দুর্ভোগ
আজ পৃথিবীর বক্ষ জুড়েই মহাধুমে দেয় যোগ।
দুর্ভেদ হয়ে ধেয়ে এল হায়, ধকলের দুর্ভর,
পৃথিবীবাসীরে নিঃশেষ তরে দুর্মদে করে ভর।
কোথায় মানব কোথায় দানব কোথায় দম্ভগিরি,
দুর্ভোগ কেন বিয়োগে বাগাতে বেমালুম রহে ফিরি।
ওই অগ্নিগিরির গহবর আর রহেনা ঘুমন্ত,
আদি হতে তারা প্রকাশের লাগি কোশেশে জীবন্ত।
হুকুম খোদার পেলেই কেবল লাভারাই উদ্যমে,
করবে গ্রাস জুড়েই ত্রাস, রবে নাকো মাধ্যমে।
রহে, রকমারি ওই গযবগুলি অধির অপেক্ষায়,
হুকুমের তরে প্রস্তুত আজি পৃথিবীর প্রতি গায়।
গযব আসার শর্ত রয়েছে শোন হে বিশ্ববাসী,
পাপাচার যবে রয় খ্যাতিয়ার জগৎ জুড়েই ঠাসি।
তখনই খোদার ফরমান জারি,
গযব রহিল সুদূর প্রসারি।
ওই শর্ত হুকুম যবে বরাবর,
ঘটে তাণ্ড ওই চরাচর।
পণ্ড ভণ্ড তাগুতি জেওর জাহানে যত না আছে,
হচ্ছে শিকার কুফরী ক্বওম দেয় তাল খন্নাছে।
পালায় পালায় ইবলিস হায় বহুধা তেপান্তর,
কাফির গোষ্ঠী ফাঁপরে গড়ায়, রহে নাকো মন্থর।
হুকমে ইলাহী হ্রাস নাহি আর,
বুত পরস্তি করে ছারখার।
প্লাবন ঝরের ঘূর্ণি প্যাঁচে
কুফরী বেসাত কেঁচে কেঁচে।
আযাব গযব উদ্ভব আজি করে দিতে পয়মাল
ছনছার করে দাবদাহ দিয়ে কাফিরেরা বেসামাল।
ওই তাগুতি শক্তি রত্তি রহেনা পৃথিবীর কোন কাখে,
কাতারে কাতারে মরিয়া পচিছে কাফিরেরা লাখে লাখে।
গোটা পৃথিবী উত্তাল আজি খোদাদ্রোহীর তরে,
ওই কাফির মারিতে উদরী অগ্নি তপ্ত করিয়া ধরে।
ওই ইহুদী নাছারা ও নম নাস্তিক তোরা কই?
তোদের বাঁচাতে তাগুত কেন রাখিছেনা কোন মই?
তোরা মুসলমানেরে মারিবার তরে কতনা প্রক্রিয়ায়,
দম্ভ করিস লম্ফ মারিয়া ধরণীর প্রতি গায়।
হঠকারিতার চরম শিখরে দেখাস বাহাদুরি,
মুসলমানের ইজ্জত নিয়ে করেছিস কাড়াকাড়ি।
হায় আখিরী নবীর ব্যঙ্গ কার্টুন আঁকিয়াই বুজদিল,
ঘটা করে তোরা তামাশা করিয়া হাসিতেছ খিল খিল।
বিকৃত রুচির মহড়া করিস বেহায়াপনার বেলা,
নর নারী মিলে নেংটা পোজেই উল্লাসে ঘৃণ চেলা।
শুনরে কাফির ইহার তাবির ধ্বংস তরিৎ এসে,
তোদের দম্ভ খর্ব করিতে আসলোরে অবশেষে।
নেইকো রেহাই ঠাঁই নাই আর,
গযবে খোদার করে বেকার।
ওই বোকা বধিরের বাষ্প ঘাতে,
কাফির গোষ্ঠী জ্বলে তাতে।
ওরে ও কাফির ইহুদী নাছারা চেয়ে দেখ, পৃথিবী,
কাহার হুকুমে রকমে রকমে রংরসে ছয়লাবী।
কাহার হুকুমে আপন বক্ষ রক্ষা করার তরে,
খোদাদ্রোহীরে জ্যান্ত পুড়িয়া বদন রাখিছে ঝেরে।
কে সেই তিনি? কার তাশরীফে কেঁপে উঠে ধরণী,
কার ইশারায় পরম দোলায় উদরে ভূতল ক্ষণি।
কার প্রভাবেই চন্দ্র সূর্য তুর্য সানাই ফোঁকে,
কার তাবেদার রহে জোরদার ধরণীর প্রতি বাঁকে।
তিনিই খোদার খাছ খলীফা রসূলের রওশন,
তিনিই কাসিম মালিকী রিযিক বর্ষে অনুক্ষণ।
তিনিই ইমাম, ইমামে মু’মিনীন মাখলুক্বি মনওয়ার,
তিনিই সাকিব সাবাবে আমীন তাঁর তিনি আযহার।
আজ প্রগতির প্রয়াত ঘটান সেই ইমামী রোবে,
আজ তাগুতির দাফন দানিতে তিনি রণ গৌরবে।
তিনিই হলেন মুজাদ্দিদ আ’যম ঐশী শক্তিধর,
তিনিই হলেন আলমী করম মক্ববুলি অন্তর।
এখনও কহিছি বিশ্ববাসীরে শুনো শুনো আহ্বান,
দিশারী সূর্য মুজাদ্দিদ পানে সবে রহ আগুয়ান।
মুক্তি তোমায় তিনিই দানেন খোদার পক্ষ হতে,
শান্তি সঁপেন তিনিই কেবল রসূলের রিক্বাবিতে।
খবরদার!
উনার দৃষ্টি কাফিরের তরে টর্নেডো উল্কার।
ওই খালিক্ব মালিক তাঁহার হস্তে দানেন রুবুবিয়াত,
ওই আখিরী রসূল তাহার শিরেই রাখেন ইমামিয়াত।
থাকতে সময় আয়রে সবায় পথ ভোলা ইনসান,
পাক মুজাদ্দিদ ডাক দেন তোরে দাও ছেড়ে অভিমান।
আজ মুসলিম তাহার তাবেই রহে যে ঐকতান,
তিনশত কোটি সংখ্যায় জড়ো দেখ চেয়ে কাফিরান।
-বিশ্বকবি শায়খ মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান।
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিকগংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৬৩
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিকগংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৬৪
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিকগংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৬৫
হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মকবুলে মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ রহেন উজ্জ্বলে-১৭৮
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিকগংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৬৬