খোদা ভীতি, পরহেযগারিতার কারণে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার সাথে নিছবতযুক্ত করেন না। এরূপ ক্ষেত্রে উনাদের প্রতি সুধারণা রেখে তার উপর আমল করাই হচ্ছে তাকলীদ।

আর তাকলীদ, পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফসম্মত। কাজেই, সর্বজনমান্য, ইমাম-মুজতাহিদ ও আউলিয়ায়ে কিরাম উনাদের শান মুবারকে বিরূপ মন্তব্য গইরে মুকাল্লিদ বা লা-মাযহাবী বাতিল ও জাহান্নামী ফিরক্বার লোকদের পক্ষেই সম্ভব।

স্মর্তব্য যে, পবিত্র কুরআন শরীফ মহান আল্লাহ পাক উনার কালাম। পবিত্র কুরআন শরীফ উনার ব্যাখ্যা হচ্ছেন, পবিত্র হাদীছ শরীফ। আর পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার ব্যাখ্যা হচ্ছেন, পবিত্র ইজমা ও পবিত্র ক্বিয়াস তথা ইমাম মুজতাহিদ ও আউলিয়ায়ে কিরাম উনাদের পবিত্র ক্বওল শরীফ।

হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা ইলহাম-ইলক্বা প্রাপ্ত, ফিরাসাত বা দূরদৃষ্টি সম্পন্ন। উনাদের ইতায়াত বা অনুসরণ-অনুকরণ মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ইতায়াত বা অনুসরণ অনুকরণের অন্তর্ভুক্ত। উনাদের ইতায়াতের (অনুসরণ-অনুকরণ) মধ্যে রয়েছে হিদায়েত। আর বিমুখতার মধ্যে রয়েছে গোমরাহী বা পথভ্রষ্টতা। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উম্মতদেরকে সতর্ক করত ইরশাদ মুবারক করেন-

اِتَّقُوْا فِرَاسَةَ الْـمُؤْمِنِ فَاِنَّهٗ يَنْظُرُ بِنُوْرِ اللهِ تَعَالٰـى

অর্থ: তোমরা মু’মিনের ফিরাসাত বা দূরদৃষ্টিকে (ভয় করো) মূল্যায়ন করো। কেননা উনারা উনাদের মহান রব, আল্লাহ পাক উনার নূর মুবারক দ্বারা দেখে থাকেন। সুবহানাল্লাহ! (তিরমিযী শরীফ)

কাজেই, সুলত্বানুল হিন্দ, কুতুবুল মাশায়িখ সাইয়্যিদুনা হযরত গরীবে নেওয়াজ রহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি চামড়ার দস্তরখানে খানা খাওয়ার যে ফযীলত বর্ণনা করেছেন, তা সেই ফিরাসাত বা দূরদৃষ্টিরই বহিঃপ্রকাশ। যা অনুসরণীয়, গ্রহণযোগ্য ও ফযীলত লাভের কারণ।

ড. আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর এবং তার সমমনারা মূলতঃ ওলীআল্লাহ বিদ্বেষী। তাদের বিষোদগার প্রমাণ করে যে, তারা হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমাতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের ছোহবত মুবারক থেকে লোকদেরকে বিমুখ করার জন্য এরূপ মিথ্যা ধোঁকা ও প্রতারণামূলক বক্তব্য দিয়েছে।

উক্ত ঘৃণ্য বক্তব্যের কারণে তারা মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে জিহাদের মুখোমুখি হয়েছে। অর্থাৎ ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে পৌঁছেছে। কেননা মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র হাদীছে কুদসী শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-

مَنْ عَادَى لِيْ وَلِيًّا فَقَدْ اٰذَنْتُهٗ بِالْـحَرْبِ

অর্থ: যে ব্যক্তি আমার ওলীর বিরুদ্ধাচরণ করে আমি তার বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করি। (বুখারী শরীফ)

একইভাবে যারা আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর ও তার সমগোত্রীয়দের মত গ্রহণ করবে তারাও মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে জিহাদে মুখোমুখি হবে। অর্থাৎ তাদেরও ধ্বংস অনিবার্য।

মহান আল্লাহ পাক তিনি মহান মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার মুবারক উসীলায় আমাদের সবাইকে হিফাযত করুন। আমীন।

ছাহিবুর রিদ্বওয়ান, আয়ায্যু উম্মাতিন নাবিয়্যি, আ’দালু উম্মাতিন নাবিয়্যি, ছাহিবুত্ তাক্বওয়া, মাহবুবুল্লাহ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা, ইমাম- রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর নাম মুবারকের পূর্বে ব্যবহৃত লক্বব বা উপাধির তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ-৭২

রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর নাম মুবারকের পূর্বে ব্যবহৃত লক্বব বা উপাধির তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ-৭৩

মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মাওলানা রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নাম মুবারক উনার পূর্বে ব্যবহৃত “মুহইস সুন্নাহ” লক্বব মুবারক বা উপাধির তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ-১৮৯

ছাহিবুর রিদ্বওয়ান, আয়ায্যু উম্মাতিন নাবিয়্যি, আ’দালু উম্মাতিন নাবিয়্যি, ছাহিবুত্ তাক্বওয়া, মাহবুবুল্লাহ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা, ইমাম- রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর নাম মুবারকের পূর্বে ব্যবহৃত লক্বব বা উপাধির তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ-৭৪

ছাহিবুর রিদ্বওয়ান, আয়ায্যু উম্মাতিন নাবিয়্যি, আ’দালু উম্মাতিন নাবিয়্যি, ছাহিবুত্ তাক্বওয়া, মাহবুবুল্লাহ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম- রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর নাম মুবারকের পূর্বে ব্যবহৃত লক্বব বা উপাধির তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ-৭৫