আল বাইয়্যিনাত উনার দলীলের বলে ওই তাগুতীরা রহে পদতলে-১২২

সংখ্যা: ২৩৯তম সংখ্যা | বিভাগ:

আখিরী রসূল সৃষ্টির মূল শ্রদ্ধার মহা ধন,

তিনি সুস্থতা গ্রহণ করেন সুবাধে ছাহাবীগণ।

হাদিয়া দেয়ার প্রতিযোগিতায় মেতে উঠেন নন্দিতে,

উট দুম্বা ও কুরবানী করেন শত শত সেই প্রাতে।

শুনি খুশির পবন প্রবাহিত হয় মাহে ছফরের মাঝে,

ওই মাহে ছফরের শেষ বুধবার মদীনা যে নও সাজে।

আজ পাক মদীনার অলিতে গলিতে আনন্দ উছলায়,

ফের দান ছদকার হিড়িক পড়ছে শুকরিয়া মোহনায়।

হাক্বীক্বী আমল ছাহাবী সকল দেখান হুব্বি ক্ষণে,

কবুল করেন মহান আল্লাহ মালিক খুশির ইমতিহানে।

বড় বরকত বড় ফযীলত, নেয়ামতে ভরা রহে,

সচেতন লাগি ছফর মাহিনা ডাকিয়া সবারে কহে।

ফের, এ দিবস বাদ অসুস্থতারে গ্রহেন হাবীব হায়,

খালিক্ব মালিক রব্বি ইশকে রবেন না বসুধায়।

শাহান শাহ রবি দয়ালু নবী রফিক্বে ইলাহী ডাকে,

রবীউল আউওয়াল বারই শরীফ তাশরীফ তাহক্বীক্বে।

ওই মাহে ছফর বড়ই ক্বদর ঈমানের প্রতি পদে,

করলে ফিকির মিলবে আবির কামিয়াব আহলাদে।

ওই আল্লাহ উনার খলীফা যে এক মাহবূবে রহমানী,

তিনি মহামতি ইসলামী জ্যাতি নূরে ইমামুছ ছানী।

তিনি সাইয়্যিদী সূর্য মহান খলীফায়ে আল খামিস,

তিনি আহলে বাইতি মূলের মূল শাহান শাহ তাখলীছ।

তিনি জান্নাতী যুবকী প্রধান বেমিছাল শাহী দান,

তিনি যাহরায়ী লখতে জিগার ওয়াজহাহূ সদ্বাকান।

তিনি নকশায়ে হাবীবী ছুরত রসূলী নয়নমণি,

তিনি উম্মতি খাছ রহমতি নজরানা ইহসানী।

তিনি সত্যের মূর্ত প্রতীক আবাদুল আবাদান,

তিনি সুন্নাহী শামসি আমান যমিন ও আসমান।

আহা হায়, গোপনে উনায়, করলো বিষেই শহীদ,

ইনসান আলবত, হয়ে বদবখত পেয়ে সেই সাইয়্যিদ।

উনপঞ্চাশ হিজরী আটাশে ছফর শহীদ শত্রু বিষে,

সেই সে দিবসে কাঁদলো আলম রহিয়া মুমূর্ষে।

সেই মুবারক সুমহান দিন আজিও জানান দিতে,

ঘুরেই বছর আসলো ছফর ঘটা করে ধরণীতে।

তিনি আদর্শ মুক্তি দিশারী হাবীবী শাহী নেওয়াজ,

আবাদুল আবাদ মু’মিনী হৃদয়ে তিনি যে রন বিরাজ।

ফের আটাশে ছফর নূরানী প্রহর মাহবূবে সুবহানী,

বিছাল গ্রহেন দীদার লভেন মুজাদ্দিদে আলফে ছানী।

তিনি আল বালাগাল কামালে কামাল সুন্নতে সুমহান,

বাতিল বিদয়াত দফায়ে উঠান ইসলামী আমানান।

তিনি দ্বীনে ইলাহী মিটিয়ে দিয়েই জাগালেন ইসলাম,

দেন আকবরী ফিতনা নেঁশেই, মুক্তির পয়গাম।

কঠিন জাহিল কাহিল করেই হক্ব পথে থাকিবার,

মুসলিম তরে ইহসান তিনি, রহমানী উপহার।

ওই উলামায়ে ‘সূ’ মোল্লা ফযল ফৈজির ঘোর প্যাঁচে,

শত শত আলিম অলী দরবেশ রহেন শহীদী খাঁচে।

যবে পবিত্র দ্বীন ইসলাম, উলামায়ে ‘সূ’ এর হাতে,

আহা দুর্বল থেকে দুর্বল রহে, পৃথিবী আঙ্গিনাতে।

সেই দুর্দিনে, যাহিলি ভুবনে, তাশরীফ মহাবীর,

তিনি হক্কানী আল ফারূক্বী, মুজাদ্দিদ রাহগীর।

তিনি মুজাদ্দিদে আলফে ছানী লিখা রহে ইতিহাস,

ওই আফযালুল আউলিয়া তিনি, সুন্নতে বিন্যাস।

তিনি ইমামুত তরীক্বত হয়ে, পৃথিবীতে মশহূর,

রহে মুজাদ্দিদিয়া তরীক্বা উনার মকবূলে নূরে নূর।

আজিকার যুগে পৃথিবীতে ভোগে হিংসা ও যুলমাত,

ওই ইসলাম আহা রহে অবিরাম দুর্বলে যাতায়াত।

মুসলিম জাতি গ্রহে দূর্গতি কুরআন হাদীছ ছেড়ে,

দেখি অথর্ব আর অজ্ঞের ফেরে ঈমান রাখছে ধরে।

ওই ভীতু কাপুরুষ মুশরিক আহা মুসলিমী শিরে বসে,

খবরদারী করছে তাহারা সকল মু’মিনী দেশে।

হায় নামকা ওয়াস্তে মুসলিম হয়ে গুজরায় ধরণীতে,

ঈমান আমলের বারটা বাজায় বেঈমানী নিছবতে।

সেই এহেন নাজুক ভয়ঙ্কর মাঝে মু’মিনী কর্ণধার,

যমীনে প্রকাশ করিতে বিনাশ বাতিলের সমাচার।

কে সেই কর্ণধার শুনুন এবার ওরে ও মুসলমান,

তিনি গাউছুল আ’যম ইমামুল উমাম খলীফায়ে রহমান।

তিনি আখাচ্ছুল খাছ আওলাদে রসূল আহলে বাইতি নূর,

তিনি সাইয়্যিদ মুজাদ্দিদ আ’যম সাফফাহী মনছূর।

জাব্বারিউল আউওয়াল তিনি, ক্ববিউল আউওয়ালি শির,

তিনি রাজারবাগ শরীফ অবস্থানেন নববী নকশা নীড়।

বর্তমান উনিশ, বিশ, একুশ তারিখ মুহররম মাহিনায়,

ওই মহাসম্মেলন হলোই ভীষন সুন্নতী তরীক্বায়।

হাজার হাজার আশিক মুরীদ মহামিলনের পাড়,

জজবা গ্রহেন শপথ করেন তাগুতিরে নাঁশিবার।

ওই যমীনবাসী মু’মিনীন কই জলদি এস হে সবে,

তুমি কামিয়াবে রহিবে বেশক, বাইয়াত হইবে যবে।

-বিশ্বকবি আল্লামা মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান

আল বাইয়্যিনাত উনার দলীলের বলে, নাস্তিকদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-১১৫

আল বাইয়্যিনাত উনার দলীলের বলে, মুনাফিক রহে পদতলে-১১৬

আল বাইয়্যিনাত উনার দলীলের বলে, মুনাফিক রহে পদতলে-১১৭

আল বাইয়্যিনাত উনার দলীলের বলে, আউলিয়াগণ রহেন উজ্জ্বলে-১১৮

আল বাইয়্যিনাত উনার দলীলের বলে, তাগুতীরা রহে পদতলে-১১৯