সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ আবে হায়াত ইলাহী ইয়াফরাহু,
জান্নাতী নাজ জগতে বিরাজ ইহাতে ইয়াজদাহু।
ইহাই আউওয়াল ইহাই আখির বেমিছাল বেহিসাব,
আশিকীন সবে রহে গৌরবে পেয়ে সেই আছবাব।
শাহানশাহ নূরী কায়িনাতে,
রোশনাই হয়ে রহমতে।
বিরাজে এনাজ দায়িমী হক্বে,
ইহাই সত্য হৃদয়ে এঁকে।
ঝুঁকে ঝুঁকে রহে উন্মুখে সবে জমায়েতী ইজলাসে,
সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ বর্ষিছে নূর হর্ষণী উচ্ছ্বাসে।
শাহী সাওগাত সেরা বারাকাত লও জেনে ইনসান,
উহা অক্ষয়ী ধন কর হে যতন হইওনারে গাফিলান।
মু’মিনী মেওয়া যিন্দেগী ভর,
হৃদয়ে জরায়ে রাখো বেহতর।
উহা অনাদি ইলাহী মানিক,
সচেতনে সবে রহ অধিক।
অলীকি ত্যাগেই দ্যুলোকে ভূলোকে সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ,
দিচ্ছে তোমায় শান্তি ধরায় জান্নাতী আহলাদ।
ওই মুসলিম সবে তা’লীম নিন ফরমানে গাফফার,
শুনুন তুআঝঝিরহু তুয়াক্বক্বিরহু হাক্বীক্বীতে বার বার।
সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ ঈদে মীলাদ,
নেই নফসানী নেই উন্মাদ।
সত্যই ইহা অনন্ত রাজী নূর,
মু’মিনীন তরে রহে মঞ্জুর।
জিঞ্জির ভেঙ্গে তানজীর গ্রহ তাজকীয়া আনওয়ার,
আশিকে রসূল হতে দুই কূল দায়িমীতে গুল্জার।
কায়িনাত ব্যাপী মধ্যমণি রবীউল আউওয়াল উজ্জ্বলে,
শাহরুল আ’যম মহতী পরম নন্দিত হিল্লোলে।
কল্লোলে রহে মহলে মহল,
জিন মালাইক বিছায়ে আঁচল।
হুর গিলমান কাতারে কাতার,
নও সাজে সবে রহে বাহার।
বান্দার তরে শানদার জানি দ্বীনদারী মহা ঈদ,
ইহাই সবার নূরানী আহার করে রাখে তাহমীদ।
ত্বলায়াল বাদরু বলেই পাঠে রত আশিকান,
ওই বর্ণনাহীন উড্ডীন রহে খুশিতে অনির্বাণ।
এ কি নেওয়াজ? ইছলাহী ইজাফত,
তুলনাহীন রহে, চিরদিন হুরমত।
আশিকান পেয়ে হলো শরাফত,
এতে দস্তুর দীপ্তিতে রহে বরকত।
নেই হুজ্জত রহে লজ্জত আখাচ্ছুল খাছ খুছূছিয়ত,
ওরে ও আশিক লভিতে মানিক অর্জ আবদিয়ত।
হায়াতে হারালে পস্তাতে হবে কহি যুগ যুগ যুগান্তর,
নয়া সমীরণ স্মরণে যুঝিলে ভেগে যাবে ছল তেপান্তর।
সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ তাজদীদ করেন কোন সেই মহাতন?
তিনি তো সাইয়্যিদ নছবী ঈদ ফাহমিদে সারাক্ষণ।
তিনি তো আ’লাল কামালে কামাল আকমলী মহাবীর,
তিনি তো সাইফ, সাইফুর রসূল গুঁড়ে দেন জিঞ্জির।
অবশ্যই তিনি সাইয়্যিদী রাজ,
বরহক্ব তিনি সুন্নী ইলাজ।
তিনি বা হক্কে মাকবূলান,
বেশক বেশক শাহ সুলতান।
আহলান আর সাহলান দিতে আয়োজন কায়িনাতে,
জিন ইনসান মালাইক সহ শরীকান আজমতে।
ছুবহি সাদিক্ব বারই শরীফ রবীউল আউওয়াল মাহে,
তিনি রৌনকে রশ্মি পুলকে বুররাক্বীতেই বহে।
তাশরীফ আনেন উজালা করেন,
ধরণীর বুক খুশিতে ভরেন।
ধ্বনি প্রতিধ্বনি কাছীদা শরীফ,
চৌদিক হতে হচ্ছে তা’রীফ।
ওই আরিফ শরীফি সম্ভাষণে পুষ্প বৃষ্টি ঝরে,
মৌ মৌ ঘ্রাণে মুখরিত যবানে শুকরিয়া উচ্চারে।
সিজদায়ে যেয়ে পঠেন তাসবীহ সুবহান সুবহান,
হলেন বিশ্বপতির তিনি মহামতি আলমেই খ্যাতিয়ান।
সেই সে তিনিই ইমামুল উমাম ইসলামী খলীফা,
তিনিই হলেন হাদীছি বয়ান নন্দিত সাফফা।
ওই খলীফায়ে আস সাফফাহী তরে সজ্জিত মহাশির,
তিনিই সাইয়্যিদীবাগের সূর্যমুখী রাহমানী শমসির।
মুজাদ্দিদে আ’যম রহমে করম,
ইছলাহ দানেন জনম জনম।
উত্তম তিনি উত্তমী দম,
আউলিয়া শান খোশ পরম।
শুকরান করি মুরীদান সবে পেয়ে সেই নূরীজিছ.
তিনি নায়িবে নবী মহা গৌরবী সাইয়্যিদী ইদরীছ।
ক্ষণজন্মা এক মহান ওলী খলীফায়ে আশরীন,
অধীনে রহিবো গোলামী করিবো হৃদয়ে কহি আমীন।
-বিশ্বকবি আল্লামা মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৬১
আল বাইয়্যিনাত উনার দলীলৈর বলে, মুনাফিকগংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৬২
হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মকবুলে মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ রহেন উজ্জ্বলে-১৮১
হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মকবুলে মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ রহেন উজ্জ্বলে-১৮০
হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মকবুলে মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ রহেন উজ্জ্বলে-১৭৮