আ’লামু বিত্ ত্বিব, আ’লামু বিল ফারায়িদ্ব, আ’লামু বিসুনানি রসূলিল্লাহ, হুল্লাতুল ইসলাম, আশাদ্দু হিজাবান, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম- রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার নাম মুবারক উনার পূর্বে ব্যবহৃত “মুহইউস সুন্নাহ” লক্বব মুবারক বা উপাধির তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ-১৫৮

সংখ্যা: ২৬৪তম সংখ্যা | বিভাগ:

আল্লামা মুফতী মুহম্মদ কাওছার আহমদ

    সুন্নতবিরোধী ও বিদয়াত

প্রচলনকারীদের বক্তব্য খ-ন (২)

সুন্নতবিরোধী ও বিদয়াত প্রচলনকারী ড. আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (মৃত) এবং তার সমমনাদের আর একটি ষড়যন্ত্র ও বিভ্রান্তিকর বক্তব্য হচ্ছে, দস্তরখানা ছাড়া খাদ্যগ্রণের বিষয়ে (নূরে মুজাসাসম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তিনি কোনো আপত্তি করেননি।” কাজেই দস্তরখানায় খাবার খাওয়ায় কোনো ফযীলত নেই। নাউযুবিল্লাহ!

জাহিল-মূর্খ লোক যদি মহাজ্ঞানী পরিচয় দেয় আর লোকেরা যদি তাদেরকে মহাজ্ঞানী জানে ও মানে, তাহলে সমাজে যে বিপর্যয়ের সৃষ্টি হয় তার জ্বলন্ত প্রমাণ ড. আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর এবং তার সমমনারা। মূলত, এদের উদ্দেশ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

صُمٌّ بُكْمٌ عُمْىٌ فَهُمْ لَا يَرْجِعُونَ

অর্থ: “তারা অন্ধ, বধির, বোবা। তারা হক্বের পথে ফিরে আসবে না।” (পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১৮)

এরা সাধারণ একটি উছূলও জানে না।

একটি সুন্নত ছেড়ে দিলে একটি বিদয়াত জারি হয়- এ ন্যূনতম আক্বলটুকুও তাদের নেই। সুন্নত উনার খিলাফ মানেই বিদয়াত। দস্তরখানা ছাড়া খাদ্যগ্রহণ করা বিদয়াত। সম্মানিত ও পবিত্র সুন্নত উনার মধ্যে হিদায়েত রয়েছে। আর বিদয়াতের মধ্যে হিদায়েত নেই। সেখানে আছে গোমরাহী, পথভ্রষ্টতা।

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বিদয়াত হতে বিরত থাকতে কঠোরভাবে নির্দেশ মুবারক দিয়েছেন।

তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

اياكم ومحدثات الامور فان كل محدثة بدعة وكل بدعة ضلالة.

অর্থ: “সাবধান! তোমরা নতুন কাজের প্রচলন করা থেকে বিরত থাকবে। কেননা প্রত্যেক নতুন কাজই বিদয়াত। আর প্রতিটি বিদয়াতেই গোমরাহী বা পথভ্রষ্টতা।”

সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন-

شر الامور محدثاتها وكل بدعة ضلالة.

অর্থ: “নতুন কাজের সূচনা বা প্রচলন করা সর্বাপেক্ষা নিকৃষ্টতম কাজ। আর প্রত্যেক নতুন সৃষ্টিই (বিদয়াত) গোমরাহী।” (মুসলিম শরীফ, মিশকাত শরীফ)

তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন-

من وقر صاحب بدعة فقد اعان على هدم الاسلام

অর্থ: “যে ব্যক্তি কোনো বিদয়াতিকে সম্মান করলো সে যেন সম্মানিত ও পবিত্র ইসলাম উনাকে ধ্বংসের কাজে সাহায্য করলো।” নাউযুবিল্লাহ! (বাইহাক্বী শরীফ)

উল্লেখ্য যে, সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অনুসরণ বাদ দিয়ে যদি কেউ পূর্ববর্তী কোনো হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদেরও অনুসরণ করে, তা ছূরতান (বাহ্যিকভাবে) ভালো মনে হলেও তার মধ্যে রয়েছে পথভ্রষ্টতা বা গোমরাহী। সেক্ষেত্রে যারা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অনুসরণ ছেড়ে দিয়ে মনগড়া আমল করে, তাহলে তারা হিদায়েতের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকতে পারবে কি? কখনোই পারবে না।

কাজেই ছোট-বড় প্রত্যেক কাজে ও বিষয়ে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারই অনুসরণ মুবারক করতে হবে।

বিশিষ্ট ছাহাবী হযরত জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, একদিন সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি তাওরাত শরীফের একটি নুসখা বা কপি নিয়ে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক খিদমতে হাযির হলেন। বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ! ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! ইহা পবিত্র তাওরাত শরীফ উনার একটি নুসখা বা কপি।

সাইয়্যিদুল কাওম, মাহবুবুল মা’বুদ, মুছতামবিতুল ইশারাত, রাইয়াতুল মুহতাদীন, নূরুল মুতয়ীন, ওলীউল মুত্তাক্বীন, ইমামুল আদিলীন, কুদওয়াতুল মুত্তাক্বীন, যীনাতুল আরিফীন, ছহিবুল কালবিল উকুল, আহদুল ওয়াফী, ইমামুল আ’ইম্মা, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদুয যামান, আওলাদুর রসূল সাইয়্যিদুনা, ইমাম- রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর নাম মুবারকের পূর্বে ব্যবহৃত লক্বব বা উপাধি এবং তার তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ-১৮

 ইমামুল খইর, আল আর্বারু বিল্লাহ, আহসানুন্ নাস, আখিযুছ্ ছদাক্বাত, আরহামুন্ নাছি বিল ইবাদ, ছাহিবু আহসানিল ক্বওল, আল আ’লামু  বিল্লাহ, আকরামুল আউলিয়াইল্লাহ, আল্ আমির ওয়ান্ নাহী, আছদাকু ফিল্লাহ, যীনাতুল আরিফীন, ছাহিবুল ক্বালবিল উকূল, আহ্দুল ওয়াফী, ইমামুল আ’ইম্মা, মুহ্ইস্ সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদুয্ যামান, আওলার্দু রসূল, সাইয়্যিদুনা, ইমাম- রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর নাম মুবারকের পূর্বে ব্যবহৃত লক্বব বা উপাধি এবং তার তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ-১৯

মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মাওলানা রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নাম মুবারক উনার পূর্বে ব্যবহৃত “মুহইস সুন্নাহ” লক্বব মুবারক বা উপাধির তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ-১৯৫ বিবাহের কতিপয় সুন্নত মুবারক-৬

রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর নাম  মুবারকের পূর্বে ব্যবহৃত লক্বব বা উপাধি এবং তার তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ-২০

ইমামুল খইর, আল আর্বারু বিল্লাহ, আহসানুন্ নাস, আখিযুছ্ ছদাক্বাত, আরহামুন্ নাছি বিল ইবাদ, ছাহিবু আহসানিল ক্বওল, আল আ’লামু  বিল্লাহ, আকরামুল আউলিয়াইল্লাহ, আল্ আমির ওয়ান্ নাহী, আছদাকু ফিল্লাহ, যীনাতুল আরিফীন, ছাহিবুল ক্বালবিল উকূল, আহ্দুল ওয়াফী, ইমামুল আ’ইম্মা, মুহ্ইস্ সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদুয্ যামান, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা, ইমাম- রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর নাম মুবারকের পূর্বে ব্যবহৃত লক্বব বা উপাধি এবং তার তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ-২১ –