কুবরাহী যাহরা,
খোদ মহীয়সী দাদী নারী জগতেই মহর্ষী উয়ারা।
তিনি তেরশ তেত্রিশ হিজরী রজবের মাহিনায়,
মাহবুবা দাদী তাশরীফ আনেন পৃথিবীর আঙ্গিনায়।
বিখ্যাত সেই সাইয়্যিদী ঘরে মহা নূরে ইযহার,
ওই সোনার গায়ের বাড়ী মজলিসে নামকরা পরিবার।
সুমহান স্বামী কুতুবে বাংলা মুসতাজাবুদ দাওয়াত,
তিনি বিখ্যাত আল্লাহর ওলী দিন্দারী সওগাত।
তিনি যে খাঁটি মু’মিনা রহেন নিসবতে রসূলীন,
তিনি তো মহান আল্লাহর হন বেমিছাল আশিকীন।
শিশু হতে তিনি বৃদ্ধা জীবনে পুরোপুরি সুন্নতী,
আমল আখলাক্বে লাগালেন তাক মুয়াল্লিমা আওরতী।
হরদম তিনি জিহাদ করেন, হক্ব রাহে থাকিবার,
পর্দা ও পাক পাকিজায় তিনি মকবুলী আনোয়ার।
তিনি যে হলেন সাইয়্যিদী কাননে মহামতি সামসুন,
তিনি যে পিতার লখতে জিগার মাতাজীর আমানুন।
আহাদী ¯িœগ্ধ চন্দ্র যে তিনি রসূলের আওলাদ,
দুনিয়া যুদায় রহেন আবিদা নূরীয়ানে আমজাদ।
তিনি যে হলেন রসূলে পাকের আখাচ্ছুল খান্দান,
তিনিই হলেন সুন্নী আমলে বিশিষ্ট আরকান।
উম্মু মুজাদ্দিদ রহেন তামজীদ দুনিয়া ও আখিরাতে,
দীপ্ত দানিসে রহেন রঈসা শানদার দ্বীনিয়াতে।
তিনি গর্বিতা শরাফতা মাঝে জিন্দেগী বছরেন,
তিনি সাঞ্জিদা ত্যাগে তাঞ্জিদা হাক্বীক্বতে গুজারেন।
তিনি অধুনার জাহিলী জগতে আলিমায়ে আলীশান,
তিনি আওরাতী মহাযশা হয়ে লভিছেন সম্মান।
তিনি উম্মাহাতুল মু’মিনীনগণের হাক্বীক্বী ক্বায়িম-মাক্বাম,
তিনি যে ত্বাহিরা ত্বইয়্যিবা হন তাবারুকে আরহাম।
তিনি ইতিহাস নারী উচ্ছ্বাস স্বকীয়তা সম্ভ্রমে,
ইনসাফি ধনে তিনি ধনবতী তিনি নূরী উত্তমে।
যাহির বাতিনী দুই ইলমেই তিনি যে মুকাম্মিল,
তিনি ইছলাহী যোশে পূর্ণ রাখেন আপনার মঞ্জিল।
গড়েন নকশায়ে ওই নববী শরীফ মারকাজে ইসলাম,
রাজারবাগের রাজকীয় পুরে শৌর্যে রহিছে নাম।
উনার মুবারক রেহেম শরীফে তাশরীফ মহাবীর,
দ্বীন ইসলামের দীপ্তি দিশারী মহামতি মহামীর।
তামাম পৃথিবী রো¯œাই আজ সেই যে বীরের তরে,
পুরো তাগুতের কাঁপন ধরিছে ইনসানী বন্দরে।
সেই আওলাদ করেন আবাদ পৃথিবীতে সুন্নত,
দূর করে দেন বাতিলের সব চতুরতা হুজ্জত।
কোটি কোটি সব আশিকান আজ ইসলামী সৈনিক,
করে হালাক তাগুতী চালাক একে একে চৌদিক।
রাজকীয় সেই মহীয়সী দাদী সবদিকে বেহতর,
তিনি নেককারি হায়াত পেলেন একশত বৎসর।
শত বছরের বিশাল জীবন স্মরণীয় ইতিহাসে,
আবাদুল আবাদ জিন্দা আবিদা লিল্লাহী মজলিসে।
রে দুনিয়ার মুসলমানেরা শোন পাক ইতিহাস,
উনাদের তরে রহমত ঝরে নেই এতে অবকাশ।
হন, উনারাই হক্ব মাইলফলক, মানবীয় মহা শানে,
কহি উনাদের ইত্তিবায় ফায়দা পায় মুসলিম প্রতিজনে।
মহীয়সী ওই ফেরদৌসী নূর আমাদের দাদীজান,
করেন জগৎ কাঁদায়ে বিরহ বহায়ে দীদারেই প্রস্থান।
চৌদ্দশত বত্রিশ পঁচিশে শাওওয়াল বাদ জুমুয়া রাত্রিতে,
দশটা পঞ্চান্ন মিনিটেই উঠেন রফরফি সোয়ারিতে।
কাঁদে আওলাদ কাঁদে ফরজন্দ কাঁদে যাকিরান ভক্তকুল,
কাঁদিছে পশু বোবা জাতসহ মাখলুক্বি আহলুল।
পুরো দরবার রহে বেকারার শোকের ব্যথায় কাবু,
উনার আওলাদ পাক মুজাদ্দিদ মুরীদান নিয়ে তবু।
করেন সুন্নাহ নিয়মে দাফন কাফন জানাযা ও সমাপন,
নেই এর কোন ঘাটতি কোথাও কোন খাতে অযতন।
লাখো আশিকের ক্রন্দনে হায় আকাশ হচ্ছে ভারি,
তিনবার জানাযা হওয়ার পরেও দিচ্ছেনা হায় ছাড়ি।
সহ¯্রবার কুরআন খতম কালিমার পাঠ কোটি কোটি,
বেমিছাল পাঠ মীলাদ ক্বিয়াম তাছবীহ ও পরিপাটি।
লক্ষ লক্ষ নাতি মুরীদান কেঁদে কেঁদে কাছীদায়,
ছলাত সালাম পাঠ যে করেন দাদীজীর মোহনায়।
ওই তব আওলাদ মুজাদ্দিদ আ’যম আমাদের মুর্শিদ,
আদবে রাখুন উনার ক্বদমে কহি হৃদি উম্মীদ।
আনজুমানে আল বাইয়্যিনাতের উদ্যোগে সব নাতি,
ইছালে ছাওয়াবের মাহফিল করি ছড়ায় দাদীর দ্যূতি।
সুলতানা দাদী হয়ে ফাহমিদী আমাদের অন্তরে,
রহেন অনন্তকাল রোস্নাই হয়ে দবদবা দস্তুরে।
গোটা জগতের প্রতি ফোঁটা বারি স্মৃতির শীর্ষে থেকে,
নিদান কালেও ত্বরাবেন দাদী আমাদেরে ডেকে ডেকে।
চাহি চাহি দাদী দায়িমী দীদার দ্যুলোক ভূলোকি গায়,
চাহি থাকবার মোরা আপনার গুণে আজিকার বসুধায়।
-বিশ্বকবি আল্লামা মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২২
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২৩
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২৪
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২৫
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২৬