আ’লামু বিত্ ত্বিব, আ’লামু বিল ফারায়িদ্ব, আ’লামু বিসুনানি রসূলিল্লাহ, হুল্লাতুল ইসলাম, আশাদ্দু হিজাবান, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম- রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার নাম মুবারক উনার পূর্বে ব্যবহৃত “মুহইউস সুন্নাহ” লক্বব মুবারক বা উপাধির তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ-১৬০- আল্লামা মুফতী মুহম্মদ কাওছার আহমদ

সংখ্যা: ২৬৬তম সংখ্যা | বিভাগ:

সুন্নতবিরোধী ও বিদয়াত প্রচলনকারীদের বক্তব্য খণ্ডন (৪)

 

মিথ্যাবাদী দাজ্জাল, সুন্নত বিরোধী ও বিদয়াতের প্রচলনকারীদের অপর একটি বিভ্রান্তমূলক বক্তব্য হচ্ছে “আমরা দস্তরখানা বিষয়ে যতটুকু গুরুত্ব প্রদান করি অনেক ফরয বা হারামের বিষয়ে সেরূপ গুরুত্ব প্রদান করিনা।” নাউযুবিল্লাহ!

পাঠক! সুন্নত বিরোধী ও বিদয়াতের প্রচলনকারীরা ঐরূপ বক্তব্য দিয়ে সাধারণ মানুষকে সুকৌশলে সুন্নত বিমুখ করে থাকে। কিন্তু মু’মিন-মুসলমান মাত্রই জানেন যে, যারা ফরয-ওয়াজিব, সুন্নতে মুয়াক্কাদা যথাযথভাবে পালন করেন তারাই সুন্নতে যায়িদা বা মুস্তাহাব বিষয়গুলো পালন করতে পারেন। অর্থাৎ তারাই ছোট থেকে ছোট, ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতম সুন্নতও অতীব গুরুত্বের সাথে পালন করতে পারেন। সুবহানাল্লাহ! আর যাদের অন্তরে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি হাক্বীক্বী মুহব্বত নেই তাদের পক্ষে সুন্নতে যায়িদা পালন করার প্রশ্নই আসে না। অথচ মিথ্যাবাদী দাজ্জালরা মিথ্যা কথার মাধ্যমে ধোঁকা দিয়ে সমাজকে কলুষিত করছে। মহান আল্লাহ পাক তিনি এদেরকে হিদায়েত দান করুন। আমীন।

মিথ্যাবাদী দাজ্জাল, সুন্নত বিরোধী বিদয়াতের প্রচলনকারীদের অপর একটি বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য হচ্ছে “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সময়ে চামড়ার দস্তরখান বা ‘সুফরা’ ব্যবহার করা হতো এবং কোন থালা, বাটি, গামলা ইত্যাদি ছাড়াই সরাসরি ‘সুফরা’র উপরেই সরাসরি খেজুর, পনির, ঘি ইত্যাদি খাদ্য রেখে খাওয়া হতো। নাউযুবিল্লাহ!

সম্মানিত পাঠক! কিতাবে আছে- বিদয়াতীদের সাথে চলাচল করলে দ্বীনের ছহীহ সমঝ নষ্ট হয়ে যায়। তাহলে যারা স্বয়ং বিদয়াতী তাদের কি দ্বীনের ছহীহ সমঝ থাকতে পারে? কখনোই নয়। তার বাস্তব প্রমাণ জ্ঞানপাপী, গোমরাহ ড. আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর এবং তার সমমনারা।

পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে সুস্পষ্টভাবে বর্ণিত আছে-

عن حضرت انس بن مالك رضى الله تعالى عنه يقول ان خياطا دعا النبى صلى الله عليه وسلم لطعام صنعه فذهبت مع النبى صلى الله عليه وسلم  فقرب خبز شعير ومرقا فيه دباء وقديد فرايت النبى صلى الله عليه وسلم يتتبع الدباء من حوالى القصعة قال فلم ازل احب الدباء بعد يومئذ

অর্থ: খাদিমু রসূলিল্লাহ হযরত আনাস ইবনে মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন। একদিন একজন দর্জি ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে দাওয়াত করলেন। নিজ হাতে খাবারের আয়োজন করলেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে আমিও সেই দাওয়াতে শরীক হলাম। যবের রুটি, সুরুয়া বিশিষ্ট তরকারী হাজির করা হলো। তারমধ্যে কদু ও গোশতের টুকরা ছিল। আমি দেখলাম নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সেই পাত্রে বিভিন্ন স্থান থেকে কদু খুঁজে খুঁজে নিচ্ছেন। যারফলে সেই দিন হতে আমিও কদু খাওয়া পছন্দ করতে লাগলাম। (বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ, মিশকাত শরীফ, আখলাকুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-২৯৫, শামায়িলে তিরমিযী শরীফ)।

পাঠক! সুরুয়াযুক্ত কদু ও গোশতমিশ্রিত খাবার কি কখনো সরাসরি দস্তখানে রেখে খাওয়া যায়? কখনোই নয়। এরূপ অনেক বর্ণনা আছে যার দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি খাবারের পাত্র দস্তরখানের উপর রাখতেন। অবশ্য শুকনো খাবার তথা রুটি, খেজুর, পনির ইত্যাদি সরাসরি দস্তরখানের উপর রেখে খেয়েছেন। যা বিশেষ একটি সুন্নত মুবারক। সম্মানিত সুন্নত উনার ইত্তিবাকারীগণ মাত্র অবগত। ড. আবদুল্লাহ জাহাঙ্গীর ও তার অনুসারী জাহিল-মুর্খরা তা অস্বীকার করে।

ছাহিবুর রিদ্বওয়ান, আয়ায্যু উম্মাতিন নাবিয়্যি, আ’দালু উম্মাতিন নাবিয়্যি, ছাহিবুত্ তাক্বওয়া, মাহবুবুল্লাহ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা, ইমাম- রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর নাম মুবারকের পূর্বে ব্যবহৃত লক্বব বা উপাধির তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ-৭২

রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর নাম মুবারকের পূর্বে ব্যবহৃত লক্বব বা উপাধির তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ-৭৩

মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মাওলানা রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নাম মুবারক উনার পূর্বে ব্যবহৃত “মুহইস সুন্নাহ” লক্বব মুবারক বা উপাধির তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ-১৮৯

ছাহিবুর রিদ্বওয়ান, আয়ায্যু উম্মাতিন নাবিয়্যি, আ’দালু উম্মাতিন নাবিয়্যি, ছাহিবুত্ তাক্বওয়া, মাহবুবুল্লাহ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা, ইমাম- রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর নাম মুবারকের পূর্বে ব্যবহৃত লক্বব বা উপাধির তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ-৭৪

ছাহিবুর রিদ্বওয়ান, আয়ায্যু উম্মাতিন নাবিয়্যি, আ’দালু উম্মাতিন নাবিয়্যি, ছাহিবুত্ তাক্বওয়া, মাহবুবুল্লাহ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম- রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর নাম মুবারকের পূর্বে ব্যবহৃত লক্বব বা উপাধির তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ-৭৫