ওরে ও দেশের মুসলমানেরা শুনো নব সংবাদ,
করবেই আল-কায়েদার হুমকি দিয়েই দেশখানি বরবাদ।
এই সাতানব্বই ভাগ মুসলমানের সোনার বাংলাদেশে,
মুসলিমশূন্য করতেই চাহে বাংলা যে অবশেষে।
পাঁচ ওয়াক্ত আযানের ধ্বনি সবুজের সমারোহে,
পুলোকিত করে চমকে চমকে গগন যমীনে বহে।
হায়- তাগুতের মাথা ঘুরে যায় দ্বীনদারী আবাহনে,
এক হয়ে সব কৌশল আঁটে নব নব সন্ধানে।
আর কমজোর সব ঈমানদারের কাঁধে চাপে র্ববর,
ত্রাসে কাত করে মুসলিম জাতি জুঝে রাখে ধড়ফড়।
ওরে ঈমানদার মু’মিনীন সবে শুনে লও আহবান,
এই পনের শতক হিজরী সনের মুজাদ্দিদী ফরমান।
সাতানব্বই ভাগ মুসলমানের সবুজের এই দেশে,
সন্ত্রাসী সব গ্রেফতার করে চাপড়াও জোর কষে।
লাই নাহি দিবে কখনো ওদেরে ওরা যে ভয়ঙ্কর,
মুসলমানেরে ধ্বংস করতে ওরা রহে আগোচর।
সংখ্যালঘুর ঠুনকে ইস্যুতে স্বার্থ হাছিল বেলা,
ওঁৎপেতে রয় জুত মতে হায় ওই যে দস্যুগুলা।
ইসলাম ও দেশের শত্রুদেরে ভালো করে বুঝে লও,
মুনাফিক উলামায়ে ‘সূ’ মুশরিকসহ নাস্তিক দিকে চাও।
ইবলিস ওই তাদেরে ধরেই বানায়ে গোমস্তা,
দ্বীন বিরোধী উক্তি হাঁকায়ে নেতা গড়ে সস্তা।
পাক ইসলাম বিদায় করতে চাহে চাহে শয়তান,
কাফির করেই জাহান্নামে ধরে মুসলিমী সন্তান।
দেখি চৌদ্দই মার্চ দু’হাজার চৌদ্দ প্রেসক্লাব মসলিসে,
ওই তথ্যমন্ত্রী নাস্তিক ইনু বলতেছে হেসে হেসে।
শুনো, সাম্প্রদায়িক আর ধর্মান্ধসহ সন্ত্রাসবাদীরা দানব,
দ্বীন ইসলামকে কটাক্ষ করেই নেচে কহে বাস্তব।
বুকটান করে বিবৃতি দেয় কুশীলের মজমায়,
সমমনা সব কুবুদ্ধিজীবীরা হাত তুলে সমঝায়।
বলে- ওসব থাকলে নারী অধিকার হবে না প্রতিষ্ঠা,
হায়, নারী বঞ্চিত ব্যথিত হয়েই হারাবে যে নিষ্ঠা।
শুনো শুনো আরো নছীহত করে গুমরাহ মন্ত্রী ফের,
মরবার আগেই সম্পত্তি সব দিয়ে দাও নিজেদের।
ছেলেমেয়েদের সমান ভাগেই ভাগ করে দিয়ে যান,
নইলে ইসলাম বাধা দিয়ে তব করবে অসম্মান।
বেগানা যুবক যুবতীরা সবে জোড়া জোড়া বসে বসে,
গল্প আড্ডা করবেই তারা, কেন যে রইবে দোষে?
শুনো, কুখ্যাত ওই নাস্তিক ইনু দেখাচ্ছে ধৃষ্টতা,
সে দ্বীন ইসলাম অবজ্ঞা করেই প্রকাশিল মূর্খতা।
হত”ছারা ওই অজ্ঞ মূর্খ মন্ত্রীকে মোরা বলি,
রে মেø”ছ যবন অস্পৃশ্য, দেখলে চক্ষু খুলি।
ষোল কোটির ওই মুসলিম দেশে সোনার বাংলাদেশে,
কোন্ সাহসে দিলি বিবৃতি প্রশান কাঁধে বসে।
ষোল কোটি বীর মুসলিম হৃদে নাস্তিকী তীর মেরে,
পার পেয়ে যাবি? কখনোই নহে, কহিতেছি মোরা তোরে।
করে মানবের মাঝে দ্বীন ইসলাম মানবতা আলোময়,
নিখিল জুরেই শৃঙ্খল দানেন আশ্রাফী লোকালয়।
তুই গর্ধব রুশ, চামচা, মন্ত্রীর পদ পেয়ে,
দ্বীন বিরোধী বক্তব্য দিস নাস্তিকী দাস হয়ে।
কড়ায় গ-ায় নিবো প্রতিশোধ বসে নাহি রবো আর,
মোরা মুজাদ্দিদী মুরীদান রহি, হরদমে হুঁশিয়ার।
ওই আরেক মূর্খ ভূমিমন্ত্রী ইহুদীর আরদালী,
এনজিও’র এক অনুষ্ঠানে গিয়ে ঝাড়ে নষ্টামী বুলি।
মেয়েদের ওই শাড়িতেই নাকি ফুটে উঠে শালীনতা,
তবে কেন তারা বোরকা পরাতে দেখাচ্ছে ধৃষ্টতা।
ওরা ইবলিস নারীদের আহা বোরকার তলে রেখে,
প্রগতির বুকে হানছে শাবল সভ্যতা দেয় রুখে।
হায় হায় তারা নারীদের পুরো অদ্ভুত করে ফেলে,
হুজুররা আরো নারী জাতিকেই ভয়াবহ করে তোলে।
খামোশ ওই ইবলিসী ছাগ লাগাম লাগা হে মুখে,
বেপর্দা হওয়ার দিলিরে তালিম মুশরিকী মেওয়া চেখে।
শুন, বেপর্দা নারী হাঁটলো সে পথে যে পথে রয় গযব,
ওই বর্ষে লা’নত চল্লিশ দিন কমপক্ষে উদ্ভব।
সেই বেপর্দা নারীদের মাঝে শামসু মন্ত্রী থেকে,
লা’নতপ্রাপ্ত হয়েই যে সে, বিকৃতি বাকবকে।
ওরে ওর মেø”ছ নাদান, যবন তুই যে পাগলা রুগী,
তুই মন্ত্রীত্ব করার কখনোই কভু নহ নহ উপযোগী।
বাংলাদেশের ষোল কোটি মুসলমান করেছি অনেক বরদাস্ত,
ওই কাট্টা নাস্তিক দুই মন্ত্রীকে করে দাও বরখাস্ত।
নইলে গোটা দেশময় জুড়ে জ্বলবে ক্ষোভাগ্নি,
ছাই হয়ে যাবে মদদকারীর পায়তারা লগ্নি।
তামাম তাগুতি তল্পি গুঁড়ায়ে আনবো রে খিলাফত,
রাশেদা যুগের রেনেসাঁ রশ্মি উদয়ে যে আলবৎ।
মোরা বাংলাদেশের মুসলমানেরা বরদাস্ত নাহি করবো আর,
ওই উচিত বদলা নিবোই নিবো আমরা ঈমানদার।
-বিশ্বকবি আল্লামা মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিকগংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৬৩
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিকগংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৬৪
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিকগংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৬৫
হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মকবুলে মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ রহেন উজ্জ্বলে-১৭৮
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিকগংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৬৬