গাদ্দার,
ওই ঘাপটি মারিয়া লুকাইয়া রহে একাত্তরী রাজাকার।
বাংলাদেশের বাহু যে ভাঙ্গিতে ফিকিরে মত্ত তারা,
লয় সার্বভৌম গুঁড়াইয়া দিতে হরদম মাশোয়ারা।
হায় সাজিয়া সাধু মানব,
একাত্তরের হায়েনা দানব।
তারা বহুরূপী পারঙ্গম,
ইবলিসী বেলা তারতম্য।
গোটা দেশ জুড়ে, প্রতিপরতেই জামাতী অবস্থান,
অফিস-আদালত প্রশাসনসহ প্রহসনে খ্যাতিয়ান।
তারা সরকারি আর বেসরকারি সকল প্রতিষ্ঠানে,
সূক্ষ্ম সকল প্রক্রিয়ায়, বিষ ঢালে প্রতিক্ষণে।
আহা, ষড়যন্ত্রের শাবল মারিছে সহসা নির্দ্বিধায়,
বাংলাদেশীরে বোকার খোয়ারে রাখিয়া যে আটকায়।
বড় নির্মম, করুণ যে ওই রাজাকারী খতিয়ান,
তাদের নির্দয়ীতার নির্ণয় করা হতে হয় হয়রান।
চিরসবুজের বাংলার বুক করে রাখে লালে লাল,
ত্রিশ লক্ষ বাংলাবাসীরে মেরে করে পয়মাল।
সেই সে ক্ষুণের নেশার মলয়ে,
জামাতীরা আজও রহে নির্ভয়ে।
বাঙালি খুণ বড় মজাদার,
চিৎকার করে কহে রাজাকার।
কত বীভৎস রুচিতে তাহারা, মহড়া করিয়া চলে,
ঝোপ বুঝে কোপ মেরে মেরে, রহিছে নন্দে ঝুলে।
চল্লিশ বছর পার হলেও জামাইত্যা ইবলিস,
রেহাই পাবে না হায়েনা গোষ্ঠী করুক না উছপিছ।
দু হাজার দশে ধরা পড়ে যায় শীর্ষ জামাইত্যারা,
মইত্যা, মইজ্যা, দেইল্লাসহই কামারু কাদিররা।
দেখছি তাদের গ্রেফতার করে রাখিয়া রিমান্ডে,
সব তথ্যই বাহির হইলো, কুখ্যাত ভা-ে।
একে একে তারা করলো স্বীকার সকল কুকীর্তির,
খুণ, ধর্ষণ, লুটপাটসহ নির্মম কাহিনীর।
বাঙালি শির নিধন করিতে তারা বনে জল্লাদ,
তবুও আহারে দেয় টিটকারী জামাইত্যা বজ্জাদ।
আজ ইতিহাস বুকে অঙ্কিত রবে দু হাজার দশ সাল,
যুদ্ধাপরাধীর সুষ্ঠু বিচারে, জিইয়ে রবে চিরকাল।
ছত্রিশ জঙ্গি!
পালিয়া পুষিয়া বানায় তাগড়া জামাইত্যা চাঙ্গি।
রিমান্ডে তারা করলো স্বীকার কারণও জাহির করে
ইসলামী সরকার গড়িবে তাহারা আধুনিক চত্বরে।
হাক্বীক্বতে ওই জামাইত্যা হয় ইহুদী পোষ্য ভেড়া,
ওই ইহুদী পথে ও মতেই কেবল জীবন রাখিছে জোড়া।
ওই জামাইত্যারাই দুশমনে দ্বীন, শুনহে মুসলমান,
ধোঁকা দেয় তারা অপব্যাখ্যায়, ইসলামী কাহিনান।
ওই জামাইত্যাদের চিনিয়া রাখাই ফরয মুসলমানের,
যদিও ইসলাম নামে গরম রাখিছে রাজনীতি মঞ্চের।
ওই মাওলা খোদার মর্জি মাফিক, মহান মুজাদ্দিদ
কুকীর্তি সব জামাইত্যাদের বলে দেন অনাবিদ।
তিনি ইহুদী নাছারা কাদিয়ানীসহ মুশরিকী ইতিহাস,
জন সমাজেই ফাঁস করে দেন একে একে অভিলাষ।
ওহাবী, খারিজী, মওদুদীসহ সকল বিদয়াতী দল,
উনার রোবেই রুখিয়া নিভিলো নরকের আস্তল।
চেয়ে দেখ সব কাফিরবাসীরে, গযবের গ্রাসখানি,
তাগুত পূজারীর অহঙ্কার, তাবা করে বেঈমানী।
মুলকে কাফির তছনছ হলো, মহামারি লয় ঘিরে,
অভাব ও অসুখে কাতর কাফির ঠাঁই নেই বাঁচিবারে।
হায়! অনর্থক সব মুসলিমদের হত্যা করার ফল,
দেখ নির্মমতার বদলা নিতেই গ্রাসিল তপ্তানল।
ওই সুমহান বীর মুজাদ্দিদ, আল্লাহর প্রিয় তিনি,
উনার মুনাযাত মকবুলাত, কাফির রহিল ধুনি।
তোমার আমার ইমাম পেয়েছি নেই নেই ভয় ডর,
তামাম কুফরী তাবা করে দিতে রহিবোনা অন্দর।
আমরা মু’মিন আমরা আমীন আমরা ক্ষমতাধর,
হীনমন্যতা দাও ছেড়ে দাও নেই এতে অবসর।
ও মুসলমান করি আহ্বান আমি মুসলিম কবি,
লও ছোহবত মুজাদ্দিদের ইহাই আমার দাবি।
শবে বরাত,
আল্লাহ মোদের সুযোগ দিলেন খাইরীতে হাসানাত।
হাত তুলে সবে কর মুনাযাত দরবারে আল্লাহর,
শবে বরাতের বারাকাত নিয়ে সবে রহ আহকার।
ইমামে আ’যম গাউছে পাক মুজাদ্দিদ মহাশান,
পনের শতক হিজরীতে পাই আমরা মুসলমান।
বিশ্ব মু’মিন করবো আমীন দোয়ায়ে মুজাদ্দিদ,
তিনি রাজারবাগেই অবস্থানেন গ্রহি উনার তাকলীদ।
ইনশাআল্লাহ পারবে না আর মুসলিম রুখিবার,
মুজাদ্দিদ আ’যম মোদের সহায় লড়িবোই দুর্বার।
-বিশ্বকবি শায়খ মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান।
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৪২
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৪২
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীকৃত গেল খুলে-৪৯
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৫০
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৫১