আ’লামু বিত্ ত্বিব, আ’লামু বিল ফারায়িদ্ব, আ’লামু বিসুনানি রসূলিল্লাহ, হুল্লাতুল ইসলাম, আশাদ্দু হিজাবান, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম- রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার নাম মুবারক উনার পূর্বে ব্যবহৃত “মুহইউস সুন্নাহ” লক্বব মুবারক বা উপাধির তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ-১৪০

সংখ্যা: ২৪৬তম সংখ্যা | বিভাগ:

আল্লামা মুফতী মুহম্মদ কাওছার আহমদ

শৈশবকাল থেকেই সন্তানকে ব্যক্তিত্ব বা আত্মসম্মানবোধ সম্পন্ন হওয়ার শিক্ষা দান করতে হবে (২)

সম্মানিত ইসলাম আত্ম অহঙ্কার ও আত্মহীনতা উভয়কে হারাম করেছেন। অহঙ্কার বা গর্ব শুধুমাত্র মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের জন্যই প্রযোজ্য। ইহা উনাদের বিশেষ শান মুবারক। মানুষ মাখলূক্ব। মাখলূক্ব সসীম। নিজের খেয়াল-খুশি মত এক ফোটা রক্ত কিংবা রক্তের উপাদান সৃষ্টি করতে পারে না। এক্ষেত্রে মানুষ যদি অহঙ্কারী হয় তাহলে كبر (কিবর) বা অহঙ্কার শব্দের অমর্যাদা হবে।

তবে মানুষ আশরাফুল মাখলূক্বাত। সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব। শ্রেষ্ঠত্বের প্রকাশ ঘটানোর পিছনে তার নিজস্ব কোন অবদান নেই। তার শ্রেষ্ঠত্বের প্রকাশ মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া  সাল্লাম উনাদেরই প্রাপ্য। কাজেই, মানুষের জন্য অহঙ্কার করা যেমন হারাম তদ্রূপ হীনতা প্রকাশ করাও হারাম।

হযরত আনাস ইবনে মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “যে ব্যক্তি বিপদকে গালি দেয় সে পরোক্ষভাবে মহান আল্লাহ পাক উনাকে গালি দেয়। নাউযুবিল্লাহ! যে ব্যক্তি কোন ধনাঢ্য ব্যক্তির নিকট টাকা-পয়সার লোভে মাথা নত (বশ্যতা স্বীকার) করে সে মহান আল্লাহ পাক উনাকে অসন্তুষ্ট করে । (তিবরানী শরীফ)

অপর এক বর্ণনায় এসেছে, যে ব্যক্তি ধনাঢ্য ব্যক্তির নিকট বসলো এবং দুনিয়া হাছিলের জন্য তাকে সম্মান করলো সে তার সম্মানিত দ্বীন উনার তিন ভাগের দুই ভাগ বিনষ্ট করলো। নাউযুবিল্লাহ!

কাজেই, পার্থিব জীবনে যারা ধন-সম্পদ, মান-সম্মান, প্রভাব-প্রতিপত্তি বৃদ্ধির জন্য আমির-উমারা, রাজা-বাদশাদেরকে তোয়াজ করে এবং নিজেদের আত্মসম্মান বিলিয়ে দেয়। তারা প্রকৃতক্ষে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের দয়া-দান, ইহসান রহমত হতে বিমুখ হয়ে যায়। ফলে সে ইহকাল ও পরকাল সর্বকালেই লাঞ্ছিত হয়।

পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত আছে, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাস, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “যে ব্যক্তি কোন বাধ্যবাধকতা ছাড়া নিজের খুশিতে নীচুতা-হীনতা গ্রহণ করলো সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়।” (তিরমিযী শরীফ)

স্মর্তব্য যে, সম্মানিত দ্বীন ইসলামই হলেন সম্মান-মর্যাদার প্রাণকেন্দ্র।

আমীরুল মু’মিনীন, খলীফাতুল মুসলিমীন, ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

نحن قوم اعزنا الله بالاسلام

অর্থ: “মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে সম্মানিত ইসলাম দ্বারা মর্যাদাবান করেছেন। কাজেই, কোন ব্যক্তি যদি ইচ্ছাকৃত নিজের ব্যক্তিত্ব বা আত্মসম্মান বিলিয়ে দেয় তাহলে সে যেন নিজেই নিজেকে লাঞ্ছিত করলো।

পবিত্র সূরা নিসা শরীফ উনার ৯৭নং আয়াত শরীফ উনার মধ্যে উল্লেখ আছে-

ان الذين توفاهم الـملائكة ظالـمى انفسهم قالوا فيم كنتم قالوا كنا  مستضعفين فى الارض قالوا الم تكن ارض الله واسعة فتهاجروا فيها فاولئك مأوهم جهنم وساءت مصيرا.

অর্থ: “যারা নিজ আত্মার উপর জুলুম করলো সম্মানিত হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনারা তাদের জান কবজ করতঃ বলেন, তোমরা উহারই (অত্যাচার) মধ্যে ছিলে।

তারা বলে আমরা যমীনে দূর্বল ছিলাম। হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালামগণ উনারা বলেন, মহান আল্লাহ পাক উনার যমীন কি প্রশস্ত ছিল না, যেখানে তোমরা হিজরত (দেশ ত্যাগ) করে আশ্রয় নিতে? কাজেই, তাদের ঠিকানা জাহান্নামে। আর জাহান্নাম সর্বাপেক্ষা নিকৃষ্ট ঠিকানা।”

কাজেই, যতক্ষণ পর্যন্ত শক্তি সামর্থ্য থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত জিল্লত বা হীনতা-নীচুতাকে গ্রহণ করবে না। যদি বাধ্য হয়, নিরুপায় হয় তাহলে মহান আল্লাহ পাক তিনি ক্ষমা করে দিবেন। মহান আল্লাহ পাক তিনি এ সম্পর্কে ইরশাদ মুবারক করেন-

الا الـمستضعفين من الرجال والنساء والولدان لا يستطيعون حيلة ولا يهتدون سبيلا. فاولئك عسى الله ان يعفو عنهم وكان الله عفوا غفورا.

অর্থ: “কিন্তু স্ত্রী-পুরুষ, বাচ্চাদের মধ্যে যারা অসহায় কোন উসীলা এবং পথের সন্ধান পায় না তাদেরকে মহান আল্লাহ পাক ক্ষমা করে দিবেন। অবশ্যই মহান আল্লাহ পাক তিনি মার্জনাকারী, ক্ষমাশীল।” (পবিত্র সূরা নিসা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৯৮-৯৯)

ছাহিবুর রিদ্বওয়ান, আয়ায্যু উম্মাতিন নাবিয়্যি, আ’দালু উম্মাতিন নাবিয়্যি, ছাহিবুত্ তাক্বওয়া, মাহবুবুল্লাহ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা, ইমাম- রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর নাম মুবারকের পূর্বে ব্যবহৃত লক্বব বা উপাধির তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ-৭২

রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর নাম মুবারকের পূর্বে ব্যবহৃত লক্বব বা উপাধির তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ-৭৩

মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মাওলানা রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নাম মুবারক উনার পূর্বে ব্যবহৃত “মুহইস সুন্নাহ” লক্বব মুবারক বা উপাধির তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ-১৮৯

ছাহিবুর রিদ্বওয়ান, আয়ায্যু উম্মাতিন নাবিয়্যি, আ’দালু উম্মাতিন নাবিয়্যি, ছাহিবুত্ তাক্বওয়া, মাহবুবুল্লাহ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা, ইমাম- রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর নাম মুবারকের পূর্বে ব্যবহৃত লক্বব বা উপাধির তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ-৭৪

ছাহিবুর রিদ্বওয়ান, আয়ায্যু উম্মাতিন নাবিয়্যি, আ’দালু উম্মাতিন নাবিয়্যি, ছাহিবুত্ তাক্বওয়া, মাহবুবুল্লাহ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম- রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর নাম মুবারকের পূর্বে ব্যবহৃত লক্বব বা উপাধির তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ-৭৫