আহা পনের শতক হিজরী সনেই পৃথিবী পূর্ণবার,
ওই জাহিলী যন্ত্রে যন্ত্রণা পায় গর্বিত দ্বীনদার।
হায় বেহায়া ও অশ্লীলে,
আর বেয়াদবী উত্তালে।
দেখি ভরপুর চৌদিকে,
রয়ে সত্য ঘূর্ণিপাকে।
বেদিশার ওই ভূমিকম্পেই কাঁপছে ধরণীতল,
পৃথিবী আকাশ ফেকাশী মেঘেই বর্ষে বজ্রানল।
ওই বে-ইনছাফের গুর্জুঘাতেই নুয়ে রাখে সভ্যতা,
ডুবুডুবু আজ ঐক্য শান্তি সাম্য ও শালীনতা।
জগৎজুড়েই নমরূদী দল তা-বী লীলাচালে,
মুলকে ফেরআউন শত শত রয় হিংসার কোন্দলে।
হায় মুসলমান রহে হয়রান তাগুতী ধূর্তমিতে,
গড়াগড়ি করে মানসম্মান ধুলোর গহীন খাতে।
আহা মুসলিমী রীতি, যায় ঘুরে যায় দুর্গতি গহ্বরে,
অপদস্থের হচ্ছে শিকার কুরআন হাদীছ ছেড়ে।
আজ অত্যাধুনিক নিয়ে আণবিক ইহুদী ও নাছারা,
মুসলমানের দেশে দেশে দেখি দস্যুতা করে তারা।
কুল্লু কাফির হয়ে খিঞ্জির মুসলিমী প্রতিপাকে,
দৃশ্য অদৃশ্য দুইভাবে তারা ওঁৎপেতে হায় থাকে।
সুযোগ বুঝেই সংহার করে ইসলামী ইজ্জত,
খুঁজে খুঁজে তারা মুসলিম হতে কেড়ে লয় মসনদ।
আহা আহা হেরি মুসলিম দেশে দ্বন্দ্ব জিইয়ে রেখে,
অসহায় করে মুসলিম মারে বোমা আর বন্দুকে।
নমরূদী আর শাদ্দাদী রাজ কায়িম রাখতে ভূমে,
ইহুদী নাছারা হিন্দু বৌদ্ধ গুজরায় অরঘুমে।
মুসলিমী তাঁবু করে করে কাবু তাগুতীরা উল্লাসে,
লক্ষ লক্ষ ঘর বাড়ি জ্বেলে হিং¯্র হাসিটি হাসে।
লক্ষ লক্ষ মুসলিমী খুনে তারা হায় হোলি খেলে,
হায়রে কঠিন দুর্যোগ ভোগে মানবেতরের কোলে।
সেই সে কঠিন জাহিলী আকাশে উদয় নও সুরুজ,
ওই সুরুজই ইসলাম উনার সুন্নী নূরী বুরুজ।
পনের শতকী মুজাদ্দিদ, তাশরীফ আনেন জোশে,
তাগুতী তাবায় রেখেই দানেন শান্তি এ বিশ্ব।
রহমানী ইহসান,
ইমামুল উমাম গাউছুল আ’যম জাহিলিরে ধ্বংসান।
তিনি সাইয়্যিদী মুজতাহিদ, আমীরুল মু’মিনীন,
ছাহিবে জব্বার কাবিউল আউওয়াল মাক্বামেই সমাসীন।
ওই উনার রোবের পরিধি বিশ্বে চমকে অনির্বাণ,
উনার ফায়িজী তপ্তা নলেই নুইয়ে রয় শয়তান।
এরপরও ওই শয়তান হায় মরণ কামড় মারে,
নাস্তিকী মিসাইল নিক্ষেপ করে মুসলমানের শিরে।
হায় অধুনা মোদের বাংলাদেশেই করছে কী নাস্তিক,
মরদুদী মদদে নমরূদভাবে নিজেরে বাস্তবিক।
দেখি হঠকারী তারা করছেই বেশ শাহবাগ চত্বরে,
আহা নারী-পুরুষের বেহায়া কীর্তি দেখায় নির্বিচারে।
সমমনা প্রশাসন কাঁধে সাওয়ার যে হয়ে তারা,
করে কটাক্ষ ওই ইসলাম নিয়ে বনছেই বিষ ফোঁড়া।
ইন্টারনেটে ব্লগার সেজেই ইসলাম হেয় করে,
মুসলমানের বক্ষ মাঝেই কঠিন শাবল মারে।
নূর নবীজী হযরত উনার শান মান নিয়ে হায়,
খেল তামাশায় কুৎসা রটায় অশ্লীলী উষ্মায়।
আহা আপত্তিকর উক্তি করছে বর্ণনাহীন ওরে,
বামপন্থী ওই নম নাস্তিকে মদদ দিচ্ছে তারে।
ওই মুরতাদ রাজীব কেমনে বাংলাদেশেই থেকে?
হায় আঘাত করে পনের কোটি মুসলমানের বুকে।
নিশ্চুপ কেন প্রশাসন হেন বোবা শয়তান হলো?
বুদ্ধিজীবী ও সুশীলবাদীরা কেন আজ লুকে গেলো?
কই সাহিত্যিক কবি গোষ্ঠীরা কইরে উপন্যাসিক?
হায়, বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখালো কেমনে বাংলায় নাস্তিক?
মোরা চাচ্ছি জবাব পনের কোটি মুসলমানেরা আজ,
ধর্ম দোহাইয়ে ক্ষমতায় আসা কইরে বাংলা রাজ?
শুনি তোমরাও নাকি মুসলমান, বলে যাও বারবার?
তবে এ কোন সাম্য কাম্য হেরি? নীতিহীন ব্যভিচার।
নারীরা সেথায় বেলেল্লাপনায় মেতে রয় প্রতিক্ষণ
ফের তরুণ তরুণী হয়ে একাকার নাচগানে মগ্নন।
ওই শোন নাস্তিক মুশরিকসহ শুনে রাখ কাফিরান,
রহে বাংলাদেশের প্রতি ইঞ্চিতে জীবিত মুসলমান।
মহান খলীফা মুজাদ্দিদ আ’যম উনার আদেশে মোরা,
লক্ষ লক্ষ মুরীদান রহি জিহাদ করতে পুরা।
মৃত্যুকে কভু পরোয়া করিনা শহীদী তামান্নায়।
উচিয়েই শির হরদম হাযির পৃথিবীর প্রতি গায়।
ওরে বেঈমান শোন খুলে কান মুজাদ্দীদী ফরমান,
পুরো বিশ্বই মুলকে মু’মিন, নেই মরদুদী স্থান।
ওই বামপন্থীসহ নাস্তিকেরা সাবধান হুঁশিয়ার,
বদলা মোরা নিবই নিবো, নেই তোর নিস্তার।
-বিশ্বকবি আল্লামা মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে- ৪৫
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৪২
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৪২
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীকৃত গেল খুলে-৪৯
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৫০