রে মুশরিক আর নাস্তিক ব্লগার,
তোরা কুখ্যাত ধুরন্ধর দেব না তোদেরে ছাড়।
সাতানব্বই ভাগ মুসলমানের কলিজায় আঘাত মেরে,
পার পেয়ে যাবি, করছিস দাবি প্রশাসন কাঁধে চড়ে?
মোরা মুজাহিদ মর্দে মু’মিন ভুলে রহি গমগিন,
মোরা আল্লাহ উনার মনোনীত জানবাজ আশিকীন।
মোরা রসূল উনার অনুগতে রহি হরদম হাজিরান,
মোরা রসূলাদর্শ ভুবন জুড়েই রাখি রাখি উঁচুয়ান।
ওই দ্যুলোকে ভূলোকে সবপাকেই ভাবি সদা প্রাণাধিক,
প্রিয়তম তিনি উত্তম জানি, নেই এতে লৌকিক।
কহি তিনিই মোদের সর্বের্বা আবাদুল আবাদান,
ওই আল্লাহ উনার পরেই জানি পাক নূরী স্থান।
রহি বিশ্ব মু’মিন ক্বদমে উনার বেকসুর কুরবান,
রহি আবাদুল মকবুলে পুরা নেই এতে ব্যবধান।
জাররা উনার দুশমনদেরে কভু নাহি দেই লাই,
করি নিস্তানাবুদ শত্রুরে, যেখানেই তারে পাই।
কেবল মোদের বাঁচা ও মৃত্যু; আশিকে রসূল হতে,
মোরা দায়িমান কায়িমান রহি জিন্দেগী সুন্নতে।
হায়, যায় শোনা যায় রাজধানী ঢাকা শাহবাগ চত্বরে,
নাস্তিক আর মুশরিক মিলে গালি দেয় চিৎকারে।
নব প্রজন্ম জাগরণ ধ্বনি শুনাতে চাচ্ছে তারা,
ইসলাম নাকি সেকেলি ধর্ম একালে সর্বহারা।
করছেই দাবি ইসলামী নবী তিনি নাকি জঙ্গি?
গ্রহেন সাম্য শান্তি সভ্যতা ছেড়ে দানবের ভঙ্গি।
এহেন কতনা বিশ্রী দোষ জুড়ে যে উনার নামে,
ইন্টারনেটসহ মিডিয়া বিশ্বে ছড়ালি সহসা ভূমে।
সোয়া তিনশ কোটি মুসলিমীরে আগুনেই জ্বালাবার,
কোশেশ করিস তামাম কাফির শুরু হতে বেশুমার।
রে হিংস্র ওই কুখ্যাত নাস্তিক,
মুসলিম মোরা পুরোটা তোদের দাফন করবো ঠিক।
হায় ইন্টারনেটে হুমকি মারিয়া ঠিকানাবিহীন লিখে,
লুকিয়ে চুপিয়ে গালি দিস তোরা খেকশিয়ালের মুখে।
সাহস থাকলে ময়দানে আয়, দেখবো চেহারা তোর,
নেপথ্যে থেকে ধূর্তমী করে হলিরে মিডিয়া চোর।
আহ্ ইবলিস ফের করে কারসাজি ভিন্নরকম কাম,
পাঠায় ব্লগারদের শাস্তিদানিতে হেফাজতে ইসলাম।
কহি আলবত ‘হেফাজত’ নামে দল দিয়ে শয়তান,
নাস্তিকদের শাস্তি দানিবে জেনে যাবে ইনসান।
করবে ইয়াক্বীন মুসলিমে ঠিক হেফাজতে ইসলাম,
আশিকে রসূল তারাই মূল ঘুচে যাবে বদনাম।
ওই কাঙাল কিছু কওমী নিয়েই করে তারা লংমার্চ,
নাস্তিকদের রুখবেই বলে নেকামি করছে সার্চ।
দেখি ‘হেফাজত’ নিয়ে মিডিয়া মহলে হৈ চৈ পড়ে যায়,
হরতালসহ ভাংচুর দিয়ে বিশ্বকে সমঝায়।
ওই লোভী হায়েনা আহমক শফী জামাতীর টাকা খেয়ে,
লংমার্চ করে নাজায়িয ভিড়ে রাজধানী ঢাকা গিয়ে।
কহে কহে তারা মিথ্যা কাহিনী নবীজী উনার নামে
লংমার্চ নাকি নবীজী করেন, জায়িয আছে ইসলামে?
এমনকি ওই হজ্জের মাঝেও লংমার্চ জুড়ে আছে
আহমক তাই দিয়েই ফতওয়া ঈমান রাখলো মিছে।
মরদুদ তার চাতুরী দিয়েই উলামায়ে ‘সূ’দের ধরে,
‘হেফাজত ইসলাম’ নামখানি দিয়ে ইসলামী দল গড়ে।
প্রচার করে জনগণ পুরে লংমার্চ নিয়ামত,
লংমার্চ করে জান্নাতী হয় ইহা মহা ইবাদত।
নাউযুবিল্লাহ! রে বেয়াকুব,
ভণ্ডামী তুই দেখালিই খুব।
ওই আল্লাহ উনার মহান সূর্যোদয় বিশ্ব বুকে
সেই সূর্যালয়েই রইছে জাহিল গহীন গুহায় লুকে।
সেই সূর্যই হন মুজাদ্দিদে আ’যম রাহবারে আমিনীন,
তিনিই হলেন আল কুরাইশী দিগজুড়ে আজিমীন।
উনার প্রভাব দারুণ প্রতাপ শক্তিতে মহাবীর,
তিনিই ইমাম ইলাহী ইনাম সাইয়্যিদী শমসীর।
তিনি পনের শতক হিজরী সনের মুজাদ্দিদ মহাতন,
তিনি অফুরান শানদারী দ্বীনে কাণ্ডারী জাগরণ।
তাজদীদ উনার নূরে আনোয়ার সুন্নী আমলদার,
খাঁটি ইসলাম দেন আঞ্জাম স্নিগ্ধেই পারাবার।
কহি পাক মুজাদ্দিদ ফতওয়া দিলেন লংমার্চ হয় হারাম,
কাট্টা কাফির মাওসেতুংয়ের ইহা হয় আঞ্জাম।
পালাইলো ঠিক ওই নাস্তিক শত শত মাইল পাড়ি ,
সেই সে প্রথাই আঁকড়িয়ে রহে দেওবন্দীরা ধরি।
লংমার্চ যারা হালাল জানবে হবে গো ঈমান হারা,
পচে গলে তারা বেঈমান হয়ে অকালেই যাবে মারা।
ধূর্ত ফাসিক আহমক শফী, শুনে রাখ মুসলিম,
সে ইবলীসি দাস করলাম ফাঁস, নাহি বলি অগ্রিম।
প্রমাণসহ-ই বাস্তব লিখি মনোযোগ দিয়ে পড়ে,
মুসলমানেরা লও চিনে লও ক্বওমী চামচাদেরে।
-বিশ্বকবি আল্লামা মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিকগংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৬৩
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিকগংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৬৪
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিকগংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৬৫
হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মকবুলে মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ রহেন উজ্জ্বলে-১৭৮
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিকগংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৬৬