ঐ নাস্তিকসহ বৌদ্ধ ইহুদী মুশরিক নাছারা,
তারা মুসলমানেরে মারিতে পারিলে খুশিতে আত্মহারা।
তাদের হিংস্র নির্মমতায় কেঁপে উঠে শয়তান,
হায় ইনসান! এতই পাষাণ ভেবে রহে হয়রান।
যদিও নাছারা শয়তানেরই পালিত নেকড়ে দাস,
যদিও ইহুদী মুশরিক রহে তাহারই আশ পাশ।
যদিও ওহাবী, কওমী, খারিজী ইবলিসি চামচিকা,
যদিও সবাই অনুগত তারা জাহান্নামের পোকা।
তবু ইবলিস করে হিম হিম কর্ম তাদের দেখে,
যারপর নাই খুশি হয়ে কহে রহিয়াছি আমি সুখে।
আহা! ইউরোপ আমেরিকা ইসরাইল মিলে হয়েই ভয়ঙ্কর,
হায় মুসলমানেরে কষ্ট দানিছে বেহুদা যে বহুতর।
কারাগারে তারা আটকায় রেখে করিয়া উলঙ্গ,
অত্যাচারের মাত্রা বাড়িয়ে নীতি করে ভঙ্গ।
তীক্ষè ধারালো চাবুকের ঘাতে দেহের চামড়া তুলে,
অগ্নি শলাকা গেঁথেই তাহারা দানবী দুয়ার খুলে।
শার্দুল রুপি বিলাতি কুকুর লেলাইয়া হায় ওরে,
আহত দেহের রক্ত খাওয়ায় মুসলিমী দেহ চিড়ে।
ফের জ্বালাইয়া দেয় ঘরবাড়ি আর মুসলিমী অধিকার,
আশ্রিত পার ছারখার করে বনিছে স্বৈরাচার।
মুলকে মুলক দখল করিয়া লুটে লয় সম্পদ,
ভিটামাটি সব ছনছার করে জুঝিয়াছে হুজ্জত।
অসংখ্য হায় কিছিম কিছিম রকমারি জ্বালাতন,
উহা দিয়ে তারা হরদম করে ঈমানী নিষ্পেষণ।
আজ মুসলিম বিশ্বের হাল সীমাহীন খারাবিতে,
জাহিলী দাপটে হটে মুসলিম নতজানু ক্বায়িনাতে।
কত নিষ্ঠুর কত যে কঠিন কাফিরেরা হতে পারে,
লিখিয়া তাহার শেষ করা ভার কল্পনা যায় হেরে।
দেখি, মুসলমানের মধ্যে কাফির সাজিয়া ঈমানদার,
গঠন করিছে ইসলামী দল সংঘ ও সমাচার।
করে, ইসলামী নামে মিছিল মিটিং ভোট ও নির্বাচন,
সংসদে যায়, মন্ত্রীও হয়, করে যে আন্দোলন।
হাজার হাজার দীনী মাহফিল করিয়া যে আয়োজন,
করিছে ওয়াজ অশ্রু ঝরায়ে মাগিতেছে মনয়ন।
ফের নছীহত দানে শীতি কনকনে করিয়া ইজতেমা,
নবীদের চেয়ে বেশি খিদমতে তারা রহে রমরমা। (নাঊযুবিল্লাহ)
সুযোগ বুঝিয়া তাহারা যে হায় নাশিছে ঈমানখানা,
সহজ সরল আওয়ামে মু’মিন কাঁধে লয় লাঞ্ছনা।
ঈমানী শক্তি সাবার করিয়া বিড়াল বানায়ে রাখে,
তাই কাফিরের কীর্তন রহে মুসলিমী মুখে মুখে।
আহা, ওরেও মু’মিন মুসলমানেরা ফিরে আয় তাক্বওয়ায়,
আয়, অস্তিত্ব তোর টিকাবার তরে সুন্নতী মোহনায়।
কোথা সে ঈমান মুসলমানের নকশায় কারবালা,
কোথা সে ছাকিব কোথা সে নকীব শাহীবিতে মকবুলা।
লও খুঁজে লও মুসলমানেরা বাঁচাতে নিজের ঘর,
বাঁচাও ঈমান, বাঁচাও দেশ রহিও না প্রস্তর।
ফিকির কর হে নিশির টুটাতে শিশিরের কোলে আলো,
সাগর পাহাড় গণগাঁও চষে এক মাঠে সবে মিলো।
ঐ সাচ্চা ইমাম, পাইতে আওয়াম বলে দেই হাক্বীক্বত,
কহি তাঁর তর্যেই পাবিরে ফিরিয়া আজীমিতে বাশারত।
ঐ তিনিই হলেন শাহে ইমামে আওলিয়া মুত্তাক্বীন,
তিনি যে মুজাদ্দিদ, পনের শতক হিজরীতে সমাসীন।
তিনিই যে হন শাহ সাইয়্যিদ মওউদে দারাজাত,
তিনিই পারেন যোগ্যতাতেই দেশ দীনে হাসানাত।
ঐ মুজাদ্দিদ আ’যম লভেন জনম সোনার বাংলাদেশে,
রে বিশ্বের মুসলিম আজ দেখে যাও সবে এসে।
ঐ রাজধানী ঢাকা রাজারবাগেই নূরানী ক্বায়িম মক্বাম,
তাঁর দরবার রহে খ্যাতিয়ার খোদ তিনি আকরাম।
তিনি আওলাদে রসূল পাক সাইয়্যিদ সাইয়্যিদী খলীফা,
তিনি রসূলের রহমতি রাজ জাহিলের মনছূফা।
তিনি মাহদী এই যামানার ইয়াক্বীন রাখিও মুসলমান,
তাঁহার তরেই পাবে খিলাফত তিনি হন আহসান।
ঐ মহান খোদায় তাঁহার দোয়ায় মুলকে কাফির নাশে,
ভিখারী করেন আল্লাহ তাদেরে ভয়াল গযব পশে।
তিনি মহান কাসিম শুনো মুসলিম বাস্তবে তাহা বলি,
দেখরে অভাগা মুসলিম তোর দিলি বাতায়ন খুলি।
সাচ্চা হলেই করে নে গ্রহণ ইহা মোর আহ্বান,
ফায়দা পাবিরে তাঁহার ফায়েযে বিজয়ের বুরহান।
চেয়ে দেখ আজ ইহুদী নাছারা প্রকৃতির প্রঘ্যাতে,
লুটায় পড়িছে মুর্দা কাতারে অগ্নির আজলাতে।
রহি মুসলিম মুহতাজ সবে আল্লাহ ও রসূলের,
বাকিরা সকলে নির্ভর করে বিতাড়িত তাগুতের।
ঐ খোদার খলীফা খালিছভাবেই মুসলিমী অন্তর,
খারিজ রাখেন খন্নাছ হতে, তেড়ে দিয়ে নশ্বর।
হয় ওহুদ, বদর, খায়বরী বীর তৈরি পরশে তাঁর,
ঐ মিছে শঙ্কার ডংকা ত্যাগিয়া, আস নূরে দরবার।
-বিশ্বকবি শায়খ মুহম্মদ মুফাজ্জলুর রহমান।
আল বাইয়্যিনাত উনার দলীলের বলে, মুনাফিক গংগের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৫৬
আল বাইয়্যিনাত উনার দলীলের বলে, মুনাফিক গংদেও হাক্বীক্বত গেল খুলে-৫৭
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৫৮
আল বাইয়্যিনাত উনার দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৫৯
আল বাইয়্যিনাত-এর দলীলের বলে, মুনাফিক গংদের হাক্বীক্বত গেল খুলে-৬১