ক্রান্তিকাল,
রহে রহে উত্তাল।
জঞ্জাল দিয়ে দেশময় আজ তা-বে বেশামাল,
ওই হত্যা ও গুম সন্ত্রাসীসহ জুড়ে আছে হরতাল।
পয়মাল আহা পয়মাল,
খুনে খুনে লালে লাল।
ওই আস্তিক আর নাস্তিকে মিলে বাড়াবাড়ি চৌদিক,
লাশারিক বাদী কমজোর হয়ে পায় পায় শুধু ধিক।
অহমিক ত্যাজে সৌমিক পারে,
আহা ইনছাফ যায় যায় হেরে।
তেরে মেরে আজা লাচার বানালো সত্যরে ধরা মাঝ,
হায় মুসলিম তড়পায়ে গড়ে ভীরু পাড়ে মারকাজ।
ফের বিক্ষোভসহ জ্বালাও পোড়াও লুটেরা খবরদারি,
রহে জোর যার মুল্লুক তার এ মতেই রহে জুড়ি ।
আহা রেলগাড়ি, বাস, হাটবাজার আগুনেই ছারখার,
হঠকারী আর হিংস্র লোলুপ, করে রাখে তোলপাড়।
দেশব্যাপী হায় অরাজকতায়,
ওই ব্যাঘ্র গ্রাসেই দাপড়ায়।
সীমাহীন বিষয় হিসপিস করে নিরামিষে ব্যথাতুর,
নারী ও পুরুষ মানবী মহল করে রাখে বিস্তুর।
আহা বিরান আহা বিরান,
রহে খান খানে ব্যবধান।
হায় নও প্রজন্ম চোখে সভ্যতা হলো বর্বর,
অশ্লীল আর উগ্রতা গ্রাসে ইবলিসী লস্কর।
নিয়ে প্রজন্মে গণজাগরণ,
হারাইয়া হায় সদাচরণ।
বেলেল্লাপনার পড়ে হিড়িক,
অসভ্য ছূরতে মারছে ধিক।
আজ বাংলাদেশের পূর্ব পশ্চিম উত্তর দক্ষিণে,
দাঙ্গা নাঙ্গা ফুঁসে ফুঁসে উঠে বুভুক্ষু রঙিনে।
অধুনা দাবি, হলো সোচ্চার, যত আছে রাজাকার,
চাই ফাঁসি চাই, নিস্তার নাই, জীবন্ত সমাচার।
সেই সে কঠিন, বড়ই গহীন, যুদ্ধাপরাধী বেলা,
উচিত বিচার করেনি উহার, করেছিল অবহেলা।
আজ রাজাকার অজগর হয়ে দেশকে করিছে গ্রাস,
দেশের বারোটা বাজায়ে ছাড়ছে বৈরিতে অবকাশ।
ওই গণজাগরণী মজমা জমায়ে উচ্চারে আবদার,
পুরো দেশ হতে তাড়াতেই চাহে একাত্তরী রাজাকার।
যুদ্ধাপরাধী ফাঁসিতেই বাঁধি মারতেই করে পণ,
তাদের মর্জি পূরণ করতে জেগে উঠে প্রশাসন।
কুখ্যাত ওই দাগাবাজ সব রাজাকার ধরে ধরে,
শক্ত কঠিন জেলখানাতেই রাখছে বন্দী করে।
দেখি আন্তর্জাতিক ট্রাইবুন্যালেই ঘটা করে দেয় রায়,
যাবজ্জীবন ও ফাঁসির আদেশ, অবশেষে দিয়ে যায়।
এতে করে হায়, পুরো দেশময়, বিদ্রোহ রমরমা,
মিছিল মিটিং বোমাবাজিসহ গোলাগুলি হাঙ্গামা।
উথাল পাথালে কেঁপে কেঁপে উঠে বাংলার পরিবেশ,
ওই হায়েনা রূপী জামাত-শিবির উগ্রতা করে পেশ।
ওই গো-আযম, মইত্যা, দেইল্যাসহ জামাতী শীর্ষ নেতা,
যায় বুঝি ঝুলে ফাঁসির দড়িতে বাড়ছে অস্থিরতা।
তাই মরিয়া হয়েই জামাত-শিবির তা-ব-লীলা চালে,
চাহে নরখাদকদের মুক্ত করতে সন্ত্রাসী উত্তালে।
কিন্তু আপামর ওই জনতারা সবে বিচার দেখতে চায়,
ওই সন্ত্রাসী খুনি রাজাকারী শির ফাঁসিতেই মানায়।
কৈফিয়ত তলব করে দেশবাসী, সরকার কেন ঢিলা?
রাজাকারী ফাঁসি ভয়ঙ্কর হোক চাইছে বিচার বেলা।
হায় কী আতঙ্ক, পেয়েই বসলো, জন্তুতার অন্তরে,
ওই যুদ্ধাপরাধী বিচার বুঝি লুকে যাবে গহবরে।
বরদাশত আর করেন না ওই মুজাদ্দিদ মহাবীর,
দেশবাসীরে নির্দেশ দেন ভেঙ্গে ফেল ভীতু নীর।
দেশে শান্তি ও শৃঙ্খলা পেতে জেগে উঠ দেশবাসী,
দাও শাস্তি দাও, জামাত-শিবির, পাইতে খোদার খুশি।
চেতনার মূলে, দাও আলো জ্বেলে, আঁধার কর হে দূর,
সবে সুন্নী রঙে হও রঙিন মুল্লুকে মঞ্জুর।
রে প্রশাসন, ছেড়ে প্রহসন, হয়ে যাও হুঁশিয়ার,
ওই সীমান্ত কেন অশান্ত, কেন খাই মোরা মার?
কেন আজ তুমি নিশ্চুপ রহ? ভারতী অত্যাচারে,
তবু কেন রহ মুশরিকী পদে তোয়াজ ও নমস্কারে?
মোরা বাংলাদেশীরা নির্ভীক জাতি দেখনি একাত্তরে?
মোরা মাতৃভূমিকে রেখেছি স্বাধীন হায়েনা দম্ভ চূঁড়ে।
ওরে সরকার, ডাক শোনো মোর, বিশ্বাসে আখিরাত,
ওই মুজাদ্দিদে আ’যম গাউছুল আ’যম আঞ্জামানে হাসানাত।
কহি কহি হক্ব, লইতে সবক, মুজাদ্দিদী ক্বারিবান,
আর নাহি সয় ত্বরা করে আয়, হয়ো নারে বিয়াবান।
উনার দোয়া ও তাওয়াজ্জুহ ফায়িযে দেশ রহে শান্তিতে,
বলি অবশ্যই ইহা সত্য কথা, চলে আস সম্বিতে।
-বিশ্বকবি আল্লামা মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিকগংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৬৩
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিকগংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৬৪
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিকগংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৬৫
হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মকবুলে মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ রহেন উজ্জ্বলে-১৭৮
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিকগংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৬৬