আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে- ৮০

সংখ্যা: ১৯৬তম সংখ্যা | বিভাগ:

আওলাদে রসূল,

মুজাদ্দিদ আ’যম আলমী রহম সাইয়্যিদী আহলুল।

গোটা কায়িনাত দারাজাত তরে তিনি হন মিনহাজ,

সালামতি নীতি সুন্নতি রীতি কায়িমীতে মুহিরাজ।

তিনি বাহরুল বাররুলী নূর ইকরামে ছদাক্বাত,

উনার আক্বলেই আকদাছী নূর ইলহামে ইনায়াত।

আজ ইনছান বিরান করিছে নিজেদের শরাফত,

হায় ইনছান খাইরান জাতি কোথা তার উলফত।

কেন পশুত্বে অবশ রহিছে কেন কেন বেসামাল?

কেন বিবেকের বেহাল ঘটায়ে ভুগিতেছে জঞ্জাল?

কেবল স্রষ্টা খোদার হুকুম হারায়ে তাগুতের ইতায়াতে,

ডুবায় মারিছে মানবী বিকাশ দানবীয় খাছিয়তে।

ওই আখিরী রসূল হাবীবে খোদার শান্তির সওগাত,

পূর্ণ করিছে মানবীয় গুণ ওহী দিয়ে হাছানাত।

হায় হায় সেই হাবীবী সাবাব ছেড়ে দিয়ে ইনছান,

মানবী শত্রু শয়তানী পথ ধরে রহে হয়রান।

আজ জাহিলীর যন্ত্র দানব পৃথিবী বক্ষ চিড়ে,

ঝাঁঝড়া করিছে আণবিক দিয়ে তাগুতি তাকাব্বুরে।

আজ পৃথিবীর পুরো মুল্লুকে জাহিলি খবরদারী,

বিষিয়ে তুলছে পরিবেশ খানি ধরণী গাত্র জুড়ি।

ওরে মুসলিম অহম ত্যাগিয়া রহম পাবার তরে,

দারস্থ হও মুজাদ্দিদের শাফায়াতি দরবারে।

তিনি যে তোমায় কহেন দেখায়ে জান্নাতী পথখানা,

সুন্নতী নীতি প্রতি পদে পদে রাখিছেন ইরফানা।

তিনি কত না যুক্তি উক্তি দানিয়া মু’মিনীন তরাবার,

প্রচার-প্রসারে গরক রহেন গণগায়ে দূর্বার।

ওই দৈনিক মাসিক পাক্ষিকসহ পত্রিকা পৃষ্ঠায়,

সহজ উপায়ে সত্য জানান বিশ্বের সব গাঁয়।

ফের ইন্টারনেটে নূরুন আলা নূর প্যাল্টকী মিডিয়ায়,

করেন গোটা বিশ্বের মুসলমানেরে নছিহত পুরোধায়।

ওই ইলাহী মদদ হাবীবী আদত হামেশা পেয়েই তিনি,

অকপটে কন ভয় বিহনেই তাগুতবাদীরে ধুনি।

উনার বলিষ্ঠ তাজদীদী ঘাতে কাফিরের কুৎলামী,

হচ্ছে প্রকাশ জনতার মাঝে প্রগতির ভ-ামী।

সুশীল নামের ডামাডোল আজ থমকে রহিছে হায়,

মুনাফিক ওই উলামায়ে ছূ’ পুড়িতেছে মরুগায়।

ফের খারিজী ওহাবী জামাইত্যারা জনতার ধাওয়া খেয়ে,

পালিয়ে জ্বলছে অগ্নি লাভায় কাফিরের লেজ ছুঁয়ে।

ওই মুজাদ্দিদ আ’যম গাউছে পাক-এর কঠিন রোবের গ্রাসে,

মুশরিক-কাফির-নাস্তিকসহ মুনাফিক রহে ধসে।

ওই মুজতাজাবুদ দাওয়াত মামদূহ ক্বিবলা কা’বার দোয়ায়,

মুলকে কাফির মিছমার হয়, চেয়ে দেখ দুনিয়ায়।

উনার অলঙ্ঘিত তাজদীদী দোয়া কবুল তৎক্ষণাত,

খোদার হুকুমে গযব আসিয়া করিতেছে উৎখাত।

দেখ, হাজারো ভয়াল রকমারিরূপে গযবের তা-ব,

মুলকে কাফির ধ্বংস করিছে, ইহা বড় বাস্তব।

এখনো ইয়াকিন হয়নি মু’মিন, আরো কী দেখবে হায়?

মুখ কী ফিরায়ে এখনো লইবে? পড়িয়া তাগুতী পায়?

ঝিমিয়ে থেকো না ভয়ের গুহায় সন্দেহ দাও ছেড়ে,

ওয়াসওয়াসা তব দেহমন হতে একেবারে দাও তেড়ে।

মুসলিম তুমি যেখানেই থাক, পাবে তাঁর ছোহবত,

পাক্কা নিয়তে দর্শন পাবে, রহ তাবে আলবত।

ওই তাঁর তরীক্বাই সুন্নী তরীক্বা নববী আদলে গড়া,

উনার তাওয়াজ্জুহ মওজু ঘুচায়ে মারফুতে রহে খাড়া।

আজ দুনিয়ার তামাম কাফির অস্থিরে কাতরায়,

নিস্তানাবুদ গযবে তাহারা জানে মালে খাতরায়।

হায়, ঐশী গযব ঠেকাবার বেলা কই রে বৈজ্ঞানিক?

কই নাস্তিক মুশরিক আজ ঠেকা দিয়ে আণবিক?

সবচেয়ে বড় খোদার শক্তি, কে পারে তাঁহার সাথে?

পারবে না তাঁর গযব ঠেকাতে কোনভাবে ওই তথে।

কাট্টা কাফির আমেরিকাসহ ইউরোপ রাশিয়ায়,

ওই উপর্যুপরি বর্ষে গজব, প্লাবন দাহনী ঘায়।

ফের ভূমিকম্পের মাত্রাও বাড়ে অগ্নিলাভার গ্রাসে,

গযবী ছোবলে অচলে রইছে কাফিরেরা নিজ দেশে।

ওই হিংসুক চীন ফিলিপাইন গা’রদ গযবে পড়ে,

মুসলমানেরে ঠকাতে যেয়েই নিজেরা ঠকিলো মরে।

শুন! পৃথিবীর তাবৎ মানুষ, হুষী বাতায়ন খুলে,

ওই খোদায় খলীফা মুজাদ্দিদের পাক রূহানীর বলে।

 

নিস্তেনাবুদ  হয়েই কাহিল রেহাই পাবে না রে,

ওই পায় না রেহাই দেখছি সবাই বাস্তব ঘটেরে।

 

ওরে ও মানব গযব এড়াতে উপায় তোদেরে বলি,

ওই মুজাদ্দিদের মর্জি গ্রহিতে তওবাতে রও ঢলি।

 

তবেই মানব পাবেরে মুক্তি খোদার খলক্বীবাগ,

মানব সহই বিশ্বে রবে না হিংস্র তাগুতী দাগ।

-বিশ্বকবি শায়খ মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান

 আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে- ৪৫

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৪২

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৪২

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীকৃত গেল খুলে-৪৯ 

আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৫০