মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
إِنْ يَّكُوْنُوْا فُقَرَاءَ يُغْنِهِمُ اللهُ مِنْ فَضْلِهٖ
অর্থ: যারা নেককার-পরহেযগার তারা যদি দরিদ্র হয় তাহলে মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে সম্পদশালী করবেন। সুবহানাল্লাহ! (সূরা নূর শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৩২)
হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন-
اَطِيْعُوا اللهَ فِيْمَا اَمَركَمْ بِهٖ مِنَ النِّكَاحِ يَنْجِزُ لَكُمْ مَّا وَعَدَكُمْ مِّنَ الْغَنِـىِّ
অর্থ: মহান আল্লাহ পাক তিনি বিবাহের ব্যাপারে যা আদেশ মুবারক করেছেন তোমরা তার অনুসরণ (বাস্তবায়ন) করো। তিনি তোমাদেরকে ধন-সম্পদে প্রাচুর্যতার যে ওয়াদা করেছেন তা তিনি পূর্ণ করবেন। সুবহানাল্লাহ! (তাফসীরে হাতিম)
নেককার আল্লাহওয়ালী আহলিয়া (স্ত্রী) শ্রেষ্ঠ সম্পদ।
মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার প্রিয় বান্দাগণকে যত নিয়ামত দান করেছেন তন্মধ্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ নিয়ামত হচ্ছেন দ্বীনদার, পরহেযগার, আল্লাহওয়ালী আহলিয়া বা স্ত্রী।
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرتْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرٍو رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ اَلدُّنْيَا كُلُّهَا مَتَاعٌ وَخَيْرُ مَتَاعِ الدُّنْيَا اَلْمَرْأَةُ الصَّالِـحَةُ.
অর্থ: হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন- দুনিয়ার সবটাই সম্পদ। আর শ্রেষ্ঠতম সম্পদ হচ্ছে দ্বীনদার-পরহেযগার আহলিয়া বা স্ত্রী। (মুসলিম শরীফ, মিশকাত শরীফ)
একদা কতিপয় ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনারা বলাবলি করতে লাগলেন-
لَوْ عَلِمْنَا أَىُّ الْمَالِ خَيْرٌ فَنَتَّخِذَهٗ فَقَالَ أَفْضَلُهٗ لِسَانٌ ذَاكِرٌ وَقَلْبٌ شَاكِرٌ وَزَوْجَةٌ مُّؤْمِنَةٌ تُعِيْنُهٗ عَلٰى إِيـمَانِهٖ
অর্থ: যদি আমাদেরকে জানানো হতো, কোন সম্পদ শ্রেষ্ঠ ও উত্তম, তাহলে আমরা তা সঞ্চয় বা জমা করতাম। তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যিকিরকারী জিহ্বা বা যবান, শোকরগোজার অন্তর এবং নেককার তথা প্রকৃত মু’মিনা আহলিয়া তথা স্ত্রী। যিনি আহাল স্বামীকে দ্বীনদারীর ক্ষেত্রে সহায়তা করে থাকেন। (ইবনে মাজাহ শরীফ, তিরমিযী শরীফ)
যারা বিবাহের সামর্থ রাখে না তাদের জন্য রোযা রাখা সুন্নত
নিকাহ বা বিবাহের অন্যতম উদ্দেশ্য, পুতঃপবিত্র জীবন যাপন করা। পরহেযগার মুত্তাক্বী হওয়া। কেননা সর্বাধিক পরহেযগার বা মুত্তাক্বী ব্যক্তিই মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সর্বাধিক প্রিয়- মাহবূব।
রোযার দ্বারাও সেই উদ্দেশ্য-লক্ষ্য সাধিত হয়। তাছাড়া রোযার দ্বারা মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার গভীর নৈকট্য কুরবত তায়াল্লুক-নিছবত পয়দা হয়। কাজেই যারা নিকাহ বা বিবাহ করতে সামার্থবান নয় তারা রোযার দ্বারা সেই উদ্দেশ্য সাধন করতে পারেন। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وَمَنْ لَّـمْ يَسْتَطِعْ فَعَلَيْهِ بِالصَّوْمِ فَاِنَّهٗ لَهٗ وِجَاءُ
অর্থ: যে যুবক বিবাহ করার সামর্থ্য রাখেনা তার উচিত রোযা রাখা। কেননা, রোযার দ্বারা পবিত্রতা হাছিল হয়। (বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ)