-হযরত মাওলানা সাইয়্যিদ মুহম্মদ আব্দুল হালীম
‘মুহইস সুন্নাহ’ লক্বব মুবারক প্রসঙ্গে
খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হাকীমুল হাদীছ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার জিন্দাকৃত বা পুনঃপ্রচলন করা কতিপয় সুন্নতের বিবরণ :
যিনি পান করাবেন তিনি
সবশেষে পান করবেন
খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ইমামুল আইম্মাহ, মুহইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, হাকীমুল হাদীছ, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, যিনি কোন ক্বওম বা সম্প্রদায়কে পান করাবেন তিনি সবশেষে পান করবেন। কেউ যদি পান করতে থাকে কিংবা পান করার পর নিজের সঙ্গী-সাথী কাউকে পান করাতে চান তাহলে প্রথমে ডান দিকের ব্যক্তিকে দিবেন। ডান দিকের ব্যক্তির অধিকার অগ্রগণ্য। কিন্তু বাম দিকে যদি কোন সম্মানিত বা গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি থাকেন তাহলে ডান দিকের ব্যক্তির অনুমতি নিয়ে তাকে দেয়ায় কোন ক্ষতি নেই এটাই সুন্নত। হযরত সাহল ইবনে সা’দ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে কিছু পানীয় বস্তু আনা হলো। তিনি সেখান থেকে পান করার পর দেখলেন উনার ডান দিকে একজন অল্প বয়স্ক ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বসে আছেন এবং বাম দিকে কিছু সংখ্যক বয়স্ক ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা বসে আছেন। তিনি সেই অল্প বয়স্ক ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে বললেন, এসব বয়স্ক ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদেরকে দেয়ার জন্য আপনি কি আমাকে অনুমতি দিবেন? তিনি বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! মহান আল্লাহ পাক উনার শপথ, আপনার থেকে প্রাপ্ত আমার কোন অংশে আমি কাউকে অগ্রাধিকার দিতে পারি না। বণ্টনকারী বলেন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তখন ওই অল্প বয়স্ক ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকেই তা দিলেন। (বুখারী শরীফ)
এরূপ অসংখ্য অগণিত সুন্নত তিনি জিন্দা বা পুনঃপ্রচলন করেছেন। তিনি বণ্টনকারীকে ডান দিক থেকে বণ্টন করতে নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, এটাই হচ্ছে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শিক্ষা। অথচ লোকেরা সে সম্পর্কে বেখবর। হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত আছে, হযরত আনাস বিন মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেছেন, “সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি একবার উনার ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদেরকে পান করাচ্ছিলেন। হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ উনারা বললেন, ইয়া রসূলাল্লাহ, ইয়া হাবীবাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! যদি আপনি পান করতেন উত্তম হতো। তখন সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন, যিনি কোন দল বা সম্প্রদায়কে পান করাবেন তিনি সবশেষে পান করবেন। (আখলাকুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-৩০৯)
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন-
ان النبى صلى الله عليه وسلم شرب فناول الذى عن يمينه
অর্থ : “সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাুহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পান করার পর উনার ডান পাশে বসা ব্যক্তিকে দিলেন।” আখলাকুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-৩০৯)
হযরত আনাস ইবন মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন,- “একবার সাইয়্যিদুল মুরসালীন ইমামুল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জন্য পানি মিশ্রিত কিছু দুধ আন হলো। উনার ডান দিকে ছিলেন একজন্য গ্রাম্য ছাহাবী এবং বাম দিকে ছিলেন হযরত আবু বকর ছিদ্দীক্ব আলাইহিস সালাম। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সেই দুধ পান করে অবশিষ্টাংশ দুধ সেই গ্রাম্য ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে দিলেন। আর বললেন, প্রথমত হক্বদার ডান দিকের ব্যক্তি এবং পরে ডান দিকের ব্যক্তিকে ক্রমান্বয়ে দিতে হবে। (আখলাকুন নবী-৩১০)