কুখ্যাত রাজাকার,
বাংলা ভূমিতেই বাঙালি মারিছে তাহারা নির্বিচার।
বাঙালি মায়ের কান্না হেরিয়া অট্ট হাসিতে ফাটে,
বাঙালি নারীর আব্রু খুলিয়া মারিছে বধ্য ঘাটে।
বাঙালি যুবক তরুণ ধরিয়া হায়েনার মুখে দিয়ে,
পাষ-তার মহড়ায় ডুবে রহিয়াছে বুধ হায়ে।
তরুণী যুবারে হানাদারীদের নির্মমতায় ঘিরে,
ঘরবাড়ী হায় জ্বালাইয়া দেয় ফকীর বানায়ে ছাড়ে।
বাঙালি ধন লুটপাট করে বনিয়াছে ধনপতি,
প্রশাসন মোহে বাকচাতুরীর দেখায় ঊর্ধ্বগতি।
দেশ স্বাধীনের আওয়াজ তাহারা রুখিয়া দিবার তরে,
আহা পাক হানাদের দফাদারীতেই রহিয়াছে চাটুকারে।
ত্রিশ লক্ষ শহীদী রক্তে গোসল করিয়া তারা,
খায়েশ মিটায় ঘটা করে হায় দানবীয় হিংস্ররা।
ফের ধর্ম দোহাইয়ে সরল মতিরে ফতওয়া দিচ্ছে চুমি,
বাঙালিরা সব কাফিরের দল তাহারা জাহান্নামী। নাউযুবিল্লাহ!
আহা! হামেলা মায়ের পেট চিরে চিরে করিয়াছে তারা খেলা,
কচি শিশুদের বলের মতন লাথি মেরে করে হেলা।
তরুণী যুবতী মাতা ভগ্নিরে বানালো নির্যাতিতা,
হায়! পাইকারী হারে হত্যা করিয়া দেখায় সাহসিকতা।
ঐ একাত্তরের নয় মাস ধরে কুখ্যাত রাজাকার,
বাংলা বুকেই তা-বলীলা চালায় নির্বিকার।
লক্ষ মা বোন শিশুদের ঐ বুকফাটা চিৎকারে,
খোদার আরশ কাঁপিয়া উঠিল পাষাণী অত্যাচারে।
ফের, দেশ স্বাধীনের পর পর ঐ রাজাকার কীটগুলি,
ভোল পাল্টিয়ে বাঙালির সাথে সহজেই গেল মিলি।
সহজেই ঐ লুটেরার দল বাঙালিগণ মাঝে,
ধর্ম চাদরে মুড়ি দিয়ে তারা দরদী মুনিব সাজে।
কোটি কোটি ঐ বাঙালি ধন লুট করে হয় ধনী,
আঙ্গুল ফুলে হল কলাগাছ কেমনে তাদের চিনি?
কত অভিনয় করিয়া তাহারা বাঙালি বাগে এনে,
অনায়াসে তারা করছে ঘায়েল এখনো যে গুণে গুণে।
অফিস-আদালত পাঠশালাসহ প্রশাসন প্রতি খাতে,
নিজেদের ভিত মজবুত করে প্রহসনি পর্বতে।
আজ বাঙালি প্রহর গুণিছে ন্যায্য বিচার তরে,
কুখ্যাত সব রাজাকারদের ধ্বংস যে করিবারে।
ত্রিশ লক্ষ বাঙালি খুনের বদলা নিতেই হবে,
ঐ পাষ-দের কঠিন বিচার বিশ্ব দেখিয়া নিবে।
ঊনচল্লিশ বছর পার হয়ে যায় বিচার হয় না হায়,
কেন রাজাকার পার পেয়ে যায় বাংলার গণগায়।
তাহলে কী তারা গর্ব ভরেই করিবে কী গুজরান?
বিচার কী তাদের হবেনা কভু বাংলার ময়দান?
সব বিচারের ঊর্ধ্বে কী তারা দাও কহে সরকার?
ন্যায্য বিচার চাই চাই মোরা কখনো দিবনা ছাড়।
ঐ একাত্তরের আর্তনাদ এখনো বাতাসে দোলে,
এখনো অবলা বিধবার শোক উল্কার ন্যায় জ্বলে।
শহীদী চিহ্ন হয়নিরে হীন অমরি স্বচ্ছ ভোর,
এখনো যমীন খুঁড়িলেই পাই মুক্তির হাড়গোড়।
ভুলি নাই মোরা ভুলিবো নারে, বর্বর ইতিহাস,
ঐ দেশ দুশমন রাজাকারদের ভয়ঙ্কর উপহাস।
ঐ মুজাদ্দিদ আ’যম মামদূহ মোদের মুক্তির মঞ্জিল,
তাঁর তাজদীদে বিদেশীরা পায় দিশারীর তারতীল।
তিনি আল্লাহর আকরামী দান ইসলামী রাহগীর,
তিনি রসূলের সুন্নতী নাজ ইনসানী সস্থির।
তিনি ইলমের মহাসাগর মহামতি পাক নূর,
তিনিই ইমাম শুনো হে আওয়াম সত্যের মহাতূর।
তিনি তো কাসিম মহামহিম নির্ভিকী ন্যায় নীড়,
তিনি তো হাশিম সদা দায়িম উদ্ধৃত শাহী বীর।
শুনো হে শুনো মানবগোষ্ঠী তুষ্টি যে লভিবার,
সাড়া দাও তুমি তাঁহার ডাকেই কহিছি পরিষ্কার।
তিনি বাংলাদেশের প্রশাসনকেই বলে দেন ফায়সালা,
ঘাতক রাজাকার আটক করেই ফাঁসির দড়িতে ঝুলা।
তিনি অকাট্য ফতওয়া দানেন, শরীয়তী সাবলীল,
হত্যা তাদেরে করাই ফরয, নেই এতে গরমিল।
আল বাদর আর রাজাকার তারা মুনাফিক বেঈমান,
দেশ ও দশের শত্রু তাহারা দাগাবাজ শয়তান।
ঐ আল ইহসান, আল বাইয়্যিনাত যত্ন করেই পড়,
বিস্তারিত ফতওয়া সেথায় মনোযোগ দিয়ে ধর।
পনের কোটি বাঙালি মোরা মুসলিম পরিচয়ে,
বিশ্বে রহিছি বাহাদুর সেজে কাক্সিক্ষত প্রত্যয়ে।
আর দেরি নয় ওহে সরকার ছেড়ে দাও গড়িমসি,
লেন্দি করোনা বিচারের বেলা করো নাকো আর বাসি।
গোটা বিশ্বই চাহিয়া রহিছে বিচারের ইজলাসে,
কুখ্যাত সব বেঈমানদের নাশ চাহে দৃশ্যে।
স্মরণীয় ঐ বরণীয় মোরা হতে চাই বাঙালি,
বাংলার বুকে রাজাকারী শির ফাঁসিতে রহুক ঝুলি।
-বিশ্বকবি শায়খ মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান।
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২২
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২৩
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২৪
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২৫
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-২৬