আ’লামু বিত্ ত্বিব, আ’লামু বিল ফারায়িদ্ব, আ’লামু বিসুনানি রসূলিল্লাহ, হুল্লাতুল ইসলাম, আশাদ্দু হিজাবান, ইমামুল আইম্মাহ, মুহ্ইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হাবীবুল্লাহ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম- রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার নাম মুবারক উনার পূর্বে ব্যবহৃত লক্বব বা উপাধির তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ-১৩০

সংখ্যা: ২৩৬তম সংখ্যা | বিভাগ:

আল্লামা মুফতী মুহম্মদ কাওছার আহমদ

 

সন্তানের নাম ‘মুহম্মদ’ কিংবা

‘আহমদ’ রাখা সুন্নত মুবারক।

মাতা-পিতার অন্যতম দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে, সন্তান জন্মগ্রহণের সপ্তম দিনে সুন্দর অর্থবোধক নাম রাখা। নামের তাছির বা প্রভাব সন্তানের উপর প্রভাব বিস্তার করে থাকে। সেক্ষেত্রে ‘মুহম্মদ’ কিংবা ‘আহমদ’ নাম রাখা খাছ সুন্নত মুবারক। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র জাতী নাম মুবারক ‘মুহম্মদ’ এবং ‘আহমদ’। তিনি উনার পবিত্র নাম মুবারকে সন্তানের নাম রাখতে নির্দেশ মুবারক দিয়েছেন। তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

سموا باسمى .

অর্থ: “আমার মুবারক নামে নামকরণ করো।” (বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ)

সন্তানের নাম ‘মুহম্মদ’ অথবা ‘আহমদ’ রাখা খাছ সুন্নত। উলামায়ে ‘সূ’ ওহাবী, খারিজী, বিদ্য়াতী, বদ আক্বীদার লোকদের দৌরাত্মের কারণে এই পবিত্র সুন্নত মুবারক উনার বিলুপ্তি ঘটেছিলো। মুজাদ্দিদে আ’যম মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার তাজদীদ বা সংস্করণের প্রভাবে বিদয়াতীদের চেষ্টা-কোশেশ ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়েছে। সর্বত্র এই সুন্নত মুবারক জারী হয়েছে। সবাই এর গুরুত্ব-তাৎপর্য ফযীলত উপলব্ধি করতঃ স্বীয় সন্তানের নাম ‘মুহম্মদ’ অথবা ‘আহমদ’ নাম মুবারকে নামকরণ করে থাকে। সুবহানাল্লাহ!

স্মর্তব্য যে, দুনিয়াতে যে নামে নামকরণ করা হবে ক্বিয়ামতের দিন তাকে সে নামেই ডাকা হবে।

বিশিষ্ট ছাহাবী হযরত আবু দারদা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

تدعون يوم القيامة باسمائكم واسماء ابائكم فاحسنوا اسمائكم .

অর্থ: “ক্বিয়ামতের দিন তোমাদেরকে তোমাদের নাম এবং তোমাদের পিতার নাম ধরে ডাকা হবে। কাজেই, তোমরা তোমাদের সুন্দর বা ভাল নাম রাখবে।” (আহমদ শরীফ, আবু দাউদ শরীফ)

মূলতঃ প্রত্যেক মুসলমানের মূল নামই হওয়া উচিত ‘মুহম্মদ’ কিংবা ‘আহমদ’। সমাজে পরিচিতির জন্য ‘মুহম্মদ’ বা ‘আহমদ’ উনার সাথে সংযুক্ত করে সুন্দর অর্থবোধক নাম রাখা যেতে পারে। পূর্ববর্তী হযরত ইমাম-মুজতাহিদ, আউলিয়াযে কিরামগণ সেটাই করেছেন।

অর্থাৎ মূল নাম ‘মুহম্মদ’ অথবা ‘আহমদ’। আর তার পূর্বে বা পরে সংযুক্ত অংশটুকু পরিচিতিজ্ঞাপক।

হযরত আবু উমামা বাহিলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-

من ولد له مولود فسماه محمدا حبالى وتبركا باسمى كان هو ومولوده فى الجنة .

অর্থ: “যার কোনো সন্তান জন্মগ্রহণ করে সে আমার মুহব্বতে এবং আমার মুবারক নামের বরকত হাছিলের জন্য তার সন্তানের নাম ‘মুহম্মদ’ রাখবে, সে ব্যক্তি এবং তার সন্তান উভয়ে জান্নাতে প্রবেশ করবে।” সুবহানাল্লাহ!

পবিত্র হাদীছে কুদসী শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত আছে-

قال رسول الله صلى الله عليه وسلم قال الله تعالى وعزتى وجلالى لاعذبت احدا يسمى با سمك فى النار

অর্থ: “নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আমার ইজ্জত ও জালালের কসম! আপনার পবিত্র নাম মুবারকে যাদের নামকরণ করা হবে আমি তাদের কাউকেই জাহান্নামের শাস্তি দিবো না।” (মুসনাদুল ফিরদাউস)

মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মাওলানা রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নাম মুবারক উনার পূর্বে ব্যবহৃত “মুহইস সুন্নাহ” লক্বব মুবারক বা উপাধির তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ-১৯৩

  রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর নাম মুবারকের পূর্বে ব্যবহৃত লক্বব বা উপাধি এবং তার তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ-২৫ লক্বব মুবারকের সংখ্যা নিরূপণ

জলীলুল ক্বদর, আলিয়্যুল হিম্মাহ, কাছীরুয্ যিক্রা, হাদীদুত্ ত্বরফাইন, মুবদিউস্ সালাম, জামিলুল খলক্ব, আমীনুস্ সামা, মুযহিরুশ শরীয়াহ, ক্বাতিলুল খাওয়ারিজ, আফীফুন্ নাফস,, আত্বইয়াবুন্ নাস, বদরুল মুনীল, আকরামুন্ নাস, খইলুল আ’লামীন, দারুল হিকমাহ, ইমামুল আ’ইম্মা, মুহইস্ সুন্নাহ্, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদুয্ যামান, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম-  রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর নাম মুবারকে পূর্বে ব্যবহৃত লক্বব বা উপাধি এবং তার তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ-২৬

জলীলুল ক্বদর, আলিয়্যুল হিম্মাহ, কাছীরুয্ যিক্রা, হাদীদুত্ ত্বরফাইন, মুবদিউস্ সালাম, জামিলুল খলক্ব, আমীনুস্ সামা, মুযহিরুশ শরীয়াহ, ক্বাতিলুল খাওয়ারিজ, আফীফুন্ নাফস,, আত্বইয়াবুন্ নাস, বদরুল মুনীল, আকরামুন্ নাস, খইলুল আ’লামীন, দারুল হিকমাহ, ইমামুল আ’ইম্মা, মুহইস্ সুন্নাহ্, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদুয্ যামান, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম-  রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর নাম মুবারকে পূর্বে ব্যবহৃত লক্বব বা উপাধি এবং তার তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ-২৭

জলীলুল ক্বদর, আলিয়্যুল হিম্মাহ, কাছীরুয্ যিকরা, হাদীদুত্ ত্বরফাইন, মুবদিউস্ সালাম, জামিলুল খলক্ব, আমীনুস্ সামা, মুযহিরুশ শরীয়াহ, ক্বাতিলুল খাওয়ারিজ, আফীফুন্ নাফস, আত্বইয়াবুন্ নাস, বদরুল মুনীর, আকরামুন্ নাস, খইলুল আ’লামীন, দারুল হিকমাহ, ইমামুল আ’ইম্মা, মুহইস্ সুন্নাহ্, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদুয্ যামান, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম-  রাজারবাগ শরীফের হযরত পীর ছাহেব ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী-এর নাম মুবারকে পূর্বে ব্যবহৃত লক্বব বা উপাধি এবং তার তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ-২৮