পহেলা শাওওয়াল,
নূরুন আলা নূর পুরো দস্তুরে আল কামাল।
আল হিলালের তিনি রোশনাই স্নিগ্ধতে ত্বলায়াল,
সাইয়্যিদী নসবে নূরী অবয়বে নিখিলেই মালামাল।
ওই পনের শতক হিজরী সনের মুজাদ্দিদী বানাতুন,
আওলাদে আউওয়াল সুন্নী বালাগাল উনি খাছ মাসনুন।
তিনি সাইয়্যিদাতুন নিসায়ী হয়েই তাশরীফ কায়িনাত,
ওই তিনি খাতুনে জান্নাতরূপে উদয়নে নুজহাত।
তিনি বীরঙ্গনা নূরে যামানা মহীয়সী ধ্রুব তারা,
তিনি তাবা করে দেন তাগুতী তমশা, নেই এতে মস্করা।
ভুলকে পুলকে উঠলো জেগেই আওরতী জামায়াত,
ওই নূরী নকীবা মারহাবা রাহনুমায়ী হাসানাত।
দেখি উনার দৃষ্টি ফিরালো তুষ্টি নির্যাতিতার মুখে,
উনার আদরে দিশা ফিরে পায় নাহি রহে আর দুখে।
তিনি জান্নাতী মাহরুমা,
তিনি সুন্নতী রাহনুমা।
তিনি দলীলুল আরিফীনা,
তিনি হাবীবায়ে রাব্বানা।
তিনি রসূলী লালায়ে লাস্য নন্দিতা মনিহার,
তিনি রসূলী আওলাদী শানে অনন্ত গুল্জার।
তিনি কুবরাহী তনয়া নূর নকশায়ে আবীহা,
তিনি ছিদ্দীক্বা ক্বায়িম-মাক্বামে যাহরায়ী সাবিহা।
ওই কারবালা খুন বহে শিরে,
ফের জজবাহী জোশ মঞ্জুরে।
উঠে মুসলিমা হক্বের তীরে,
নাকীবাতুল উমামী দীপ্ত নীড়ে।
পৃথিবী জুড়েই নারী জাতি হায় মানবেতরের গৃহে,
জিম্মি হয়েই জিন্দেগী গ্রহে ভোগের ঘানিটি বহে।
হায় অসহায় নারীত্ব লয়ে অশ্লীলে হামাগুড়ে,
হরদম হেরে হায়না থাবা ধেয়ে আসে হুঙ্কারে।
হায় নারী কেন কম্পিত?
কেন তারা রয় উপেক্ষিত?
কেন বেগানার মনোরঞ্জনে?
সতীত্ব সবি রহে অর্পণে?
জানি জানি সবি স্বকীয়তা ডুবি পর ডাকে দিয়ে কান,
নারী গেল হারি নিজকে বিকায়ে আবরুর ব্যবধান।
কুখ্যাত ওই তাগুতি তীর সহজে বনছে নারী,
শয়তান আহা কান টেনে নিলো ইজ্জতখানি হরি।
হওরে নারীরা হও হুঁশিয়ার,
ভেঙে আসো ওই তাগুতী খোয়ার।
প্রলোভন নদী পারি দিয়ে আয়,
নারীত্ব জাগাতে ফের ধরায়।
আজ বিশ্বের প্রতি অলি গলি মুজাদ্দিদী তাজদীদে,
সাড়া পড়ে যায় হক্ব তাগাদায় সুন্নতী আহলাদে।
মজলুম আর মজলুমাসহ তামাম মুসলিমীন,
ঐক্যের মাঠে হয় জমায়েত জঙ্গে আকবারীন।
দেখি দেখি মোরা কম নেই থোরা মু’মিনী নির্যাতনে,
বোমাগুলি আহা বৃষ্টির ন্যায় ভুগিছে মুসলমানে।
শিশু কিশোর আর তরুণ যুবক বৃদ্ধ নেইরে বাদ,
সহজেই গ্রহে কঠিন আবহে বুলেটি তিক্ত স্বাদ।
ওরে দুনিয়ার মুসলমানেরা তাকাও রে চোখ খুলে,
নারী ও পুরুষ ছাড়ো উসখুশ মরিয়না তিলে তিলে।
ভিতুর শীরে মেরে লাথি,
হিম্মতি শান করো সাথী
ভাংগরে তাগুতী নথি
জ্বালা ইবলিসী ঘৃণ পুঁথি।
ওই দ্যুতি জ্যোতি সব গতিয়ানের দূরন্ত দুর্বার,
ওরে ও মু’মিনা ছাড় হে কমিনা ফাজলামী কারবার।
হও মহীয়সী নহ পরবাসী মুসলিমা তুমি বীরঙ্গনা,
ওই নাকীবাতুল উমাম ডাকেন তামাম আঞ্জামে মু’মিনা।
উনি হন শমশের খোদ,
ত্বরানেওয়ালী উনি তাবোদ।
উদ্যমা তুমি মুসলিমা নারী
তাগুতীপনারে দাও ছাড়ি।
পহেলা শাওওয়ালে আল হিলালেই শোয়ারীয়া আগমন,
শুনো আরশ হতে ধুলির মর্তে সাইয়্যিদা মহাজন।
উনি নক্বীবা রসূলী শোভা কুবরাহী আলবাব,
উনি আজিবা যাহরায়ী দিবা ইছলাহী আসবাব।
আজ নারী জাতি পুলোকিত,
সুন্নতী নাজে আলোকিত।
নাকীবাতুল উমামী রোবে,
সহজে বাতিলবাদীরা ডুবে।
উচ্চেই উবে আলোড়িত বাবে আবে হায়াতীর টানে,
গোটা নারী জাতি পেয়ে যায় গতি সাইয়্যিদা অনুদানে।
ওই অনুদান বড় বেগবান নেই এতে দুর্বলা,
খোশ হরদম পুরো সরগম রহে আজন্ম উজ্জ্বলা।
-বিশ্বকবি আল্লামা মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান।
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২৬
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২৭
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীকৃত গেল খুলে -২৮
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২৯
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৩০