সাইয়্যিদুল ঈদিল আকবর,
রবীউল আউয়াল মাসটি জুড়েই ঈদ যে যুগান্তর।
এই মাসে ওই রহমত আসে খোদায়ী খাঞ্চা ভরে,
এই ভাবে ওই বর্ষেই ভবে ইহসানী পরকারে।
মাহিনা রাজ রবীউল আউয়াল মালামাল নূরে নূর,
বড় শান্দার রহে বেশুমার ত্যাগিয়া তনফ্ফুর।
সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ রহিছে আবাদ আজমতি আসবাবে,
পুরো আলমেই আলোয়ান রহে সেরা ঈদী আফতাবে।
জিন ইনসান হুর গিলমান সবে হয়ে একাকার,
মীলাদুন নবী করছে পালন খুলিয়া হৃদয় দ্বার।
এই মাসে ওই ছাহাবাগণই মীলাদুন নবীর জোশে,
জান মাল সব উজাড় করেন ঈদের খুশিতে ভেসে।
সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শ্রেষ্ঠ যে হয় কুরআনী বরকতে,
সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ ঈদুল আ’যম হাদীছী বর্ণনাতে।
ইজমা ক্বিয়াস রহিছে বিরাজ আ’ইয়াদী জৌলুসে,
এই আ’ইয়াদে পায় ফিরে পায় অনন্ত প্রত্যাশে।
হানাফী, মালিকী শাফিয়ী হাম্বলী মাযহাবে বেশুমার,
সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ গ্রহে ছাদাক্বাত আখিরাতে উদ্ধার।
পীরানে তরীক্বত পায় আলবত মীলাদ ক্বিয়ামী বেশ,
আশিকে রসূল উনারাই মূল নেই এতে কোনো লেশ।
ঘটা করে সবে করে পালন করিয়া যে মাহফিল,
কোটি কোটি সব আশিকী রব দায়িমীতে অনাবিল।
হাল যুগে ওই কাট্টা কাফির উলামায়ে ‘ছূ’-এর জাত
হায়, মীলাদুন নবীরে কহিছে বিদ্য়াত হারাইয়া জান্নাত।
লাহাবী রেওয়াজ কহিছে তাহারা ছাপাইয়া পোস্টার,
মিডিয়ায় ফের ঢাকঢোল পিটে করিছে অপপ্রচার।
ওই উলামায়ে ‘ছূ’ ওহাবী-খারিজী, ক্বওমী ও মজুসী,
লা-মাযহাব আর তাবলীগী তারা সেই মতে রয় বাঁধি।
ইহুদী-নাছারা-মুশরিক সবে তাদেরে দেয় মদদ,
ওই মদদ পাইয়া উলামায়ে ‘ছূ’ হচ্ছে চরম বদ।
হায়! মুসলমানেরে বদ্ধ রাখিছে মীলাদুন নবী হতে,
হাবীবী আশিক হারায় অধিক জিন্দেগী নিছবতে।
এমনি করে পন্থা ধরে, কুটকৌশলে তারা,
আহা, ঈমানদারের ঈমান খোয়ায়ে বানায় অন্ধস্বরা।
বিশ্ব হতে চায় উঠাতেই মীলাদুন নবীর শান,
রসূলের প্রেম লয় করে দিতে তাগুতেরা পেরেশান।
রসূলের প্রেম মিটাইতে করে নানা রকমের চাল্,
ওই রসূলহীন মুসলিম রবে পুরোপুরি নাজেহাল।
খামোশ!
কিছুতেই পারবি না তোরা মুসলমানের মিটাতে রসূলী জোশ।
শুন্, ওই মুসলমানের জান ও জীবন কেবল রসূলে পাক,
রসূলবিহীন মুহূর্তকাল বাঁচে না মু’মিনী বাঁক।
উত্তাল ওই বর্তায় দেখ্ ঈমানের চৌদিক,
দস্তুরে রয় বিস্তর সবে জীবনেই নন্দিক।
মহান খোদার আজমতি দান সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদে
মুসলিম সবে সেই দানে রয় কল্যাণী আফরিদে।
হুঁশিয়ার ওই বেকুবের দল, যমীনের বুকে থেকে,
দেখ মীলাদুন নবীর ঝাণ্ডা উড়িছে পৃথিবীর সব দিকে।
ওই বিজয়ী ঝাণ্ডা দস্তে কার? দেখরে চক্ষু খুলে,
উনি মুজাদ্দিদ আ’যম আস সাফফা দুর্দমী উজ্জ্বলে।
তিনি মাহফিল করেন তিপ্পান্ন দিন ব্যপিয়াই লাগাতার,
ঈদে মীলাদুন নবীই সবচেয়ে প্রিয় দরবারে গুলজার।
করেন বিশ্ব জুড়েই ইন্টারনেটে আলিশান মাহফিল,
তামাম পৃথিবী রহে সৌরভী সাজিয়াছে তারতিল।
ওই পাক মুজাদ্দিদ আস সাফফা ইমামে মুসলিমীন,
দাপটের সাথে করেন পালন নির্ভিক ছদিক্বীন।
রসূলে পাকের ছানা ছিফতেই পৃথিবীতে গমগম,
ইবলিস তার খেই হারাইয়া বনে রয় নরাধম।
আরে ওই বেঈমান দেখ চেয়ে ভালো করে,
খলীফাতুল উমাম আল মানসুর রহেন ঝাণ্ডা ধরে।
কহি উনার রোব নহে নিষ্প্রভ অনন্ত উত্থিত,
তাজদীদে উনার রহে বেকারার তাগুতেরা নিন্দিত।
উনার জালালী হুঙ্কারে ওই ইহুদীরা ছারখার,
খ্রিস্ট বৌদ্ধ হিন্দু কাফির পায় নারে নিস্তার।
তিনি একাদ্বশতম বীর খলীফা শাহানশাহ মহাবীর,
উনার ওসীলায় ছিঁড়ে খান খান তাগুতের জিঞ্জির।
গোটা বিশ্বে তিনিই প্রথম সৌর তারিখ সন,
করেন শামসী সনের ক্যালেন্ডার তিনিই প্রবর্তন।
বিশ্বকে আজ সমঝায় দেন সঠিক তারিখ গুনে,
গ্রেগরি সন রইলো পতন শিক্ষিত অঙ্গনে।
ওই গ্রেগরি সন ভুলেই ভরন অজ্ঞের আস্তরে,
ইমামুল হুমাম শামসিতে দেন নির্ভুলি অভিসারে।
তাজদীদ উনার সেরা যামানার ইতিহাস হয়ে রয়,
দেখ যুগান্তরের যোগ্য চূড়ায় উজ্জ্বলে চমকায়।
ওই বিশ্ব মানবদের দেই বলে দেই সত্যের মাপকাঠি,
রহেন আস্সাফফা, আল-মানসুর, সাইয়্যিদীতেই ফুটি।
শব্দার্থ: পরকার: দিক দর্শন যন্ত্র, তনফ্ফুর: বিতৃষ্ণা, বিরাগ, পরান্মুখতা, শামসি: সূর্য, সৌর।
-বিশ্বকবি আল্লামা মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২৬
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২৭
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীকৃত গেল খুলে -২৮
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২৯
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৩০