ছাপ্পান্ন দিন ব্যাপী,
সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ রহিছে আবাদ, তামাম বিশ্ব ছাপি।
তামাম পৃথিবী আলোকিত করে, পালিত হচ্ছে ঈদ,
ইমামুল উমাম দেন আঞ্জাম ইহা উনার তাজদীদ।
অচেতন ওই মুসলিম সবে সচেতনে লয় দিশ্
দুনিয়া আখির করে মুঞ্জির দ্বীনদারে বখশিশ।
দেখি নবী দুশমন প্রতিক্ষণ, হতচ্ছারা দুই কুল,
ওই ইবলিস তার তালবিস ছিড়ে নিজে হয় ভন্ডুল।
সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ বড় আহলাদ সকল ঈদের ঈদ,
তামাম সৃষ্টি, রহে রহে ফুটি, পরিপাটি নন্দিক।
ওই কীটপতঙ্গ, অনুপরমানু, পশুপাখি গ্রহ তারা
আজ অনাবিল খুশির আমেজে সমারোহে মাতোয়ারা।
কইরে কাফির ধুরন্দর, ঘৃন্য ওহাবী গুষ্ঠিরা?
কই মরদুদ মওদুদীজাত দেওবাদী লুচ্ছারা।
কেন আজ তোরা শিয়ালি গর্তে লুকাইয়া গুজরাস?
কেন লুকি লুকি মুসলিম গায়ে ছড়াচ্ছো সন্ত্রাস?
রে ভীতুর ভেড়া! কেন তোরা করছিস ভন্ডামী?
কেন যে আখির রেখে অস্থির দেখাচ্ছিস ফাজলামী।
মীলাদুন নবীকে বিদয়াত বলিস, কইরে দলীল তোর?
একটা দলীলও পারবিনা দিতে খুলে ইবলিসী দোর।
তোদের ভাওতাবাজি হাওয়াতেই ভাজী কতকাল দিয়ে যাবি?
তুই টিকটিকি অভিশাপ দিয়ে হক্বকে ডুবায় দিবি?
দেই ধিক্কার, ওই কুফফার, তোর বাটপারি মিচমারী,
মোরা খারিজী ক্বওমী দেওবন্দীদের সমূলেই উৎপাড়ি।
মোরা উলামায়ে ‘সূ’র নাক কান কেটে জিহবা ছিড়েই লই,
মীলাদী শত্রুর নেত্র পঁচায়ে আশিকে রসূল হই।
করেন পালন খালিক মালিক সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ,
গোটা আলমেই মনোরম জমে ঈদী নাজে ইমদাদ।
রবিউল আউওয়াল বারো তারিখে,
আরশেও নব খুশবু মেখে।
নব সাজে উঠে হেসে দুলে,
ইশকী বাতায়ন খুলে খুলে।
ওই পাক আরশী উর্বশী রূপে অংগে সাজায়ে বেশ,
সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ সেরা আহলাদ নেই এতে অবশেষ।
আবাদুল আবাদ আকবরী স্বাদ, ইলহাদে দায়িমান,
রহে আশিকান, আঞ্জামী শান, অফুরানে মহিয়ান।
নিবেদিত রহে অবিদীত মোহে প্রত্যয়ী গোলামীতে,
ঈদে আ’যম, ঈদে মীলাদ, সাইয়্যিদ প্রতি খাতে।
কেন কেন মোরা থোরা থোরা করে পালন করবো তাহা?
কেন উদাসীন দ্বীন হীন প্রাণে ভাবনা অলস সহা?
ভাগ্যবান,
হলো সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ পালন করেই কামিল মুসলমান।
কামাই রুজিতে, বরকত মিলে, বেহিসাব বেমেছাল,
নেক হায়াতেই গুজরায় দিন, কামিয়াবে চিরকাল।
বিপদ আপদে মুক্ত রহিছে, রোগ শোক বহুদূর,
শুধু শান্তি আর আয়েশেই রহে, জিন্দিগী নূরে নূর।
নেক মাকসুদ হচ্ছে পূরণ মুসলিমী পুরো খাতে,
অভাব রহেনা সচ্ছলী শাসে নিত্য দিবস রাতে।
ঈদে মীলাদ যেথা করে আবাদ, অনাবিল রহমত,
রয় বর্ষিত সদা, অবিরত সেথা বিলকুল বরকত।
শুধু কন্জুস, গ্রহে আফসুস, হয়ে হায় মাহরুম,
রহে বদবখত কহে আলবত, নেই সন্দেহ বেমালুম।
ওই মুর্শিদ মোদের মুজাদ্দিদ, পেয়ে উনার ফায়িজান,
রহি দুশমনদের ধ্বংস করতে হরদম বলিয়ান।
দেখি পাক সাইয়্যিদ শাহ সুলতান ইমামে মুসলিমীন
খোদ জাব্বারী জোশে সাব্বারে দেন মল্লুকে কাফিরীন।
ওই ছাপ্পান্ন দিন রেখে উড্ডিন সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ
করেন মাহফিল রৌনকে মিল, সাইয়্যিদী আওলাদ।
তিনি যামানার, মাযহারী নূরে, ছরকারী আবরার,
তিনি সদ্বাক্বাত বারাকাত হয়ে রহমতী আছরার।
তিনি খোদ খলীফা আসসাফফা, দফান মুজরিমীন,
সাইয়্যিদুল আইয়াদ করেই আবাদ গ্রহিলেন ইমামীন।
কারো নাহি ধার ধারেন না তিনি, নববীতে গুলশান,
তিনি নির্ভিকে দিচ্ছেন ধ্বনি, হক্কানী জজবান।
শুনো শ্রেষ্ঠ উনার মহান শান, হাবীবী নকশাদার
তিনি নিয়ন্ত্রিত ইলহামে জানি, ইসলামে আতহার।
তিনি ইলাহী উনার, আনোয়ারী দ্বার সুন্নতি মাস্তুল,
তিনি বরকতি সুমহান, জ্যোতি ছুবহানী মকবুল।
ওরে ও মু’মিন গ্রহে লও দ্বীন, মুজাদ্দিদী মিল্লাতে,
ওই মিল্লাত, আবে হায়াত, ভরপুর সওগাতে।
গ্রহে গজব, শুধু বেয়াদব, কহি বাস্তব সংবাদ,
ওই ওহাবী খারিজী, মওদুদীসহ দেওবন্দী উম্মাদ।
রসূলী রহম মিলছে পরম, আশিকে আইয়াদ মাঝে,
ওই হিংসুক, তোরা মিথ্যুকী নারে, জ্বলে মর হররোজে।
সাইয়্যিদুল আইয়াদ জিন্দাবাদ আবাদুল আবাদ উচ্চে শান,
শুধু সাইয়্যিদুল আইয়াদ বিশ্বাসীরাই সাচ্ছা মুসলমান।
-বিশ্বকবি আল্লামা মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিকগংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৬৩
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিকগংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৬৪
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিকগংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৬৫
হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মকবুলে মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ রহেন উজ্জ্বলে-১৭৮
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিকগংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৬৬